ওইখানে বনানীর তৃণ

ওইখানে বনানীর তৃণ
 ঘিরে আছে তোমারে হরিণ
 ওই এক মরকত: জীবনের ছবি
 এ জীবন কেন তবু নিষ্ক্রান্ত ভৈরবী।

 বকের ধবল লণ্ঠন সুমধুর
 ভেসে যায় দূর—যত দূর
 ততটা আকাশ মায়াবীর ইন্দ্রনীল
 তবুও তো বিষাক্ত নিখিল।

 ধর্মযাজিকারা তবু কি যে মোহাতুরা
 তবু ওই বিকেলের মন্দিরের চূড়া
 যেন এক মেধাবিনী ফুলের মতন
 মৃত্যু হয়নি তার—চেনে না সে সুপ্রজনন।

 সন্ধ্যায় কয়লার খনি
 যেন এক লুণ্ঠিতা রমণী
 তবুও সূর্যাস্তে মেঘ যেন তার দ্বিজন্মের মতো
 বলিতেছে: এইখানে আমারে চেন তো। অন্ধকারে হাড়গিলা উড়ে আসে
 সোনালি খড়ের পরে ঘর ভালোবেসে
 বিশ্রুত মৃত্যুর হাড়ে সেই ক্ষেত সোনা— তার খড়
 দূরবীনহীন ব্যাপ্ত রাত্রির ভিতর।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *