বৃন্দাবনের রাসলীলা – স্বামী বেদানন্দ
প্রথম সংস্করণ – নভেম্বর, ২০২০
প্রকাশক – শ্রীপ্রশান্ত চক্রবর্ত্তী
গিরিজা লাইব্রেরী
প্রচ্ছদ-শিল্পী – শ্রীসঞ্জয় মাইতি
উৎসর্গ
যাঁর শ্রীকৃষ্ণ ভালবাসার
প্রেরণায়
এই রাসলীলা লিখতে
সক্ষম হয়েছি
সেই রাসেশ্বরী রাধারানীর
শ্রীপাদপদ্মে
গ্রন্থটি ভক্তিপূত চিত্তে
নিবেদন করলাম।
—ভক্তিভিখারী লেখক
লেখকের নিবেদন
শ্রীমদ্ভাগবতের সার হল রাসলীলা। এই লীলায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভজন নিষ্ঠা গোপীদের সঙ্গে শরৎকালের জ্যোৎস্নারাতে যমুনাপুলিনে মিলিত হয়েছিলেন। রাসলীলার মূল বক্তব্য হল ভক্ত ও ভগবানের অপার্থিব মিলনোৎসব। পরম চৈতন্যস্বরূপ আনন্দঘন শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর অভিন্না শক্তিস্বরূপা গোপীদের মিলনই এই লীলায় বর্ণিত হয়েছে—যাকে ভক্ত-ভগবানের আত্মসমর্পণের লীলাকাহিনি বা জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন উৎসব বলেও চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণ যোগমায়া শক্তি অবলম্বনে এই চরম মাধুর্যময় লীলা করেছিলেন। এই রাসলীলা হল ভাগবতের সমস্ত লীলার সার। ভাগবতের প্রাণস্বরূপ। কারণ রাসলীলার মধ্যে বৃন্দাবনের যে অনুপম প্রেমলীলার বর্ণনা হয়েছে—যা জগতের আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাই রাসলীলার প্রেম ও মাধুর্যরস একটু হলেও আস্বাদন করতে হয়। এখানে ‘ভাগবতের রাসপঞ্চাধ্যায়ীর’ সুন্দর বঙ্গানুবাদ করে সরস ও সাবলীল ভঙ্গিমায় লেখা হয়েছে—যাতে ভক্তিমান পাঠক-পাঠিকারা একইসঙ্গে মূল ভাগবত পাঠ ও তার যথাযথ ব্যাখ্যা পেতে পারেন। ভগবান কৃষ্ণের এই পবিত্রতম লীলা শ্রবণে ও মননে রাসেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়ে জীবন সার্থক হয়। এই অপার্থিব স্বর্গীয় লীলা পুনঃপুন অধ্যয়নে মনকে সুন্দর, প্রেম ও আনন্দে ভরপুর করে তোলে। তাই আসুন—এখন আমরাও রাসেশ্বরী রাধারানীর নাম নিয়ে রাসলীলার অনুপম রসস্বাদনে মেতে উঠি। এই বইটি গিরিজা লাইব্রেরীর কর্ণধার বন্ধুবর শ্রীপ্রশান্ত চক্রবর্ত্তী মহাশয় প্রকাশ করার জন্য তাঁকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বইটি পড়ে আপনাদের প্রেমানন্দ লাভ হলেই লেখনী সার্থক হবে। জয় রাধে, জয় শ্রীহরি।
রাসপূর্ণিমা ১৪২৭
নিবেদক—
স্বামী বেদানন্দ
Leave a Reply