কল্পবিশ্ব উপন্যাস পর্ব ১
সম্পাদনা – দীপ ঘোষ, সুপ্রিয় দাস ও সন্তু বাগ
কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস
প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর, ২০১৮
প্রচ্ছদ: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য ও সন্তু বাগ
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা: দীপ ঘোষ
.
উৎসর্গ
প্রথম সার্থক বাংলা কল্পবিজ্ঞানের রচয়িতা
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর
স্মৃতির উদ্দেশ্যে
.
প্রকাশকের কথা
দেখতে দেখতে কল্পবিশ্ব পড়ল তৃতীয় বছরে। গত দুই বছরে ওয়েব- ম্যাগাজিনের সঙ্গে সঙ্গে দুটি প্রিন্টেড সংকলনও প্রকাশ পেয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আমরা এনেছি কল্পবিশ্ব ওয়েব-ম্যাগাজিনের বিভিন্ন ইস্যু এবং অন্যান্য বইয়ের ইপাব ও মোবি ইবুক। পাশাপাশি কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস প্রিন্ট মাধ্যমে বাংলায় কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি এবং হরর বই তুলে দেবে পাঠকের হাতে। কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনের প্রথম নিবেদন কল্পবিশ্বের ছয়টি নভেলার সংকলন। বইটি প্রকাশের জন্যে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব শ্রী রণেন ঘোষ ও শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের কাছে। রণেনবাবু আমাদের উপর ভরসা করে দায়িত্ব দিয়েছেন এই বইটির সম্পাদনা ও প্রকাশনার। সঙ্গে তাঁর একটি নভেলাও সংকলিত করার অনুমতি দিয়েছেন। দেবজ্যোতিবাবু পাশে বসে শিখিয়েছেন সম্পাদনা ও বই তৈরির নিয়ম-কানুন, অনুবাদ করে দিয়েছেন একটি অত্যন্ত উচ্চমানের কল্পবিজ্ঞান। বইটির পরিকল্পনার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছে ছিল অলংকরণ যেন যথাযত হয়। শিল্পী শ্রী জয়ন্ত বিশ্বাস অনেক সময় দিয়েছেন এই ছয়টি অলংকরণের জন্যে। যেহেতু প্রতিটি গল্পের মেজাজ ভিন্ন, আমাদের দাবী ছিল অলংকরণের চরিত্রও যেন ভিন্ন হয়। শ্রী বিশ্বাসের প্রতিটি ছবি গল্পগুলিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। প্রুফ সংশোধন করেছেন শ্রী সংকল্প সেনগুপ্ত ও অঙ্কিতা। প্রচ্ছদ পরিকল্পনায় সাহায্য করেছেন শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য। সব শেষে ধন্যবাদ জানাই কল্পবিশ্বের সমস্ত লেখক ও পাঠককে যাদের অকুণ্ঠ সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া এই বইটির প্রকাশ সম্ভব ছিল না। ।
দীপ ঘোষ
(সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে)
ভূমিকা
বাংলা ভাষার প্রথম কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি বিষয়ক ওয়েব ম্যাগাজিন ‘কল্পবিশ্ব’। বছরে চারটি সংখ্যা। তার পর সেখান থেকে ঝাড়াই বাছাই করে সেরা লেখাগুলোকে নিয়ে একটি সংকলন। হার্ড কপি। প্রথম সংকলন ছিল পাঁচমেশালি। কিন্তু দ্বিতীয় বছরের বার্ষিক সংকলন প্রকাশ করতে গিয়ে বদলে গেল পরিকল্পনা। গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস—প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা সংখ্যা।
গল্প সংখ্যা বইমেলাতেই বেরিয়েছে। এবার উপন্যাস। লেখক তালিকায় বাংলা কল্পবিজ্ঞানের প্রবাদপুরুষ অদ্রীশ বর্ধন থেকে তরুণ লেখক সৌম্যজিৎ দেবনাথ। বাছাই করা ছ-টি উপন্যাস। বিষয় বৈচিত্র ও লেখনীর আলাদা আলাদা স্বাদ পাঠককে মুগ্ধ করবেই, এ আমাদের বিশ্বাস।
‘মোমের মিউজিয়াম’ অদ্রীশ বর্ধনের আশ্চর্য এক কাহিনি। পড়তে পড়তে শিরদাঁড়া দিয়ে হিম স্রোত বয়ে যেতে থাকে। শিল্পী করঞ্জাক্ষ করের তৈরি ভয়ঙ্কর সব মূর্তি রয়েছে সেখানে। কিন্তু করঞ্জাক্ষ নিজেই বলে, সেই মিউজিয়ামের সব দানব নিছক মোমের পুতুল নয়! মোমের পুতুলের ভয়াল রহস্যে জড়িয়ে পড়ে তার বন্ধু শান্তুনুও। ক্রমে আবিষ্কৃত হয় এক ভয়ঙ্কর সত্য। এক ভয়ঙ্কর দানবআকৃতি প্রাণী উঠে আসে গল্পের শরীর জুড়ে। এ কাহিনির শেষে রয়েছে এমন এক চমক, যা পাঠকের ভয়কে আরও বাড়িয়ে দেবে।
অদ্রীশের গল্পে রয়েছে যে দানব, সে চেহারা-চরিত্রে এইচ পি লাভক্র্যাফটের কল্পনার ‘থুলু’ নামক সমুদ্র গর্ভের অতিকায় আদিম প্রাণীটিরই মতো। সেই ‘থুলু’ই ফিরে আসে রণেন ঘোষের ‘আমি নিশার আতঙ্ক’তে। শুরুতেই গল্পের কথক চরিত্র একটি চিঠি পায়। অচেনা এক মানুষ মিস্টার বালম তার কাছে পৌঁছে দিতে চান সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে থাকা কোনও রহস্যের সন্ধান। মাৎস্যবিজ্ঞান ও সমুদ্রবিজ্ঞানে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সেই মানুষটাই পাঠিয়েছেন ওই চিঠি। এর পর তাঁর সঙ্গে দেখা হলে কথক সাক্ষী হন এক আশ্চর্য ঘটনার। মেজাজে এই উপন্যাস ‘লাভক্র্যাফ্টিয়ান’। পাঠককে নিয়ে যাবেই এক রুদ্ধশ্বাস জগতে। থুলুর অভিশাপে বালমের অবিশ্বাস্য পরিণতি এ কাহিনিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের ‘মিমসিগুলো বনলে বোরোগোবে’ লুই প্যাজেটের অনবদ্য এক কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে লেখা। শিশুদের শেখার বা বোঝার ক্ষমতা বড়দের থেকে অনেক অনেক বেশি। কাজেই শিশুদের হাতেই যদি এসে পড়ে অন্য সময়ের মাত্রার কিছু খেলনা, তখন কী হতে পারে, ভেবে দেখুন প্রিয় পাঠক। ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এর লেখক লুইস ক্যারলের আপাতদৃষ্টিতে ‘আবোলতাবোল কবিতা’র সঙ্গে লক্ষ বছরের সময়ের ওপারের ষড়যন্ত্র মিলেমিশে এ উপন্যাসকে এক অনুপম আখ্যান করে তুলেছে।
ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘অমানুষিক’ উপন্যাসে দেখা যায় দুই কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়ের প্রেম। ছেলেটি আমার আপনার মতো হোমো সেপিয়েন্স হলেও মেয়েটি কিন্তু নিয়ানড্যারথ্যাল! হ্যাঁ, কবেকার হারিয়ে যাওয়া স্পিসিসের কিছু মানুষ বেঁচে রয়েছে আজও। আর মেয়েটি সেই স্পিসিসেরই এক প্রতিনিধি। শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হয় এই প্রেমের, তা জানতে পড়তেই হবে এই রুদ্ধশ্বাস উপন্যাসটি।
সৌম্যজিৎ দেবনাথ লিখেছেন বহনশোয়াইগা অ্যাল্পটহম। এ উপন্যাসে রয়েছে এক ভৌতিক ক্যামেরা। যেটা ব্যবহার করা হয়েছিল হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের বিভিন্ন হত্যাদৃশ্য তুলতে। সেই অভিশপ্ত ক্যামেরার ভিতরে অবরুদ্ধ কয়েকটি ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে হত্যার নারকীয় দৃশ্য। গল্পের কথক সেই ক্যামেরা হাতে শরিক হয়ে পড়ে সেই অভিশপ্ত দৃশ্যের। কীভাবে সে মুক্তি পায় সেই অভিশাপ থেকে, সেটাই এই উপন্যাসের উপজীব্য।
সুমিত বর্ধনের ‘মারকত নন্দিনী’র আখ্যানভাগ গড়ে উঠেছে পৃথিবী থেকে দূরে মারকত নামের গ্রহে। পৃথিবীর যুদ্ধ, মহামারী আর দুর্ভিক্ষকে পেছনে ফেলে নতুন সভ্যতা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মারকতে পৌঁছেছিল মহাকাশযান মোহিনী। সেই অভিযাত্রী দলেরই প্রথম প্রজন্ম তরুণী বর্ণা। কেশরী গোসাপ আর মারকতের অন্য হিংস্র জীবজন্তুর সঙ্গে লড়াই করে সে বড় হয়েছে জঙ্গলের পাশে। কিন্তু এবারে খমীন শিকারে তার সঙ্গী আয়েসী, সৌখীন শুভ্র। কোন বিপদ লুকিয়ে আছে তার জন্যে আকাশের বুকে? এক অসামান্য কাহিনি লিখেছেন সুমিত।
ছ-টি উপন্যাস ছ-রকমের। অনেক বেছে এই উপন্যাসগুলিকে রাখা হল সংকলনে। এবার পাঠকরা খুশি হলেই আমাদের প্রয়াস সার্থক বলে মনে করব।
সম্পাদকমণ্ডলী
দীপ ঘোষ, সুপ্রিয় দাস, সন্তু বাগ
সম্পাদনা সহায়তায়
অঙ্কিতা, প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বদীপ দে, সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমেন চ্যাটার্জী
আরও যাঁরা সঙ্গে আছেন
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, ধ্রুবজ্যোতি দাস, সুমন দাস, সৌরভ দে, কৌশিক সিনহা চৌধুরী, রূপক ঘোষ, দোয়েল বর্মন, সুদীপ দেব যারা পথ দেখিয়েছেন
অদ্রীশ বর্ধন, রণেন ঘোষ, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, যশোধরা রায়চৌধুরী, সুমিত বর্ধন
কল্পবিশ্ব উপন্যাস পর্ব ১
সম্পাদনা – দীপ ঘোষ, সুপ্রিয় দাস ও সন্তু বাগ
কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস
প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর, ২০১৮
প্রচ্ছদ: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য ও সন্তু বাগ
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা: দীপ ঘোষ
.
উৎসর্গ
প্রথম সার্থক বাংলা কল্পবিজ্ঞানের রচয়িতা
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর
স্মৃতির উদ্দেশ্যে
.
দেখতে দেখতে কল্পবিশ্ব পড়ল তৃতীয় বছরে। গত দুই বছরে ওয়েব- ম্যাগাজিনের সঙ্গে সঙ্গে দুটি প্রিন্টেড সংকলনও প্রকাশ পেয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আমরা এনেছি কল্পবিশ্ব ওয়েব-ম্যাগাজিনের বিভিন্ন ইস্যু এবং অন্যান্য বইয়ের ইপাব ও মোবি ইবুক। পাশাপাশি কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস প্রিন্ট মাধ্যমে বাংলায় কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি এবং হরর বই তুলে দেবে পাঠকের হাতে। কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনের প্রথম নিবেদন কল্পবিশ্বের ছয়টি নভেলার সংকলন। বইটি প্রকাশের জন্যে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব শ্রী রণেন ঘোষ ও শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের কাছে। রণেনবাবু আমাদের উপর ভরসা করে দায়িত্ব দিয়েছেন এই বইটির সম্পাদনা ও প্রকাশনার। সঙ্গে তাঁর একটি নভেলাও সংকলিত করার অনুমতি দিয়েছেন। দেবজ্যোতিবাবু পাশে বসে শিখিয়েছেন সম্পাদনা ও বই তৈরির নিয়ম-কানুন, অনুবাদ করে দিয়েছেন একটি অত্যন্ত উচ্চমানের কল্পবিজ্ঞান। বইটির পরিকল্পনার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছে ছিল অলংকরণ যেন যথাযত হয়। শিল্পী শ্রী জয়ন্ত বিশ্বাস অনেক সময় দিয়েছেন এই ছয়টি অলংকরণের জন্যে। যেহেতু প্রতিটি গল্পের মেজাজ ভিন্ন, আমাদের দাবী ছিল অলংকরণের চরিত্রও যেন ভিন্ন হয়। শ্রী বিশ্বাসের প্রতিটি ছবি গল্পগুলিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। প্রুফ সংশোধন করেছেন শ্রী সংকল্প সেনগুপ্ত ও অঙ্কিতা। প্রচ্ছদ পরিকল্পনায় সাহায্য করেছেন শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য। সব শেষে ধন্যবাদ জানাই কল্পবিশ্বের সমস্ত লেখক ও পাঠককে যাদের অকুণ্ঠ সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া এই বইটির প্রকাশ সম্ভব ছিল না। ।
দীপ ঘোষ
(সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে)
ভূমিকা
বাংলা ভাষার প্রথম কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি বিষয়ক ওয়েব ম্যাগাজিন ‘কল্পবিশ্ব’। বছরে চারটি সংখ্যা। তার পর সেখান থেকে ঝাড়াই বাছাই করে সেরা লেখাগুলোকে নিয়ে একটি সংকলন। হার্ড কপি। প্রথম সংকলন ছিল পাঁচমেশালি। কিন্তু দ্বিতীয় বছরের বার্ষিক সংকলন প্রকাশ করতে গিয়ে বদলে গেল পরিকল্পনা। গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস—প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা সংখ্যা।
গল্প সংখ্যা বইমেলাতেই বেরিয়েছে। এবার উপন্যাস। লেখক তালিকায় বাংলা কল্পবিজ্ঞানের প্রবাদপুরুষ অদ্রীশ বর্ধন থেকে তরুণ লেখক সৌম্যজিৎ দেবনাথ। বাছাই করা ছ-টি উপন্যাস। বিষয় বৈচিত্র ও লেখনীর আলাদা আলাদা স্বাদ পাঠককে মুগ্ধ করবেই, এ আমাদের বিশ্বাস।
‘মোমের মিউজিয়াম’ অদ্রীশ বর্ধনের আশ্চর্য এক কাহিনি। পড়তে পড়তে শিরদাঁড়া দিয়ে হিম স্রোত বয়ে যেতে থাকে। শিল্পী করঞ্জাক্ষ করের তৈরি ভয়ঙ্কর সব মূর্তি রয়েছে সেখানে। কিন্তু করঞ্জাক্ষ নিজেই বলে, সেই মিউজিয়ামের সব দানব নিছক মোমের পুতুল নয়! মোমের পুতুলের ভয়াল রহস্যে জড়িয়ে পড়ে তার বন্ধু শান্তুনুও। ক্রমে আবিষ্কৃত হয় এক ভয়ঙ্কর সত্য। এক ভয়ঙ্কর দানবআকৃতি প্রাণী উঠে আসে গল্পের শরীর জুড়ে। এ কাহিনির শেষে রয়েছে এমন এক চমক, যা পাঠকের ভয়কে আরও বাড়িয়ে দেবে।
অদ্রীশের গল্পে রয়েছে যে দানব, সে চেহারা-চরিত্রে এইচ পি লাভক্র্যাফটের কল্পনার ‘থুলু’ নামক সমুদ্র গর্ভের অতিকায় আদিম প্রাণীটিরই মতো। সেই ‘থুলু’ই ফিরে আসে রণেন ঘোষের ‘আমি নিশার আতঙ্ক’তে। শুরুতেই গল্পের কথক চরিত্র একটি চিঠি পায়। অচেনা এক মানুষ মিস্টার বালম তার কাছে পৌঁছে দিতে চান সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে থাকা কোনও রহস্যের সন্ধান। মাৎস্যবিজ্ঞান ও সমুদ্রবিজ্ঞানে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সেই মানুষটাই পাঠিয়েছেন ওই চিঠি। এর পর তাঁর সঙ্গে দেখা হলে কথক সাক্ষী হন এক আশ্চর্য ঘটনার। মেজাজে এই উপন্যাস ‘লাভক্র্যাফ্টিয়ান’। পাঠককে নিয়ে যাবেই এক রুদ্ধশ্বাস জগতে। থুলুর অভিশাপে বালমের অবিশ্বাস্য পরিণতি এ কাহিনিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের ‘মিমসিগুলো বনলে বোরোগোবে’ লুই প্যাজেটের অনবদ্য এক কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে লেখা। শিশুদের শেখার বা বোঝার ক্ষমতা বড়দের থেকে অনেক অনেক বেশি। কাজেই শিশুদের হাতেই যদি এসে পড়ে অন্য সময়ের মাত্রার কিছু খেলনা, তখন কী হতে পারে, ভেবে দেখুন প্রিয় পাঠক। ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এর লেখক লুইস ক্যারলের আপাতদৃষ্টিতে ‘আবোলতাবোল কবিতা’র সঙ্গে লক্ষ বছরের সময়ের ওপারের ষড়যন্ত্র মিলেমিশে এ উপন্যাসকে এক অনুপম আখ্যান করে তুলেছে।
ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘অমানুষিক’ উপন্যাসে দেখা যায় দুই কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়ের প্রেম। ছেলেটি আমার আপনার মতো হোমো সেপিয়েন্স হলেও মেয়েটি কিন্তু নিয়ানড্যারথ্যাল! হ্যাঁ, কবেকার হারিয়ে যাওয়া স্পিসিসের কিছু মানুষ বেঁচে রয়েছে আজও। আর মেয়েটি সেই স্পিসিসেরই এক প্রতিনিধি। শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হয় এই প্রেমের, তা জানতে পড়তেই হবে এই রুদ্ধশ্বাস উপন্যাসটি।
সৌম্যজিৎ দেবনাথ লিখেছেন বহনশোয়াইগা অ্যাল্পটহম। এ উপন্যাসে রয়েছে এক ভৌতিক ক্যামেরা। যেটা ব্যবহার করা হয়েছিল হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের বিভিন্ন হত্যাদৃশ্য তুলতে। সেই অভিশপ্ত ক্যামেরার ভিতরে অবরুদ্ধ কয়েকটি ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে হত্যার নারকীয় দৃশ্য। গল্পের কথক সেই ক্যামেরা হাতে শরিক হয়ে পড়ে সেই অভিশপ্ত দৃশ্যের। কীভাবে সে মুক্তি পায় সেই অভিশাপ থেকে, সেটাই এই উপন্যাসের উপজীব্য।
সুমিত বর্ধনের ‘মারকত নন্দিনী’র আখ্যানভাগ গড়ে উঠেছে পৃথিবী থেকে দূরে মারকত নামের গ্রহে। পৃথিবীর যুদ্ধ, মহামারী আর দুর্ভিক্ষকে পেছনে ফেলে নতুন সভ্যতা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মারকতে পৌঁছেছিল মহাকাশযান মোহিনী। সেই অভিযাত্রী দলেরই প্রথম প্রজন্ম তরুণী বর্ণা। কেশরী গোসাপ আর মারকতের অন্য হিংস্র জীবজন্তুর সঙ্গে লড়াই করে সে বড় হয়েছে জঙ্গলের পাশে। কিন্তু এবারে খমীন শিকারে তার সঙ্গী আয়েসী, সৌখীন শুভ্র। কোন বিপদ লুকিয়ে আছে তার জন্যে আকাশের বুকে? এক অসামান্য কাহিনি লিখেছেন সুমিত।
ছ-টি উপন্যাস ছ-রকমের। অনেক বেছে এই উপন্যাসগুলিকে রাখা হল সংকলনে। এবার পাঠকরা খুশি হলেই আমাদের প্রয়াস সার্থক বলে মনে করব।
সম্পাদকমণ্ডলী
দীপ ঘোষ, সুপ্রিয় দাস, সন্তু বাগ
সম্পাদনা সহায়তায়
অঙ্কিতা, প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বদীপ দে, সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমেন চ্যাটার্জী
আরও যাঁরা সঙ্গে আছেন
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, ধ্রুবজ্যোতি দাস, সুমন দাস, সৌরভ দে, কৌশিক সিনহা চৌধুরী, রূপক ঘোষ, দোয়েল বর্মন, সুদীপ দেব যারা পথ দেখিয়েছেন
অদ্রীশ বর্ধন, রণেন ঘোষ, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, যশোধরা রায়চৌধুরী, সুমিত বর্ধন
Leave a Reply