ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

যোহন ২১

১ এরপর তিবিরিযা হ্রদের ধারে যীশু আবার তাঁর শিষ্যদের দেখা দিলেন। এইভাবে তিনি দেখা দিয়েছিলেন:
২ শিমোন পিতর, থোমা য়াঁর অপর নাম দিদুমঃ, গালীলের কান্নাবাসী নথনেল, সিবদিয়ের ছেলেরা ও অপর দুজন শিষ্য, এঁরা সকলে এক জায়গায় ছিলেন।
৩ শিমোন পিতর তাঁদের বললেন, ‘আমি মাছ ধরতে যাচ্ছি।’অপর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, ‘আমরাও তোমার সঙ্গে যাব।’ তাঁরা সকলে বেরিয়ে গেলেন এবং নৌকায় গিয়ে উঠলেন, কিন্তু সেই রাত্রে তাঁরা কিছুই ধরতে পারলেন না।
৪ এইভাবে যখন ভোর হয়ে আসছে, এমন সময় যীশু তীরে এসে দাঁড়ালেন; কিন্তু শিষ্যরা তাঁকে চিনতে পারলেন না য়ে তিনি যীশু।
৫ যীশু তাঁদের বললেন, ‘বাছারা, কিছু মাছ পেলে?’শিষ্যরা বললেন, ‘না।’
৬ তিনি তাঁদের বললেন, ‘নৌকার ডান দিকে জাল ফেল তাহলে তোমরা কিছু মাছ পাবে।’ সেইভাবে তাঁরা জাল ফেললে জালে এত মাছ পড়ল য়ে তাঁরা তা টেনে তুলতে পারলেন না।
৭ তখন য়ে শিষ্যকে যীশু বেশী ভালবাসতেন, তিনি পিতরকে বললেন, ‘উনি প্রভু!’ তাই শিমোন যখন শুনলেন য়ে উনি প্রভু, তখন তিনি গায়ের উপর একটা কাপড় জড়িয়ে নিলেন কারণ তিনি তখন কাজের সুবিধার জন্য খালি গায়ে ছিলেন ও হ্রদের জলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন।
৮ কিন্তু অন্যান্য শিষ্যরা নৌকাতে করে তীরে এলেন। তাঁরা মাছ ভর্তি জালটা টেনে আনছিলেন। তাঁরা তীর থেকে বেশী দূরে ছিলেন না, প্রায় তিনশো ফুট দূরে ছিলেন।
৯ ডাঙ্গায় উঠে তাঁরা দেখলেন সেখানে কাঠ কয়লার আগুন জ্বলছে, তার ওপর কিছু মাছ আর রুটিও আছে।
১০ যীশু তাঁদের বললেন, ‘তোমরা এখন য়ে মাছ ধরলে তার থেকে কিছু নিয়ে এস।’
১১ শিমোন পিতর উঠে নৌকায় গেলেন এবং জাল টেনে তীরে তুললেন, সেই জালে একশো তিপান্নটা বড় মাছ ছিল, আর এত মাছেতেও সেই জাল ছেঁড়েনি।
১২ যীশু তাঁদের বললেন, ‘এখানে এসে সকালের জলখাবার খেয়ে নাও।’ কিন্তু শিষ্যদের মধ্যে কারোর জিজ্ঞাসা করার সাহস হল না, ‘আপনি কে?’ কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন য়ে তিনিই প্রভু।
১৩ যীশু গিয়ে সেই রুটি নিয়ে তাঁদের দিলেন, আর সেই মাছ নিয়েও তাঁদের দিলেন।
১৪ মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার যীশু তাঁর শিষ্যদের দেখা দিলেন।
১৫ তাঁরা খাওযা শেষ করবার পর যীশু শিমোন পিতরকে বললেন, ‘য়োহনের ছেলে শিমোন, এই লোকদের চেয়ে তুমি কি আমায় বেশী ভালবাসো?’পিতর তাঁকে বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রভু, আপনি জানেন য়ে আমি আপনাকে ভালবাসি।’যীশু পিতরকে বললেন, ‘আমার মেষশাবকদেরতত্ত্বাবধান কর।’
১৬ তিনি তাঁকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করলেন, ‘য়োহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমায় ভালবাসো?’ পিতর তাঁকে বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রভু, আপনি জানেন য়ে আমি আপনাকে ভালবাসি।’যীশু পিতরকে বললেন, ‘আমার মেষদের তত্ত্বাবধান কর।’
১৭ যীশু পিতরকে তৃতীয়বার বললেন, ‘য়োহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমায় ভালবাসো?’একথা তিনবার শোনায় পিতর দুঃখ পেলেন। তাই তিনি যীশুকে বললেন, ‘প্রভু, আপনি সবই জানেন। আপনি জানেন য়ে আমি আপনাকে ভালবাসি।’যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমার মেষদের তত্ত্বাবধান কর।
১৮ আমি তোমাকে সত্যি বলছি, যখন তুমি যুবক ছিলে, তখন তুমি তোমার নিজের কোমর বন্ধনী বাঁধতে আর য়েখানে মন চাইত য়েতে; কিন্তু যখন বৃদ্ধ হবে, তখন তুমি তোমার হাত বাড়িয়ে দেবে আর অন্য কেউ তোমার কোমর বন্ধনী পরিয়ে দেবে। আর য়েখানে তুমি য়েতে চাইবে না সেখানে নিয়ে যাবে।’
১৯ এই কথা বলে যীশু ইঙ্গিত করলেন, পিতর কি প্রকার মৃত্যু দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব করবেন। এসব কথা বলার পর তিনি পিতরকে বললেন, ‘আমায় অনুসরণ কর।’
২০ পিতর ঘুরে দেখলেন, যাঁকে যীশু ভালোবাসতেন সেই শিষ্য তাঁদের পেছনে আসছেন। এই শিষ্যই ভোজের সময় যীশুর বুকের ওপর হেলান দিয়েছিলেন, আর বলেছিলেন, ‘প্রভু, কে আপনাকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে?’
২১ তাই পিতর তাঁকে দেখতে পেয়ে যীশুকে বললেন, ‘প্রভু, ওর কি হবে?’
২২ যীশু পিতরকে বললেন, ‘আমি যদি চাই য়ে, আমি না আসা পর্যন্ত ও থাকবে, তাতে তোমার কি? তুমি আমায় অনুসরণ কর।’
২৩ তাই ভাইদের মধ্যে একথা ছড়িয়ে গেল য়ে, সেই শিষ্য মরবে না। কিন্তু যীশু তাকে বলেন নি য়ে তিনি মরবেন না। কেবল বলেছিলেন, ‘আমি যদি চাই য়ে আমি না আসা পর্যন্ত সে এখানে থাকবে, তাতে তোমার কি?’
২৪ ইনিই সেই শিষ্য যিনি এইসব বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন, আর তিনিই এইসব লিপিবদ্ধ করেছেন। আমরা জানি তাঁর সাক্ষ্য সত্য।
২৫ যীশু আরো অনেক কাজ করেছিলেন। সেগুলি যদি এক এক করে লেখা য়েত, তবে আমার ধারণা লিখতে লিখতে এত সংখ্য়ক বই হোত য়ে জগতে তা ধরতো না।