সোমনাথ সুন্দরী – হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
প্রথম প্রকাশ – সেপ্টেম্বর ২০২০
.
৺হেমেন্দ্রকিশোর দাশগুপ্ত
ও
৺প্রতিভাময়ী দাশগুপ্তর
চরণকমলে
.
”সৌরাষ্ট্রেদেশে বিষদেতিরম্যে।।
জ্যোতির্ম্ময়ং চন্দ্রকলাবতংসম
ভক্তিপ্রদানায় কৃপাবতীর্ণং
তং সোমনাথং শরণং প্রপদ্যে।।”
—দ্বাদশজ্যোতির্লিঙ্গস্তোত্রম
.
পূর্বকথন
খ্রিষ্টীয় দশম শতাব্দী। প্রভাসক্ষেত্রে ঊর্মিমালা বিধৌত সমুদ্রতটে অবস্থিত চন্দ্রদেব নির্মিত সোমেশ্বর মহাদেবের আবাসস্থল সোমনাথ মন্দির। মহাদেবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গর প্রধান মন্দিরের গর্ভগৃহে মহাশূন্যে অবস্থান করছেন। অলৌকিক জীবন্ত বিগ্রহ। আর এই জীবন্ত বিগ্রহ দর্শনের অভিলাষে কত না রাজা-মহারাজা থেকে শুরু করে সাধারণ পুণ্যার্থী মানুষেরা মহাকালের পথ ধরে ছুটে এসেছে এই প্রভাসক্ষেত্রে—সোমনাথ নগরীতে। যুগ যুগ ধরে লক্ষ্য-কোটি পুণ্যার্থীদের দানে উপছে পড়ে মন্দিরের কোষাগার। স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ নাকি তাঁর স্যমন্তক মণি দান করেছিলেন সোমেশ্বর মহাদেবের চরণে। যা, আজও রক্ষিত আছে এ মন্দিরের এক অন্ধকার গুপ্তকক্ষে। যার সন্ধান জানেন শুধু মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আর স্বয়ং সোমেশ্বর মহাদেব। এক জীবন্ত যক্ষ সেই গুপ্তকক্ষের প্রহরী।
শুধু রত্নরাজি নয়, সোমনাথ মন্দিরে দান করা হয় নারীদেরও। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে কন্যারত্ন দান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। আর সেই স্বর্গলাভের পথ প্রশস্ত করতে ধণাঢ্য ব্যক্তিরা নারীরত্ন দান করেন সোমেশ্বর মহাদেবের চরণে। এই কুমারী নারীদের কখনও সংগ্রহ করে আনা হয় কোনও পরাজিত রাজ্য থেকে, কখনও দাসীর হাট থেকে। এমনকী রাজা-মহারাজারা অনেকসময় তাঁদের নিজ পরিবারের কন্যাদেরও সমর্পণ করেন অধিক পুণ্যলাভের আশায়। এই সব কুমারী নারীরা সোমেশ্বর মহাদেবের কণ্ঠের নীলকণ্ঠ ফুলের মালা কণ্ঠে ধারণ করে তাঁকে গ্রহণ করে স্বামী রূপে। পূর্বের সব পরিচয় মুছে গিয়ে তখন তাদের একমাত্র পরিচয়, তারা-দেবদাসী। এজগতে তখন তাদের একমাত্র নাথ—সোমনাথ। তাঁর সন্তোষপ্রদানই দেবদাসীদের প্রধান ও একমাত্র কর্তব্য। মন্দিরের জীবন্ত বিগ্রহের সামনে নৃত্যগীত প্রদর্শন করে তারা। প্রত্যহ সকালে নিদ্রাভঙ্গের পর দেবদাসীদের নৃত্য দেখে দিন শুরু করেন দেবতা, সন্ধ্যায় তাদেরই সঙ্গীত-মূর্ছনা, নৃত্যে আমোদিত হয়ে শয়ন করতে যান। এমনকী দ্বিপ্রহরে ভোজন সমাপ্ত হবার পর বিশ্রামের পূর্বে তিনি তৃপ্ত হন সোমানথ সুন্দরীদের সেবায়। সুবিশাল সোমনাথ মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে দেবদাসীদের নৃত্য-গীত-ঘুঙুরের শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে সোমেশ্বর মন্দির।
তেমনই এক দেবদাসীকে নিয়ে এই আখ্যান। এক রাজকন্যা। ভাগ্যবিপর্যয়ে সে নিজেকে সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল সোমেশ্বর মহাদেবের চরণে।
শুধু নারী নয়, কোনও কোনও সময় কোনও কোনও অজ্ঞাত পুরুষও উৎসর্গীগৃত হয় সোমেশ্বরের চরণে। তবে এই উৎসর্গ লাভের আশাতে নয়, করা হয় পিতৃপুরুষের পাপ স্খলনের জন্য। তারা এ মন্দিরে আসে ঠিকই, কিন্তু তারপরই সেই নাম-গোত্রহীন মানুষেরা পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়! তেমনই এক যুবকের ভালোবাসা গড়ে ওঠে এ আখ্যানের নায়িকা দেবদাসীর সঙ্গে। শুরু হয় এক বিচিত্র প্রেমকাহিনি।
একদিন দুর্যোগ ঘনিয়ে আসতে শুরু করে সোমেশ্বর মহাদেব মন্দিরে। উষর মরুভূমি অতিক্রম করে ছুটে আসে হানাদারের দল, লক্ষ্য তাদের সোমনাথ মন্দিরে যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত রত্ন ভাণ্ডার, গোপন কক্ষে রক্ষিত মহামূল্য স্যমন্তক মণি। লুটেরাদের ভয়ে নগরবাসী, মন্দিরবাসী পরিত্যাগ করলেও দেবদাসীরা ত্যাগ করতে পারে না এ মন্দির। সোমেশ্বরের সঙ্গে যে তারা জীবন-মরণের সম্পর্কে আবদ্ধ। তারপর?…ভারতের এক বেদনাবিধুর ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে রচিত দেবদাসীদের জীবন আধারিত, ইতিহাস আশ্রিত, নিগূঢ় রহস্যময় প্রেমকাহিনি—সোমনাথ সুন্দরী।
এই দীর্ঘ উপন্যাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন গ্রন্থাবলী ও অন্তর্জাল তথ্য ভাণ্ডার থেকে। এ বিষয় সাহায্যদানের জন্য আমি নানাজনের কাছে কৃতজ্ঞ। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য শ্রীমতী শীলা বিশ্বাস, যিনি সোমনাথ মন্দির থেকে দুষ্প্রাপ্য বহুগ্রন্থ আমাকে সংগ্রহ করে এনে দিয়েছিলেন। শ্রীমতী জপা ভট্টাচার্য বিভিন্ন সংস্কৃত শ্লোকের বাংলা অনুবাদ করে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন আমাকে।
এ গ্রন্থ সম্পর্কে আর একটি কথা বিশেষভাবে বলা প্রয়োজন। কোনও ধর্ম, বর্ণ, জাতি-সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আলোকিত অথবা আহত করা এ উপন্যাসের উদ্দেশ্য নয়। পাঠক-পাঠিকাদের কাছে অনুরোধ, ইতিহাসআশ্রিত একটি প্রেম কাহিনি হিসাবেই এ উপন্যাস পাঠ করবেন। এ উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য বিষয় হল নর-নারীর প্রেম কথা, যা শাশ্বত অমলিন। ইতিহাস যেখানে চুপ করে রয়, যেখানেই অব্যক্ত কথা বলে সাহিত্য।
খাজুরাহ সুন্দরী, বন্দর সুন্দরী, এ দুটি ইতিহাসআশ্রিত গ্রন্থের পর এই তালিকায় নবতম সংযোজন, ‘সোমনাথ সুন্দরী’। পূর্ব প্রকাশিত দুটি গ্রন্থের ন্যায় পাঠক-পাঠিকারা ‘সোমনাথ সুন্দরী’-কে ভালোবেসে গ্রহণ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
৫ আগস্ট ২০২০
Debarati Mukhopadhay,Goutam Bhattacharya er lekha Duhsahaser Ijara boi ti deben pls.
Onek dhonyobad ei boiti dewar jonno.
Saikat Mukherjee er ei boi gulo dile valo hoi.
Budhodar tin rahasya.
Mallik moshai
Kissawala.
Amon morsum.
Tetul patar golpo.
Shoitaner santan.
Saikat Mukherjee
Er
Shorobhuj,sarga nairajjo. Boi gulo din.
Saikat Mukherjee er,
Mansho lotar krishnokoli,tobuo jibon jole
Ei boi gulo upload korben pls
Saikat Mukherjee er ei boi gulo din pls.
Tetulpatar golpo, rahasya vedi nil.
Saikat Mukherjee er
Ei boi gulo upload korben please.
Natabarir nursery,
Nonabali choratan.
Masterstroke,
Budhodar tin rahasya.
Shoitaner santan.
Proti muhurte dhan.
Mansho lotar krishnokoli.
Tulo furki.
Pretloker pakhi.
Simlotar nupur.
Himadri kishore dasgupta er lekha ei boi gulo din.
Adventure samagra 3,4.
A 12 voyonkor.
Abhisapto nayak.
Voyonkor sikarokti.
Chandrakola o chandanpurush.
Chandrabhagar chand.
Aparajeyo.
Adventure samagra 4.
Jolongir ondhokare.
Ashoriri shorir.
Kashmir sundori.
Gonopoti hazrar sonar medel.
Bisher chobol.
Adventure samagra 3.
Prothom surjo swashanko.
Shihoron.
Prem somokami.
Abhishapta Prem.
Baje go Bina.
Jokhon sompat.
Sada biral.
Porikromon.
Kalo ghuri.
Mritur gondho misti.
Bishnu loke sondha name.
হিমাদ্রিবাবু ও সৈকত মুখোপাধ্যায়ের অন্যান্য বইগুলো চাই শীঘ্র, @Admin, অনেক আশা নিয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি, দয়া করে বইগুলি upload করে দিয়েন ও পারলে পাঠকবৃন্দের comments গুলি reply করা শুরু করুন