1 of 3

০৭।০৩ সপ্তম কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক

তৃতীয় অনুবাক
প্রথম সূক্ত : দুঃস্বপ্ননাশনম্
[ঋষি : যম দেবতা : দুঃস্বপ্ননাশনম্ ছন্দ : অনুষ্টুপ ]

দৌম্বপ্ন্যং দৌজীবিত্যং রক্ষো অভৃমরায্যঃ। দুর্ণামীঃ সর্বা দুর্বাচস্তা অস্মন্নাশয়ামসি ॥১॥

 বঙ্গানুবাদ –দুঃস্বপ্নদর্শন (ব্যাধিপীড়িত ইত্যাদিরূপে স্বপ্নে নিজেকে দর্শন), রাক্ষস ইত্যাদি দর্শন, অভিচার ক্রিয়া হতে উৎপন্ন ভয়, পিশাচসমূহ দর্শন, কষ্টের জীবন, হিংসকের উপদ্রব, দারিদ্র্য, দুষ্ট নামের উচ্চারণ ও মন্দ ভাষণের দোষকে আমরা (এই অভিচারগ্রস্ত পুরুষ হতে) বিনাশ করছি। ১

.

দ্বিতীয় সূক্ত : সবিতা

[ঋষি : ব্ৰহ্ম দেবতা : সবিতা ছন্দ : ত্রিষ্টুপ]

যন্ন ইন্দ্রো অখনদ যদগ্নির্বিশ্বে দেবা মরুততা যৎ স্বর্কাঃ। তদস্মভ্যং সবিতা সত্যধর্মা প্রজাপতিরনুমতিনি যচ্ছাৎ ॥১॥

বঙ্গানুবাদ— পরমেশ্বর্য ইত্যাদি গুণবিশিষ্ট ইন্দ্র, অঙ্গনাদি গুণবিশিষ্ট অগ্নি, বিশ্বদেব নামক গণদেবগণ, একোনপঞ্চাশৎসংখ্যক মরুৎ-বর্গ, সুমন্ত্র বা সুদেব নামধারী দেবগণ আমাদের যে ফল প্রদান করেছেন, সেই ফল আমাদের সর্বপ্রেরক সবিতা, যথার্থকৰ্মা বা সত্যধর্মা প্রজাপতি ও অনুমতি দেবী স্থাপন করুন। ১।

.

তৃতীয় সূক্ত : বিষ্ণুঃ

[ঋষি : মেধাতিথি দেবতা : বিষ্ণু, বরুণ ছন্দ : ত্রিষ্টুপ, গায়ত্রী, শক্করী ]

যয়োরোজসা স্কভিতারজাংসি যৌ বীর্যেবীরতমা শবিষ্ঠা। যৌ পত্যেতে অতীতৌ সহোভিবিষ্ণুমগন্ বরুণং পূর্বতিঃ ॥ ১১ যস্যেদং প্রদিশি যৎ বিরোতে প্ৰ চানতি বি চ চষ্টে শচীভিঃ। পুরা দেবস্য ধর্মণ সহোভিবিষ্ণুমগন বরুণং পূর্বতিঃ ॥ ২॥

বঙ্গানুবাদ –বিষ্ণু ও বরুণ, এই যে দুই দেবতার বলের দ্বারা এই লোক-লোকান্তর স্থিত হয়ে আছে, যে দুই দেবতা বলের দ্বারা আপন কর্তব্য ও ফলের বিশেষত্ব দর্শন করে থাকেন, যাঁদের পরাক্রমের দ্বারা এই সংসার ত্রিকালব্যাপী সচেষ্ট (বা সচল) হয়ে আছে, সেই সর্বব্যাপ্ত বিষ্ণু ও অনর্থনিবারক বরুণ দেবের উদ্দেশে ফলাথীগণের মধ্যে প্রথম আহ্বানকারী এই হোতা হবিঃ প্রদান করুন। ১।

যে বিষ্ণু ও বরুণের আজ্ঞায় এই বিশ্ব বিশেষভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ও প্রাণধারণ করছে। এবং আপন কর্তব্য ও ফলের বিশেষ রূপ দর্শন করছে; সেই যে দুই দেবতার বলে বিশ্বজগৎ ভূত-ভবিষ্য-বর্তমানকালে দীপ্তি ইত্যাদি ব্যাপারের আস্পদ হয়ে আছে, সেই বিষ্ণু ও বরুণদেবকে এই প্রথম আহ্বানকারী ফলার্থী হোতা হবিঃ সমর্পণ করুন। ২৷৷

.

চতুর্থ সূক্ত : বিষ্ণুঃ

 [ঋষি : মেধাতিথি দেবতা : বিষ্ণু ছন্দ : ত্রিষ্টুপ, গায়ত্রী, শক্করী]

বিষ্ণোর্ন কং প্ৰা বোচং বীর্যাণি যঃ পার্থিবানি বিমমে রজাংসি। যো অস্কভায়দুত্তরং সধস্থং বিচক্ৰমাণস্ত্রেধোরুগায়ঃ ॥ ১৷৷ প্র তদ বিষ্ণু স্তবতে বীর্যাণি মৃগোন ভীমঃ কুচরো গিরিষ্ঠাঃ। পরাবত আ জগভ্যাৎ পরস্যাঃ ॥ ২॥ যস্যোরু ত্ৰিষু বিক্রমণেম্বধিক্ষিয়ন্তি ভুবনানি বিশ্বা। উরু বিষ্ণো বি ক্রমস্বারু য়ায় নস্কৃধি। ঘৃতং ঘৃতযোনে পিব প্র যজ্ঞপতিং তির ॥ ৩॥ ইদং বিষ্ণুর্বি চক্ৰমে ত্রেধা নি দধে পদা। সমূঢ়মস্য পাংসুরে॥ ৪ ৷৷ ত্রীণি পদা বি চক্রমে বিষ্ণুগোপা অদাভ্যঃ। ইতো ধর্মাণি ধারয় ॥ ৫বিষ্ণোঃ কর্মাণি পশ্যত যত ব্ৰতানি পম্পশে। ইন্দ্রস্য যুজ্যঃ সখা ॥ ৬৷৷ তদ বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ। দিদীব চক্ষুরাততম্ ॥৭৷৷ দিবো বিষ্ণু উত বা পৃথিব্যা মহো বিষ্ণ উয়োরন্তরিক্ষাৎ। হস্তৌ পৃণস্ব বহুভির্বসব্যৈরাপ্রযচ্ছ দক্ষিণাদোত সব্যাৎ ॥ ৮

বঙ্গানুবাদ –সর্বব্যাপক বিষ্ণুর পরাক্রমের কথা আমি যথাযথ বলছি। বলছি যে, তিনিই পার্থিব লোকসমূহ সহ অগ্নি, বিদ্যুৎ ও সূর্যরূপ জ্যোতি রচনা করেছেন; ইনিই পৃথিবী, স্বর্গ ও অন্তরিক্ষে তিন পাদ বিক্ষেপ করে নির্মাণ (বা অধিকার) করে নিয়েছেন এবং এগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্বর্গকে স্বয়ং ধারণ করে আছেন (অর্থাৎ আপনত্বে রক্ষা করছেন)। আমি সেই বিষ্ণুর বীর্যের কথা বলছি, যিনি মহাত্মগণের দ্বারা স্থূয়মান ॥১॥

সেই মহান বিষ্ণুর পরাক্রমের প্রশংসা এই যে, সিংহ যেমন সর্বত্র বিচরণ করতে করতে বনের মধ্যে যেখানে ইচ্ছা সেখানে ক্ষণমাত্রেই উপনীত হয়ে যায়, সেই রকমে বহু দূরে অবস্থিত হলেও তিনি (অর্থাৎ বিষ্ণু) স্তুতিমাত্রই এই স্থানে আগমন করুন। ২।

হে ভগবন! তিন পাদবিক্ষেপ স্থানে (অর্থাৎ পৃথিবী, অন্তরিক্ষ ও দিব্যলোকে) বিচরণ পূর্বক তুমি আমাদের নিবাসের সুবিধা ও ধন ইত্যাদি প্রদান করো। হে অগ্নিরূপ বিষ্ণু ভগবান! এই যজ্ঞে হোমকৃত ঘৃতকে তুমি গ্রহণ করো এবং যজমানকে সমৃদ্ধিশালী করে তোলো ॥ ৩॥

সর্বব্যাপক ভগবান বিষ্ণু এই বিশ্বসংসারে বিক্রমণ করেছেন; তিনি এর উপর তিন পদ স্থাপন করেছেন (অর্থাৎ পৃথিবী, অন্তরিক্ষ ও দিবি লোকে বামনরূপে ত্রি-পাদ বিক্ষেপে আক্রমণ করেছেন–পৃথিব্যাং অন্তরিক্ষে দিবি চ বিষ্ণুবামনো ভুত্বেমাল্লোকাংস্ক্রিভিঃ ক্রমৈরভ্যজয়ৎ ইতি তেঃ)। এই বিক্রমমাণ বিষ্ণুর (অর্থাৎ ত্রিবিক্রম বিষ্ণুর) তিনটি পদে সমগ্র জগতের (অর্থাৎ তিনটি লোকের) স্থিতি নিষ্পন্ন হয়ে গিয়েছে ॥৪॥

রক্ষক, অন্যের প্রভাবে আগমনশীল (বা অনভিভূত) ভগবান্ বিষ্ণু তিনটি পদ স্থাপন পূর্বক এই তিনটি লোক সহ অগ্নিহোত্র ইত্যাদি ধর্ম (বা কর্মসকল) ধারণ করে নিয়েছেন ॥ ৫

হে স্তোতৃবর্গ! সর্বব্যাপক বিষ্ণু ভগবানের নানা কার্যসমূহকে প্রত্যক্ষ করো–যার দ্বারা তিনি তোমাদের গুণ ধর্মসমূহকে দর্শন করছেন বা কর্মসমূহকে সংযুক্ত করছেন। তিনি ইন্দ্রের যোগ্য সখা। (বিষ্ণু কীরকম? না- ইন্দ্রস্য দেবস্য যুজ্যঃ যোগ্যঃ অনুগুণঃ সখা সমানখ্যানো মিত্রভূতঃ) ॥ ৬৷

 জ্ঞানী, বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণ সেই ভগবান বিষ্ণুর পরম স্থান (জ্ঞাতব্য তত্ত্ব) সর্বদা দর্শন করে থাকেন। যেমন দ্যুলোকে বিস্তৃত হয়ে থাকা চক্ষুরূপী সূর্য বিদ্যমান, সেই রকমে সর্বত্র ব্যাপ্ত সেই প্রকাশ তত্ত্বকে জ্ঞানী পুরুষ দর্শন করেন। ৭।

হে বিষ্ণু ভগবান! দ্যুলোক, পৃথিবীলোক ও বিস্তৃত অন্তরিক্ষ লোক হতে আনীত ধনরাশিতে আপন হস্তদ্বয় পূর্ণ করো এবং সেই দক্ষিণ ও বাম দুই হস্তে তা প্রদান করো ॥ ৮

 সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— দৌস্বপ্নং দৌজীবিত্যং ইতি ব্যাখ্যাতা (৪/১৭/৫)। অত্র ষন্ন ইন্দ্রঃ ইতি মন্ত্রোক্তা ইন্দ্রাদ্যা নব দেবতাঃ সফলকামো যজেত উপতিষ্ঠেত বা। তত্রৈব কর্মণি যয়োরোজসা ইতি দ্বাভ্যাং বিষ্ণুবরুণৌ যজেত উপতিষ্ঠেত বা। সর্বসম্পকামো বিষ্ণোর্ল্ড কং ইত্যষ্টৰ্চেন বিষ্ণুং যজতে উপতিষ্ঠেত বা। ..ইত্যাদি৷৷(৭কা, ৩অ, ১-৪সূ)।

টীকা –উপযুক্ত প্রথম সূক্তটি চতুর্থা কাণ্ডের চতুর্থ অনুবাকের সপ্তদশ সূক্তের পঞ্চম মন্ত্রে ব্যাখ্যাত হয়েছে। (এই সূক্তটি দুর্গাদাস লাহিড়ী মহাশয় তাঁর গ্রন্থে দ্বিতীয় অনুবাকের অন্তর্ভুক্ত করে কিছুটা অসুবিধা সংঘটিত করেছেন)। ষন্ন ইন্দ্র সূক্তে সফলকামনায় ইন্দ্র ইত্যাদি নয়টি দেবতার উদ্দেশে যাগ বা উপাসনায় বিনিয়োগ করণীয়। যয়োরোজসা সূক্তের মন্ত্র দুটি বিষ্ণু ও বরুণের উদ্দেশে যাগ বা উপাসনায় বিনিয়োগ করণীয়। বিষ্ণোর্ল্ড কং সূক্তটির আটটি মন্ত্রের দ্বারা সর্বসম্পকামনায় ভগবান্ বিষ্ণুর উদ্দেশে যাগ বা উপাসনায় বিনিয়োগ করণীয়। এর মধ্যে ত বিষ্ণো পরমং পদং ইত্যাদি মন্ত্রটি ব্রাহ্মণগণ কর্তৃক সন্ধ্যাবন্দনাকালে বিষ্ণু-স্তুতির প্রসিদ্ধ মন্ত্র ॥ (৭কা, ৩অ. ১-৪সূ)।

.

পঞ্চম সূক্ত : ইড়া

[ঋষি : মেধাতিথি দেবতা : ইড়া ছন্দ : ত্রিষ্টুপ ]

ইড়ৈবাশ্ম অনু বস্তাং ব্ৰতেন যস্যাঃ পদে পুনতে দেবয়ন্তঃ। ঘৃতপদী শরী সোমপৃষ্ঠোপ যজ্ঞমস্থিত বৈশ্বদেবী ॥ ১৷৷

বঙ্গানুবাদ –যে ধেনুর চরণের স্পর্শে দেবতাগণের নিকট কামনা-করণশীল যজমান পবিত্র হয়ে থাকেন, সেই ঘৃতপদী, সোমপৃষ্ঠা, ফলদান সমর্থা, বিশ্বদেবাত্মিকা ইড়া নাম্নী ধেনু আমাদের যজ্ঞকে সর্বত্র প্রকাশিত করুক। যেভাবেই হোক, আমরা যাতে আমাদের কৃতকর্মের ফল প্রাপ্ত হই, এই ধেনু তেমনই প্রযত্ন করুক ॥১॥

.

ষষ্ঠ সূক্ত: স্বস্তি

 [ঋষি : মেধাতিথি দেবতা : বেদ ছন্দ : ত্রিষ্টুপ]

বেদঃ স্বস্তিঘন স্বস্তিঃ পরশুর্বেদিঃ পশুৰ্নঃ স্বস্তি। হবিষ্কৃতো যজ্ঞিয়া যজ্ঞকামাস্তে দেবাসো যজ্ঞমিমং জুষন্তাম্ ॥ ১৷৷

 বঙ্গানুবাদ –বেদ নামক দর্ভের মুষ্টি আমাদের পক্ষে অবিনাশের হেতু হোক। বৃক্ষ (দ্রুম) ছেদনের হাতিয়ার পরশু বা কুঠার এবং তৃণ ইত্যাদির ছেদনী বেদি আমাদের পক্ষে কল্যাণকারী হোক। এই সকল দেবাত্মক, বেদ দ্রুঘণ ইত্যাদি হবিঃ সমর্পণ-করণশালী আমার যজমানের যজ্ঞকর্মের সহায়ক হোক। ১।

.

সপ্তম সূক্ত : অগ্নাবিষ্ণু

[ঋষি : মেধাতিথি দেবতা : অগ্নাবিষ্ণু ছন্দ : ত্রিষ্টুপ ]

 অগ্নাবিষ্ণু মহি তদ বাং মহিত্বং পাথো ঘৃতস্য গুহ্যস্য নাম। দমেদমে সপ্ত রত্না দধানৌ প্রতি বাংজিহ্বা ঘৃতমা চরণ্যাৎ ॥১॥ অগ্নাবিষ্ণু মহি ধাম প্রিয়ং বা বীথো ঘৃতস্য গুহ্যাঁ জুষাণৌ। দমেদমে সুষ্ঠুত্যা বাবৃধানে প্রতি বাং জিহু ঘৃতমুচ্চরণ্যাৎ ॥ ২॥

বঙ্গানুবাদ –হে অগ্নি ও বিষ্ণু দেবতা! তোমাদের দুই জনের এইটাই মহতী কীর্তি বা মহনীয় মাহাত্ম্য যে, তোমরা উভয়ে গুহ্য ঘৃত (অর্থাৎ গোপনীয় গুহারূপ জুহুগত আজ্য বা ক্ষরণশীল পদার্থ) পান করে থাকো। তোমরা সকল যজমানের গৃহে (বা যজ্ঞগৃহে) গো, অশ্ব ইত্যাদি সপ্তসংখ্যক রমণীয় পশুরূপ রত্নকে ধারণ করে থাকো। তোমাদের দুই জনের জিহ্বা হৃয়মান (হোমে আহূত) আজ্য ভক্ষণ করুক ॥ ১৷

হে অগ্নি ও বিষ্ণু দেবদ্বয়! তোমাদের দুইজনের ধাম (স্থান বা তেজঃ) অতি মহৎ বা মহনীয়, সকলের ইষ্ট বা প্রতিকারী। তোমরা ঘৃতের সান্নায্য চরু পুরোড়াশ ইত্যাদি স্বরূপে ভক্ষণ করে থাকো। তোমরা পরস্পর প্রীয়মাণ হয়ে সকল যজমানের গৃহে উত্তম স্তুতির দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে থাকো। তোমাদের জিহ্বা প্রত্যেক ঘৃত ভক্ষণ করুক ॥ ২॥

.

অষ্টম সূক্ত : অঞ্জনম

 [ঋষি : ভৃগ্বঙ্গিরা দেবতা : দ্যাবাপৃথিবী, মিত্র, ব্ৰহ্মণস্পতি ছন্দ : বৃহতী ]

স্বাক্তং মে দ্যাবাপৃথিবী স্বাক্তং মিত্রো অকরয়। স্বাক্তং মে ব্ৰহ্মণস্পতিঃ স্বাক্তং সবিতা করৎ

 বঙ্গানুবাদ –দ্যাবাপৃথিবী আমার দুটি চক্ষু অথবা ঘূপ উত্তম অঞ্জনের দ্বারা রঞ্জিত করুক। সূর্যদেব, ব্ৰহ্মণস্পতি এবং সবিতাদেব, সকলেই আমাদের চক্ষুর স্বস্থতায় প্রযত্নশীল হয়ে অঞ্জন করুন ॥১॥

.

নবম সূক্ত : শত্রুনাশনম্

[ঋষি : ভৃগ্বঙ্গিরা দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : ত্রিষ্টুপ ]

ইন্দ্রোতিভিবহুলাভির্নো অদ্য যাচ্ছুষ্ঠাভিমৰ্ঘবছর জিম্ব। যো নো দ্বেষ্ট্যধরঃ সম্পদীষ্ট যমু দ্বিম্মস্তমু প্রাণো জহাতু। ১।

 বঙ্গানুবাদ –হে ইন্দ্র! তুমি বহুরকম রক্ষার দ্বারা আজ আমাদের সুরক্ষিত রাখো। হে ধনী, শূরবীর! শ্রেষ্ঠ রক্ষার দ্বারা আমাদের প্রীত করো। যে আমাদের দ্বেষ করে, তার অধঃপতন ঘটুক। আমরা যে শত্রুদের প্রতি দ্বেষ করি সে মৃত্যুপ্রাপ্ত হোক। ১।

.

দশম সূক্ত : দীর্ঘায়ুঃ

[ঋষি : ব্রহ্মা দেবতা : আয়ু ছন্দ : অনুষ্টুপ ]

 উপ প্রিয়ং পনিতং যুবানমাহুতীবৃধম। অগন্ম বিভ্রতো নমঃ দীর্ঘমায়ুঃ কৃপোতু মে। ১.

বঙ্গানুবাদ— সকলের প্রিয়, সকলের স্তুতির যোগ্য, চিরতরুণ এবং আহুতির দ্বারা বর্ধন প্রাপ্ত হওন-শীল অগ্নিদেবতার নিকট আমি নম্বতাপূর্বক হবিঃ-রূপ অন্ন সহকারে গমন করছি। সেই অগ্নিদেব আমাকে বা আমার এই মাণবককে শতসম্বৎসর পরিমিত আয়ুষ্মন করুন ৷ ১

.

একাদশ সূক্ত : দীর্ঘায়ুঃ

[ঋষি : ব্রহ্মা দেবতা : মরুৎ, পূষা, বৃহস্পতি অগ্নি ছন্দ : পংক্তি ]

সং মা সিঞ্চন্তু মরুতঃ সং পূষা সং বৃহস্পতিঃ। সং মায়মগ্নিঃ সিঞ্চভু প্রজয়া চ ধনেন চ দীর্ঘমায়ুঃ কৃপোতু মে ॥ ১।

বঙ্গানুবাদ— মরুৎ-দেবগণ ফলাথী আমাকে (অর্থাৎ যজমানকে) পুত্র ইত্যাদি প্রজা ও ধন প্রদান করুন। পূষাদেব, বৃহস্পতি এবং অগ্নিদেবতাও আমাদের সুসন্ততি ও ধন-ধান্যে পূর্ণ করুন। তারা আমাকে বা আমার এই মাণবককে শতসম্বৎসর পরিমিত আয়ু প্রদান করুন। ১।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –তত্র আদ্যোঋচোঃ সর্বসম্পৎকর্মণি বিষ্ণোর্ন কংইত্যত্র বিনিয়োগোহভিহিতঃ। দর্শপূর্ণমাসয়ো বেদঃ স্বস্তিঃ ইতি বেদং বিমুঞ্চেৎ …সর্বব্যাধিভৈষজ্যার্থং ব্যাধিতশরীরং মৌঞ্জৈঃ পাশৈঃ পর্বসু। বদ্ধ অগ্নাবিষ্ণু ইতি দ্বাভ্যাং শরপিঙ্গুলীভিঃ সহ উদকঘটং সম্পত্য অভিমন্ত্র ব্যাধিতং আল্পাবয়েৎ অবসিঞ্চেৎ বা। তদ্ উক্তং সংহিতাবিধৌ।…গোদানাখ্যে সংস্কারকর্মণি স্বাক্তং ইত্যনয়া অঞ্জনং অভিমন্যু ব্রহ্মচারিণো হক্ষিণী।.অভিচারকর্মণি ইন্দ্রোতিভিঃ ইত্যনয়া অশনিহতবৃক্ষসমিধং আদধ্যাৎ। উপনয়নে আয়ুষ্কামস্য মাণবকস্য মূর্ধানং উপ প্রিয়ংইত্যনুমন্ত্রয়েত।… পুষ্টিকর্মণি তটাকাদিসর্বজনসাধারণোদকে মিশ্ৰধান্যং প্রক্ষিপ্য সং মা সিঞ্চন্তু ইত্যনয়া সম্পত্য অভিমন্ত্র পুষ্টিকামোহশ্নীয়াৎ..তথা অগ্নিচয়নে অভিষিচ্যমানং যজমানং ব্রহ্মা এনাং ঋচং বাচয়েৎ।…ইত্যাদি৷৷(৭কা, ৩অ. ৫-১১সূ)।

টীকা –উপযুক্ত পঞ্চম সূক্তের মন্ত্রটির বিনিয়োগ পূর্বোক্ত সূক্তের মতো সর্বসম্পকর্মে বিহিত আছে। ষষ্ঠ সূক্তের মন্ত্র দর্শপূর্ণমাস ও স্বস্তিযাগে প্রয়োগ হয়। সপ্তম সূক্তের মন্ত্র দুটি সূত্রোক্তপ্রকারে ব্যাধিত জনের চিকিৎসা কর্মে বিনিয়োগ করণীয়। গোদানাখ্য সংস্কার কর্মে অষ্টম সূক্তটির বিনিয়োগ হয়। নবম সূক্তটি অভিচারকর্মে বজ্রাহত বৃক্ষকাষ্ঠের দ্বারা সূত্রোক্তপ্রকারে বিনিয়োগ করণীয়। উপনয়নে আয়ুষ্কামী মাণবকের নিমিত্ত দশম সূক্তটির বিনিয়োগ হয়। শেষোক্ত সূক্তমন্ত্রটির বিনিয়োগ ঐ দশম সূক্তের অনুরূপ হলেও এই সূক্তটি পুষ্টিকর্ম, অগ্নিচয়ন ইত্যাদিতেও বিনিযুক্ত হয়ে থাকে। (৭কা, ৩অ. ৫-১১সূ)।

.

দ্বাদশ সূক্ত : শত্রুনাশনম্

[ঋষি : অথর্বা দেবতা : জাতবেদা ছন্দ : জগতী ]

অগ্নে জাতা প্র ণুদা মে সপত্না প্রত্যজাতা জাতবেদো নুদ। অধম্পদং কৃণুম্ব যে পৃতন্যবোহনাগসস্তে বয়মদিতয়ে স্যাম৷ ১

বঙ্গানুবাদ –হে অগ্নিদেব! আমাদের জাত অর্থাৎ নিষ্পন্ন শত্রুগণকে বিনষ্ট করে দাও। হে জাতবেদা অগ্নি! যারা এখনও আমাদের প্রকট শত্রু হয়নি, কিন্তু আন্তরিক শত্রুতা পোষণ করে থাকে; অথবা আমাদের শত্রুগণের যে পুত্রবর্গ এখনও জন্মগ্রহণ করেনি, কিন্তু পরে শত্রু হয়ে দাঁড়াবে, তাদেরও বিনাশ করে দাও। যারা আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে ইচ্ছা করছে তাদের সকলকে আমাদের পদের তলদেশে পাতিত করো। তুমি সকল দেবতার প্রতাপের দ্বারা আমাদের সকলকে নিষ্পাপ হয়ে অদীনতার সাথে (অথবা দেবমাতা অদিতির প্রসাদ-ধন্য হয়ে) অবস্থানের যোগ্য করে দাও। ১

.

ত্রয়োদশ সূক্ত : স্বপত্নীনাশনম্

[ঋষি : অথর্বা দেবতা : জাতবেদা ছন্দ : ত্রিষ্টুপ, অনুষ্টুপ ]

প্রাণ্যাসপত্নান্তসহসা সহস্ব প্রত্যজাতা জাতবেদো নুদস্ব। ইদং রাষ্ট্রং পিপৃহি সৌভগায় এমনু মদন্তু দেবাঃ ॥১॥ ইমা যাস্তে শতং হিরাঃ সহস্রং ধমনীরুত। তাসাং তে সর্বাসামহমশনা বিলমপ্যধাম ॥ ২॥ পরং যোনেরবরং তে কৃপোমি মা ত্বা প্রজাভি ভূনোত সূনুঃ। অস্বং ত্বপ্রজসং কৃপোম্যম্মানং তে অপিধানং কৃপোমি ॥ ৩৷৷

বঙ্গানুবাদ –হে জাতবেদা অগ্নিদেব! তুমি এইভাবে সেই শত্রুগণকে বিনাশ করে দাও, যারা আমাদের বিরুদ্ধাচারী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইভাবে সেই শত্রুগণকে, যারা এখনও প্রকট (বা জাত) হয়নি, তাদেরও সমূলে শেষ করে দাও। আমাদের এই বাসভূমিকে সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ করে দাও। সকল দেবৃন্দ এই হেন শত্ৰুহনন কর্মে প্রযোক্তাকে (আভিচারিক কর্মকারীকে) অনুমোদন করুন। ১।

হে বিদ্বেষবতী স্ত্রী! গর্ভধারণের নিমিত্ত তোমার যে শতসংখ্যক নাড়ী ও সহস্ৰসংখ্যক ধমনী আছে, সেগুলির মুখকে আমি (অর্থাৎ আভিচারিক কর্মের দ্বারা বন্ধ্যাত্ব-করণের প্রয়োগকর্তা) প্রস্তরের দ্বারা রুদ্ধ করে দিচ্ছি; যাতে তুমি গর্ভধারণে অক্ষম (অপারক) হয়ে যাও ৷ ২৷৷

হে প্রতিকূলা নারী! তোমার পুত্রজননক্ষম গর্ভাশয় তোমার যোনিপ্রদেশের নীচে (নীচীনং) বা বৰ্হিভাগে স্থানান্তরিত করে দিচ্ছি; এর ফলে তুমি সন্তান-প্রজননে অশক্ত হয়ে যাবে। স্ত্রীব্যঞ্জনযুক্ত হলেও অশ্বতরী যেমন সন্তানরহিত হয়, তোমাকে তেমনই (বন্ধ্যা) করে দিচ্ছি। তোমার সম্বন্ধি গর্ভধারণস্থান পাষাণে আচ্ছাদিত করে দিচ্ছি ৷ ৩৷৷

.

চতুর্দশ সূক্ত : অঞ্জনম

 [ঋষি : অথর্বা দেবতা : অক্ষি, মন ছন্দ : অনুষ্টুপ ]

অক্ষৌ নৌ মধুসংকাশে অনীকং নৌ সমঞ্জন। অন্তঃ কৃণুম্ব মাং হৃদি মন ইন্নৌ সহাসতি ॥ ১৷

বঙ্গানুবাদ –হে পত্নী! (দম্পতিরূপ) তোমার ও আমার দুজনের নেত্র মধুর ভাবের দ্বারা যুক্ত হোক। আমাদের দুজনের নেত্রের অগ্রভাগ প্রেমাঞ্জনযুক্ত হোক এবং তুমি আমাকে আপন হৃদয়ে ধারণ করো। আমরা দুজনে যেন সমান মনঃশালী হয়ে যাই। ১।

.

পঞ্চদশ সূক্ত : বাসঃ

[ঋষি : অথর্বা দেবতা : বাস ছন্দ : অনুষ্টুপ]

অভি ত্বা মনুজাতেন দমি মম বাসস। যথাসো মম কেবলো নান্যাসাং কীর্তয়াশ্চন ॥ ১।

 বঙ্গানুবাদ –(আপন পতির উদ্দেশে স্ত্রীর উক্তি) হে পতি! তুমি কেবল আমারই হয়ে থাকো, এই নিমিত্ত আমি মন্ত্রের দ্বারা ধারণকৃত হওয়া এই বস্ত্রে তোমাকে বন্ধন করছি। যেভাবেই হোক, তুমি আমাকে পরিত্যাগ করে অন্য স্ত্রীর নামও উচ্চারণ করো না ॥ ১৷৷

.

ষোড় সূক্ত : কেবলঃ পতিঃ

 [ঋষি : অথর্বা দেবতা : বনস্পতী (আসুরী) ছন্দ : অনুষ্টুপ, উষ্ণীক ]

ইদং খনামি ভেষজং মাংপশ্যমভিররারুদ। পরায়তত নিবর্তনমায়তঃ প্ৰতিনন্দন ॥ ১৷৷ যেনা নিচক্র আসুরীন্দ্রং দেবেভ্যম্পরি। তেনা নি কুর্বে ত্বামহং যথা তেহসানি সুপ্রিয়া ॥ ২॥ প্রতীচী সোমমসি প্রতীচ্যুত সূর্য। প্রতীচী বিশ্বান্ দেবান্ তাং জ্বাচ্ছাবদামসি। ॥ ৩৷৷ অহং বদামি নেৎ ত্বং সভায়ামহ ত্বং বদ। মমেদসং কেবলো নান্যাসাং কীর্তয়াশ্চন ॥ ৪৷ যদি বাসি তিরোজনং যদি বা নদস্তিরঃ। ইয়ং হ মহং ত্বমোষধিৰ্বন্ধেব ন্যানয়ৎ ॥ ৫

বঙ্গানুবাদ –এই (সৌবচল নামক) ঔষধিকে আমি বশীকরণের নিমিত্ত খনন করছি। এই ঔষধি পতিকে বশীভূত করতে সমর্থ। এটি পতিকে অন্য নারীগমনে (বা অন্য নারীতে আসক্ত হতে) নিরস্ত করে তাকে আমার নিকট (অর্থাৎ পত্নীর সমীপে) প্রত্যাগমনে বাধ্য করে এবং পতির পক্ষে আনন্দকর হয় ॥ ১।

অসুরের মায়া হতে উৎপন্ন এই আসুরী নামক ঔষধি, যার গুণের দ্বারা সকল দেবতাগণের উপর ইন্দ্র অধিক প্রভাবশালী হয়েছিলেন, অথবা পুলোমা নামক অসুরের কন্যা ইন্দ্রপত্নী শচীদেবী যে আসুরী নামক ঔষধির প্রভাবে ইন্দ্রকে বশীভূত করেছিলেন, হে পতি! তারই দ্বারা আমি তোমাকে আমার প্রভাবাধীন করছি, যাতে আমি তোমার প্রিয় ধর্মপত্নী হয়ে বিরাজমানা থাকবো ৷৷ ২৷

হে শঙ্খপুপী নাম্নী ঔষধি! (অনয়া প্রকৃতা শঙ্খপুপাখ্যা ওষধিঃ স্তয়তে)। তুমি রাত্রির দেবতা সোমকে বশ করার নিমিত্ত গমন করছো এবং দিবাধিপতি সূর্যকেও বশীকরণের নিমিত্ত তাঁর অভিমুখী হচ্ছো। তুমি সকল দেবতাকে বশীকরণে সমৰ্থা। আমাদের পতিকে আমাদের দিকে আকৃষ্ট করার নিমিত্ত আমরা তোমা হেন ঔষধির নিকট নিবেদন করছি ॥ ৩॥

 হে স্বামি! তুমি এখানে আমার নিকট কিছু বলবে না, আমি বলবো; তুমি বিদ্বৎসমাজেই যেমন ইচ্ছা, তেমন বলবে। তুমি আমাকে অসাধারণ রূপে প্রাপ্ত হও। তুমি আমার সম্মুখে অন্য স্ত্রীর নামও গ্রহণ (বা উচ্চারণ) করবে না। ৪

হে স্বামিন! যদি তোমাকে আমার দৃষ্টির বাহিরে কোথাও যেতে হয়, অথবা কোন নদী আমার ও তোমার মধ্যে এসে তোমাতে-আমাতে ব্যবধান রচনা করে, তবে এই শঙ্খপুষ্পী তোমাকে আবদ্ধ করে স্নেহময়ী আমার সম্মুখে আনয়ন করবে। ৫।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— বিদ্বেষিণঃ পুমপত্যরাহিত্যায় অগ্নে জাতান ইত্যনয়া অশ্বতরীমূত্রং, পাষাণেন সঙ্ষ্য অভিমন্ত্র ওদনেন সহ বিদ্বেষিণ্যৈ প্রযচ্ছ।..বিদ্বেষিণ্যা বন্ধ্যাকরণকৰ্মাণ প্রাণান্ ইতি তৃচেন পূর্বৰ্মন্ত্রোক্তাণি কর্মাণি কুর্যাৎ। সূত্রিতং হি।… বিবাহে চতুর্থদিবসে অক্ষৌ নৌ ইত্যনয়া বরবর্ধ্বে অন্যোন্যং অক্ষিণী অঞ্জাতাং…(সৌভাগ্যসংবনন) কর্মণি ইদং খনামি ইতি পঞ্চর্চেন সৌবচলমূলং সম্পাত্য অভিমন্ত্র বধীয়াৎ। তথা তত্রৈব কর্মণি অনেন পঞ্চচেন শঙ্খপুষ্পীপুষ্পং অভিমন্যু স্ত্রিয়াঃ শিরসি বধীয়াৎ।… ইত্যাদি। (৭কা, ৩অ. ১২-১৬সূ)। টীকা –বিদ্বেষিণী অর্থাৎ শত্ৰুপত্নী যাতে পুরুষ-সন্তানরহিত হয়ে তার নিমিত্ত উপযুক্ত দ্বাদশ সূক্তটি সূত্রোক্তপ্রকারে বিনিযুক্ত হয়। পরবর্তী সূক্তের মন্ত্রটি আবার শত্ৰুপত্নীকে সম্পূর্ণ বন্ধ্যাকরণের নিমিত্ত পূর্বোক্ত মন্ত্রের সূত্রানুসারে বিনিয়োগ করণীয়। চতুর্দশ ও পঞ্চদশ সূক্ত দুটি অচ্ছেদ্য মিলনের নিমিত্ত বিবাহের চতুর্থ দিবসে বরবধূ একে অপরের চক্ষে অঞ্জন প্রদানে বিনিয়োগ করণীয়। শেষ সূক্তটির পাঁচটি মন্ত্র নব-দম্পতির সৌভাগ্যসংবনন কর্মে সূত্রানুসারে সৌবৰ্চলমূল, শঙ্খপুষ্পীপুষ্প ইত্যাদি অভিমন্ত্রিত পূর্বক বিনিয়োগ করণীয়।…ইত্যাদি। (৭কা, ৩অ. ১২-১৬সূ)।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *