যেন কোনো যাদুঘরে ঘুমায়েছে

যেন কোনো যাদুঘরে ঘুমায়েছে—মনে হয়
 পেটের ভিতরে খড় পুরে
 চিতাবাঘিনীর মতো সুন্দর, উজ্জ্বল
 ভীষণ, উজ্জ্বল, সুন্দর।
 জানালার লাল নীল হলুদ কাচের ভিতর দিয়ে সূর্য অস্ত যায়
 আঁধারের যে নারীদেহ পেলে নাক’ এ জীবনে
 আঁধারের অই পারে কোনো এক উদয়গিরিতে তাহা পাবে নাক’ আর
তোমরা যে গ্রামপথ, নোনাপথ—দূর মরুভূর পথ চেয়েছিলে
 পক্ক সূর্যে সারানি চেয়েছিলে যেই উষ্ট্ররে সাথে ব্যবহার
তোমরা যে মৃত্যু চেয়েছিলে: আসন্ন মেঘের থেকে ঘুরে ঘুরে নামিতেছে
 শকুনের ভিড়
কয়েকটা ব্যুঢ় সিংহ তোমাদের শব ঘিরে পাথরের মতন নিবিড়
আলোকের ওই পারে কোনো এক অস্তগিরিতে তাহা পাবে নাক’
কোনোদিন আর।  কোন দূর যাদুঘরে
জানালার লাল নীল হলুদ কাচের ভিতর দিয়ে সূর্য অস্ত যায়
সেই চিতাবাঘিনীর পেটে খড়, প্রাণে খড়, চোখ: কাচ,
 চোখ: মৃত জল
চাহে না সে আজ আর আঁরের কিংবা আমাদের হিম পনিরের
 মতন কবল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *