০১. আমার কথা
‘ঠান্ডা গোস্ত’*- এর মামলা প্রায় একবছর চলেছিল। নিম্ন আদালত আমাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিনশো টাকা জরিমানা করেছিল। সেশনে আপিল করার পর মুক্তি পেলাম। এর পরও সরকার আমার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে রেখেছে যার এখনও শুনানি হয়নি।
এ সময় আমার দিনগুলো কীভাবে কেটেছে তার কিছুটা আভাস আপনারা ‘ঠান্ডা গোস্ত’-এর ভূমিকাতে পাবেন। মনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কী করব ভেবে কুলকিনারা পেলাম না। লেখা ছেড়ে দেব কি না ভাবছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, মন এত ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠেছে যে, ইচ্ছে হচ্ছে কোনো কিছুর একটা অ্যালটমেন্ট হলে লেখার চর্চাটা ছেড়ে দিয়ে কিছুকাল নিরিবিলি জীবনটা কাটাব। এরপর মনে কোনো লেখার ঝোঁক চাপলে তাকে ফাঁসি দেব। অ্যালটমেন্ট না হলে ব্ল্যাকমার্কেটিং অথবা বে আইনি মদের কারবার করব কি না তাও ভাবছিলাম। শেষোক্তটি এজন্য সম্ভব ছিল না যেহেতু আমি ভয় করতাম, পাছে সব মদ নিজেই না পান করে ফেলি। আর ব্ল্যাক মার্কেটিং করতে মেলা টাকার দরকার। সুতরাং তাও সম্ভব না। একমাত্র অ্যালটমেন্ট সহজ হলেও হতে পারে। আপনারা আশ্চর্য হবেন, এসব আমি সত্যি সত্যি করতে চেয়েছিলাম। অতঃপর বাধ্য হয়ে নিজের গাঁট থেকে নগদ টাকা সরকারের তহবিলে গচ্চা দিয়ে দরখাস্ত করলাম। বললাম, আমি অমৃতসরের মোহাজের। বেকার অবস্থায় আছি। দয়া করে কোনো প্রেস অথবা সিনেমা হলের কিয়দংশ আমার নামে অ্যালটমেন্ট করার আজ্ঞা হোক।
দরখাস্তের ছাপানো ফর্মে আজব ধরনের প্রশ্নাবলি ছিল। প্রত্যেক প্রশ্ন এমন যে, উত্তরদাতাকে প্রচুর মিথ্যা কথা বলতে হবে। কিন্তু এ অভ্যাস আমার প্রথম থেকেই ছিল না। আমি এ ব্যাপারে অনেক ঝানু লোকেদের সঙ্গে পরামর্শ করলাম। তারা বলল, তোমাকে মিথ্যা বলতেই হবে। অবশ্য যখন ফর্ম পূরণ করতে বসলাম তখন শতকরা দুই তিন আনার বেশি মিথ্যা বলতে পারিনি। যখনই ইন্টারভিউ হল, আমি তাদেরকে সাফ সাফ বললাম, আসলে দরখাস্তে যা লেখা আছে তার সবই মিথ্যা। সত্য হল, আমি ভারতে এমন বেশি কিছু সম্পত্তি রেখে আসিনি। শুধুমাত্র একটা বাড়ি ছিল। আমি আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছি না। আমার মতে আমি একজন মস্ত বড় গল্প-লেখক। কিন্তু এখন বুঝলাম, এ কাজ আমাকে পোষাবে না। খোদা এম আসলাম এবং ভারতী দত্তকে সুখে রাখুন। গল্প-গুরু হিসাবে আমি তাদের পায়ে মাথা নত করি। এখন চাচ্ছি। সরকার আমাকে এমন একটা অ্যালটমেন্ট দিক, যার দৌলতে আমি কাজ করে দিব্যি মাসে শ-পাঁচেক টাকা রোজগার করতে পারি।
আশ্চর্য যে, আমার কথায় তাদের সুমতি হল। কোনো একটা বরফের ফ্যাক্টরির অ্যালটমেন্ট প্রায় পেয়েও যাচ্ছিলাম, এমতাবস্থায় কে একজন বলল, এ তোমরা কী করছ? এ লোকটি, যার নাম সাদত হাসান মান্টো নেহাতই বামপন্থী লোক। অবশেষে আমার দরখাস্ত নাকচ করে দিল।
এদিকে এ-ব্যাপার হল, আবার ওদিকে প্রগতিশীল লেখকরা আমাকে রক্ষণশীল বলে আমার অন্নজল সব বন্ধ করার ব্যবস্থা করল। বেশ মজা হল। অনেক ভেবেচিন্তে আবার কলম হাতে নিলাম। কিন্তু কী লিখব তা নিয়ে চিন্তা করলাম। অনেক চিন্তার পর সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, আমার জানাশোনা চিত্র-তারকাদের সম্পর্কে কিছু লিখি। এটা কিছুটা নিরাপদ হবে।
প্রথমেই পরিরানি নাসিমবানু’ সম্পর্কে লিখলাম। দৈনিক ‘আফাঁক’-এ ছাপা হল। ভাবলাম, বেশ একটু পথ খুলে গেল। এবার আর সরকারের কোনো মাথাব্যথা থাকবে না। পাঠকদের মধ্যে সহজেই সাড়া পড়ে যাবে। কিন্তু এটা ছাপা হবার পরই দেশময় একটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। আমাকে গালাগালি করে অনেক চিঠি আসতে লাগল পত্রিকা অফিসে।
৩. জুলাই-এর আফাঁক-এ কাজি. এম. বশির মাহমুদ সাহিত্যরত্নের চিঠি ছাপা হল। তাতে লেখা ছিল :
“সা’দত হাসান মান্টোর লিখিত ‘পরিরানি নাসিম বানু’ পড়লাম এবং সেই সঙ্গে ভাইকে লিখিত নাসিম বানুর চিঠিও পড়লাম।
মান্টো বড়ো মুন্সিয়ানা করে বোনটির দোষ-গুণ, এটাসেটা এবং ব্যক্তিগত কাহিনি বর্ণনা করেছেন। মনে হয়, তিনি বোনটির ব্যক্তিত্ব এবং মর্যাদা সম্পর্কে অনেক সত্য কথা জেনেও এড়িয়ে গেছেন। এটা নিঃসন্দেহে অপমান করার শামিল।
এভাবে লিখতে গিয়ে একটু আড়াল-আবডাল বা সংযমের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। তাঁর ভাষা বা বাক্য-বিন্যাসের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে আমি জিজ্ঞেস করি, নাসিম বানু কি মান্টোর আপন বোন? মান্টো তার প্রেম-বিরহ ইত্যাদি সম্পর্কে লিখবার মতো শক্তি বা সাহস পেলেন কোথায়?
মান্টো অত্যন্ত দুষ্ট। আমি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। আমি তার বহু সাহিত্যকর্ম দেখেছি। কিন্তু এবারে যা দেখলাম একেবারে আশাহত। আমি মান্টো বন্ধুর নাসিম বানু সম্পর্কে কোনো অভিমত পেশ করছি না। তা ছাড়া সমালোচনাই বা কী করতে পারি? সে পর্যন্ত পৌঁছোতে আমার এখনও অনেক বাকি।”
এ চিঠি পড়ে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। তা দূর করার জন্য আমি আরও কিছু লিখে সরোয়ার সাহেবকে দিলাম।
এ চিঠির প্রতিবাদে আরও চিঠি এল। আরও অনেক বাদ-প্রতিবাদ চলল। সরোয়ার সাহেব এদিকে আমল না দিয়ে আমাকে বললেন, তুমি লিখতে থাকে। বেশ মজার। বিষয়। কারও কথা না শুনে তুমি লিখে যাও।
আমি তার কথামতো লিখে যেতে লাগলাম। আর মানুষের অভিসম্পাত এবং পত্রবৃষ্টিও পড়তে লাগল দেদার। এরপর যেবারে শ্যাম’ সম্পর্কে লিখলাম, শিয়ালকোর্ট থেকে নাইয়ার বানু নামে এক মহিলার বিরাট চিঠি পেলাম। তা পড়ে আমি আরও অবাক হলাম। তার কিয়দংশ এখানে দিলাম।
“আমি সিনেমা দেখাকে কবিরা গুণা’ মনে করি না। ছবি দেখলেই চোখে কাপড় বেঁধেও পালিয়ে যাই না। কিন্তু ভাই, আমার ছেলেমেয়ে আছে। আমি চাই তারা ভালো হোক। সিনেমা দেখে চরিত্র গঠন হয় না, বরং নষ্ট হয়। এজন্যে আমি সিনেমা দেখা ছেড়ে দিয়েছি। আমি গেলে তারাও যাবে। তাদেরকে নিরস্ত করা যায় না।
আমি এত বড়ো হয়েছি। এখনও এমন অনেক ছবি আছে যা দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। তখন এমন খারাপ লাগে মনে হয় কারও নগ্ন অবস্থায় আমি সেখানে বিনা অনুমতিতে ঢুকে যাচ্ছি। আর একটা নিঃসন্দেহে শালীনতা-বিরুদ্ধ। আপনি বলবেন, এসব ছবির বই-পুস্তক-পত্র-পত্রিকা বাচ্ছাদের নাগালে না রাখলেই তো হয়। কিন্তু এটা কতক্ষণ সম্ভব? এসব পড়াশোনা করে আর আলমারিতে তো বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়।
‘মুরলীর ধ্বনি’ আবার একটু পড়ে বলুন তো এটা কোন ধরনের? একটা লোক যত বড়ো পাপীই হোক না কেন, এ লেখা ছেলেমেয়েদের মাঝে থেকে কী করে সে পড়বে? সে যত বড় মদ্যপায়ীই হোক বা বেশ্যাবাড়িতে পড়ে থাকুক বা হাজারো অনাচার করুক, সে যখন মনে করবে মাগী কোথায়? এবং না পেলে বিছানা জ্বালিয়ে দেয়, তখন কেমন লাগে? এটা কোন ধরনের মনুষ্যত্ব। এসব জিনিস খবরের কাগজের মারফতে ছড়ানোর কী মানে আছে?
সবারই ঘরসংসার আছে, ছেলে-সন্তান আছে। এদের ধ্যান-ধারণা ঘরসংসার এবং ছেলেপিলের পরিবেশ মাফিক হওয়া দরকার। সারা জগৎ তো আর পুরুষদের জন্যেই বরাদ্দ নয় যে যা-তা করে বেড়াবে। নিজেরা তো অধঃপাতে যাচ্ছেই, সেই সঙ্গে নিষ্পাপ শিশু সন্তানদেরকেও সেদিকে টেনে নিচ্ছে। ঘর ছেড়ে পালানোর দশা হয়েছে এখন। এখন উচিত হচ্ছে পুরুষদের হাতে ছেলে-সন্তান প্রতিপালনের ভার দেওয়া। তখন বুঝবে মজাটা। তখন বাপ ছেলেকে শিখাবে কী করে মদমত্ত হয়ে ‘শালী মাগী’ বলে মেয়েদেরকে টেনে নিয়ে যেতে হয়। তওবা, তওবাকী মনুষ্যত্ব-কী সমাজ?”
আমি এ চিঠি পড়ে সত্যি দুঃখিত হলাম। আর যাই করেছি আর না করেছি, নাইয়ার বানুর প্রতি অবিচার করেছি। তার অবস্থা দেখে আমার খুব দরদ হল। আমাকে এর প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত। আবার ভাবলাম, সত্যিকার অর্থে যেভাবে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় তা যদি করি, তাহলে (এ মহিলা যেহেতু কোনো কোনো ছবি দেখে মনে করে কারও নগ্ন অবস্থায় বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়েছেন) এ মহিলা হয়তো তা সহ্য করতে পারবেন না। এমনও হতে পারে যে, তিনি মরে যাবেন।
আমি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত যে, নাইয়ার বানু যে ধরনের মানসিক রোগগ্রস্ত, তাদের প্রতি মানুষের করুণা করা উচিত। তার চিকিৎসা সম্পর্কে যতটুকু আমি মনে করি তা হল, তার সামনে বোতলের মুখ খুলে মদের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে, মাথায় কাদা মেখে, মুখে গালিগালাজের তুবড়ি ছুটিয়ে মাতলামি করতে হবে। প্রয়োজন হলে এ কাজ যদি একা না পারা যায়, লোক ভাড়া করতে হবে। এরপর শামা, বিশবী সদি, রুমান এবং এ ধরনের নানা পত্রিকায় লেখাগুলো বিজ্ঞাপন সমেত জোরে জোরে পড়ে তাকে শোনাতে হবে। এভাবে যদি তার রোগমুক্তি না হয় তাহলে সা’দত হাসান মান্টোকে যেন বলা হয়, নাইয়ার বানুর পুরোনো স্যান্ডেল এনে নিজের মাথায় মেরে নাইয়ার বানুর পূত পবিত্রতাকে উদ্ধার করো।
আমি অনেক চিন্তা করে এই বইয়ের নাম গঞ্জে ফেরেশতে’ রেখেছি। যথার্থভাবে এ বইয়ের জন্য এ নামই প্রযোজ্য (গঞ্জে ফেরেশতের অর্থ দাঁড়ায় নিষ্পাপ ফেরেস্তার দল, ভণ্ড তপস্বী বকধার্মিকদের বেলায়ও এ নাম প্রযোজ্য)
এরপর তিন গুলে’ যখন ছাপা হল, খাজা ফরখান্দা বুনিয়াদি নামক জনৈক ব্যক্তি আফাঁক’ সম্পাদকের নামে এক চিঠিতে জানাল :”আপনি আফাঁক-এর সাহিত্য সংখ্যায় সা’দত হাসান মান্টোর তিন গুলে’ ছেপে মিরাজী মরহুম, মান্টো সাহেব এবং আফাঁক’ এর সঙ্গে অবিচার করেছেন। এই প্রবন্ধগুলো কোনো বিশেষ মহলের জন্য অবশ্য সুপাঠ্য। কিন্তু একটা রুচিশীল পত্রিকায় এটা ছাপানো মোটেই উচিত হয়নি।
পৃথিবীর প্রায় সব সভ্য দেশেই এই রীতি প্রচলিত আছে যে, মানুষ মারা গেলে দুশমন হলেও সম্মান সহকারে তার কথা বলতে হয়। তার দোষ ঢেকে গুণগুলো বলতে হবে। মিরাজীর মধ্যে যদি কোনো দুর্বলতা থেকেও থাকে তা তার বিশেষ বন্ধুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অন্যথায় সবাই তাকে একজন বড়ো কবি এবং সাহিত্যিক হিসেবেই জানত। কী আশ্চর্য, তার এক বন্ধু কিনা তার মৃত্যুর পর সব দোষগুলো জনসাধারণের সামনে বিশ্রী ভাষায় তুলে ধরছে।
ইসমত যেমন ‘দোজখী’ লিখে নিজের ভাইয়ের গুণকীর্তন প্রকাশ করেছে, আমাদের লেখকরাও আজকাল সে পথ অনুসরণ শুরু করে চলেছে, আর বিশেষ করে এই লেখার ভাষা এত অশ্রাব্য, নগ্ন এবং অশ্লীল যে, রীতিমতো তওবা পড়তে হয়। যাদের শালীনতাবোধ আছে তারা এসব কী করে পড়বে? এসব প্রবন্ধ ঘরের বউ-ঝি মায় ছেলে মেয়ে কেউই পড়তে পারে না। মান্টোকে ছাড়া আপনার সাহিত্য সংখ্যা কি অসম্পূর্ণ থাকবে?”
মরহুম মিরাজী, মান্টো এবং আফাঁক-এর ওপর যে জুলুম হবার ছিল তা তো হয়েই গেল। তারপর এ সংকলন প্রকাশের পর আরও যেসব জুলুম হবে তার পাপপুণ্য আমার মাথায় পেতে নিলাম আর এ পাপ বুনিয়াদি সাহেবের কথাকে সামনে রেখেই আরম্ভ করলাম। তিনি লিখেছেন, সভ্য সমাজে মানুষ মারা গেলে দুশমন হলেও সম্মান সহকারে তার কথা বলতে হয়। দোষগুলো রেখে গুণগুলো বলতে হয়।
এমন সমাজ এবং সভ্যতার ওপর হাজার বার অভিসম্পাত, যেখানে মানুষ মারা গেলে তাদের কৃতকর্মের সম্ভার লন্ড্রিতে পাঠিয়ে খুব সাফ-সাফাই করে ভোলাই করা হয় এবং অতঃপর বিধাতার জন্য তা টাঙিয়ে দেয়া হয়।
আমার প্রসাধন কক্ষে কোনো প্রসাধন দ্রব্য নেই ভাই। না আছে এখানে কোনো শ্যাম্পু, না আছে পাউডার, স্নো, না আছে চুল বানাবার কোনো উপাদান। আমি সাজগোজ করতে জানি না। প্রসাধন করে আসল চেহারা ঢাকতে জানি না। আগা হাশর’-এর সিক্ত নয়নযুগলকে আমি সাদা চোখে দেখতে পারি না। তার মুখ থেকে গালিগালাজ ছাড়া, ফুল ঝরাতে পারি না। মিরাজীর ভ্রষ্টতাকে আমি ইস্ত্রি করতে পারিনি। বন্ধু শ্যামকে আমি বাধ্য করতে পারি না যে, সে অন্য মেয়েদেরকে শালী’ না বলুক। এ পুস্তক যেসব ফেরেস্তাদের সমাবেশ–নিঃসন্দেহে তাদের মাথা মুড়োনো হয়েছে এবং এ কাজে আমি একটুও শিথিলতা করিনি।
–সা’দত হাসান মান্টো
লাহোর, ১১ জানুয়ারি, ’৫২
.
* ‘ঠান্ডা গোস্ত’ গল্পটি প্রকাশিত হয় লাহোরের সাহিত্য পত্রিকা ‘দুর্ভিক্ষ’-এর মার্চ ১৯৪৯ সংখ্যায়। পাকিস্তানের প্রেস উপদেষ্টা পরিষদ গল্পটির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার মামলা করেন। দীর্ঘ তিন বছর মামলা চলার পর উচ্চ আদালত মান্টোকে এক মাসের কারাদণ্ড ও তিনশো টাকা জরিমানা করেন।
—–