দুঃখের গল্প

দুঃখের গল্প

একজন মানুষ শুকনো নদীর সামান্য
উচ্ছিষ্ট জলে
পা ধুচ্ছে
লোকটি এই মাত্ৰ পায়ে হেঁটে নদী পার হয়ে এলো।

এই একটা দুঃখের দৃশ্য
এই একজন বিষণ্ণ মানুষ–
ব্রিজের ওপর ঝমঝমিয়ে চলে যায় ট্রেন
প্ৰকাণ্ড অন্ধকারের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে গ্রাম-বাংলা।

আমি দেখেছি, বস্তৃত স্বপ্লেই দেখেছি, সেই লোকটি
এই অবশিষ্ট নদীর
ভূতপূর্ব খেয়া পারাপারের মাঝি
সে আজ হেঁটে এই নদী পার হয়ে এসে
অপমানিত
নুয়ে আছে তার শরীর–
ঘোলাটে জলে তার মুখের কোনো ছায়া পড়ে না।
এই একটা দুঃখের দৃশ্য
এই একজন বিষন্ন মানুষ।
সে উঠে আসে আস্তে আস্তে
বিড়ি ধরাবার জন্য অন্য একজনের কাছে
আগুন চায়
অন্য লোকটি অবাঙমানসগোচর,
দেশলাই বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
কী হে কেমন?
সে সামান্য হেসে বলে, ভালোই আছি–
তারপর কালপুরুষের দিকে ধোঁয়া ওড়ায়

এই একটা দুঃখের দৃশ্য
এই একজন বিষণ্ণ মানুষ
এখানে রয়েছে নদী-বিচ্ছেদের কাহিনী—
এর সঙ্গে আমার বা তোমার দুঃখের
কোনো তুলনাই হয় না।