১৯. সত্যিকারের ভয়

কাকাবাবু প্রথমটায় সত্যিকারের ভয় পেয়ে আঁতকে উঠলেন।

পাথর কেটে বানানো হয়েছে একটা চৌকো মতন টেবিল। তার ওপর হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে সন্তু। দেখলেই মনে হয়, সে মরে গেছে।

কাকাবাবু সন্তুর দিকে ছুটে যাবার চেষ্টা করলেন। কিন্তু দুজন মুখোশধারী তাঁর হাত চেপে ধরে আছে। কাকাবাবু প্ৰচণ্ড শক্তিতে নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করেও পারলেন না।

তিনি ধরা গলায় বললেন, এ কী! সন্তু এখানে এল কী করে? তোমরা সন্তুকে নিয়ে কী করেছ?

মুখোশধারীরা কোনও উত্তর দিল না। ডান পাশ থেকে অন্য একজন কেউ বলল, হ্যালো, মিঃ রায়চৌধুরী। ড়ু ইউ রেকগনাইজ মী?

কাকাবাবু সেদিকে তাকিয়ে দেখলেন, একটা খুব উঁচু চেয়ারে একজন সাহেব বসে আছে, আগাগোড়া কালো রঙের পোশাক পরা। এর মুখে কোনও মুখোশ নেই। মাথার চুলগুলো টকটকে লাল। তার গলায় ঝুলছে একটা সোনার হার, তাতে ঝুলছে একটা লকেট। লকেটটা আর কিছুই না, মানুষের দাঁতের চেয়েও অনেক বড় একটা দাঁত সোনা দিয়ে বাঁধানে।

কাকাবাবু প্ৰথমে ভাল করে দেখতে পেলেন না। তাঁর দু চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে। সন্তুকে যে তিনি এত ভালবাসেন, সেটা আগে তেমন ভাবে বোঝেননি। অনেক দুঃখকষ্টেও তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়ে না। লোকজনের সামনে কাঁদবার মতন মানুষই তিনি নন। কিন্তু এখন তিনি চোখের জলও মুছতে পারছেন না, মুখোশধারীরা তাঁর হাত পেছন দিকে মুড়ে চেপে ধরে আছে।

তিনি ঘৃণার সঙ্গে বললেন, তোমায় চিনিব না কেন? তুমি কেইন শিপটন। আমার ভাইপোকে তোমরা মেরে ফেলেছি। এইটুকু একটা ছেলেকে মারতেও তোমাদের দ্বিধা হয় না? তুমি এতবড় খুনী? ছিঃ!

কেইন শিপটন হা-হা করে হেসে উঠল।

কাকাবাবু আবার বললেন, তোমার বাবাকে আমি চিনতুম। কতবড় লোক ছিলেন তিনি, তাঁর ছেলে হয়ে তোমার এই কাণ্ড! আমি তোমার সম্পর্কে সব খবর নিয়েছি। অল্প বয়েস থেকেই তোমার হঠাৎ বড়লোক হবার শখ। সেইজন্যই তুমি একবার ভাড়াটে সৈন্য হয়ে আফ্রিকার কঙ্গোতে নিরীহ লোকদের খুন করতে গিয়েছিলে। তারপর এক এভারেস্ট-অভিযাত্রী দলের সঙ্গে মিশে এখানে এসেছিলে। মিথ্যে মিথ্যে ইয়েতির গল্প রটিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিলে একদিন। এখানে তুমি কোনও বিদেশি গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজ করছি। আমি সব বুঝেছি। তা বলে ঐটুকু একটা ছেলেকে মেরে ফেললে! তোমার কি বিবেক বলে কিছুই নেই? ওর বদলে তো তুমি আমাকে মারতে পারতে! আমিই তোমার আসল শত্রু!

কেইন শিপটন হাত তুলে বলল, অনেক কথা বলেছ, এবার থামো রায়চৌধুরী। তোমার এই ভাইপো একটা টেরিবল কিড। আজ পর্যন্ত কেউ যা পারেনি, এমন-কী তুমিও পারেনি, ও তাই পেরেছে। ও আমাদের এই মাটির নীচের বাঙ্কারে ঢোকার দরজা আবিষ্কার করে ফেলেছে। ওর আর বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই।

কাকাবাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, যাক, তবু ওর মৃত্যু বিফলে যায়নি। ও দেশের কাজ করার জন্য মরেছে। ও যখন দরজা আবিষ্কার করে এখানে ঢুকেছে, তখন বাইরে কোনও চিহ্ন রেখে এসেছে নিশ্চয়ই। বাইরে থেকে সাহায্য আসবে, তোমরা সবাই ধরা পড়বে।

কেইন শিপটন বলল, ডোনট বী। টু অপটিমিসটিক, রায়চৌধুরী। দরজা আমরা আবার সীল করে দিয়েছি, বাইরে থেকে আর বোঝবার কোনও উপায় নেই। তা ছাড়া তোমার খেলনাটাও কোনও কাজে লাগবে না।  কেইন শিপটন এবার হুকুমের সুরে বলল, আনড্রেস হিম! অমনি চার-পাঁচজন মুখোশধারী কাকাবাবুকে জাপটে ধরে তাঁর পোশাক খুলে ফেলতে লাগল। বাধা দিয়ে কোনও লাভ নেই বলে কাকাবাবু চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন। কাকাবাবুর ওভারকেট, ওয়েস্টকোট, সোয়েটার, শার্ট সব খুলে ফেলার পর একেবারে নীচের উলের গেঞ্জির সঙ্গে লাগানো ছোট যন্ত্র দেখতে পাওয়া গেল। মুখোশধারীরা যন্ত্রটা খুলে নিয়ে দিল কেইন শিপটনের হাতে।

কেইন শিপটন সেটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে বলল, হঁ, কিউট লিটল থিং! শোনো রায়চৌধুরী, তুমি গম্বুজে বসে রেডিও টেলিফোনে যে-সব খবর পাঠাতে, সেই সব খবরই আমরা ইনটারসেপট করেছি। তোমার বুকের এই যন্ত্রটায় মাঝে-মাঝে বিপ-বিপ। শব্দ হয়, আর সিয়াংবোচির রিসিভিং সেন্টারে সেটা ধরা পড়ে। তার থেকে তারা জানতে পারে, তুমি কখন কোথায় আছাঁ! তুমি আগে থেকেই এই ব্যবস্থা করে এসেছিলে। কিন্তু এটাও আমরা জানতে পেরে গেছি, সেইজন্যই গত চব্বিশ ঘণ্টা আমরা সমস্ত ওয়েভ লেংথ জ্যাম করে দিয়েছি, তোমার এই যন্ত্রের পাঠানো আওয়াজ কেউ ধরতে পারবে না, বুঝলে? সুতরাং তুমি এখন কোথায় আছ, তা জানার সাধ্য বাইরের কারুর নেই। ক্লিয়ার?

কাকাবাবু এর উত্তরে সংক্ষেপে বললেন, আমার পোশাকগুলো ফেরত পেতে পারি? আমার শীত করছে।

যদিও মাটির নীচে এই জায়গাটা বেশ গরম, তবু মাঝে-মাঝে এক-এক ঝলক ঠাণ্ডা বাতাস আসছে যেন কোথা থেকে। কাকাবাবু পোশাক পরতে লাগলেন, মুখোশধারীরা একটু দূরে সরে দাঁড়াল। ওদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে কাকাবাবু আর স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন সন্তুকে।

মুখোশধারীরা এসে কাকাবাবুকে আবার ধরে ফেলার আগেই তিনি উঠে দাঁড়ালেন। তাঁর মুখে হাসি ফুটে উঠল। সন্তুর গা গরম। কোনও মরা মানুষের গা এরকম গরম হয় না।

কেইন শিপটন বলল, হ্যাঁ, এখনও বেঁচে আছে। ছেলেটি ওপর থেকে গড়িয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল, সঙ্গে-সঙ্গে ওকে ঘুমের ওষুধের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে, যাতে ও এখানকার কিছুই দেখতে না পায়, কিম্বা বুঝতে না পারে।

কাকাবাবু বললেন, ধন্যবাদ। তবে ওকে ঐ রকম হাত-পা ছড়ানো অবস্থায় শুইয়ে রেখেছন কেন? দেখলেই মনে হয় যেন এক্ষুনি ওর পোস্টমর্টেম করা হবে।

কেইন শিপটন বলল, ওর ভাগ্য এখন আপনার হাতে নির্ভর করছে। ওকে আমরা মেরে ফেলতে পারি অথবা ওপরে নিয়ে গিয়ে এই অবস্থায় শুইয়ে রেখে আসতে পারি, এখানকার কথা ওর কিছুই মনে থাকবে না।

কাকাবাবু খুব তাড়াতাড়ি চিন্তা করতে লাগলেন। সন্তু এখানে একা এল কী করে? সন্তু যে এখানকার গুপ্ত দরজাটা আবিষ্কার করে ঢুকে পড়েছে, তখন আর কেউ সন্তুকে দেখেনি? সন্তু একা ছিল? রানা, ভামা, মিংমা-ওরা সব কোথায় গেল? এরা যদি সন্তুকে এক-একা ওপরে শুইয়ে রেখে আসে এরকম অবস্থায়, তা হলেও কি সন্তু বাঁচবে? এখন দিন না। রাত তা বোঝার উপায় নেই। যদি রাত হয়, তা হলে বাইরে ঠাণ্ডায় সন্তু জমে যাবে।

উত্তরে তিনি বললেন, আমার উপর নির্ভর করছে মানে? এই ছেলেটিকে বাঁচাবার বদলে তোমরা আমার কাছ থেকে কী চাও?

কেইন শিপটিন বলল, আমাদের এখানকার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আর দু মাসের মধ্যে আমরা এ-জায়গাটা ছেড়ে চলে যাব। যন্ত্রপাতি সব বসানো হয়ে গেছে, এই সব যন্ত্র এখন নিজে থেকেই চলবে।

কাকাবাবু পেছন ফিরে একবার তাকালেন। কাছেই একটা জায়গা গোলভাবে রেলিং দিয়ে ঘেরা। তার মধ্যে নিশ্চয়ই একটা বেশ গভীর গর্ত মতন আছে। সেখান থেকে আবছা নীল রঙের আলো উঠে আসছে, আর হালকা ধোঁয়া ভাসছে।

কাকাবাবু জিজ্ঞেস করলেন, কিসের যন্ত্রপাতি? গুপ্তচরের কাজের জন্য নিশ্চয়ই! তোমরা কোন দেশের হয়ে কাজ করছি?

সেটা তোমার জানিবার দরকার নেই। হ্যাঁ, যা বলছিলাম, দু মাস পরে আমরা এখান থেকে চলে যাব, শুধু একজন লোক এখানে থাকবে। সেই লোকটি কে বলো তো? তুমি?

আমি?

হ্যাঁ। তোমাকে আর আমরা ওপরে উঠতে দিতে পারি না। তুমি বড় বেশি জেনে গেছ। তোমাকে আমরা খেতে না দিয়ে আস্তে-আস্তে মেরে ফেলতে পারি, অথবা তুমি যদি আমাদের হয়ে কাজ করতে রাজি থাকো, সেটা তোমার পক্ষেই ভাল। খাবার-দাবার এখানে সবই পাবে, বেশ আরামেই থাকবে। তিন-চার মাস অন্তর-অন্তর আমাদের লোক এসে তোমার যা-যা দরকার সব দিয়ে যাবে। শুধু একটা কথা, জীবনে আর কখনও তুমি ওপরে উঠতে পারবে না।

তুমি মুখের মতন কথা বলছি, কেইন শিপটন। ধরে আমি তোমাদের কথায় রাজি হলুম, তারপর তোমরা এখান থেকে চলে গেলেই তো আমি এখানকার সব যন্ত্রপাতি ভেঙে ফেলতে আরম্ভ করব। জেনেশুনে আমি বিদেশি গুপ্তচরদের সাহায্য করব? কিসের জন্য? টাকা? আমি যদি আর কোনওদিন ওপরে উঠতে না পারি, তা হলে টাকা দিয়ে আমি কী করব?

রায়চৌধুরী, এখানকার যন্ত্রপাতি ভাঙবার সাধ্য তোমার নেই। এখানে এমন যন্ত্র আছে, যা ছোঁয়া মাত্ৰ তুমি মরে যাবে।

কোনও নিউক্লিয়ার ডিভাইস?

আমি ভেবেছিলাম, তুমি সেটা আগেই বুঝবে।

বুঝিনি। তবে সন্দেহ করেছিলাম। এখানে যে বিদেশি গুপ্তচরচক্র খুব বড় রকমের একটা কিছু কারবার করছে, এই সন্দেহের কথা আমি ভারত সরকার আর নেপাল সরকারকে বারবার জানিয়েছি। কেউ আমার কথা বিশ্বাস করেনি।

সেইজন্যই তুমি একটা ঐ পিকিং-দাঁত সঙ্গে নিয়ে ইয়েতি কিংবা প্রি-হিস্টোরিক ম্যানের সন্ধানের ছুতো করে এখানে এসেছিলে।

সেরকম একটা দাঁত তো তুমিও গলায় ঝুলিয়ে রেখেছ! এতে সৌভাগ্য আছে। এটা গলায় ঝোলাবার পর থেকে আমি আর কোনও কাজে ব্যর্থ হইনি।

নিছক কুসংস্কার। তোমার মতন সাহেবরাও কুসংস্কার মানে! আমার কিন্তু এখনও বিশ্বাস, এই রকম দাঁতওয়ালা আদিমকালের কিছু মানুষ এখনও এদিকে কোথাও আছে। কোনও গহন-দুৰ্গম অঞ্চলে।

তাদের খোঁজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলেই পারতে। আমাদের ব্যাপারে নাক না-গলালে তোমাকে এই বিপদে পড়তে হত না। যাই হোক, শোনো। আমরা চলে যাবার পরেও যে এখানে কোনও লোক রাখার দরকার আছে তা নয়। তোমাকে এই প্ৰস্তাব দিচ্ছি, তার কারণ, এটাই তোমার বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। তুমি আমাদের সাহায্য না করলে, আমরা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখব কেন?

আমাকে মৃত্যু-ভয় দেখিও না, কেইন শিপটন। একজন সাধারণ মানুষের জীবনে যত ঘটনা ঘটে, আমার জীবনে অন্তত তার দাশগুণ বেশি ঘটনা ঘটেছে। সেই হিসেবে আমি দশবার বেঁচে আছি। এখন যে-কোনও দিন আমার মৃত্যু হলেও আমার কোনও দুঃখ নেই। আমি তোমাদের পরিষ্কার জানিয়ে রাখছি, আমার শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমি চেষ্টা করব তোমাদের ধরিয়ে দেবার। আমার ওপরে তোমরা যতই অত্যাচার করো, তবু তোমাদের মতন ঘূণ্য গুপ্তচরদের আমি কোনও সাহায্যই করব না! তবে-

আরও কিছু বলবে? আজকে আমরা সবাই এখানে বেশ ছুটির মুডে আছি, তাই তোমার এই সব লম্বা-লম্বা লেকচার শুনছি। অন্য দিন আমরা এই সময় খুব কাজে ব্যস্ত থাকি। তবে কী?

আমি চাই, এই ছেলেটি বেঁচে থাক। আমার ভাইপো সন্তু, ওঁর এত কম বয়েস-অবশ্য দেশের কোনও কাজ করতে গিয়ে যদি মরে যায়, তাতে দুঃখ নেই। তোমরা আমাকে এখানে আটকে রাখতে চাও রাখো, কিন্তু ওকে ছেড়ে দাও।

কিন্তু তুমি তোমার খোঁড়া পা নিয়েই কারুকে লাথি মারবে, কারুর গলা টিপে ধরবে, এসব ঝামেলা তো আমরা বারবার সহ্য করব না। তুমি যদি আমাদের সাহায্য করতে রাজি না থাকে, তা হলে তোমার হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে এক জায়গায় ফেলে রাখা হবে।

তই রাখো। কিন্তু এই ছেলেটিকে অজ্ঞান অবস্থায় বাইরে ফেলে রেখে এলে ও বাঁচবে কী করে? তুষারপাত হলেই তোমরা যাবে।

সেটা ওর ভাগ্য। বাঁচতেও পারে, মরে যেতেও পারে। ও যেখানে শুয়ে থাকবে, তার পাশে দেখা যাবে ইয়েতির কয়েকটা পায়ের ছাপ। ও যদি কোনও গুহার গল্পও বলে, তা হলে অন্যরা ভাববে সেটা ইয়েতির গুহা। ইয়েতিই ওকে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।

এই সময় কাকাবাবুর চোখ চলে গেল সন্তুর দিকে। সন্তুর চোখের পাতা দুটো যেন কেঁপে উঠল দু একবার। একটা হাত পাশে বুলিছিল, সেটা আস্তে বুকের ওপর রাখল।

কেইন শিপটনও এই ব্যাপারটা দেখে ফেলেছে। সে অমনি ব্যস্ত হয়ে বলল, কুইক, কুইক, ইঞ্জেকশান দাও। দা কিড মাস্ট নট সি হিজ আঙ্কল হীয়ার।

দুজন মুখোশধারী ছুটে গেল একটা ঘরের মধ্যে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ নিয়ে বেরিয়ে এল।

সন্তু এবার একটু পাশ ফিরে কাতরভাবে শব্দ করল, আঃ! তখনও তার চোখ বোজা।

কেইপ শিপটিন অন্য মুখোশধারীদের বলল, শিগগির রায়চৌধুরীকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাও!

তারা কাকাবাবুকে আবার চেপে ধরতেই তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন, না, ওকে আর ইঞ্জেকশান দিও না।