ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ
সেদিন স্নান করিয়া আয়নার সামনে দাঁড়াইয়া চুল আঁচড়াইতে গিয়া কাজলের চোখে পড়িল একটি রুপালি সূতা।
আশ্চর্য! পাকাচুল নাকি?
হ্যাঁ, তাই বটে। ডানদিকে, কানের একটু ওপরে। পাকা চুল।
কাজল প্রথমে একটু অবাক হইল। তাহার পর হাসি পাইল। একটু ভয়ও করিল।
বাবার সঙ্গে সেই জাদুঘর দেখিতে যাওয়া। কলিকাতার বাড়িতে বাবার জ্বর, বারান্দার কোণে ঝুড়িতে বাবার প্রিয় পালং শাকের গোড়া শুকাইয়া যাইতে দেখিয়া বুকের ভিতর হুঁ হুঁ করিয়া ওঠা। মামাবাড়ির ঘাটে বাবাকে নৌকা হইতে নামিতে দেখিয়া সে কেমন দৌড়াইয়া গিয়া বাবার কোমর জড়াইয়া ধরিয়াছিল। শৈশব-কৈশোর-যৌবনের কত মায়াময় প্রভাত, প্রিয়জনের মুখ, কত হলুদ আলোয় ভরা অপরাই। সব তো এই সেদিনের কথা। সেসব আর ফিরিবে না বুঝি? সে প্রৌঢ়ত্বের প্রথম ধাপে পৌঁছাইল তবে?
প্রকৃতির এই স্বাভাবিক নিয়ম। ক্রমে একদিন তাহার পায়ে বাত ধরিবে, দৃষ্টি ক্ষীণ হইয়া আসিবে, আশৈশব স্মৃতির উজ্জ্বল শরীরকে জড়াইয়া ধরিবে বিস্মৃতির ধূসর জাল। কিন্তু মনের মধ্যে যে শিশু বাস করে সে মানিতে চায় না। জীবনের প্রথম চশমাখানি হাতে লইয়া কমলাকান্তের যেমন মনোভাব হইয়াছিল, তাহারও তেমন হয়। যৌবনের উৎসবে আর তাহার নিমন্ত্রণ নাই। সূর্য পশ্চিম দিগন্তের দিকে নামিতেছে।
নাঃ, সে খামোকাই ভাবিয়া মরিতেছে। মানুষের গড় আয়ু আশি ধরিলে অবশ্য সে মধ্যবয়স পার হইয়াছে, কিন্তু তেতাল্লিশ বছব এমন কিছু বয়েস নহে। বার্ধক্য আসিতে এখনও অনেক দেরি। তবে হ্যাঁ, সেইসব হারানো দিন আর ফিরিবে না।
খোকা বড়ো হইয়া উঠিতেছে। বাড়িতে তাহার লেখাপড়া শুরু হইয়া গিয়াছে, দ্বিতীয় ভাগ শেষ হইবার মুখে। স্লেট পেনসিল ধারাপাত লইয়া সকাল-বিকাল সে গম্ভীর মুখে ঠাকুমার কাছে পড়িতে বসে। ঘণ্টাখানেক পাঠাভ্যাস চলিবার পর দেখা যায় বইপত্র বিছানার একদিকে পড়িয়া আছে, খোকা ঠাকুমার কোলে হেলান দিয়া পা ছড়াইয়া গল্প শুনিতেছে। গল্পই বা কতরকমের। রূপকথার কাহিনী তো আছেই, তাহার সঙ্গে আছে মধুসূদনদাদার দইয়ের হাঁড়ির গল্প, অমাবস্যার রাতে গ্রামের অন্ধকার পথে গোভভূতের গল্প-আর আছে খোকার ঠাকুরদার গল্প। সে গল্পই আসরের বেশিটা জুড়িয়া থাকে।
কাজল ছেলের নাম রাখিয়াছে সপ্তর্ষি। নামটা একটু প্রাচীন ভারতগন্ধী হইল বটে, কিন্তু কাজলের চিরদিনই ধ্রুপদী ব্যাপার পছন্দ। আজকাল সবাই কায়দা করিয়া নাম রাখা শুরু করিয়াছে— জয়, রাণা, কাবুল-এমন কী, এই নামই তাহাদের কর্মজীবনেও স্থায়ী হইতেছে। আলাদাভাবে পোশাকি নাম অনেক ক্ষেত্রেই আর ব্যবহৃত হয় না।
পরিবর্তন সর্বত্র আসিতেছে। বদল ভালো, স্থাণুত্ব জীবনের পরিপন্থী। কিন্তু সে কি এই বদল? মানুষ লঘু হইয়া যাইতেছে, অন্নময় হইয়া যাইতেছে। যদি আরও খারাপের দিকে অবস্থা যায়? অন্ধকার যদি আরও ঘনাইয়া আসে? তাহা হইলে এ কোন পৃথিবীতে সে তাহার সন্তানকে রাখিয়া যাইবে?
তাহার এবং তুলির দ্বিতীয় সন্তান আসিতেছে। অপুর নিঃসঙ্গ জীবন সংগ্রাম আর বঞ্চনা পরিপূর্ণতা লাভ করিতে চলিয়াছে উত্তবাধিকারীর সমাগমে। এখন নিজের কথা আর ততটা ভাবিতে ইচ্ছা করে না, কেবল মনে হয় যাহারা থাকিয়া যাইবে তাহাদের সমকাল সুগম হউক।
পৃথিবীটা কেমন যেন দুভাগ হইয়া গিয়াছে। একভাগে উজ্জ্বল আলো, নীল আকাশ, সৌরচরাচরে ব্যাপ্ত বাঁচিয়া থাকিবার সহজ আনন্দ। আর একদিকে অবকাশহীন, নীর পাষাণময় কারাকক্ষের শতাব্দী সঞ্চিত অন্ধকার, পরশ্রীকাতরতা, অশিক্ষা, ঈর্ষার বিষময় প্রকাশ। মৃদু পরিবেশে মানুষ হইয়া সে জগতের বাস্তব রূপ ততটা দেখে নাই, ভাবিয়াছিল জীবনের সবটাই গোলাপী রঙের আলোয় উদ্ভাসিত, সকলেই এখানে রবীন্দ্রনাথের গান গায, চাঁদ উঠিলে সকলেই বনে যাইবার জন্য ব্যস্ত হয়।
না, জীবন ঠিক তেমন নয়। অপুর একটি ছোটগল্প হইতে ফিলম কবিবার জন্য এক পরিচালক ভদ্রলোক কিছুদিন ঘোরাফেরা করিতেছিলেন। একদিন তিনি কাজলকে লইয়া প্রোডিউসারের সঙ্গে আলাপ করাইয়া দিলেন। বড়োবাজারের কাছে দোতলায় একটা খুপরিমতো ঘর, টেবিল আর খানকতক চেয়ার ছাড়া ঘরে বিশেষ কোনো আসবাব নাই। ভদ্রলোকের কীসের ব্যবসা কাজল তাহা বুঝিতে পারিল না। ছবি তুলিতে অনেক টাকা লাগে, এইটুকু ঘরে কী ব্যবসা করিয়া অত টাকা রোজগার হয়?
প্রোডিউসার মাঝবয়েসী, পরনে শার্ট ও প্যান্ট। একটু শিথিল, থলথলে চেহারা। মুখে কুটিল বৈষয়িক বুদ্ধি এবং জীবনের অপরাপর ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বুদ্ধিতার ছাপ। তিনি কাজলকে বলিলেন–বসুন, বসুন। মিঃ সেন বললেন আপনি আজ আসবেন—খুব ভালো হয়েছে। বাংলা গল্প আমি খুব ভালোবাসি। আপনার তো বয়স বেশি নয়, এত সুন্দর গল্প আপনি লিখেছেন? কতদিন লিখছেন আপনি?
একটু কাশিয়া মিঃ সেন, অর্থাৎ পরিচালক বলিলেন—শৰ্মাজী, গল্প এর নয়, এর বাবার লেখা। অবশ্য ইনিও ভালো লেখেন—
শৰ্মাজী বলিলেন—ও হো হো, সরি, আপনি অপূর্বচাঁদ বাবুর ছেলে?
কাজল বলিল—অপূর্বকুমার।
-সরি, সরি। কুমার। তা, উনি এলেন না? একটু আলাপ হয়ে যেত–
মিঃ সেনকে তাসের গোলামের মতো দেখাইতেছিল। বিবর্ণ হাসিয়া তিনি বলিলেন—শৰ্মাজী, অপূর্ববাবু মারা গিয়েছেন। আমি বলেছিলাম আপনাকে–
শর্মা একটুও বিব্রত হইলেন বলিয়া মনে হইল না। মুখে দুঃখসূচক চুক্ চুক্ শব্দ করিয়া বলিলেন—ও, মারা গিয়েছেন। হাঁ, শুনেছিলাম বটে। এত কাজের চাপ, কিছু আর মাথায় থাকে না। সরি।
কাজল অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ এড়াইবার জন্য বলিল—কী কাজ আপনার?
শর্মা মিটমিট করিয়া হাসিলেন, বলিলেন—আপনি নিজের লোক, বলতে আপত্তি নেই। আমি একটু টাকাপয়সার কারবার করি—
কাজল ঠিক বুঝিল না। কারবারে টাকাপয়সা লাগে বটে, কিন্তু টাকাপয়সার কারবার কী?
কাজলের মুখের ভাব দেখিয়া শর্মা বলিলেন–বুঝলেন না? আমি যা করি তাকে বলে ফান্ড ম্যানেজমেন্ট। ধরুন রাম আমার কাছে মাসখানেকের জন্য দুলাখ টাকা চাইল, আমি শ্যামের কাছ থেকে টাকাটা ধার করে রামকে দিলাম। দশদিন পরে যদুর কাছ থেকে দুলাখ ধার করে শ্যামের টাকা মিটিয়ে দিলাম। সামান্য কিছু সুদ লাগল। পনেরো দিন পরে মধুর থেকে দুলাখ নিয়ে যদুর টাকা মিটিয়ে দিলাম। আবার সামান্য সুদ লাগল। একমাস পরে রাম সাড়ে বারো পার্সেন্ট সুদ আর টাকা ফেরত দিল। তার থেকে মধুর টাকা দিয়ে দিলাম। এই হাত ফেরতে আমার ছয় পার্সেন্ট সুদ অন্যদের দিতে হল, বাকি সাড়ে-ছয় আমার। সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার এই যে, বিজনেসটায় আমার নিজের কোনো টাকা লগ্নী হল না। এর টাকা ওকে দিয়ে মুফতে প্রফিট–
কাজল বলিল—আপনার মাধ্যমে না করে ওরা তো ডিরেকট ধার করতে পারে—
-না পারে না। কেউ দেবে না ওদের। আমার একটা গুডউইল আছে। তাছাড়া বিজনেসের চেন বলে একটা ব্যাপার আছে। বিজনেস চেন কেউ নষ্ট করবে না, সে বদনাম হয়ে যাবে–
-–চেনের মাঝখানে কেউ যদি টাকা মেরে পালিয়ে যায়? কী করবেন তখন?
শর্মা আবার মিটমিট করিয়া হাসিলেন, বলিলেন—সেদিকে নো রিসক, আমি কোল্যাটেরাল কিছু রেখে টাকা দিই, শুধু হাতে দিই না।
কাজল এ ব্যবসার কিছুই জানে না। সে জিজ্ঞাসা করিল—কোল্যাটেরাল কী?
–মানে সিকিউরিটি। গোল্ড। কিংবা বাড়ির বা জমির দলিল। কারখানা বা বিজনেসের মালিকানার কাগজ। সময়মতো টাকা না মেটালে বাড়ি জমি বিজনেস আমার–
—এমন হয়েছে?
—বেশি না? দুবার। টাকা ফেরত পেলে সাড়ে-ছয় কী সাত পার্সেন্ট কত, এতে থেকে গেল টুয়েন্টি সেভেন পার্সেন্ট। তবে কী জানেন, এ বিজনেসে পয়সা আছে, নাম নেই। সিনেমা করলে লোকে বলবে ওই দেখ শর্মা যাচ্ছে, ও একটা ভালো সিনেমা প্রোডিউস করেছে। নাম হবে, প্রেস্টিজ বাড়বে। তবে হাঁ, সিনেমায় রিস বেশি। যদি ফ্লপ করল, বাজারে চলল না, তাহলে তামাম ডুবল। সেইজন্যে তো মিঃ সেনকে বেছেছি, মিঃ সেনের সিনেমা বাজারে খুব চলে। লোকে খুব দেখে।
কাজের সময় কিন্তু দেখা গেল খ্যাতির অভিলাষী শর্মা লেখককে বেশি পয়সা দিতে একেবারে রাজি নহেন। অমায়িক হাসিয়া বলিলেন নিয়ে নিন। আপনার তো কোনো ইনভেস্টমেন্ট নেই, আটআনার কাগজ আর চারপয়সার কালি। ধরুন যদি পিকচার লেগে যায়, তাহলে আরও কত সিনেমা তৈরি হবে আপনার বাবার–
রাস্তায় বাহির হইয়া পরিচালক ভদ্রলোক লজ্জামিশ্রিত গলায় কাজলকে বলিলেন—কিছু মনে করবেন না, এরা শিল্প-সংস্কৃতির ধার ধারে না তো-নেহাত আমার লাস্ট ছবিটা বাজারে ভালো চলেছে, এক নাম হয়েছে, তাই আমাকে দিয়ে ছবি করাতে চাইছে। যাতে টাকা না ডোবে। নইলে ও কি আমাকেই পাত্তা দেবার লোক?
কাজলের মন কেমন সংকুচিত হইয়া গিয়াছিল। মনে পড়িতেছিল—তবু যেন হেসে যাই যেমন হেসেছি বারেবারে, পণ্ডিতেব মূঢ়তায় ধনীর দৈনন্যব অত্যাচাবে, সজ্জিতের রূপের বিদ্রূপে—
স্থূল বৈষয়িকতার কী নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ! কেমন হাসিয়া লোকটা বলিল—বিজনেস আর আমি কী করলাম বলুন, ও তো করলেন আপনি। সব মিলিয়ে আমি লাগাব আড়াই লাখ, তিন লাখ। ঝুঁকি নেব, ফিলম চলবে কী চলবে না ভগবান জানে। তারপর হল তো খুব বেশি বিশ-পঁচিশ পার্সেন্ট। আপনার ইনভেস্টমেন্ট আটআনা, প্রফিট টু থাউজ্যান্ড টাইমস্! হাঃ হাঃ হাঃ—
কাজল বলিল—আর ইনটেলেকচুয়াল ইনভেস্টমেন্ট? সেটাব দাম?
অবাক হইয়া শর্মা বলিলেন—সেটা কী?
হাসিয়া কাজল বলিল—কিছু না। ওটা একটা নন-কমার্শিয়াল টার্ম।
শর্মা নিশ্চিন্ত হইলেন।
কোথায় কাব্য-সাহিত্য, কোথায় তাহার দরিদ্র বাবাব চালভাজা খাইযা আনন্দ কবিবাব ইতিহাস। অর্থই সব। অর্থনীতিব নিয়মের ওপর ভিত্তি করিয়াই মানবসভ্যতার অধিষ্ঠান। বাকি সব কথার কথা। মূল্যহীন।
তখনই আবার কে মনের মধ্যে কথা বলিয়া ওঠে। আশার বাণী শোনায়, প্রলোভনে স্থিব থাকিতে বলে। যাঁর হাতে কাল অন্তহীন, সেই দেবতাব বিচাবে আস্থা বাখিতে বলে। সমসামযিকত্বে ঊর্ধ্বে শাশ্বত জীবন বিদ্যমান। তাহার ছবি আঁকে।
বাড়ি ফিরিতে সন্ধ্যা। বারান্দায় আলো জ্বলিতেছে, জানালায় তুলিব পছন্দ করা হালকা বঙেব পর্দা। ওই তাহার গৃহ। সারাদিন অচেনা, বিষয়োন্মত্ত পৃথিবীর সঙ্গে নিদাবুণ পবিচযেব পর ওইখানে তাহার শান্তির আশ্রয়।
দরজার কাছেই ছেলে বসিয়া কয়েকটা রঙ-চটা টিনেব খেলনা আর মাটিব পুতুল লইযা খেলা করিতেছে। সারাদিন পর বাবাকে দেখিয়া সে একগাল হাসিল।
কাজল বলিল—কী খেলছিস রে খোকা? ওঃ, সব খেলনা বেব কবেছিস।
খোকা বলিল—এটা জঙ্গল। এখানে–এই দেখ হাতি, বাঘ, হরিণ সব আছে। বাঘ আর হবিণ এদিকে থাকে, এদিকে থাকে হাতি আর জিরাফ
—সে কী রে! বাঘ আর হরিণ একসঙ্গে থাকবে। বাঘ হবিণকে খেয়ে ফেলবে তো
খোকা এতটা ভাবিয়া দেখে নাই। তাহার জগতে হিংসা থাকিবার কথা নয়। একটু ভাবিয়া সে বলিল—আচ্ছা, আমি বারণ করে দেব। ওরা লক্ষ্মী হয়ে থাকবে।
কাজল মনে মনে বলিল—আশীর্বাদ কবি বাবা, তুই যেন তাই পাবিস। পৃথিবীর বড়ো কষ্ট, তোর বেঁধে দেওয়া নিয়মে যেন শান্তি নেমে আসে–
কাজলের গলা শুনিয়া হৈমন্তী আসিয়া দাঁড়াইল, পেছনে পেছনে তুলি।
কাজল কাঁধের ঝোলা ব্যাগ হইতে টাকাভবা খামটা বাহির করিয়া মায়ের হাতে দিয়া বলিল–আজ বাবার সিনেমার কনট্রাকটটা হয়ে গেল মা। টাকাটা রেখে দাও। একশো টাকা আমি নিয়েছি। বই কিনেছি, তোমার জন্য বালুসাই আর অমৃতি কিনেছি–
হৈমন্তী বলিল–বৌমার জন্য কিছু কিনিস নি?
কাজল একটু কাশিয়া বলিল–সে আছে। সে এমন কিছু না–ওকে পরে দেব এখন—
হৈমন্তীর পেছন হইতে তুলি মুখ টিপিয়া হাসিল।
হাতমুখ ধুইবার জন্য ঘরে ঢুকিতে গিয়া কাজল দেখিল খোকন তাহার সামান্য খেলনার ভাণ্ডার লইয়া তন্ময় হইয়া খেলা করিতেছে। তাহার মুখে সরল আনন্দ।
সার্থকতা আর আনন্দ পাইবার জন্য শর্মাকে লক্ষ টাকা নিয়োগ করিতে হয়। তাহার খোকার মূলধন মাটির পুতুল। মুনাফা শতকরা একশো ভাগ।