ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

এজেকিয়েল ৪৭

১ সেই পুরুষটি আমায় আবার মন্দিরের প্রবেশস্থানে নিয়ে এল। আমি মন্দিরের পূর্বের দরজার নীচে দিয়ে জল বয়ে আসতে দেখলাম। (মন্দিরের সম্মুখভাগ পূর্ব দিকে মুখ করা।) জলের ধারা মন্দিরের দক্ষিণ দিক থেকে বয়ে বেদীর দক্ষিণ দিক পর্য়ন্ত যাচ্ছিল।
২ সেই পুরুষটি আমায় উত্তর দিকের দরজা দিয়ে নিয়ে গিয়ে পূর্ব দিকের বাইরের দরজার বাইরে চারধার দেখালেন। জল দরজার দক্ষিণ দিক থেকে বইছিল।
৩ সেই পুরুষটি একটি মাপার ফিতে নিয়ে পূর্ব দিকে হাঁটল। তারপর ১০00 হাত দূরত্ব মেপে আমাকে জলের মধ্যে দিয়ে সেই স্থানে হেঁটে যেতে বলল। সেখানকার জলের গভীরতা গোড়ালি পর্য়ন্ত ছিল।
৪ সেই পুরুষটি আরও ১০00 হাত মেপে আমাকে সেই স্থানে জলের মধ্যে হেঁটে যেতে বলল; সেখানে জল আমার হাঁটু পর্য়ন্ত উঠল। তারপর সে আরও ১০00 হাত মেপে সেই স্থানে আমাকে জলের মধ্যে হেঁটে যেতে বলল। সেখানে জল আমার কোমর পর্য়ন্ত উঠল।
৫ তারপর সেই পুরুষটি আরও ১০00 হাত মাপল, কিন্তু সেখানকার জল পার হয়ে যাবার পক্ষে খুব গভীর ছিল। জল সেখানে নদীর মত বয়ে যাচ্ছিল, সাঁতরে যাবার পক্ষে যথেষ্ট গভীর, কিন্তু পার হয়ে যাবার পক্ষে খুব বেশী গভীর।
৬ তখন সেই পুরুষটি আমায় বলল, “হে মনুষ্যসন্তান, তুমি যা দেখলে তা কি মনোযোগ সহকারে দেখেছ?”তারপর সেই পুরুষটি আমায় নদীর ধারে নিয়ে গেল।
৭ আমি সেই নদীর ধার দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে সেই জলের দুধারে অনেক গাছ দেখতে পেলাম।
৮ সেই পুরুষটি আমায় বলল, “এই জলে পূর্ব দিকে অরাবা তলভূমি পর্য়ন্ত বয়ে যাচ্ছে।
৯ এই জল মৃতসাগরে বয়ে যাচ্ছে এবং সেটি সেই সমুদ্রের জলকে পরিষ্কার ও সতেজ করে তুলবে। এই জলে অনেক মাছ থাকবে এবং নদীটি যে সমস্ত জায়গা দিয়ে বয়ে গেছে সেখানে সব রকমের জীবজন্তু বাস করে।
১০ তুমি ঐন্-গদী থেকে ঐন্-ইগ্লযিম পর্য়ন্ত নদীর দুধারে জেলেদের দেখতে পাবে। তুমি তাদের জাল ফেলে বিভিন্ন রকমের মাছ ধরতেও দেখবে। ভূমধ্যসাগরের মতোই মৃত সাগরেও বহু প্রকারের মাছ থাকবে।
১১ কিন্তু পাঁকের জায়গা ও ছোট ছোট জলাভূমিগুলি পরিষ্কার হবে না, তা নোনতা হয়ে ওঠার জন্য ছেড়ে দেওয়া আছে।
১২ নদীর দুধারে সব রকমের ফলের গাছ জন্মাবে। তাদের পাতা কখনও খসে পড়বে না। ঐ গাছগুলি ফল দেওয়াও বন্ধ করবে না। গাছগুলিতে প্রতি মাসেই ফল ধরবে কারণ গাছগুলির জন্য যে জল প্রয়োজন তা মন্দির থেকে আসে। গাছগুলির ফল খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে এবং তাদের পাতাগুলো রোগ আরোগ্য করবার জন্য ব্যবহৃত হবে।”
১৩ প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি ইস্রায়েলের বারো পরিবারগোষ্ঠীর মধ্যে এই সীমা অনুসারে জমি ভাগ করবে। যোষেফের জন্য দুই অংশ থাকবে।”
১৪ তুমি জমি সমান ভাগে ভাগ করবে। আমি এই জমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের দেব বলে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলাম বলেই তা তোমাদের দিচ্ছি।
১৫ “জমির সীমানা এইরকম: উত্তর দিকে তা হিত্‌লোনের পথে ভূমধ্যসাগর পর্য়ন্ত যাবে যেখানে রাস্তা ঘুরে গেছে হমাত্‌, সদাদ,
১৬ বরোথা, সিব্রযিম (যা দম্মেশক ও হম্মাতের সীমার মধ্যে অবস্থিত) এবং হত্‌সর-হত্তীকোন, যেটা হৌরণের সীমানায অবস্থিত।
১৭ সুতরাং সেই সীমানা সমুদ্র থেকে দম্মেশকের সীমানার উত্তরদিকে অবস্থিত হত্‌সোর ঐনন পর্য়ন্ত যাবে। আর হমাতের সীমা হচ্ছে ঐ উত্তর প্রান্ত।
১৮ “পূর্ব দিকের সেই সীমা হত্‌সোর ঐনন অর্থাত্‌ হৌরণ ও দম্মেশকের মধ্য থেকে গিলিয়দ ও ইস্রায়েল দেশের মধ্যে য়র্দন নদীর ধার বরাবর পূর্ব সমুদ্রের দিকে একদম তামর পর্য়ন্ত। এ হবে পূর্ব সীমা।
১৯ দক্ষিণ দিকে, সীমা হবে তামর থেকে মরীবা কাদেশের হ্রদ পর্য়ন্ত। তারপর তা মিশরের নদী থেকে ভূমধ্যসাগর পর্য়ন্ত যাবে। এটা হবে দক্ষিণ দিকের সীমা।
২০ “আর পশ্চিম পাড়ে ভূমধ্যসাগর একেবারে লীবো হমাতের সামনে পর্য়ন্ত সীমাস্বরূপ। এটা হবে পশ্চিমের সীমানা।
২১ “এইভাবে তোমরা ইস্রায়েল পরিবারগোষ্ঠীর জন্য তোমাদের মধ্যে জমি ভাগ করে দেবে।
২২ তোমাদের সম্পত্তি হিসাবে এটা তোমরা তোমাদের মধ্যে এবং তোমাদের মধ্যে যে বিদেশীরা বাস করে যাদের সন্তান-সন্ততি আছে তাদের মধ্যে বণ্ট্ন করে দেবে। এই বিদেশীরা সেখানকার বাসিন্দা তাদের ইস্রায়েলীয় বলে গন্য হবে। ইস্রায়েল পরিবারগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের তুমি কিছু জমি ভাগ করে দেবে।
২৩ সেই বাসিন্দারা যেখানে বাস করে, সেখানকার পরিবারগোষ্ঠী তাদের কিছু জমি দেবে।” প্রভু আমার সদাপ্রভুই এই কথা বলেছেন।