৫. চন্দনও এসে পড়েছে

০৫.

তিন চারটে দিন দেখতে দেখতে কেটে গেল। চন্দনও এসে পড়েছে। তারাপদরা যেভাবে এসেছিল সেই ভাবেই। জিপ গিয়েছিল চন্দনকে আনতে, সঙ্গে ছিল তারাপদ। দশরথ আর জোসেফের সামনে দুই বন্ধু কেউই মুখ খোলেনি, অন্য পাঁচ রকম গল্প করেছিল, কখনো কখনো সাঁটে কথা বলছিল।

চন্দন বুঝতে পারল, কিকিরা কোনো দিকেই এগুতে পারেননি.; লাইব্রেরি ঘরে বসে বসে দিন কাটাচ্ছেন আর চুরুট যুঁকছেন, কাগজ-পেনসিল নিয়ে অকারণে লিস্টি করছেন। চন্দন মনে মনে একটু যেন খুশিই হল, কিকিরা এবার জব্দ হয়েছেন। বললে শোনেন না, কোথাকার কোন্ দীপনারায়ণ গিয়ে এক গাঁজা ছাড়ল, আর এক অন্তর্যামী রামপ্রসাদ কী বলল-কিকিরা অমনি নাচতে নাচতে ছুটে এলেন এবয়সে এ-সব পাগলামি করলে কি চলে!

এ-সব দিকে চন্দনও আগে আসেনি। বেড়াতে আসার পক্ষে জায়গাটা নিঃসন্দেহে ভাল। তবে কখনো কখনো ঘন জঙ্গল দেখে তার মনে হচ্ছিল, সিনেমার ছবিতে আফ্রিকার জঙ্গল বলেও এটা চালিয়ে দেওয়া যায়।

.

গেস্ট হাউসে পৌঁছে কিকিরার সঙ্গে দেখা হল। বললেন, “এসো এসো স্যান্ডাল উড, তোমার জন্যেই হাঁ করে বসে আছি।”

চন্দনহেসে বললে, “শুনলাম তাই তারার কাছে, বসে আছেন, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না।”

“এখনো পারিনি।”

“পারবেন বলে মনে হয়?”

“দেখা যাক। তুমি আমার জিনিস এনেছ?”

“এনেছি।” বলে চন্দন চোখের ইশারায় তারাপদকে দেখাল, বলল, “তারা জানে?”

“না।”

 চন্দন বলল, “সে কী? তারা জানে না?” তারাপদর দিকে তাকাল চন্দন। “কিকিরা আমায় খানিকটা কুকুর-বিষ আনতে বলেছিলেন–জানিস। সিক্রেট মেসেজ। খামের ওপর ছোট্ট করে লিখেছেন–ব্রিং ডগ পয়জন তার ওপর স্ট্যাম্প মেরে দিয়েছেন। কার বাবার সাধ্যি ধরে। স্ট্যাম্প না তুললে দেখা যাবে না।”

তারাপদর মনে পড়ল, হাওড়া স্টেশন ছাড়ার আগে কিকিরা চন্দনকে এই ম্যাজিকটা বলে দিচ্ছিলেন। বলেছিলেন, চিঠি মতন কাজ করা, কোনো স্পেশ্যাল মেসেজ থাকলে ওই কায়দায় জানাব।

তারাপদ কিকিরার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল, বুঝতে পারল না কুকুর-বিষ কী কাজে লাগবে। কুকুর মারবেন নাকি কিকিরা? কিকিরাও কিছু বললেন না।

স্নান খাওয়া-দাওয়া সেরে চন্দন এসে তারাপদর ঘরে শুয়ে পড়ল। চন্দনের জন্যে একটা বাড়তি খাট তারাপদর ঘরে ঢোকানো হয়েছে। আলাদা ঘর অবশ্য ছিল কিন্তু চাকরবাকরকে বলে কয়ে একই ঘরে দু জনের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।

সিগারেট ধরিয়ে বিছানায় শুয়ে চন্দন বলল, “বল, এবার তোদের গোয়েন্দাগিরি শুনি।”

তারাপদ রাজবাড়ির একটা বর্ণনা ও বিবরণ দিল। কারা থাকে, কে কী করে, কার কার ওপর আলাদা করে নজর রাখার চেষ্টা করছেন কিকিরা, সে-সব বৃত্তান্তও বলল। শেষে তারাপদ হতাশ গলায় বলল,”আমাদের কী কাজ হয়েছে জানিস এখন?”

 “কী?”

“সকাল বেলায় চা-টা খেয়ে এক দিস্তে কাগজ, এক বান্ডিল পুরনো ক্যাটালগ, গোটা তিনেক ছোট বড় ম্যাগনিফায়িং গ্লাস, কার্বন পেপার, পেনসিল নিয়ে লাইব্রেরিতে ঢোকা। বেলা বারোটা পর্যন্ত ওই ঘরে বসে থাকতে হয়। স্নান খাওয়া-দাওয়ার জন্যে ঘণ্টা দেড়েক ছুটি। আবার যাই, সারাটা দুপুর কাটিয়ে ফিরি।”

“করিস কী?”

“ঘোড়ার ডিম। বইয়ের নাম লিখি সাদা কাগজে। মাঝে মাঝে পাতা ওলটাই। বই ঘাঁটি।”

“কিকিরা কী করেন?”

“বায়নাকুলার চোখে দিয়ে এ-জানালা সে-জানালা করে বেড়ান মাঝে মাঝে। আর মন্ত-মস্ত ছবিগুলো দেখেন কখনো-সখনো চুরুট ফোঁকেন। খেয়াল হলে বই দেখেন।”

“তার মানে–তোরা বসে বসে ভেরাণ্ডা ভাজছিস?”

“পুরোপুরি!..তবে একটা কথা সত্যি চাঁদু, টাকা থাকলে বড়লোকদের শখ যে কেমন হয়–তুই রাজবাড়ির লাইব্রেরি দেখলে বুঝতে পারবি। এক-একটা ছবি আছে–দেখলে মনে হবে দেওয়ালসাইজের, এত বড়। বইয়ের কথাই বা কী বলব! গাদা গাদা বই নানা ধরনের, অর্ধেক বইয়ের পাতাও কেউ ছোঁয়নি। শুধু শখ করে মানুষ এত টাকা খরচ করে তুই না দেখলে বিশ্বাস করবি না।”

চন্দনের ঘুম আসছিল। জড়ানো চোখে আলস্যের গলায় বলল, “দুর–তোরা ফালতু এসেছিস। একটা অ্যাডভেঞ্চার গোছের কিছু হলেও বুঝতাম।”

তারাপদ একটু চুপ করে থেকে বলল, “আমাদের ওপর এরা চোখ রেখেছে।”

“কাবা?”

“শশধররা। প্রথম দিন আমরা যখন দীপনারায়ণের সঙ্গে দেখা করতে যাই–আমাদের ঘরে কেউ ঢুকেছিল। কিকিরার মনে সন্দেহ হয়, আমরা যখন থাকব না–কেউ ঘরে ঢুকতে পারে। তিনি দরজা বন্ধ করার পর কতকগুলো দেশলাইকাঠি চৌকাঠে সাজিয়ে রেখেছিলেন। দরজা খুলে ঢুকতে গেলেই পা লাগার কথা। দীপনারায়ণের কাছ থেকে ফিরে এসে আমরা দেখলাম, কাঠিগুলো ছড়িয়ে রয়েছে।” তারাপদর মনে পড়ল, কিকিরা চশমা আনার ছুতো করে সেদিন কেমন ভাবে কাঠি সাজিয়ে এসেছিলেন।

চন্দন ঘুম-ঘুম চোখে বলল, “আর কিছু নয়?”

তারাপদ বলল, “সন্ধের পর এখানে থাকা যায় না। ঘুটঘুট করছে অন্ধকার। শীতও সেই রকম। যত রাত বাড়ে, হাত পা একেবারে জমে যায়। তার ওপর এখানে কত কী যে হয়, চাঁদ! এ একটা ভুতুড়ে জায়গা। পাঁচ সাতটা কুকুর রাত্তিরে মাঠের মধ্যে ছুটে বেড়ায়, একবার ডাকতে শুরু করল তো সে কী ডাক ভাই, বুক কেঁপে যায়। ইন্দর বলে একটা লোক আছে রাজবাড়িতে, মাথায় ঝাঁকড়া চুল, গাল-ভরা দাড়ি, ছুরির মতন চোখ; সে আবার মাঝে মাঝে ঘোড়া ছুটিয়ে ঘুরে বেড়ায়, সঙ্গে কুকুর। মোটরবাইক চালায় ঝড়ের মতন। একদিন তো আমার ঘাড়ে এসে পড়েছিল প্রায়।”

চন্দন কিছুই শুনছিল না। ঘুমিয়ে পড়েছিল।

.

দুপুরে কিকিরা লাইব্রেরিতে যাননি, তারাপদও নয়। বিকেলে চন্দনকে নিয়ে বেড়াতে বেরোলেন কিকিরা, সঙ্গে তারাপদ। রাজবাড়ির চৌহদ্দিটাই ঘুরে দেখাচ্ছিলেন কিকিরা। সেটা কম নয়। উঁচু পাঁচিল দিয়ে চারপাশ ঘেরা। একটা মাত্র বড় ফটক। চারদিকে মস্ত মাঠ, বড় বড় গাছ সারি করে সাজানো, একপাশে ফুলবাগান, চৌকোনা বাঁধানো পুকুরটা পশ্চিমদিকে, তারই কাছাকাছি মন্দির। এ-সব হল মূল রাজবাড়ির বাইরে, মুখোমুখি। রাজবাড়িতে ঢোকার মুখে আবার এক মস্ত লোহার ফটক। অবশ্য রাজবাড়ির বাইরের দিকের ঘর, বারান্দা সবই দেখা যায়। বাইরের দিকটায় বাইরের মহল, রাজবাড়ির কাউকে বড় একটা দেখাও যায় না।

বেড়াতে বেড়াতে চন্দন নানারকম প্রশ্ন করছিল। কিকিরা জবাব দিচ্ছিলেন। তারাপদও কথা বলছিল। চন্দন বুঝতে পারছিল, এক সময়ে রাজবাড়ির শখ-শৌখিনতা কম ছিল না, অর্থব্যয়ও হত অজস্র। এখন পড়তি অবস্থা। যা আছে পড়ে রয়েছে; কারও কোনোদিকে চোখ নেই, অর্থও নেই। যদি অর্থ এবং শখ-শৌখিনতা থাকত, তবে জাল দিয়ে ঘেরা, গোল, অত বড় পাখি-ঘরটায় মাত্র একটা ময়ুর পঁচিশ-ত্রিশটা পাখি থাকত না, আরও অজস্র পাখি থাকতে পারত। অমন সুন্দর পুকুরের কী অবস্থা! পাথর দিয়ে বাঁধানো পুকুরের চারপাশের পথের কী বিশ্রী হাল হয়েছে। বাঁধানো পুকুর, কিন্তু তার জলের ওপর শ্যাওলা আর শালুক-পাতা, জল চোখেই পড়ে না প্রায়। মন্দিরটা অবশ্য কোনোরকমে চকচকে করে রাখা হয়েছে। সকালে পুরোহিত এসে পুজোটুজো করেন, সন্ধেবেলায় আরতি হয়, অন্য সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।

চন্দনরা যখন পুকুরের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আচমকা শশধরকে দেখা গেল। গোলমতন একটা লতাপাতা-ঘেরা জায়গার পাশ দিয়ে বেরিয়ে এল।

নজরে পড়েছিল কিকিরার। দাঁড়িয়ে পড়লেন।

 শশধর এগিয়ে এল।

শশধর কাছে এলে কিকিরা বললেন, “এদিকে কোথায় সিংহীমশাই?”

শশধর বলল, “ওদিকে গিয়েছিলাম। যন্ত্রপাতি খারাপ হয়ে গেলে মেরামতের যা হাল হয়–” বলে শশধর অনেকটা দূরে রাখা একটা ছোট ট্রাকটর দেখাল।

চন্দনের সঙ্গে শশধরের আলাপ করিয়ে দিলেন কিকিরা।”তারাপদর বন্ধু। ওর সঙ্গে আপনার আলাপ হয়নি।”

শশধর বলল, “দুপুরে আমি ছিলাম না। উনি আসছেন শুনেছিলাম।”

“ছেলেটি বড় কাজের সিংহীমশাই। বয়স কম, কিন্তু চোখ বড় পাকা। পুরনো জিনিস ঠাওর করা মুশকিল, আসল নকল বোঝা যায় না। চন্দন এসব ব্যাপারে পাকা লোক। ঠিক জিনিসটি ধরতে পারে। কলকাতার মিউজিয়ামে চাকরি করে করে চোখ পাকিয়ে ফেলেছে।”

শশধর ধূর্তের মতন বলল, “আপনার দলের লোক?”

কিকিরা ঘাড় নেড়ে হাসি মুখে বললেন, “ধরেছেন ঠিক।…আমার যখনই কোনো ব্যাপারে সন্দেহ হয়, ওকে ডেকে পাঠাই, সে ছবিই বলুন বা দু-একশো বছরের পুরনো কিছু জিনিস হলেই। আপনাদের রাজবাড়িতে কত যে জিনিস আছে সিংহীমশাই যার মূল্য আপনারাও বোঝেন না। চন্দনের আবার এসব ব্যাপারে বড় শখ। চোখে দেখলেও ওর শান্তি। বড় গুণী ছেলে ভাল কথা, আপনি কি কোনো দৈবচক্ষুর কথা শুনেছেন?”

“দৈবচক্ষু?”

“আছে। এই রাজবাড়িতেই আছে।” কিকিরা বললেন।

শশধর আর দাঁড়াল না। বলল, “উনি আছেন; পরে আলাপ করব। আমি যাই।”

শশধর চলে গেল। কিকিরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেন কিছুক্ষণ। তারপর চন্দনদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, “এই শশধরটাকে আমি প্রায়ই এই পুকুরের দিকটায় ঘোরাফেরা করতে দেখি! কী ব্যাপার বলো তো?”

চন্দন বলল, “সে তো আপনিই বলবেন!”

মাথা নেড়ে কিকিরা বললেন, “না, লোকটা মিছেমিছি এদিকে ঘুরে বেড়াবার পাত্র নয়। কিছু রহস্য আছে।” বলে কিকিরা চুপ করে গিয়ে কিছু যেন ভাবতে লাগলেন, চারদিক দেখতে লাগলেন তাকিয়ে-তাকিয়ে।

চন্দন বলল, “কিকিরা স্যার, আমার মনে হচ্ছে আপনিই বেশি রহস্যময়।”

“কেন?”

“আপনি এখানে বসে বসে যে কী করছেন আমি বুঝতে পারছি না। তারা বলছিল, আপনি রোজ সকালে এক দফা, আর দুপুরে এক দফা তারাকে সঙ্গে করে লাইব্রেরিতে গিয়ে বসে থাকেন। মাত্র দু বার দীপনারায়ণের সঙ্গে। আপমার দেখা হয়েছে এ পর্যন্ত।”

কিকিরা একবার তারাপদকে দেখে নিয়ে চন্দনকে বললেন, “লাইব্রেরিতে আমি বসে থাকি না চন্দন, বসে বসে দেখি-সব দেখি, অবজার্ভ করি। আমার একটা বায়নাকুলার আছে, তারাপদ তোমায় বলেনি?”

“বলেছে?”

“লাইব্রেরির পজিশনটা খুব ভাল। বড় বড় জানলা, স্কাই লাইট। দূরবীন চোখে লাগিয়ে বসে থাকলে ভেতর আর বাইরের অনেক কিছু দেখা যায়। শশধরটাকে আমি এদিকে ঘোরাফেরা করতে যে দেখেছি, সে তত ওই দূরবীন চোখে দিয়েই।”

“বেশ করেছেন দেখেছেন। কিন্তু শশধরকে দেখেই দিন কাটাচ্ছেন?”

“না”, মাথা নাড়লেন কিকিরা, “ব্রেন শেক্‌ করছি?”

 চন্দন হাঁ হয়ে গেল। “সেটা কী?”

“মগজ নাড়াচ্ছি”, গম্ভীর মুখে কিকিরা বললেন।

চন্দন প্রথমটায় থমকে গেল, তার পর হো হো করে হেসে উঠল। তারাপদও।

হাসি থামিয়ে চন্দন বলল, “কিছু তলানি পেলেন, স্যার?”

“গট অ্যান্ড নো গাই।”

“তার মানে?”

“পাচ্ছি আবার পাচ্ছিও না। চলো, ঘরে ফিরি, তারপর বলব।”

তিনজন গেস্ট হাউসের দিকে ফিরতে লাগলেন। শীতের বিকেল বলে আর কিছু নেই, অন্ধকার হয়ে আসছিল। আকাশে দু একটা তারা ফুটতে শুরু করেছে। বাতাসও দিচ্ছিল ঠাণ্ডা।

গেস্ট হাউসের কাছাকাছি পৌঁছতে শব্দটা কানে গেল। রাজবাড়ির দিক থেকে একটা গাড়ি বেরিয়ে আসছে। মোটর বাইক। আলো পড়ল। ভটভট শব্দটা কানে গর্জনের মতন শোনাল। যেন ঝড়ের বেগে গাড়িটা রাস্তা ধরে সোজা বড় ফটকের দিকে চলে গেল।

হাত বিশেক দূর থেকে কিকিরা মানুষটিকে দেখতে পেলেন।

ইন্দরের পরনে প্যান্ট, গায়ে সেই চামড়ার কোট, গলা পর্যন্ত বন্ধ। মাথায় একটা টুপিকালো রঙেরই।

যাবার সময় ইন্দর একবার তাকাল। দেখল কিকিরাদের।

 বড় ফটকের কাছে একটু দাঁড়াতে হল ইন্দরকে, বোধ হয় ফটক খোলার জন্য। তারপর বেরিয়ে গেল। তার মোটর বাইকের শব্দ বাতাসে ভেসে থাকল কিছুক্ষণ; শেষে মিলিয়ে গেল।

কিকিরা বললেন, “আজ হল কী? এক সময়ে দুই অবতার?”

 চন্দন কিছু বুঝল না তারাপদও কথা বলল না।

হাঁটতে হাঁটতে কিকিরা বললেন, “ওই যে মানুষটিকে দেখলে চন্দন, ওর নাম ইন্দর। ও শুধু ভটভটি চালাতে পারে যে তা নয়, ওর অনেক গুণ। ঘোড়ায় চড়তে পারে, শিকার করতে পারে, কুকুর পোষে–আবার সার্কাসের রিং মাস্টারদের মতন খেলাও দেখাতে পারে। তবে বাঘ-সিংহর নয়, কুকুরের। ও হল দীপনারায়ণের কাকা ললিতনারায়ণের শ্বশুরবাড়ির লোক। এখানেই থাকে। বছর দশেক ধরে আছে। জয়নারায়ণের চেয়ে বয়েসে ছোট হলেও জয়নারায়ণের খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। লোকটাকে দিনের বেলায় দেখলে তুমি বুঝতে পারবে।”