আমার হৃদয়ে রক্ত থেকে কোনো এক প্রদীপকে জ্বালি আমি

আমার হৃদয়ে রক্ত থেকে কোনো এক প্রদীপকে জ্বালি আমি, জানি—
কে বা সেই?—তার অগ্নি কার তরে—লোল চোখে চিনি আমি
কিন্তু সেই প্রদীপের ছায়া আমি—আমার দু’চোখ লোল—
 কালো পাথরের মতো
ছায়া আমি—যেন কোনো সৃজ্যমান মাস্তুলের—চারিদিকে নক্ষত্রের
 ব্যাপ্ত পরিসরে।

 এইসব অভিনব উৎসাহের তরে আমি
 মুহূর্তের নব নব জন্মমুণ্ডে সাড়া পাই
 মনে হয় নীলিমার দিকে চেয়ে—ইন্দ্রনীল মণির আংটি
 বারাঙ্গনা ভালোবাসে—প্রেম তবু ধূসর কাপড়ে মুখ ঢেকে নিরালম্ব।

 আমি ভালোবাসি—সমাদৃত হতে চাই—তবু হিম মেধ প্রেম
 ধবল কুষ্ঠের মতো জড়িত নির্জন হয়ে পড়ে আছে মৃত আরশির মুখে
 যেই সব ঘন তৃণ ভূস্তরের ভুলে মিশে যায়।

আমি ভালোবাসি—সমাদৃত হতে চাই
 আরও এক হিরণ্যগর্ভের মতো হয়ে
 তবু ঢের উপেক্ষিত কালো দাঁড়কাক
 জাফরান ভোরে রোজ জেগে উঠে
 কমলারঙের সূর্যাস্তের দিকে
 যেন দূর—স্থিরতর সমুদ্রের প্রতিধ্বনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *