অদ্বিতীয় চার্লি

অদ্বিতীয় চার্লি

চার্লি চ্যাপলিন একটা ইনস্টিটিউশন। খুব কঠিন জিনিস একেবারে জলের মতো সহজ করে বলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা ওই একটা লোকেরই ছিল। ছবির মাধ্যমে তিনি যা খুশি তাই করেছেন। গোটা পৃথিবীকে হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেন, ভাবিয়েছেন— যেভাবে ইচ্ছে।

বাঙালি কৌতুকাভিনেতাদের ওপর চার্লির প্রভাব পড়েনি। সেরকম জমি থাকলে তো পড়বে। চ্যাপলিনের মতো হাঁটলে, হাসলে, দৌড়ালে বা ঘাড় দোলালেই তো চ্যাপলিনের প্রভাব পড়েছে বলা যায় না। জমিই নেই যেখানে, সেখানে ফসল তুলবে কেমন করে? জমি নেই বলতে বোঝাচ্ছি, আমাদের সেই সুযোগ নেই। চার্লির অবদান সম্পর্কে আমার পক্ষে সঠিক মূল্যায়ন করা খুবই দুঃসাধ্য। তবে মনে হয় হাসির মোড়কে বঞ্চিত ও সাধারণ মানুষের অনুভূতি ও অভাব অভিযোগের কথা তিনি তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে বলে গেছেন, যা এক অসম্ভব কাজ। চার্লি মানেই একটা টোট্যাল বক্তব্য। যে বক্তব্যের ওপরে কাব্যের প্রভাব পড়েনি। একটা নিষ্পাপ চরিত্র সৃষ্টি করে তুলনাহীন অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে যে কষাঘাতে সমাজপতিদের তিনি ব্যঙ্গ করেছেন সেভাবে আর কেউই-ই পারেননি। আর কখনও পারবেন বলেও আমার মনে হয় না।

চার্লি চ্যাপলিনের মিমিক্রি আমাকে মুগ্ধ করে। তাঁর অভিনয় মানেই এক অসাধারণ মাত্রা টেনে আনা। অনন্য হয়ে ওঠা। যার জুড়ি নেই, এক এবং অদ্বিতীয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *