কৃষ্ণ যজুর্বেদ যারা রচেছিল একদিন

কৃষ্ণ যজুর্বেদ যারা রচেছিল একদিন
 আর যারা পিরামিড সৃষ্টি করেছিল—
 দিকে দিকে যারা মরুভূর বাদামি বালির পরে খরশান
 ক্যাম্প গড়ে—
 অবশেষে জন্ম, মৃত্যু, মৈথুনের খতিয়ানে তৃপ্ত হয়েছিল
 আর যারা নব নব জাতকের নক্ষত্রের তরে
 যাত্রা করেছিল সব একদিন ম্যাজিদের মতো
 বিষুবের অগ্নি থেকে জ্যোৎস্নাবিখণ্ডিত বরফের আভার উদ্দেশে
 আজ তারা সব ঢের দূরে।

 তবু আজিকার ঢের গভীর ঘর্মাক্ত নদী
 অশ্বামাংস, উটের গোবর
 ডোরাকাটা সারসের অট্টহাসি
 কালো ঢেউ, খাকির পাহাড়
 ভিত্তিপ্রস্তরের স্বাদ, টাটকা পনির
 কমে ক্রমে তবু তারা হতেছে পামির
 যারা সব শূন্য মাংস ঝলসায় অবিরাম গোলাপি আকাশে
লক্ষ সলতের মতো মৃত্যু পরিকীর্ণ হয়ে থাকে তাহাদের
 বাঁয়া তবলায়—গর্তে—বাথরুমে—ঘাসে—
 
 মনে হয় এইসব
 যেন সব মৃত নক্ষত্রের মুখ
 আজিকার মুমুক্ষার দূরবীনে ধরা দিতে আসে।
মনে হয় হেমন্তরাত্রির স্থির— স্থিরতর সংস্কারে জোনাকির জ্যোতির মতন
 নব নব জন্মের নক্ষত্রের তরে
 ম্যাজিরা পায় নি কিছু কোনোদিন,—পাবে নাক’ কিছু
 তবু চলিতেছে—মরু গমের ক্ষেত, মরুর ক্ষেতের এররুট
 কিছু নয়—বিক্রি ক’রে উট বিক্রেতার কাছে যে কয়টা বিদূষক উট
অন্ধকারে কিনেছিল—
 তারপর চলিতেছে—চলিতেছে—
 ম্যাজিরা পায় নি কিছু কোনোদিন—পাবে নাক’ কিছু
কখনও শীতের রাতে মনে হয় আকাশরেখার ওই নক্ষত্রেরা
 পরিচিত নারীদের ল্যাম্পের মতো যেন নিচু।

গভীর শীতের রাত—জোব্বার ভিতরে শীত—আকাশরেখায় আলো—
 ঘুম কেউ চায় নাক’
 চারিদিক মৃত পরিচিত সব হেঁয়ালির অস্পষ্ট আধেক গান
 পাথরের শিশিরে
 ধূসর মরুর শীত তুলোর বালিশে অবিরল
 কোনো সারমেয়—নিদ্রা নাই, সপ্ত ঘুমন্তেরা নাই
 কারা যেন পাতলা কাগজে হিম পনির জড়ায়ে
 মৃত বকুলের মতো ঘ্রাণ
 বিড়ালের থাবার মতন মৃদু গান।  

ম্যাজিরা পায় নি কিছু কোনোদিন—পাবে নাক’ কিছু
 কখনও শীতের রাতে মনে হয় আকাশরেখার ওই নক্ষত্রেরা
 পরিচিত নারীদের ল্যাম্পের মতো যেন নিচু।
 (হীরকের মাকড়ির মতো যেন নিচু।)

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *