সিরাজদ্দৌলা ও পলাশীর যুদ্ধ
সুদৰ্শন এই যুবক তার উচ্ছঙ্খল জীবন ও অসচ্চরিত্রের জন্য প্ৰসিদ্ধ ছিলেন। কথিত আছে যে একবার তিনি গঙ্গাবক্ষে নৌকাবিহারের সময় নৌকা থেকে নাটোরের রাণী ভবানীর বাল্যবিধবা কন্যা তারাসুন্দরীকে ছাদের ওপর চুল শুকাবার সময় দেখে তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তার হারেমে তাঁর কন্যাকে পাঠাবার জন্য রাণী ভবানীকে আদেশ দেন। রাণী ভবানী রাতারাতি কন্যাকে এক সাধুত্ব আশ্রমে পাঠিয়ে দিয়ে নিজের মানসন্ত্রম রক্ষা করেন। আলিবর্দি খান জীবিত থাকাকালীনই সিরাজের নিষ্ঠুর ও উচ্ছঙ্খল আচরণে তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা উত্যক্ত হয়ে উঠেছিল। ঢাকার শাসক তাঁর জ্যেষ্ঠ মেসো নুয়াজিশ মহম্মদের শক্তি খর্ব করবার জন্য সিরাজ হুসেনউদ্দিন ও হুসেনকুলি খান নামক নুয়াজিশের দুই প্ৰতিভূকে হত্যা করে। ১৭৫৬ খ্ৰীস্টাব্দে মুরশিদাবাদে নুয়াজিশের মৃত্যু ঘটে এবং সেই বৎসর আলিবর্দি খানও মারা যান। বাঙলার মসনদে আরোহণ করেই সিরাজ নুয়াজিশের সমস্ত সম্পত্তি অপহরণ করে ও তার বিধবা ঘাসিতি বেগমকে (সিরাজের মাসী) তার মতিঝিলের প্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দেয়। ঢাকার উপশাসক রাজবল্লভের কাছ থেকে তিনি অনেক টাকা চেয়ে পাঠান। রাজবল্লভ ভীত হয়ে তাঁর পুত্র কৃষ্ণবল্লভ ও তার পরিবারবর্গকে তার সমস্ত ধনরত্নাদি সমেত কলকাতায় ইংরেজদের আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেন। সিরাজ তাঁর দুই সাখী মোহনলাল ও মীরমাদনকে যথাক্রমে দেওয়ান ও সেনাপতি পদে নিযুক্ত করেন। মীরজাফর খান (আলিবর্দি খানের বৈমাত্রেয় ভগিনী শাহ খানের স্বামী }-কেও তিনি তার পদ থেকে অপসৃত করবার চেষ্টা করেন। কিন্তু মীরজাফর পূর্ণিয়ার শাসক শোকত জঙ্গের সঙ্গে মিলিত হয়ে দিল্লীতে গিয়ে সম্রাটের দরবারে প্রভাব সঞ্চয় করে একখানা আদেশনামা সংগ্ৰহ করে, যার দ্বারা শোকত জঙ্গকে বাঙলার শাসক নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু সিরাজ আগে থাকতে সংবাদ পেয়ে শৌকত জঙ্গের এই উদ্দেশ্য ব্যর্থ করবার জন্য সৈন্যবাহিনী নিয়ে পূর্ণিয়া অভিমুখে অগ্রসর হয়। কিন্তু পূর্ণিয়া পৰ্যন্ত তার যাওয়া হয় না, কেননা, রাজমহলে পেঁৗছে সিরাজ খবর পান যে ইংরেজরা কলকাতা দুর্গে শক্তি সঞ্চয় করছে ও দুর্গ সুদৃঢ় করছে। সিরাজ কাশিমবাজারে ফিরে এসেই ইংরেজদের কাশিমবাজারের কুঠি লুণ্ঠন ও অধিকার করেন। এছাড়া, তিনি কাশিমবাজারে অবস্থিত ইংরেজ বণিকদের বন্দী করেন। এই বন্দীদের মধ্যে তরুণ বয়স্ক ওয়ারেন হেষ্টিংসও ছিলেন। তখন তিনি কাশিমবাজারের কুঠিতে করণিকের কাজ করতেন। কিন্তু কাশিমবাজারে অবস্থিত ফরাসী ও ওলন্দাজদের মধ্যস্থতায়, এবং তারা ইংরেজদের হয়ে জামিন দেওয়ায় সিরাজ বন্দী ইংরেজ-বণিকদের মুক্তি দেয়। তখন তারা কলকাতায় এসে কর্তৃপক্ষকে সমস্ত খবর দেয়।
দুই
আলিবর্দি খান মারা যাবার পর থেকেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ ঘটেছিল। বিরোধের কারণ আলিবর্দি খান জীবিত থাকা কালে ইংরেজদের কাশিমবাজার কুঠিতে তাঁকে প্ৰবেশ করতে না দেওয়া, তার অভিষেককালে প্ৰথাঅনুযায়ী ইংরেজরা তাকে উপঢৌকন পাঠিয়ে অভিনন্দন না করা, রাজবল্লাভের বিরুদ্ধে অভিযোগকালে ইংরেজ কর্তৃক তাঁর পুত্ৰ কৃষ্ণবল্লভকে আশ্রয়দান, বাণিজ্য সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধার অপব্যবহার করা ও নবাবের আদেশের বিরুদ্ধে কলকাতার দুর্গ সুদৃঢ় করবার প্রয়াস।
কাশিমবাজার কুঠির অবরুদ্ধ ইংরেজরা মুক্তি পেয়ে, কলকাতায় এসে যখন -খবর দেয়, ইংরেজরা তখন একটু শঙ্কিত হয়ে পড়ে। বহুদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থায় থাকার দরুণ তারা উদাসীন হয়ে পড়েছিল। তা ছাড়া, বহুদিন সংস্কারের অভাবে দুৰ্গটাও অভেদ্য ছিল না। তারপর দুর্গটা ছিল বসতি এলাকার মধ্যে। আশেপাশে ইংরেজ ও এদেশীয় লোকদের অনেক ঘরবাড়ী ছিল। দুর্গপাড়ার মধ্যে বহুসংখ্যক পর্তুগীজও ছিল। সিরাজ যখন কলকাতা আক্রমণের তোড়জোড় করেন, তখন পর্তুগীজরা এসে আশ্ৰয় প্রার্থনা করল দুর্গের ভিতরে। দুৰ্গা-রক্ষণে তারা সহায়ক হবে ভেবে ইংরেজরা তাদের আশ্রয় দিল। কিন্তু পর্তুগীজরা তখন চারিত্রিক অবনতির চরম সীমায় গিয়ে পৌঁছেছিল। সেজন্য তারা কোন কাজেই লাগিল না। বরং কাজের সময়ে দুৰ্গসংরক্ষণের পক্ষে একটা ঘোরতর অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল। এছাড়া ইংরেজরা দুৰ্গরক্ষার জন্য যে ১৫০০ বন্দুকধারী হিন্দু সৈনিক নিযুক্ত করেছিল, যুদ্ধের সময় তারাও পালিয়ে গেল।
তিন
সিরাজ কলকাতায় আসছে শুনে ইংরেজরা কলকাতাকে সুরক্ষিত করবার’ চেষ্টা করল। তিনটা তোপমঞ্চ বা ব্যাটারি স্থাপিত হল। তার মধ্যে একটা বাগবাজারে পেরিংস পয়েণ্টে। ১৭৫৬ খীস্টাব্দের ১৫ জুন তারিখে সিরাজ যখন কলকাতার সামনে এসে হাজির হলেন, তখন এখানেই নবাববাহিনীর সঙ্গে ইংরেজদের প্রথম সংঘর্ষ হল। ইংরেজরা নবাববাহিনীকে আটকাতে পারল না। নবাববাহিনী দুর্গের দিকে অগ্রসর হতে লাগল। নবাবের বাহিনীতে ছিল ৫০,০০০ পদাতিক ও বিস্তর গোলন্দাজ। তারা আসবার পথে দুধারের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দিল। সেগুলো লুণ্ঠন করল। বড়বাজার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করল। ভয়ে কলকাতার লোক শহর ছেড়ে পালিয়ে গেল। নবাববাহিনী কর্তৃক ইংরেজরা তিন দিক থেকে আক্রান্ত হল। একমাত্ৰ ভাগীরথীর দিকটাই ইংরেজদের পক্ষে মুক্ত ছিল। মাত্র ৫০০ সৈনিক (তাদের মধ্যে শিক্ষিত সৈনিকের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭০) নিয়ে ইংরেজরা পাঁচ দিন ধরে দুর্গ রক্ষা করবার চেষ্টা করল। তারপর যখন দেখল দুর্গ রক্ষা করা সম্ভবপর হবে না, তখন নারী ও শিশুদের ভাগীরথীর বক্ষে অবস্থিত জাহাজসমূহে পাঠিয়ে দিল। দুর্গের সান্নিধ্যে তারা আরও জাহাজ রেখেছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল যে দুর্গের পতন যখন একান্ত অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাড়াবে তখন তারা দুর্গের পিছনের দ্বার দিয়ে জাহাজে গিয়ে আশ্রয় নেবে। কিন্তু দুর্গের অভ্যন্তরস্থ ব্যক্তিগণ এমনই ভীতিগ্ৰস্ত হয়ে পড়েছিল যে তারা আগে থাকতেই জাহাজে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে ঘোষণা করে দিল। যে সব খতম। এই ঘোষণার পর ১৯ জুন তারিখের ভাঁটার স্রোতে জাহাজগুলো কলকাতা ত্যাগ করল। পলাতক ইংরেজরা ফালতায় গিয়ে আশ্রয় নিল। মাত্র কলকাতার জমিদার জন জেফানিয়া হলওয়েলের নেতৃত্বে কয়েকজন সাহসী লোক দুর্গের মধ্যে রয়ে গেল। পরদিন তারা শক্রর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেন না। দুর্গ নবাববাহিনীর করায়ত্ত হল।
এরপর নবাব কলকাতার নাম পরিবর্তন করে ‘আলিনগর’ রাখলেন, এবং শাসনভার মানিকচাঁদ নামে একজন হিন্দু শাসকের ওপর দিলেন।
চার
কলকাতা থেকে ফিরে এসে সিরাজ পূৰ্ণিয়ার শাসক শৌকত জঙ্গকে সায়েস্তা করবার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। সিরাজ রাসবিহারী নামে এক ব্যক্তিকে পূর্ণিয়ার বীরনগরের ফৌজদার নিযুক্ত করে পাঠালেন, এবং শৌকত জঙ্গকে আদেশ দিলেন যে রাসবিহারীকে যেন তার পদে অধিষ্ঠিত হতে দেওয়া হয়। শৌকত সম্রাটের আদেশনামা (আগে দেখুন) প্ৰদৰ্শন করে বলল যে সম্রাট তাকেই বিহার, বাঙলা ও ওড়িশার শাসক নিযুক্ত করেছেন। সেই আদেশ অনুযায়ী সিরাজ যেন গদিত্যাগ করে অবসর গ্ৰহণ করে। সিরাজ এতে ক্রুদ্ধ হয়ে সেনাপতি মোহনলালের নেতৃত্বে এক বাহিনী নিয়ে রাজা কমলনারায়ণের সমভিব্যাহারে শৌকতকে আক্রমণ করেন। যুদ্ধে শৌকত নিহত হয়।
পাঁচ
এদিকে কলকাতার পতনের পর ইংরেজদের এক দ্রুতগামী জাহাজ এই বিপর্যয়ের খবর মাদ্রাজে নিয়ে যায়। ১৭৫৬ খ্রীস্টাব্দের ১৬ অকটোবর তারিখে মাদ্রাজ থেকে ক্লাইভ ও ওয়াটসনের নেতৃত্বে কলকাতার দিকে রওনা হয় পাঁচখানা যুদ্ধের জাহাজ (কেন্ট, কামবারল্যাণ্ড, টাইগার, স্যালিসবারী ও ব্রিজওয়াটার), একখানা কামানবাহী জাহাজ (ব্লেজ), তিনখানা বাণিজ্যতরী (প্রোটেকটর, ওয়ালপোল ও মারলবরে), ও তিনখানা দুই মাস্তুলওয়ালা ছোট জাহাজ (ল্যাপউইং, স্নো ও বনেটা)। ১৭৫৬ খ্রীস্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর জাহাজগুলো ফলতায় এসে উপস্থিত হয়।
ফলতা থেকে ইংরেজবাহিনী স্থলপথে ক্লাইভের ও জলপথে ওয়াটসনের নেতৃত্বে কলকাতার দিকে অগ্রসর হয়। বজবজে ক্লাইভ মুসলমানদের একটা দূর্গ অধিকার করে নেয়। ক্লাইভ ও ওয়াটসনকে অগ্রসর হতে দেখে নবাবের লোকেরা কলকাতা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ১৭৫৭ খ্রীস্টাব্দের পয়লা -জানুয়ারী ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে আবার ব্রিটিশ পতাকা উডতীয়মান হয়। ১০ জানুয়ারী তারিখে ক্লাইভ হুগলী নগরী দখল করে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে। তারপর ইংরেজরা কলকাতায় ফিরে এসে শৃঙ্খলা স্থাপনের চেষ্টা করে।
কলকাতায় ফিরে এসে ক্লাইভ এক সঙ্গীন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। কেননা, নবাব এক বিরাট বাহিনী নিয়ে আবার কলকাতার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অন্যদিকে সে সময় ইওরোপে ইংলণ্ড ও ফ্রান্স যুদ্ধে লিপ্ত থাকার দরুন ইংরেজরা সব সময়ই ভয় পেতে লাগল পাছে চন্দ্রনগর থেকে ফরাসী্রা কলকাতার ওপর কাপিয়ে পড়ে।
নবাবের বাহিনীতে ছিল ১৫,০০০ পদাতিক, ১০,৯০০ বিলদার, ৪০টি কামান, ৫০টি হাতি ও তার পিছনে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক বিরাট জনতা। ইংরেজদের তখন সম্বল হচ্ছে মাত্র ৭০০ ইওরোপীয় পদাতিক, ১৫ ০০ এদেশীয় সিপাই, ১৪টি কামান সহ ৮০০ গোলন্দাজ ও জাহাজের নাবিকেরা। কিন্তু সম্বল স্বল্প হলেও ক্লাইভ তার রণকৌশলে নবাবের বাহিনীকে শিয়ালদহের কাছে পরাহত করে। নবাব পালিয়ে গিয়ে আশ্ৰয় নেন দমদমের শিবিরে। নবাব সেখান থেকে শান্তি-স্থাপনের প্রত্যাশায় লিখে পাঠান যে তিনি কলকাতা ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ দেবেন এবং ইংরেজদের সঙ্গে মিত্রতাসূত্রে আবদ্ধ হবেন। ইংরেজরা নবাবকে সদুত্তর দেওয়ায়, নবাব মুরশিদাবাদে ফিরে যান।
ছয়
এদিকে ইওরোপে ইংলণ্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছিল, সেই সম্পর্কে ক্লাইভ চন্দ্রনগরের গভর্নরকে লিখে পাঠান যে বাঙলাদেশে তাদের পক্ষে নিরপেক্ষতা রক্ষা করা একান্ত প্ৰয়োজন। কিন্তু পণ্ডিচেরীর গভর্নরের বিনা অনুমতিতে চন্দ্রনগরের গভর্নর ক্লাইভের প্রস্তাবে রাজা হলেন না। তখন ক্লাইভ ও ওয়াটসন সিরাজ কর্তৃক অনিচ্ছাসত্বে প্ৰদত্ত এক অনুমতিপত্রের বলে, চন্দ্রনগর আক্রমণ করেন। ১৭৫৭ খ্রীস্টাব্দের ২৩ মার্চ তারিখে চন্দ্রনগর অধিকৃত হয়। কিন্তু ইংরেজরা শীঘ্রই দেখে যে সিরাজ ফরাসীদের সঙ্গে এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, ইংরেজদের বাঙলাদেশ থেকে তাড়াবার জন্য। ইংরেজরা এতে ক্ষুব্ধ হয়। সিরাজের অমাত্যরা সিরাজের এই নীতিকে মুখতা বলে, মনে করে। এই সময় নবাবের সৈন্যাধ্যক্ষ মীরজাফর ইংরেজদের সঙ্গে এক চক্রান্ত শুরু করে দেয়। এই চক্রান্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল নবাবকে গদিচ্যুত করে মীরজাফরকে নবাব করা। ক্লাইভ এতে সম্মত হয়। ১৭৫৭ খ্ৰীস্টাব্দের জুন মাসে ক্লাইভ সসৈন্য মুরশিদাবাদের দিকে যাত্রা করে। ২৩ জুন তারিখে পলাশী নামে এক ক্ষুদ্র গ্রামের কাছে নবাববাহিনী ক্লাইভবাহিনীর মুখোমুখী হয়। নবাব পরাজিত হয়ে মুরশিদাবাদে পালিয়ে যান। রাত্রিকালে নবাব বেগম লুফৎ-অল-উন্নিসাকে নিয়ে গোপনে মুরশিদাবাদ ত্যাগ করেন। নিরাপত্তার আশায় উত্তরপ্রদেশের দিকে রওনা হন। কিন্তু পথিমধ্যে দানা শাহ নামে এক মুসলমান ফকির (যাকে সিরাজ একবার অপমান করেছিলেন) তাকে আশ্রয় দিয়ে গোপনে সে খবর মীরজাফরের কাছে পাঠিয়ে দেয়। মীরজাফরের লোকেরা এসে সিরাজকে ধরে নিয়ে যায়। মহম্মদী বেগ নামে এক ঘাতককে দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। যুদ্ধ হিসাবে নগণ্য হলেও, এরই ফলশ্রুতি হয়ে দাঁড়ায় ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপন। (পরিশিষ্ট দেখুন)।