ভাষার প্রশ্নে বাহাস
অত্যন্ত অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বাংলা ভাষা নিয়ে অনাবশ্যক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা টাকার সদ্ব্যবহার করার মতো লেখক-শিক্ষাবিদ পূর্ব বাংলায় যথেষ্টই ছিলেন। অবশ্য একই সঙ্গে বিভিন্ন অপপ্রয়াসের বিরোধিতাও করেছেন কেউ কেউ। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি তাদের ভাষার সংস্কার করেছেন সময়ের প্রয়োজনে। ভাষার লিপিও পরিবর্তন করা হয়েছে। আধুনিক তুরস্কের জনক মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক তুর্কি ভাষার লিপি পরিবর্তন করে রোমান হরফ চালু করেন। ভাষা মালয় ও ভাষা ইন্দোনেশিয়ায় রোমান হরফ প্রবর্তন করা হয়েছে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ভাষা বাংলার মতো সমৃদ্ধ ছিল না। ওগুলো ছিল উপজাতীয় ভাষার মতো, ছিল না কোনো মানসম্মত সাহিত্য। বাংলা ভাষার ঐতিহ্য হাজার বছরেরও বেশি সময়ের এবং বাংলা ভাষায় সমৃদ্ধ সাহিত্য রচিত হয়েছে ৫০০ বছরের বেশি সময় যাবৎ। বাংলা ভাষার হরফ পরিবর্তনের চিন্তাটাই ছিল অনাবশ্যক এবং চরম আত্মঘাতী।
বাংলা ভাষা আরবি অথবা রোমান হরফে লিখলে পূর্ব বাংলার বাংলা সাহিত্য অন্য দেশের বাংলা সাহিত্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত যে তা-ই নয়, অতীতের বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রচিত হতো দূরত্ব। সে এমন এক দূরত্ব, যা বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যকেই ক্ষতি করে দিত এবং সে ক্ষতি হতো অপূরণীয়।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাদেশ দখল করে ইংরেজদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর বিদেশি শাসকেরা বাংলাসহ ভারতীয় ভাষার হরফ পরিবর্তন করে ইংরেজি বা রোমান অক্ষরে লেখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আঠারো শতকের শেষ দিকে স্যার উইলিয়াম জোন্সসহ প্রধান প্রধান ইংরেজ’ কর্মকর্তা ইংরেজি অক্ষরে বাংলা লেখার উদ্যোগ নেন। তাদের সে উদ্যোগ ইংরেজদেরই অনেকে সমর্থন করেননি। তবে তখন তার শক্ত বিরোধিতা করারও তেমন কেউ ছিলেন না। পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরেজরা চাইলে বাংলা দেশে ইংরেজি চালু করতে পারতেন। কিন্তু তার পরিবর্তে ইংরেজ প্রশাসনের লোকেরাই বাংলা শেখেন এবং খ্রিষ্টান ধর্মযাজকেরা বাংলা গদ্যের বিকাশে ভূমিকা রাখেন।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর কেউ কেউ রোমান হরফে বাংলা লেখার পক্ষে যুক্তি দেন যে বাংলা ভাষায় যুক্তাক্ষর বেশি, যা টাইপরাইটারে লিখতে অসুবিধা এবং রোমান হরফ বাংলার চেয়ে দ্রুত পড়া ও লেখা সম্ভব। আর যে যুক্তিটি দেওয়া হয় তা হলো, রোমান হরফে বাংলা বিদেশিদের পক্ষে শেখা সহজ হবে ইত্যাদি। এসব যুক্তি খণ্ডন করে মোহাম্মদ ফেরদাউস খান তাঁর ‘The Language Problem of Today’ এবং পরে একটি প্রবন্ধে বলেন যে, চীন ও জাপানের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নতির পথে তাদের জটিল লিপি কোনো বাধা হয়নি। তিনি আরও বলেন, বাংলা যুক্তাক্ষর কোনো সমস্যা নয়।
[মোহাম্মদ ফেরদাউস খান, ‘হরফ সমস্যা’, বাঙলা একাডেমী পত্রিকা, প্রথম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা, ১৩৬৪]
সুখের কথা যে পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা কমিটি ১৯৪৯ সালে যে সমীক্ষা চালায়, তাতে ৩০১ জন উত্তরদাতার মাত্র ১৮ জন রোমান হরফের পক্ষে মত দেন এবং বাংলা অক্ষর বজায় রাখার পক্ষে মত দেন ১৮৭ জন। তবে যদি আরও বেশি বা অধিকাংশ উত্তরদাতাই রোমান হরফের পক্ষে মত দিতেন, তাহলেই কি লিপি পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য হতো?
প্রায় ১০ বছর ধরে অল্পবিস্তর রোমান ও আরবি হরফ চালুর বিষয়টি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা কমিশন ১৯৫৭-তে বয়স্কদের শিক্ষা কার্যক্রমে রোমান হরফ ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিল। ব্যাপারটি হাস্যকর। বয়স্করা বাংলা ভাষা পড়বেন এক অক্ষরে আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়বে অন্য হরফে, তার পেছনে কোনো যুক্তি ছিল কি?
পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে, সামরিক শাসন জারির আগেই, রোমান অক্ষর প্রচলনের আয়োজনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ধ্বনিতত্ত্ববিদ মুহম্মদ আবদুল হাই তার এক প্রবন্ধে বাংলার পক্ষে লেখেন :
‘সম্প্রতি রোমান হরফে বাংলা লিখবার একটা ধুয়া উঠেছে। কয়েকজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ রোমান হরফে বাংলা লেখা প্রচলন করবার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। …যদি বাংলা লিপিতে বাংলাভাষা লেখার কোনো ব্যবস্থা না থাকত কিংবা আজই যদি প্রথমবারের মতো বাংলাভাষা লেখার উপায় উদ্ভাবন আমাদের শিক্ষাবিদদের করতে হতো তা হলে শুধু রোমান কেন, জীবজন্তুর ছবির সাহায্যে কিংবা আরবি অক্ষরেও বাংলা লিখবার সোপারেশ তারা করতে পারতেন। ..কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য বলতে পারি না, গত হাজার বছর ধরে বাংলা লিপিতে বাংলাভাষা লেখা হয়ে আসছে। ফলে বাংলা লিপি বাংলাভাষার ধ্বনির বাহক হিসেবে ক্রমে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান রূপ ধারণ করেছে। …এখানে বাংলা লিপির বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্ব এই যে তা অত্যন্ত ধ্বনিভিত্তিক।’ [মুহম্মদ আবদুল হাই, ‘রোমান বনাম বাংলা হরফ, (সমকাল), ২য় বর্ষ, ৮ম সংখ্যা, এপ্রিল ১৯৫৯]
দেশের প্রধান ধ্বনিতাত্ত্বিক অধ্যাপক হাই তাঁর প্রবন্ধে আরও বলেন, ‘…বাংলা হরফ বর্জন করে একেবারে রোমান হরফ গ্রহণ করবার যারা সুপারিশ করেছেন তারা দেশজোড়া Confusion-এর কথা ভেবে দেখেছেন কি? বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে বিচার করলে রোমান হরফের তুলনায় বাংলা হরফ যে অনেক বেশী বৈজ্ঞানিক তা সহজেই প্রতিপন্ন হয়। তার কারণ প্রত্যেকটি ধ্বনির জন্য বাংলায় একটি হরফ আছে। “ক” লিখলে “ক” ধ্বনি ছাড়া আর অন্য কিছু উচ্চারণ আমরা করি না এবং কোনো জায়গায় “ক” অনুচ্চারিতও থাকে না। … বাংলা অক্ষর শুধু যে ধ্বনিমূলক (Phonetic) তা নয়, তার চেয়েও এর বড় সুবিধা হলো এই যে, এর স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ একটি করে অক্ষর বা syllable-কে ধারণ করে রয়েছে। …ফলে একটি হরফের সাহায্যে বাংলায় একটি পূর্ণ অক্ষর বা syllable প্রকাশ করা সম্ভব হয়।
বিশিষ্ট ধ্বনিতাত্ত্বিক ও ভাষাবিজ্ঞানী আরও বলেন, বাংলাভাষার ধ্বনিবোধক বাংলা প্রতিলিপি ব্যবহারে এমন “econom” রোমানে তো দূরের কথা পাক ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে অন্য কোনো লিপিতে আছে কিনা সন্দেহ। তা ছাড়া বাংলার যুক্তাক্ষরগুলো ধ্বনির প্রতিলিপি হিসেবে লিপি ব্যবহারের economy-র দিক থেকে বিস্ময়কর শৃঙ্খলাজাত এবং আশ্চর্য রকমের বিজ্ঞানভিত্তিক।
বাংলা ভাষার এত উপযোগিতা ও বাংলা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক ভাষা হওয়া সত্ত্বেও কেন তা সংস্কারের প্রশ্ন ওঠে এবং সমর্থন করেন বাংলাভাষী শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা, তার পেছনে শাসকশ্রেণির যে দুরভিসন্ধি ছিল, তা যেকোনো সাধারণ বুদ্ধির মানুষও উপলব্ধি করতে পারে। মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষাকে বিকৃত করে পাকিস্তানীকরণ ও ইসলামীকরণ। ১৯৪৯-এর মার্চে মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁর নেতৃত্বে গঠিত পূর্ববঙ্গ ভাষা কমিটিতে যারা ছিলেন, তাঁরা সবাই ছিলেন রক্ষণশীল ও পাকিস্তানবাদী। ওই কমিটিতে নামেমাত্র রাখা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক গণেশচন্দ্র বসু ও ঢাকার বিশিষ্ট নাগরিক মোহিনী মোহন দাসকে। ওই কমিটিতে থাকতে গণেশচন্দ্র অস্বস্তিবোধ করেন। তিনি অব্যাহতি চাইলে তার জায়গায় বাংলা বিভাগেরই প্রভাষক হরনাথ পালকে নেওয়া হয়। কমিটির অন্যদের সঙ্গে পালও ছিলেন বেমানান। তিনিও কিছুদিন পর অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন একজন হিন্দুকে রাখা প্রয়োজন, তাই জগন্নাথ কলেজের শিক্ষক অজিত কুমার গুহকে তার জায়গায় যুক্ত করা হয়।
মোহিনী মোহন দাস ছিলেন অতি ভালো মানুষ এবং অসাম্প্রদায়িক। মুসলমানদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আগ্রার আধ্যাত্মিক সাধক হজরত সেলিম চিশতির নাতি চিশতি বেহেশতির মাজার জরাজীর্ণ হয়ে গেলে মোহিনী দাস তা সংস্কার করে পুনর্নির্মাণ করেন। তাঁকে রাখা হয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে। বছরখানেকের মধ্যে তিনি মারা গেলে তাঁর জায়গায় অম্বিকাঁচরণ দাস নামের একজন শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে ভাষা-সংস্কৃতির কমিটিতে সংখ্যালঘুদের মতামতের কোনো মূল্যই ছিল না। পাকিস্তানে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের যে কোনো মূল্য নেই, তা ভাষাকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
যা হোক, রোমান হরফে বাংলা লেখা কারা সমর্থন করেন, সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নেয়। সে মতামত জরিপ করা হয় প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে। যেমন প্রশ্ন : পাকিস্তানে (বাংলা ও উর্দু ভাষাতে রোমান হরফ আপনি অনুমোদন করেন কি? এই প্রশ্নের উত্তরে মুহাম্মদ এনামুল হক লিখিত জবাব দেন:
‘ভাষাতাত্ত্বিক বিচারে এ প্রস্তাব অযৌক্তিক এবং জাতি হিসেবে পাকিস্তানীদের জন্যে এ আত্মঘাতী। এ প্রস্তাব গ্রহণ করলে আমরা লাভবান হবো যৎসামান্য কিন্তু জাতির উন্নতির সহায়ক এমন অনেক কিছুই আমরা হারাবো।
কেন রোমান অক্ষর প্রচলন হবে আত্মঘাতী ও অযৌক্তিক, তার ব্যাখ্যায়। এনামুল হক বলেন :
‘(ক) পাকিস্তানের মত রাষ্ট্রে যেখানে বহুসংখ্যক ধর্ম, ভাষা এবং হরফ বিদ্যমান তার জাতীয় ঐক্যের কথা চিন্তা করা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু তা অবাস্তব। বর্তমান পৃথিবীর বহুধর্মাবলম্বী এবং বহুভাষাভাষী রাষ্ট্রগুলি আজ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকদের সমন্বয়ে এক রাষ্ট্র বা এক জাতি গড়ে তোলা সম্ভব। পক্ষান্তরে এক ধর্মাবলম্বী এবং এক ভাষাভাষী লোকেরাও পৃথক পৃথক রাষ্ট্রের নাগরিক। (খ) কোনো বিশেষ হরফ বহুভাষাভাষী কোনো রাষ্ট্রে ভাষাগত ঐক্য আনতে পারে না। ভাষা না জানলে শুধু শুনে অথবা কোনো বিশেষ হরফে পড়ে তা কারো বোধগম্য হবে না। একই হরফে দুটি বা তারও বেশী ভাষা লেখা হলে, তা পড়তে পারলেও ভাষাজ্ঞান না থাকলে কারো ভাষাগত বুৎপত্তি কিছুমাত্র বাড়বে না। … (ঙ) মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলি রোমান। হরফ গ্রহণ না করলে, ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান তা করতে পারে না, করা উচিতও নয়।’
[সমকাল, এপ্রিল ১৯৫৯]
এনামুল হক পাকিস্তান রাষ্ট্রের আদর্শের বিরোধী ছিলেন না। যেকোনো সাধারণ বুদ্ধির মানুষই এনামুল হকের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করবেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এক যুগ বাংলা ভাষার ‘সংস্কারে’র নামে এ জাতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। শুধু কেন্দ্রের অবাঙালি সরকার যদি এই সংস্কারের মতলব করত, তাহলে ছিল এক কথা, বাংলা ভাষা আরবি হরফে বা রোমান অক্ষরে লেখার বুদ্ধি বহু বাঙালি বুদ্ধিজীবীরও মস্তিষ্কপ্রসূত। বাঙালি শিক্ষিত সমাজের একটি গোত্র চিরকাল শাসকশ্রেণির অন্ধ অনুগত হিসেবে সহযোগিতা দিয়ে এসেছে। শাসকদের অন্যায্য তৎপরতার বিরোধিতা না করে সহযোগিতা করেছে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে। তবে যারা সরকারের সহযোগী ছিলেন না, অরাজনৈতিক ভাবাপন্ন কবি-শিল্পী-সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ, তাঁরাও বাঙালি সংস্কৃতির স্বার্থবিরোধী অপতৎপরতায় সাবলীলভাবে বিরোধিতা করেননি। বাংলা ভাষা নিয়ে যখন সূক্ষ্ম ও স্থূল দুই রকম ষড়যন্ত্রই চলছিল, তখন প্রধান কবি-সাহিত্যিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
দুটি কারণে রোমান হরফে বা আরবি অক্ষরে বাংলা লেখার পরিকল্পনাকে উৎসাহিত করা হয়। এক. বাংলা ভাষাকে ইসলামীকরণ এবং দুই. পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে যেন পূর্ব বাংলার সাহিত্যের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় কারণটি ছিল রাজনৈতিক এবং প্রথমটি ছিল ধর্মীয়। সমর্থন ছিল বহু বাঙালি লেখক ও বুদ্ধিজীবীর।