ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

যোহন ১৭

১ এইসব কথা বলার পর যীশু স্বর্গের দিকে তাকিয়ে এই কথা বললেন, ‘পিতা, এখন সময় হয়েছে; তোমার পুত্রকে মহিমান্বিত কর, য়েন তোমার পুত্রও তোমাকে মহিমান্বিত করতে পারেন।
২ সমস্ত মানুষের উপর পুত্রকে তুমি অধিকার দিয়েছ যাতে তিনি তাদের সকলকে অনন্ত জীবন দিতে পারেন।
৩ এই হল অনন্ত জীবন; তারা তোমাকে জানে য়ে তুমি একমাত্র সত্য ঈশ্বর ও তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ সেই যীশু খ্রীষ্টকে জানে।
৪ তুমি য়ে কাজ করার দাযিত্ব আমায় দিয়েছিলে, তা আমি শেষ করেছি ও পৃথিবীতে তোমাকে মহিমান্বিত করেছি।
৫ তাই এখন তোমার সান্নিধ্যে আমায় মহিমান্বিত কর। হে পিতা, জগত সৃষ্টির পূর্বে তোমার কাছে আমার য়ে মহিমা ছিল, তুমি সেই মহিমায় এখন আমায় মহিমান্বিত কর।
৬ ‘এই জগতের মধ্যে থেকে তুমি য়ে সব লোকদের আমায় দিয়েছ, আমি তাদের কাছে তোমার পরিচয় দিয়েছি। তারা তোমারই ছিল এবং তুমি তাদেরকে আমায় দিয়েছ, আর তারা তোমার শিক্ষানুসারে চলেছে।
৭ এখন তারা বুঝেছে য়ে তুমি যা কিছু আমায় দিয়েছ তা তোমার কাছ থেকেই এসেছে।
৮ তুমি আমায় য়ে শিক্ষা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, আর তা তারা গ্রহণও করেছে। তারা সত্যিই বুঝেছে য়ে আমি তোমারই কাছ থেকে এসেছি, আর তারা বিশ্বাস করে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ।
৯ আমি তাদের জন্য এখন প্রার্থনা করছি। আমি সারা জগতের জন্য প্রার্থনা করছি না, কেবল সেই সকল লোকদের জন্য প্রার্থনা করছি যাদের তুমি দিয়েছ, কারণ তারা তোমার।
১০ আমার যা কিছু তা তোমার, আর তোমার যা তা আমার। আর এদের মাধ্যমে আমি মহিমান্বিত হয়েছি।
১১ ‘আমি আর এই জগতে থাকছি না, কিন্তু তারা এই জগতে থাকছে, আমি তোমারই কাছে যাচ্ছি। পবিত্র পিতা, য়ে নাম তুমি আমায় দিয়েছ, তোমার সেই নামের শক্তিতে তুমি তাদের রক্ষা কর। আমরা য়েমন এক, তেমনি তারা য়েন সকলে এক হতে পারে।
১২ আমি যখন তাদের সঙ্গে ছিলাম, আমি তাদের নিরাপদে রেখেছিলাম। তুমি আমায় য়ে নাম দিয়েছ সেই নামের শক্তিতে তখন আমি তাদের রক্ষা করেছিলাম। আমি তাদের সাবধানে রক্ষা করেছি। তাদের মধ্যে কেউ বিনষ্ট হয় নি, একমাত্র ব্যতিক্রম সেই লোকটি, ধ্বংস হওযাই যার পরিণতি। শাস্ত্রের কথা সফল করার জন্যেই এই পরিণতি।
১৩ ‘এখন আমি তোমার কাছে আসছি, কিন্তু এই জগতে থাকতে থাকতে আমি এসব কথা বলছি, য়েন তারা আমার য়ে আনন্দ তা পরিপূর্ণরূপে পায়।
১৪ আমি তাদের তোমার শিক্ষা জানিয়েছি, কিন্তু জগত সংসার তাদের ঘৃণা করে, কারণ তারা এই জগতের নয়, য়েমন আমিও এই জগতের নই।
১৫ তাদের এই জগত থেকে নিয়ে যাবার জন্য আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি না, কিন্তু তাদের মন্দ শক্তির হাত থেকে রক্ষা কর।
১৬ তারা এই জগতের নয়, য়েমন আমিও এ জগতের নই।
১৭ ‘সত্যের দ্বারা তোমার সেবার জন্য তুমি তাদের পবিত্র কর। তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ।
১৮ তুমি য়েমন এ জগতে আমাকে পাঠিয়েছ, আমিও তাদের তেমনি জগতের মাঝে পাঠিয়েছি।
১৯ তাদের জন্য আমি তোমার সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছি, য়েন তারাও সত্যের মাধ্যমে তোমার সেবায় নিজেদের নিযুক্ত করতে পারে।
২০ ‘আমি কেবল এদের জন্যই প্রার্থনা করছি না, এদের শিক্ষার মধ্য দিয়ে যাঁরা আমায় বিশ্বাস করবে তাদের জন্যও করছি।
২১ পিতা, য়েমন তুমি আমাতে রয়েছ, আর আমি তোমাতে রয়েছি, তেমনি তারাও য়েন এক হয়। তারা য়েন আমাদের মধ্যে থাকে যাতে জগত সংসার বিশ্বাস করে য়ে তুমি আমাকে পাঠিয়েছ।
২২ আর তুমি আমায় য়ে মহিমা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, যাতে আমরা য়েমন এক, তারাও তেমনি এক হতে পারে।
২৩ আমি তাদের মধ্যে, আর তুমি আমার মধ্যে থাকবে, এইভাবে তারা য়েন সম্পূর্ণভাবে এক হয়। জগত যাতে জানে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ। আর তুমি য়েমন আমায় ভালবেসেছ, তেমনি তুমি তাদেরও ভালবেসেছ।
২৪ ‘পিতা, আমি চাই, আমি য়েখানে আছি, তুমি যাদের আমায় দিয়েছ, তারাও য়েন আমার সঙ্গে সেখানে থাকে। আর তুমি আমায় য়ে মহিমা দিয়েছ তারা আমার সেই মহিমা য়েন দেখতে পায়, কারণ জগত সৃষ্টির আগেই তুমি আমায় ভালবেসেছ।
২৫ ন্যায়বান পিতা, জগত তোমায় জানে না, কিন্তু আমি তোমায় জানি। আর আমার এই শিষ্যরা জানে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ।
২৬ তুমি কে আমি তাদের কাছে তা প্রকাশ করেছি, আর এরপরেও আমি তাদের কাছে তা করতেই থাকব। তাহলে তুমি আমায় য়েমন ভালবেসেছ, তারা একইভাবে অন্যদের ভালবাসবে আর আমি তাদের মধ্যেই থাকব।’