ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

যোহন ১৪

১ ‘তোমাদের হৃদয় বিচলিত না হোক্। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখো, আর আমার প্রতিও আস্থা রাখো।
২ আমার পিতার বাড়িতে অনেক ঘর আছে, যদি না থাকতো আমি তোমাদের বলতাম। আমি তোমাদের থাকবার একটা জায়গা ঠিক করতে যাচ্ছি।
৩ সেখানে গিয়ে জায়গা ঠিক করার পর আমি আবার আসব ও তোমাদের আমার কাছে নিয়ে যাব, যাতে আমি য়েখানে থাকি তোমরাও সেখানে থাকতে পার।
৪ আমি য়েখানে যাচ্ছি তোমরা সকলেই সে জায়গার পথ চেন।’
৫ থোমা তাঁকে বললেন, ‘প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা আমরা জানি না! আমরা সেখানে যাবার পথ কিভাবে জানবো?’
৬ যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমিই পথ, আমিই সত্য ও জীবন। পিতার কাছে যাবার আমিই একমাত্র পথ।
৭ তোমরা যদি সত্যি আমাকে জেনেছ, তবে পিতাকেও জানতে পেরেছ। আর এখন থেকে তোমরা তাঁকে জেনেছ ও তাঁকে দেখেছ।’
৮ ফিলিপ যীশুকে বললেন, ‘প্রভু, আপনি পিতাকে আমাদের দেখান, তাহলেই যথেষ্ট হবে।’
৯ যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছি; আর ফিলিপ, তোমরা এখনও আমায় চিনলে না? য়ে কেউ আমায় দেখেছে সে পিতাকে দেখেছে। তোমরা কি করে বলছ, ‘পিতাকে আমাদের দেখান?
১০ তুমি কি বিশ্বাস কর না য়ে আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতাও আমার মধ্যে আছেন? আমি তোমাদের য়ে সকল কথা বলি তা নিজের থেকে বলি না। আমার মধ্যে যিনি আছেন সেই পিতা তাঁর নিজের কাজ করেন।
১১ যখন আমি বলি য়ে আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতাও আমার মধ্যে আছেন, তখন আমাকে বিশ্বাস কর। যদি তা না কর, তবে আমার দ্বারা কৃত সব অলৌকিক কাজের কারণেই বিশ্বাস কর।
১২ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, য়ে আমার ওপর বিশ্বাস রাখে, আমি য়ে কাজই করি না কেন, সেও তা করবে, বলতে কি সে এর থেকেও মহান মহান কাজ করবে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি।
১৩ আর তোমরা আমার নামে যা কিছু চাইবে, আমি তা পূর্ণ করব, য়েন পিতা পুত্রের দ্বারা মহিমান্বিত হন।
১৪ তোমরা যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু চাও, আমি তা পূর্ণ করব।
১৫ ‘তোমরা যদি আমায় ভালবাস তবে তোমরা আমার সমস্ত আদেশ পালন করবে।
১৬ আমি পিতার কাছে চাইব, আর তিনি তোমাদের আর একজন সাহায্যকারীদেবেন, য়েন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন।
১৭ তিনি সত্যের আত্মা,যাঁকে এই জগত সংসার মেনে নিতে পারে না, কারণ জগত তাঁকে দেখে না বা তাঁকে জানে না। তোমরা তাঁকে জান, কারণ তিনি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন, আর তিনি তোমাদের মধ্যেই থাকবেন।
১৮ ‘আমি তোমাদের অনাথ রেখে যাবো না। আমি তোমাদের কাছে আসব।
১৯ আর কিছুক্ষণ পর এই জগত সংসার আর আমায় দেখতে পাবে না, কিন্তু তোমরা আমায় দেখতে পাবে। কারণ আমি বেঁচে আছি বলেই তোমরাও বেঁচে থাকবে।
২০ সেই দিন তোমরা জানবে য়ে আমি পিতার মধ্যে আছি, তোমরা আমার মধ্যে আছ, আর আমি তোমাদের মধ্যে আছি।
২১ য়ে আমার নির্দেশ জানে এবং সেগুলি সব পালন করে, সেই আমায় প্রকৃত ভালবাসে। য়ে আমায় ভালবাসে, পিতাও তাঁকে ভালবাসেন। য়ে আমায় ভালবাসে, পিতাও তাকে ভালবাসেন আর আমিও তাকে ভালবাসি। আমি নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করব।’
২২ যিহূদা (যিহূদা ঈষ্করিযোত নয়) তাঁকে বলল, ‘প্রভু কেন আপনি জগতের কাছে নিজেকে প্রকাশ না করে আমাদের কাছেই নিজেকে প্রকাশ করবেন?’
২৩ এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, ‘যদি কেউ আমায় ভালবাসে তবে সে আমার শিক্ষা অনুসারে চলবে, আর আমার পিতা তাকে ভালবাসবেন, আর আমরা তার কাছে আসব ও তার সঙ্গে বাস করব।
২৪ য়ে আমায় ভালবাসে না, সে আমার শিক্ষা পালন করে না। আর তোমরা আমার য়ে শিক্ষা শুনছ তা আমার নয়, কিন্তু যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এই শিক্ষা সেই পিতার।
২৫ ‘আমি তোমাদের সঙ্গে থাকতে থাকতেই এইসব কথা বললাম,
২৬ কিন্তু সেই সাহায্যকারী পবিত্র আত্মা, যাঁকে পিতা আমার নামে পাঠিয়ে দেবেন, তিনি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দেবেন, আর আমি তোমাদের যা যা বলেছি, সে সকল বিষয় তিনি তোমাদের স্মরণ করিয়ে দেবেন।
২৭ ‘শান্তি আমি তোমাদের কাছে রেখে যাচ্ছি। আমার নিজের শান্তি আমি তোমাদের দিচ্ছি। জগত সংসার য়েভাবে শান্তি দেয় আমি সেইভাবে তা দিচ্ছি না। তোমাদের অন্তর উদ্বিগ্ন অথবা শঙ্কিত না হোক।
২৮ তোমরা শুনেছ য়ে, আমি তোমাদের বলেছি য়ে আমি যাচ্ছি আর আমি আবার তোমাদের কাছে আসব। তোমরা যদি আমায় ভালবাস তবে এটা জেনে খুশী হবে য়ে আমি পিতার কাছে যাচ্ছি, কারণ পিতা আমার থেকে মহান।
২৯ তাই এসকল ঘটার আগেই আমি এসব তোমাদের এখন বললাম, যাতে ঘটলে পর তোমরা বিশ্বাস কর।
৩০ আমি তোমাদের সঙ্গে আর বেশীক্ষণ কথা বলব না, কারণ এই জগতের অধিপতি আসছে। আমার ওপর তার কোন দাবী নেই।
৩১ জগত সংসার যাতে জানতে পারে য়ে আমি পিতাকে ভালবাসি, তাই পিতা আমায় য়েমন আদেশ করেন আমি সেরকমই করি।‘এখন এস! আমরা এখান থেকে যাই।’