দ্য লিভিং কফিন

দ্য লিভিং কফিন

দ্বীপের নাম বার্বাডোজ। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, এপ্রিল সেই দ্বীপে ঘটে গেল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।

ছয়জন লোক রাস্তা দিয়ে এগিয়ে আসছে মাথা নিচু করে। মুখে কথা নেই। তবে চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে নিদারুণ ভীতি। দূরে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের মুখ থেকে কিছু শোনার অপেক্ষায়। কিন্তু তারা কিছুই বলল না। সোজা চলে গেল। পরে লিখিত এক বিবৃতিতে জানা গেল এক রহস্যময় ঘটনা।

এখনো বার্বাডোজ দ্বীপে কেউ যদি যায় তবে অস্টিন উপসাগরের কাছে দেখতে পাবে এলিয়েট ভল্ট। এই ভল্ট প্রসঙ্গে বলা দরকার, শবদেহ রাখার লোকালয় থেকে দূরে কোনো এক জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে যত্ন করে কফিন রেখে দেয়া হতো। এলিয়েট ভল্ট তৈরি করা হয়েছিল বিরাট পাহাড়ের একটি ছোট জায়গা কেটে। একটা গির্জা রয়েছে সেখানে। সেই গির্জার তলে রয়েছে অসংখ্য কবর। এলিয়েট ভল্ট তারই মধ্যে একটা জায়গাতে।

এখন কেউ আর যাওয়া-আসা করে না এখানে। এই ভল্টের যে মূল দরজা তা অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ভেতরেও কোনো কফিনের নামগন্ধ নেই। কেবল পড়ে রয়েছে যত রাজ্যের আবর্জনা আর আগাছা। প্রায় একশ বছর হলো এই ভল্টের ধারপাশ কেউ মাড়ায় না। এর কারণটা কী? কারণ জানতে দেড়শ বছর পিছিয়ে যেতে হবে।

এলিয়েট ভল্ট তৈরি করা হয়েছিল ১৭২৪ খ্রিষ্টাব্দে! কিন্তু কেবল তৈরিই সার! ১৮২৪ থেকে ১৮৭৭ দীর্ঘ তিপ্পান্ন বছর কোনো লাশই এখানে কবর দেয়া হয়নি। ১৮৭৭ সালের শেষের দিকে মিসেস গার্ভাড নামে জনৈকার মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়। এর বছর খানেক পর এই ভল্টটি নিয়ে নেন চেজ ফ্যামিলি। তারা নেওয়ার প্রায় তিরিশ বছর পর ভল্টে আসে একটি বাচ্চার মৃতদেহ। বাচ্চাটির নাম এশমিরিয়া।

এরপর যে দেহটি সমাধিস্থ হবার জন্য আসে তিনি একজন বয়স্কা মহিলা। তাঁর নাম ডরকাশ। ডরকাশ মারা যাবার মাসখানেক পরেই মারা যান তাঁর বাবা মি. টমাস চেজ। তিনি অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃতদেহও ওই একই ভল্টে কবর দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এবারই দেখা গেল সেই অবিশ্বাস্য ঘটনা।

সম্মানীয় ব্যক্তি মি. টমাস চেজ। সবাই শোকাহত। অনেকেই গেছে কবরখানায়। লোকে গিজগিজ করছে। ভল্টের মুখে বিরাট সাইজের মার্বেল পাথরের দরজা। কয়েকজন বলবান নিগ্রো ওই দরজাটা ধীরে ধীরে সরিয়ে দিচ্ছিল। নিগ্রোরা দরজা সরিয়ে দেবার সঙ্গে সঙ্গেই সেই রোমাঞ্চকর ঘটনাটির সূত্রপাত। তারা দরজা খুলে ভেতরে চোখ ফেলতেই—ওরে বাপরে বলে কোনোদিকে না তাকিয়ে পেল্লায় দৌড় লাগাল।

উপস্থিত শোকযাত্রীরা এ ধরনের ঘটনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না। তারা ভীষণ ঘাবড়ে গেল! কী এমন ঘটনা ঘটল যার জন্য শক্তিশালী লোকগুলো অমন ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাল, সেটা জানতে তারা সিঁড়ি বেয়ে ভল্টের মধ্যে নেমে গিয়ে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ময়ে মুখ বন্ধ হয়ে গেল।

কী ভয়ংকর কাণ্ড!

ভল্টের মধ্যে কেউ যেন তাণ্ডব চালিয়েছে। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত! কোনো অদৃশ্য শক্তি যেন বাচ্চা ছেলেটার কফিন আর ডরকাশের কফিনটা নিয়ে অনায়াসে লোফালুফি খেলেছে। রাগে ক্ষোভে কে যেন দুটো কফিন ভল্টের এদিক-ওদিক ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।

অথচ মিসেস গার্ভাডের কফিনটাতে কেউ হাত ছোঁয়ায়নি। কী রকম অদ্ভুত ব্যাপার!

এদিকে মৃতদের আত্মীয়েরা খুবই ক্রুদ্ধ এই ঘটনায়। কারণ তারা নিশ্চিত যে এ নিশ্চয়ই ওই নিগ্রো কবরচোরদের কাজ। যারা কবর থেকে দামি মালপত্র নিয়ে বিক্রি করে দেয়।

কিন্তু কবরের মধ্যে কোনো জিনিসই জায়গাচ্যুত হয়নি। শুধু কফিন দুটোই এদিক-সেদিকে আক্রোশবশত ছড়ানো। সুতরাং আত্মীয়স্বজনের ধারণা যে ভুল, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই।

যাই হোক, উপস্থিত লোকজনেরা একসময় শান্ত হলো। তারপর টমাস চেজের দেহ সমাধিস্থ করা হলো। কফিনগুলোও ঠিকঠাক করে গুছিয়ে রাখা হলো। এরপর ভল্টের মুখ বিশাল আকারের পাথর দিয়ে বন্ধ করে যে যার কাজে চলে গেল।

কেটে গেল চারটে বছর। ভল্টে চার বছর পর আবার একটা মৃতদেহ কবর দেওয়ার জন্য আনা হলো। এবার এল একটা বাচ্চা একটা ছেলের কফিন। ভল্টে ঢোকার পর যথারীতি দেখা গেল একই অবস্থা। সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড। কফিনগুলো এদিক-ওদিক বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো। কোনো অমিতশক্তির অধিকারী কেউ কফিনগুলো নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে যেন।

সংবাদ হাওয়ার বেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। ভল্টের সম্বন্ধে একটা বদনাম রটে গেল। মৃতের আত্মীয়রা তো রেগে কাঁই। তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে নিল যে এ কাজ ওই নিগ্রো কবরচোর ছাড়া কারো নয়। কিন্তু কবরচোরদের দল কিছুতেই এ কথা মানতে চায় না। তারা বলল ওই কাজ ভূত প্রেতের।

কথায় কথা বাড়ে আর বেড়ে যায় সময়। সেই সময় অতিক্রান্ত হলে আবার একটা মৃতদেহের আগমন ঘটল ওই ভল্টে। এবারে যার লাশ এল তার নাম স্যামুয়েল ব্রুস্টার।

মৃতদেহের পিছু পিছু এল কিছু কৌতূহলী লোকজন। যথারীতি পাথরের চাঁই দরজা থেকে সরানোর পর ভেতরের দিকে তাকাল সবাই। সেই একই লণ্ডভণ্ড চেহারা সমস্ত কফিনের। কেবল মিসেস গার্ভার্ডের কফিনটিই যেমন কে তেমন রয়ে গেছে।

এবারে ওই কফিনগুলোর আরো করুণ অবস্থা। মিসেস গার্ভাডের কফিন সব চাইতে পুরানো আর ঝরঝরে কিন্তু ওই কফিনটার কোনো বিকৃতি নেই।

আশ্চর্য!

আশ্চর্যের কথাই বটে। বার্বাডোজ দ্বীপে একধরনের পোকার উপদ্রব ছিল। তাই বাসিন্দারা কফিনের কাঠগুলো জিঙ্কের পাত দিয়ে মুড়ে দিত যাতে কাঠে পোকা না ধরে। ফলে কফিনটা অতিরিক্ত ভারী হয়ে যেত। তো ওই ভারী ভারী কফিন ওভাবে ছত্রাকার করে রেখেছে অথচ পোকায় খাওয়া ঝরঝরে মিসেস গার্ভাডের কফিন কেউ ছুঁয়েও দেখেনি, এটা বিস্ময়ের ঘটনা বৈকি।

ব্যাপারটা যে ভুতুড়ে এরকম একটা কথা ছড়িয়ে পড়ল সারা বার্বাডোজ জুড়েই। চারদিকে এই ভুতুড়ে কাণ্ড নিয়ে একটা চাপা উত্তেজনা। প্রত্যেকের মনেই একটা চাপা ভয়। সাধারণের মনের আতঙ্ক এবার সরকারকেও নাড়া দিল।

অবশেষে এই ব্যাপার নিয়ে সরকারও মাথা ঘামাতে শুরু করল। স্থানীয় গভর্নর আবার এসব ব্যাপারে একদমই বিশ্বাসী নন। এসব জিনিস তাঁর কাছে কুসংস্কার মাত্র!

তিনি মিলিটারি মানুষ। পুরো ব্যাপারটা তিনি শুনলেন। গিয়ে সরেজমিনে দেখলেনও। যারা প্রত্যক্ষদর্শী তাদের মুখের বিবরণও নিলেন। অতঃপর তিনি পরবর্তী মৃত্যু ও শবদেহের প্রতীক্ষায় রইলেন।

১৮৮৬ সাল।

স্বাধীন গভর্নর সুযোগ পেলেন শবযাত্রায় অংশগ্রহণ করার। এবারে যাঁর মৃতদেহ ভল্টে এল সে একজন মহিলা, নাম উমাসিনা ক্লার্ক।

শোকযাত্রায় গভর্নর নিজেই এলেন। কিন্তু অবস্থা যেমন কে তেমন অর্থাৎ সেই একই বিপর্যয়। কফিন ওলটপালট করে কে বা কারা রেখে গেছে কিন্তু মিসেস গার্ভাডের কফিন রয়েছে স্পর্শহীন অবস্থায়। কোনো এক অদৃশ্য আসুরিক শক্তি যেন ভল্টের ভেতরটা একেবারে তছনছ করে গেছে।

উপস্থিত মানুষগুলো ভয়ে আতঙ্কে একেবারে সিঁটিয়ে রইল। চারদিকে এক সুগভীর নীরবতা। কেউই ভেবে পেল না এরপর কী করা উচিত।

গভর্নর যেন অন্য ধাতুতে তৈরি মানুষ। তিনি কিন্তু বিন্দুমাত্র ঘাবড়ালেন না। তিনি জীবনে অনেক যুদ্ধে গিয়েছেন। জীবনকে দেখেছেন। সুতরাং অত ভয় ভীতি তাঁর নেই। তিনি গম্ভীর হয়ে গটগট করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেলেন ভল্টের ভেতর।

ভল্টের ভেতরটা যেন অল্প আলো অল্প অন্ধকার দিয়ে তৈরি। পরিবেশটাই কেমন ভুতুড়ে। অতি বড় সাহসীরও বুকের ভেতরটা গুড়গুড় করে। কিন্তু গভর্নর সাহসীরও বাড়া। নিচে নেমে তিনি একটা লণ্ঠন আনতে বললেন।

গভর্নর যখন নিচে নেমে গেলেন তখন উপস্থিত সবাই মনে মনে যেন কিছুটা বল পেল। আস্তে আস্তে সবাই নিচে নামল। লণ্ঠনের আলোতে ভল্টের দেয়াল মেঝে ছাদ সর্বত্র খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হলো। এতটুকু ফাঁকফোকর কিছু নেই যেদিক দিয়ে বাইরের লোক ঢুকতে পারে।

কিন্তু কফিনগুলোর একই অবস্থা। যত্রতত্র ছড়ানো। আবার কফিনগুলো গুছিয়ে রাখা হলো। মিসেস গার্ভাডের কফিন গুছানোর প্রশ্নই নেই। কারণ তাতে কেউ হাত দেয়নি।

গভর্নর গম্ভীর মুখে বাইরে এলেন। মুখে কথা নেই। তিনি সৈনিক মানুষ। একসময় সেনাপতি ছিলেন। এসব ভূত প্রেতে তিনি মোটেই বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন এরপর কী করা যায়।

কিছুক্ষণ চিন্তার পর সিদ্ধান্তে এলেন এবারে এমন ব্যবস্থা করতে হবে ভল্টে যেন হাওয়াও ঢুকতে না পারে।

গভর্নর তাঁর কয়েকজন বিশ্বাসী বন্ধুর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলেন। তারপর যন্ত্রপাতি ইত্যাদি নিয়ে আসা হলো।

মিসেস গার্ভাডের কফিনটার অবস্থা খুবই সঙ্গীন হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিনের কফিন তো! পোকায় কেটে একেবারে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। ওটাকে ভালো করে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা হলো। মেঝেতে খুব মিহি এরকম বালি ছড়িয়ে রাখা হলো, যাতে বাইরের কেউ এলে তার পায়ের ছাপ পড়ে। মার্বেল পাথরের বিশাল ভারী দরজা ভল্টের দরজার মুখে বসিয়ে চারদিকে সিমেন্ট দিয়ে এমনভাবে লাগিয়ে দেয়া হলো কোনো ফুটোও যেন না থাকে।

কাজ শেষ হলে গভর্নর নিজের হাতের আংটি দিয়ে দরজার মুখে সিলমোহর এঁকে দিলেন। অন্য যারা উপস্থিত ছিল তারাও যে যার ইচ্ছেমতো দরজায় দাগ দিয়ে রাখল যাতে কেউ খুললে বোঝা যায়।

সবার ধারণা এবার ব্যবস্থা বেশ পাকাই হলো। ভল্টের ভেতর অগোছালো হবার ভয় নেই। প্রত্যেকেই যেন একটু শান্তি পেল। কারণ কোনো মানুষের পক্ষেই ওই দরজা ভেঙে ঢুকে বদমাইশি করা সম্ভব নয়।

এবার যবনিকা উন্মোচন হলো টম।সিনা ক্লার্কের মৃত্যুর মাস কয়েক পরে। গভর্নর তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি নেমন্তন্নে গিয়েছিলেন। সেখানে একথা সেকথা আলোচনা হতে হতে অবশেষে ভল্টের প্রসঙ্গও উঠল। এসব নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ভিত্তিতে তর্কবিতর্ক হলো।

গভর্নর রেগেমেগে তক্ষুনি এলিয়ট ভল্টে গিয়ে ভল্ট খুলে দেখার সিদ্ধান্ত নিলেন। যেমন কথা তেমন কাজ। সদলবলে সকলে হাজির হলো ভল্টে। সঙ্গে আট-দশজন শক্তিশালী নিগ্রো।

দেখা গেল সিলমোহর যেমন ছিল তেমনই আছে। অন্য দাগগুলোও যে কে সেই। অতএব বোঝা গেল বাইরে থেকে কেউ ভেতরে ঢোকেনি। অতঃপর দরজা খোলার আদেশ হলো।

এবার আরেক সমস্যা। দরজাই খোলা যাচ্ছে না, প্রবল বেগে আট-দশজন নিগ্রোর হাতুড়ির শাবলের ঘা পড়ছে, দরজা একচুল ফাঁক হওয়ার লক্ষণ নেই। পাথরের চাঁই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সরবার নাম নেই। নিগ্রোর দল এমনিতেই এ সমস্ত ঘটনায় ভয় পেয়ে ছিল। দরজা খুলতে না পেরে আতঙ্কে আদ্ধেক হয়ে গেল। তারা কিছুতেই কাজ করতে রাজি হলো না।

তখন গভর্নর রেগে গিয়ে শাস্তির ভয় দেখালে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা রাজি হলো। অসম্ভব পরিশ্রম করে নিগ্রোরা দরজাটা একটু ফাঁক করতে সমর্থ হলো। এবং তখনই বোঝা গেল দরজা না খোলার কারণ কী?

কে যেন ভল্টের একটা কফিনের মাথার দিকটা নিচুতে রেখে দরজার পাথরে ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।

যা হোক দরজা ফাঁক করে গভর্নর পাঁচজন গণ্যমান্য লোক নিয়ে ভেতরে ঢুকলেন। ঢুকে যা দেখলেন তাতে বুকের ভেতরটা হিম হয়ে গেল।

সেই একই দৃশ্য। ভল্টের ভেতরে কে বা কারা যেন ধ্বংসনৃত্য করে গেছে। কফিনগুলোর বিশৃঙ্খল অবস্থা। কিন্তু মিসেস গার্ভাডের কফিনটার কোনো ক্ষতি হয়নি। যে মিহি বালি ছড়ানো ছিল তাতে কোনো পায়ের ছাপই পড়েনি।

কারো মুখে কথা নেই। সবাই বাড়ি ফিরল। গভর্নরের পর্যন্ত মুখের কথা বন্ধ। তিনি জীবনে অনেক কিছু দেখেছেন কিন্তু এমন ঘটনা মানুষে ঘটাতে পারে না। বিবর্ণ ফ্যাকাশে মুখে গভর্নর ফিরছেন।

কোথাও কোনো ফাঁকফোকর নেই। তাহলে এটা কে করল? কারা করল? মানুষ? না অতিপ্রাকৃত কিছু? কে দেবে জবাব? জিঙ্ক মোড়া কফিন নিয়ে বলের মতো লোফালুফি করার শক্তি কার? এমন দানবিক শক্তি কি কারো একার না কয়েকজনের? এসবের জবাব আজও মেলেনি।

সিদ্ধান্তে একটা আসা যায়। তবে সেটা ঠিক কি বেঠিক কে জানে! মিসেস গার্ভাডের কেবল স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। বাকি ছয়জনের মৃত্যুই অস্বাভাবিক! কোনোটা আত্মহত্যা কোনোটা বা হত্যা—এরকম অপঘাত মৃত্যু। স্থানীয় লোকদের ধারণা যে অপঘাতে মৃত মানুষের আত্মারা এই বদমাইশি করে বেড়াত। সত্যি কি মিথ্যে জানেন ঈশ্বর।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *