স্বব্ধতার মধ্যে তার ঠোঁট নড়ে
আমি জানতাম প্রত্যেক বিজয়ীর জন্যে থাকে পুরস্কার।
যুদ্ধ ফেরত ক্লান্ত বীরদের পাওনা, পুলকের প্রস্রবণ।
এমন কি আহত, পঙ্গুদের বুকেও সান্তনার পদক ঝলকায়।
আর কে না জানে এসব তাদেরই প্রাপ্য। চিরকালই বীরত্বের
বিনিময়ে এরকম রেওয়াজ রয়েছে।
কিন্তু একজন কবিকে কি দেবে তোমরা? যে ভবিষ্যতের দিকে
দাঁড়িয়ে থাকে বিষণ্ণ বদনে? অঙুলি হেলনে যার নিসর্গও
ফেটে যায় নদীর ধারায়। উচ্চারণে কাঁপে মাঠ,
ছত্রভঙ্গ মিছিল, মানুষ, পাক খেয়ে এক হয়ে যায়।
যখন সে ফিরে, দেখে, আচ্ছন্ন উঠোন। সে দেখে
শিশুর শব নিস্পৃহ মায়ায়। সে দেখে ধর্ষিতার শাড়ি
ছিন্ন ভিন্ন, হত্যায় ছাপানো। স্ততার মধ্যে তার ঠোঁট নড়ে
ইতিবৃত্ত ভেঙে পড়ে রক্তবর্ণ অক্ষরের স্রোতে।
আমি এক সময় সংবাদপত্রে প্রুফরিডার ছিলাম।
প্রতিটি আকার ই-কারের অনুপস্থিতি এখনও
আমার চোখে লাগে। তবু কেন এরকম হচ্ছে
কে আমাকে বলে দেবে?
আমি কেন প্রতিটি রংয়ের ভিতর
অন্য রংকে দেখতে পাই।