০১. পাঠভেদ (অথর্ববেদ সংহিতা)

পাঠভেদ (অথর্ববেদ সংহিতা)

অথর্ববেদ সংহিতার দুটি শাখা পাওয়া গেছে। প্ৰয়াত প্ৰখ্যাত গবেষক দুৰ্গামোহন ভট্টাচাৰ্য উড়িষ্যায় পৈল্পলাদ শাখার পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়ার পূর্বে হুইট্‌নি শৌনক শাখাটি আবিষ্কার করেছিলেন। প্ৰাচীন সাহিত্যে অথৰ্ববেদের নীটি শাখা উল্লিখিত হয়েছে : শৌনক, তৌদ, মৌদ, পৈগ্নালাদ, জাজল, জলদ, চরণবৈদ্য, ব্ৰহ্মাবদ ও বেদদর্শ। এদের মধ্যে প্রথম ছটি সম্ভবত পৃথক শাখারূপে যথার্থই বিদ্যমান ছিল ; চরণবৈদ্য বা ভ্ৰমমাণ চিকিৎসকও সম্ভবত অথর্বরেদের ভেষজ বিষয়ের সূক্তগুলি থেকে উদ্ভূত প্রতিশব্দ বিশেষ। অনুরূপভাবে ‘ব্ৰহ্মাবদ’ কথাটি ব্ৰহ্মবেদ শব্দের সামান্য রূপান্তরিত প্রতিশব্দ। স্মরণীয়, অথর্ববেদের পুরোহিতের নাম ব্ৰহ্মা। ‘বেদদর্শী’ শব্দের মধ্যে দীর্ঘকাল যাবৎ অবহেলিত অথর্ববেদের গৌরবায়ণের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। শৌনক ও পৈপ্পলাদ শাখার পাঠের তুলনামূলক আলােচনা করে আমরা যে বিপুল সংখ্যক পাঠভেদের নিদর্শন পাই তা মূলত যজুর্বোেদর কাশ্ব ও মাধ্যন্দিন শাখার মধ্যবর্তী পাঠভেদের সঙ্গেই তুলনীয়। পৈল্পলাদ শাখার মধ্যে ব্রাত্য অংশ প্রায় সম্পূর্ণতই অনুপস্থিত ; এমন কি, অথর্ববেদের দুটি সূত্রগ্রন্থ, বৈতান ও কৌশিকের মধ্যেও তার কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না।