এই এত পুরোনো নগরী

এই এত পুরোনো নগরী?—তবু কোনোদিন মৃত নয়।
 আজও শতকের সূর্যের দিকে চেয়ে আছে
 ট্রামলাইন ফ্যাক্টরির নতুন উল্কি প’রে
 ক্যাম্পের অবসরে কোনো এক ব্যুঢ় সৈনিকের মতো
 মাঘের বাতাসে ন্যুব্জ হয়ে লঘু ঈর্ষা অনুভব করে
 স্তব্ধ বিষণ্ণতা।

পৃথু সেই শিকড়কে চিনেছিল একদিন
আজ তার রূপ ক্রোড়পত্রহীন ভূস্তরের কর্কটের মতো
ভেলভেট—সমীচীন যাদুঘরে আজো স্মৃত হয়? —স্মৃতি হয়
এই প্রেত পুরোনো নগরী—তবু কোনোদিন মৃত নয়?—মৃত নয়
বারবার রণ—তূণীরের কাজ শেষ হয়ে গেছে তবু খুকিদের হাসি—
 খোকার বিচারে—
 এইসব অসমাপিকার শূন্য ভার
 আমাদের প্রাগৈতিহাসিক, প্লুত—
 অন্ধকার হৃদয়ের
 দিগবলয়ের মাঠে আজও কালো লাল তেজীয়ান ঘোড়া খোঁজে।
পরিবার থেকে অগণ্য কাকের ভিড় কোলাহল ক’রে উড়ে গেল
 ‘কিছু নাই—কিছু নয়’ জেনে
যুধিষ্ঠিরকে তারা—আরও ঘনতর ভাবে কাছে পেলে
পাশা খেলিবার সেই শেষ নিরাময় কৌশল বলে দিত
হায়, সাধু মানবক, হায় রক্তজর্জর দেশ
নীলিমার কুয়াশায় অটুট ধ্যানের বায়ুর ভিতরে তারা মিশে গেল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *