বনু সাকীফের কাছ থেকে হতাশ হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে তায়েফ থেকে মক্কায় ফিরে চললেন। পথে নাখলা [মক্কা থেকে দুই দিন দুই রাতের দূরত্বে অবস্থিত দুটো উপত্যকার নাম। একটার নাম নাখলাতুল ইয়ামানিয়া, অপরটির নাম নাখলাতুল শামিয়া।] উপত্যকায় পৌঁছে মধ্যরাতে তিনি নামায পড়ছিলেন। এই সময়ে নাসীবীনের সাতজন জ্বিন ঐ স্থান দিয়ে যাচ্ছিলো। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কুরআন তিলাওয়াত শুনলো। নামায শেষ হ’লে তারা নাসীবীনে [মুসেল থেকে সিরিয়া যাওয়ার পথে আববের একটি শহর বা জনপদ।]ফিরে গিয়ে নিজেদের সম্প্রদায়ের কাছে কুরআনের বানী পৌঁছিয়ে দিল- যার প্রতি তারা পথিমধ্যে শোনা মাত্রই ঈমান এনেছিলো। পবিত্র কুরআনের সূরা জ্বিন ও সূরা আহকাফে আল্লাহ এই জিনদের কাহিনী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বর্ণনা করেছেন। সূরা আহকাফের আয়াত কয়টি হলো, “সেই সময়ের কথা স্মরণ কর যখন আমি তোমার দিকে জ্বিনদের একটি দলকে পরিচালিত করলাম যেন তারা কুরআন শুনতে পারে। তারা সেখানে পৌঁছে পরস্পরকে বললো: ‘তোমরা চুপ করে শোনো’। তাদের কুরআন শোনা শেষ হলে তারা স্বজাতির কাছে ফিরে গিয়ে তাদেরকে সাবধান করতে লাগলো। বললো, ‘হে আমাদের জাতি, আমরা এমন এক গ্রন্থের তিলাওয়াত শুনে এসেছি যা মূসার পরবর্তী সময়ে তাঁর কিতাবের ( তাওরাতের ) সত্যায়নকারী এবং সত্য ও নির্ভুল পথের দিশারী হয়ে নাযিল হয়েছে। হে আমাদের জাতি, আল্লাহর দিকে আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দাও এবং তাঁর প্রতি ঈমান আন তা হলে তিনি তোমাদের গুনাহ মাফ করবেন এবং তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রেহাই দেবেন।”
সূরা জ্বিনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, “হে নবী, তুমি বল যে, আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে একদল জ্বিন কুরআনের বাণী শুনেছে”…. এরূপ সমগ্র সূরাটিই জ্বিনদের সংক্রান্ত আলোচনায় পরিপূর্ণ।