অনেক বেসেছি ভালো

অনেক বেসেছি ভালো—এইবার প্রতিলোক চাই
 (অনেক রেশমি শব্দ করেছি সেলাই)
 ঢের বজ্রমণি—চিন্তা এইখানে শ্লথ, ক্কাথ হয়
 সে সাদা কাঠের থেকে পেয়ে গেছি ঢের দেশলাই
 তবুও তোমার অগ্নি নেই জন্মেজয়—

এইবার ছেড়ে দেব কনুয়ের ভর
 বাতাসের পরে
 আকাশের তরে
 অগ্নির তরে।

সাতটি রঙের জালে বেঁধে
 বহুদিন আত্মা ছিল মেধে
 চারিদিকে সমুদ্রের গান
 মাছরাঙাদের করতালি
 এর মাঝে দরজির প্রাণ
 লাল নীল ববিন—সূতালি
 চাঁদনীর চকটাকে গেছে
 ইন্দ্রধনুকের রঙে জ্বালি।

এইবার দেহ থেকে খসে
 স্বর্ণচালানির এক জাহাজের সাথে
 চলে যাব লুব্ধকের রাতে
 কম্বোজের পানে
 সেইখানে গোমেদের শিখা
 কবেকার মৃত কুরুবর্ষের গণিকা
 ঢের অবলুপ্ত রাজ্য—নব নব অভ্যুত্থান ভ’রে
 লালিত হয়েছে সাদা মিনারের ভূতদের ক্রোড়ে।

আলিসায় হয়তো বা দু—একটা মৃত্যুহীন আছে চামচিকা
 নির্জন বিচির মতো মরকতপাথরের—লুফে নিয়ে দেখেছে গণিকা
(আমার এ শরীরের) চালুনির ছিদ্রকে—হাতুড়ির টানে
 গাঢ়—সোনা করে দেবে—(জানে)

পৃথিবীর উয়ে—কাটা ইতিহাসময়
 যত রাজ্ঞী সম্রাজ্ঞীর জন্মসার ক্ষয়
 তবু মৃত্যু নয়
 সবচেয়ে অরুন্তুদ স্বর্ণের মুদ্রার মতন
 কেড়ে লব তাহাদের মেধাবিনী মন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *