০৭. ওয়ারেন হেস্টিংস ও সাম্রাজ্য স্থাপন

ওয়ারেন হেস্টিংস ও সাম্রাজ্য স্থাপন

১৭৭২ খ্রীস্টাব্দে বিলাতের কোর্ট অভ ডিরেকটরসরা ওয়ারেন হেষ্টিংসকে বাঙলার গভর্নর নিযুক্ত করেন। হেষ্টিংস বাঙলায় এসে বাণিজ্যিক ও শাসন প্ৰণালীর সংস্কারের প্রতি মনোযোগ দেন। বাণিজ্যিক ব্যাপারে তিনি ‘দন্তক’ প্রথার অবসান ঘটান। বিভিন্ন জমিদারীর মধ্যে অবস্থিত অসংখ্য কাস্টমস চৌকি দ্বারা ব্যবসায়ীরা যাতে না নিগৃহীত হয়, সেজন্য তিনি ওই সকল চৌকি তুলে দিয়ে কলকাতা, ঢাকা, মুরশিদাবাদ, হুগলি ও পাটনায় মাত্ৰ পাঁচটি কাস্টমস হাউস বসান। লবণ, শুপারি ও তামাক, যার ওপরে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্য অধিকার ছিল, সেগুলি ছাড়া তিনি সকল পণ্যের ওপর শুল্ক আড়াই শতাংশ হারে হ্রাস করেন। এই সকল সংস্কারের ফলে পণ্যদ্রব্যসমূহ বিনা নিগ্ৰহে দেশের এক প্ৰান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াত করতে থাকে। দ্বৈতশাসন অবসানের জন্য তিনি বাঙলা ও বিহার থেকে মহম্মদ রেজা খান ও সিতাব রায়কে তাদের পদ থেকে অপসারিত করেন। নবাবের গৃহস্থালীর তদারকী করবার ভার তিনি মীরজাফরের গ্ৰী মুনি বেগমের ওপর অর্পণ করেন ও তাকে সাহায্য করবার জন্য মহারাজ নন্দকুমারের পুত্র রাজা গুরুদাসকে নিযুক্ত করেন। নবাবের বৃত্তি তিনি ৩২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকায় হ্রাস করেন, ও খালসা (ট্রেজারী) মুরশিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন। আমিনগণ কর্তৃক রাজস্ব আদায় প্ৰথাও তিনি বন্ধ করে দেন, এবং তার ভার কালেকটরদের ওপর ন্যন্ত করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি দেশকে কয়েকটি জেলায় বিভক্ত করেন। কয়েকটি জেলা নিয়ে এক একটি ডিভিসন বা বিভাগ গঠন করেন, এবং হিসাবপত্র রাখবার জন্য প্ৰতি বিভাগে একজন করে দেওয়ান নিযুক্ত করেন। তাকে সাহায্য করবার জন্য প্ৰতি জেলায় একজন করে নায়েব দেওয়ান নিযুক্ত করা হয়। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সমস্ত প্ৰদেশ ছয়টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়, যথা কলকাতা, বর্ধমান, ঢাকা, মুরশিদাবাদ, দিনাজপুর ও পাটনা। কিন্তু রাজস্ব বিভাগের দুর্নীতি ও অত্যাচার রোধ করবার জন্য ১৭৮১ শ্ৰীস্টাব্দে তিনি (তখন তিনি গভর্নর-জেনারেল) বিভাগীয় কালেকটরের পদ লুপ্ত করে, তাদের স্থানে এদেশীয় কর্মচারী নিযুক্ত করেন ও তাদের তত্ত্বাবধানের জন্য কলকাতার চার সদস্যবিশিষ্ট (অ্যাণ্ডারসন, শোর, চাটরস ও ক্রফটস) এক কেন্দ্রীয় কমিটির ওপর ভার দেন। দুর্নীতিপরায়ণ বিচার পদ্ধতির উন্নতির জন্য তিনি দেওয়ানী মামলার জন্য দারোগা আদালত, দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের সংস্কার করেন। তা ছাড়া, কলকাতায় দু’টি আপীল আদালত স্থাপন করেন–দেওয়ানী বিচারের জন্য সদর দেওয়ানী আদালত এবং ফৌজদারী বিচারের জন্য সদর নিজামত আদালত।

আপীলের শুনানী প্রেসিডেন্ট ও কাউনসিলের দুই সদস্য শুনতেন, এবং দেওয়ানী মামলায় তাদের সাহায্য করতেন। খালসার (রাজকোষের) দেওয়ান ও প্রধান কানুনগো, এবং ফৌজদারী মামলায় নাজিমের সহকারী, প্ৰধান কাজি ও মুফতি ও তিনজন মৌলবী। এ ছাড়া, তিনি (১) আদালতের কার্যবিবরণী যাতে লিপিবদ্ধ হয়, (২) মোকদ্দমা রুজু করবার কাল-সীমা, (৩) বিবাদী সম্পত্তির, এক-চতুর্থাংশ উজ্জ্বল, (৪) অধমর্ণের দেহের ওপর উত্তমর্ণের অধিকার নাকচ, এবং (৫) সমস্ত বিবাদ যাতে সালিশীদ্বারা নিম্পত্তির চেষ্টা হয়, সে সম্পর্কে নিয়মকানুন প্ৰণয়ন করেন। এই ভাবে বিচার বিভাগের সংস্কার সাধন করবার পর, হেষ্টিংস দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। এ সময় বাঙলা দেশে ডাকাতির খুবই প্ৰকোপ ছিল। তাও তিনি দমন করেন। এ ছাড়া, কুচবিহার থেকে তিনি ভুটিয়াদের তাড়িয়ে দেন।

দুই

১৭৭৩ খ্রীস্টাব্দে পার্লামেণ্ট রেগুলেটিং অ্যাক্ট বিধিবদ্ধ করে। এই আইন দ্বারা ভারতে শাসনভারের দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকার গ্ৰহণ করেন। এই আইন দ্বারা। ইংলণ্ডে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির (ক) “কোর্ট অভ প্রোপ্ৰাইটরসদের ভোটাধিকার মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ পাউণ্ড মূল্যের শেয়ারহোলডারদের মধ্যে সীমিত করা হয়, (খ) কোম্পানির ডিরেকটরসদের কাৰ্যকালচার বৎসর নিদিষ্ট করা হয় ও শর্ত করা হয় যে তাদের এক-চতুর্থাংশকে প্রতি বৎসর অবসর গ্রহণ করতে হবে, (গ) কোর্ট অভ ডিরেকটরসদের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা হয়, এবং (ঘ) ভারতের শাসন সম্পর্কিত কোম্পানির প্রতি সামরিক ও বেসামরিক ব্যাপারু একজন সেক্রেটারী, অজু স্টেটের গোচরীভূত করা বাধ্যতামূলক করা হয়। তা ছাড়া; এই আইন দ্বারা ওয়ারেন হেষ্টিংসকে ভারতের গভর্নর-জেনারেল নিযুক্ত করা হয় (১৭৭৪)। বোম্বাই ও মাদ্রাজের গভর্নরদের তার অধীনস্থ করা হয়। শাসনকাৰ্যে তাঁকে সাহায্য করবার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট এক কাউনসিল গঠিত হয়। প্ৰতি বিষয় এই কাউনসিলের গরিষ্ঠসংখ্যক সদস্যদের মতামতের ওপর নির্ভর করে। গভর্নর-জেনারেলকে কাউনসিলের সভাপতি নিযুক্ত করা হয় এবং কোন বিষয়ে কাউনসিলের সদস্যরা যদি সমান সমান সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, তা হলে গভর্নর-জেনারেলের ‘কাষ্টিং’ ভোট দেবার ক্ষমতা থাকে। সঙ্গে সঙ্গে এক রাজকীয় সনদ দ্বারা কলকাতায় ইংরেজ বিচারপতিবিশিষ্ট সুপ্রিম কোটি নামে এক আদালত স্থাপন করা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয় যে বিচারপতিরা গভর্নর-জেনারেল ও কাউনসিল থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কোম্পানির কর্মচারীদের উপঢৌকন গ্ৰহণ করা রহিত করা হয়, এবং নির্দেশ দেওয়া হয় যে সামরিক ও বেসামরিক ব্যাপার সংক্রান্ত সকল বিষয় বিলাতে অবস্থিত একজন নব-প্রবর্তিত সেক্রেটারী অভ স্টেট-এর গোচরে আনতে হবে। গভর্নর-জেনারেলের মাহিনী নির্দিষ্ট হয় ২৫,০০০ পাউণ্ড, কাউনসিলের সদস্যদের ১০,০০০ পাউণ্ড এবং প্ৰধান বিচারপতির ৮,০০০ পাউণ্ড।

রেগুলেটিং অ্যাক্ট প্ৰবন্তিত হবার পর হেষ্টিংসকে সব সময়েই তার কাউনসিলের বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়। রহিলা যুদ্ধ ও ফৈজাবাদের সন্ধি সম্বন্ধে হেষ্টিংস-এর নীতি কাউনসিল নিন্দা করে। হেষ্টিংস-এর প্রতি এই বিরোধিতা শীঘ্রই সঙ্গিন আকার ধারণ করে। তার বিরুদ্ধে নানারকম তছরূপের অভিযোগ আসে। বর্ধমানের রাণী বলেন যে হেষ্টিংস তার কাছ থেকে উৎকোচ গ্ৰহণ করেছে। ১৭৭৫ খ্রীস্টাব্দে মহারাজ নন্দকুমার অভিযোগ আনেন যে হেষ্টিংস মুনি বেগমকে নাবালকদের অভিভাবক নিযুক্ত করার সময় মুনি বেগমের কাছ থেকে ৩,৫৪,১০৫ টাকা ঘুষ নিয়েছে। এর প্রতিরোধার্থে হেষ্টিংস নন্দকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন যে নন্দকুমার কামালুদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে হেস্টিংস-এর বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের মামলা দায়ের করতে প্ররোচিত করেছে। কিন্তু কামালুদ্দিন হেষ্টিংস-এর লোক প্রমাণিত হওয়ায় নন্দকুমার অব্যাহতি পান। তারপর নন্দকুমারের বিরুদ্ধে এক জালিয়াতির মামলা আনা হয়, এবং ইংরেজ বিচারপতিরা তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। ইংলণ্ডের আইন অনুযায়ী তার প্রাণদণ্ডের আদেস দেন (১৭৭৫)।

এই সময় মারাঠাদের সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধ বাধে। এটা প্ৰথম মারাঠা যুদ্ধ নামে প্ৰসিদ্ধ। বাঙলা দেশ থেকে সুদূর বোম্বাই প্রদেশে সৈন্য পাঠিয়ে ও কুটনীতি অবলম্বন করে হেষ্টিংস তাদের দমন করেন। এ ছাড়া, মহীশূরের অধিপতি হায়দার আলির সঙ্গেও যুদ্ধে লিপ্ত হন। এই যুদ্ধ সাংঘাতিক আকার ধারণ করে, এবং জঙ্গীলাটি স্তার আয়ার কুটি ও হায়দার দুজনেই নিহত হয়। হায়দারের মৃত্যুর পর তার পুত্র টিপু এই যুদ্ধ চালায়। শেষ পর্যন্ত হেষ্টিংস ১৭৮৪ শ্ৰীস্টাব্দে টিপুর সঙ্গে মাঙ্গালোরে এক সন্ধি করতে বাধ্য হন।

এদিকে ইংলণ্ডে হেষ্টিংস-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলে। পার্লামেণ্ট ভারতের ব্যাপার সম্পর্কে আগেই ১৭৭৩ খ্রীস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্ট দ্বারা বিলাতে ইস্ট · ইণ্ডিয়া কোম্পানির পরিচালনের স্বাধিকার সঙ্কুচিত করেছিল। তারপর ১৭৮৪ খ্রীষ্টাব্দের Pitt’s India Actদ্বারা ভারতে কোম্পানির কার্যকলাপ আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিলাতে একটি বোর্ড অভ কণ্টোল স্থাপন করা হয়। এই বোর্ডের মোট ছয় জন সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন চ্যান্সেলার অভ্যু একসাচেকার ও আর একজন বিলাতের মন্ত্রীসভার এক প্ৰধান সচীব। এই সচীবের নাম দেওয়া হয়েছিল। সেক্রেটারী অভ স্টেট ফর ইণ্ডিয়ান অ্যাফায়ারস। বোর্ডের ওপর ভারতের রাজস্ব, সামরিক ও বেসামরিক সমস্ত ব্যাপারের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ভার দেওয়া হয়। এখন থেকে কোম্পানির বোর্ড অভ্যু ডিরেকটরস কর্তৃক ভারতে প্রেরিত ও ভারত থেকে প্ৰাপ্ত সমস্ত কাগজপত্রের নকল বোর্ডের কাছে পেশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়। ভারতে শাসনভার গভর্নর-জেনারেল ও তিন সদস্যবিশিষ্ট এক কাউনসিলের ওপর ন্যস্ত করা হয়। রাজার সন্মতিক্রমে কোম্পানির ডিরেকটরগণকে গভর্নর-জেনারেল নিযুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া, বিলাতের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গভর্নর-জেনারেল ও তার কাউনসিল ভারতে কোন যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না। মাদ্রাজ ও বোম্বাই প্রেসিডেন্সীকে বাঙলার অধীনস্থ করা হয়।

গভর্নর-জেনারেলের ক্ষমতা এভাবে খর্ব করায় ১৭৮৫ খ্রীস্টাব্দে হেষ্টিংস পদত্যাগ করে বিলাতে চলে যান। সেখানে তিনি অন্যান্য কারণ ছাড়া, বারাণসীর সামন্ত রাজা চৈৎ সিংকে রাজ্যচ্যুত করা ও অযোধ্যার বেগমদের (নবাব ওয়াজির আসাফ-উদ-দৌলার মাতা ও পিতামহী) নিৰ্যাতনের জন্য অভিযুক্ত হন, এবং সাত বছর মামলা চলবার পর তিনি সসন্মানে মুক্তি পান। বার্ক, শেরিডান, ফক্স প্রভৃতি বিখ্যাত বাগ্মীরা এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতার জন্য প্ৰসিদ্ধ হয়ে আছেন।

তিন

হেষ্টিংস-এর পরবর্তী উত্তরাধিকারী স্যার জন ম্যাকফারসন-এর আমলে দেশের মধ্যে আবার বিশৃঙ্খলা প্ৰকাশ পায়। সেজন্য ১৭৮৬ খ্রীস্টাব্দে বিলাত থেকে লর্ড কর্নওয়ালিসকে গভর্নর-জেনারেল নিযুক্ত করে পাঠানো হয়। হেষ্টিংস। অপেক্ষা অনেক বেশী ক্ষমতা তার ওপর অৰ্পিত হয়। কাউনসিলের অধিকাংশের মতামতের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করবার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়। এরূপভাবে ক্ষমতাপন্ন হয়ে তিনি শাসনযন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতি বিমুক্ত করেন। ভারতের সিভিল সার্ভিসকে তিনি দু’ভাগে বিভক্ত করেন-(১) জুডিসিয়াল ও (২) একজিকিউটিভ। তাঁর সবচেয়ে বড় কীর্তি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, যার দ্বারা জমিদারদের অধিকার চিরস্থায়ী করা হয়। এ সম্বন্ধে কর্নওয়ালিসের যুক্তি ছিল, দশশালা বন্দোবস্তে জমিদারগণ জমি ও প্ৰজার উন্নতির প্রতি দৃষ্টি দেয় না। কিন্তু তাদের অধিকার চিরস্থায়ী করলে, তারা জমি ও প্ৰজার উন্নতির প্রতি যথাযথ নজর দেবে। কিন্তু কাৰ্যক্ষেত্রে এটা ঘটেনি। তাঁর আমলে বীরভূম, বঁকুড়া ও বগুড়া জেলায় ডাকাতির প্রকোপ আবার প্রকাশ পায়। কিন্তু কর্ণওয়ালিস তা অচিরে দমন করেন।

কর্ণওয়ালিসের উত্তরাধিকারী জন শোর-এর (১৭৯৩-১৭৯৮) আমল বিশেষ ঘটনাবহুল নয়। তাঁর পরবর্তী গভর্নর-জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলী (১৭৯৮-১৮০৫) সাম্রাজ্য বিস্তারের উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে আসেন। নেপোলিয়ান ভারত আক্রমণ করতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি ভারত থেকে ‘ফরাসী দূত’কে বিতাড়িত করতে দৃঢ় সঙ্কল্প হন। মহীশূরের শাসক টিপু সুলতান ফরাসীদের সঙ্গে চক্রান্ত করছে, জানতে পেরে তিনি টিপুর রাজ্য আক্রমণ করেন। ১৭৯৯ খ্ৰীস্টাব্দে টিপু নিহত হয়, এবং তিনি মহীশূর জয় করেন। তখন থেকেই দক্ষিণ ভারত ইংরেজের অধীনে আসে। ‘সাম্রাজ্য কখনও বণিকের দপ্তরখানা থেকে শাসিত হতে পারে না, এর জন্য চাই রাজপ্রাসাদ’, এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে তিনি কলিকাতায় রাজভবন নির্মাণ করেন। এছাড়া, ১৮০০ খ্রীষ্টাব্দে তিনি রাইটারস বিলডিং-এ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপন করেন, যা পরবর্তীকালে শিক্ষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে নবজাগৃতির প্রসূতিগার হয়ে দাঁড়ায়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *