০১. উপনিষদ

উপনিষদ

বৈদিক সাহিত্যের শেষতম অংশ হ’ল উপনিষদ; আরণক্যের সঙ্গে একত্রে এটি জ্ঞানকাণ্ডরূপে পরিচিত। পরবর্তী ভাষ্যকারীরা ‘উপনিষদ’ শব্দটিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তবুও এর ব্যুৎপত্তিগত মৌলিক অর্থ ছিল গুরুর নিকটে উপবেশন করে। অজিত জ্ঞান। তবে সমালোচকদের মতে ভাষ্যকারদের ব্যাখ্যা ইতিহাস বা ভাষাতত্ত্ব অনুমোদিত নয়। উপনিষদ নামধারী বহু রচনার সন্ধান পাওয়া গেলেও এদের অতি ক্ষুদ্র অংশই যথার্থ উপনিষদ। বৃহৎ উপনিষদ-সাহিত্য প্রকৃতপক্ষে দ্বিবিধ–বৈদিক ও অবৈদিক; কেবল বৈদিক উপনিষদগুলিই স্বভাবত আমাদের আলোচ্য বিষয়। এই চৌদ্দটি উপনিষদ পরবর্তীকালে বিখ্যাত হয়েছিল; এগুলি হল : ঈশ, কেন, কঠ, প্রশ্ন, মুণ্ড(ক), মাণ্ডুক্য, তৈত্তিরীয়, ঐতরেয়, ছান্দোগ্য, বৃহদারণ্যক, কৌষীতকি, শ্বেতাশ্বতর, মৈত্রায়ণীয় ও মহানারায়ণীয়। এদের নির্দিষ্ট রচনাকাল নির্ণয় করা খুবই দুরহ; আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি যে, এদের রচনাকালের উচ্চতম ও নিম্নতম সীমা যথাক্রমে খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম ও চতুর্থ শতাব্দী; সুতরাং এই চৌদ্দটি উপনিষদের মধ্যে কয়েকটি প্রাক-বুদ্ধ এবং কয়েকটি বুদ্ধোত্তর যুগে রচিত।