বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শব্দের পরিভাষা

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শব্দের পরিভাষা

অ্যালেগোরি (গ্রিক, অ্যালেগোরিয়া) একটি বিষয়ের আড়ালে ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাকারী ডিসকোর্স

অ্যানাগোগি; অ্যানাগোগিকাল (গ্রিক) রাইবেলিয় টেক্সটের অতীন্দ্রিয় বা পারলৌকিক অর্থ।

অ্যাপাথিয়া (গ্রিক) পার্থিব অবস্থার প্রতি নিস্পৃহতা, নিরাসক্ততা, প্রশান্তি, আত্মসচেতনাহীন ও অনাক্রম্যতা।

অ্যাপোক্যালিপ্স (গ্রিক, অ্যাপোক্যালিপ্সিস) আক্ষরিক অর্থে, ‘উন্মোচন’ বা ‘প্রকাশ’। প্রায়শই সময়ের শেষ পর্যায় সম্পর্কে প্রত্যাদেশের কথা বোঝানো হয়ে থাকে।

অ্যাপোলোজিয়া (লাতিন) যৌক্তিক ব্যাখ্যা। ক্রিশ্চান অ্যাপোলজিস্টগণ প্যাগান পড়শীদের বিশ্বাস করাতে তাদের বিশ্বাসের একটি যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

অ্যাপোক্যাথিক (গ্রিক) নীরব, ভাষার ক্ষমতার অতীত এক অভিজ্ঞতা। গ্রিক ক্রিশ্চানরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল যে, সকল ধর্মতত্ত্বেরই স্থিরতা, প্যারাডক্স ও প্রতিরোধ থাকতে হবে যাতে ঈশ্বরের রহস্য ও অনির্বচনীয়তার উপর গুরুত্ব প্রদান করা যায়।

বাভলি বাবিলোনিয় তালমুদ।

বিনাহ (হিব্রু) বুদ্ধিমত্তা: সৃষ্টি ও নিষ্কৃতির কাব্বালিস্টিক মিথের তৃতীয় সেফিরদ, ‘অতিপ্রাকৃত মাতা’ হিসাবেও পরিচিত, হাখমাহ কর্তৃক অনুপ্রবেশ করা জঠর যা সাতটি ‘নিম্ন পর্যায়ের সেফিরদের এবং এভাবে বাকি সমস্ত কিছুর জন্ম দিয়েছে।

ব্রেকিং অভ দ্য ভেসেলস আদিম বিপর্যয় বর্ণনা করার জন্যে ব্যবহৃত লুরিয়ানিক কাব্বালাহর পরিভাষা, যখন স্বর্গীয় জ্যোতি পৃথিবীতে পড়ে বস্তুতে আটকা পড়ে যায়।

ক্যানন আক্ষরিক অর্থে নিয়ম বা বিধান; হিব্রু ও ক্রিশ্চান বাইবেলের সরকারীভাবে গৃহীত পুস্তকসমূহ।

ক্রাইস্ট (গ্রিক, ক্রিস্তোস) হিব্রু মেসায়াহর (‘মনোনীত জন’) গ্রিক অনুবাদ; জেসাস অভ নাযারেথের ক্ষেত্রে আদি ক্রিশ্চানদের ব্যবহৃত।

কোয়েন্সিদেন্তা অপোজিতোরিয়াম (লাতিন) ‘বিপরীত বিষয়ের যুক্তি’; পরমানন্দমূলক অভিজ্ঞতা বোঝাতে ব্যবহৃত পরিভাষা, যখন সমস্ত বস্তুর ঐক্যের উপলব্ধি থেকে বিভাজন ও বিরোধ মিলিয়ে যেতে শুরু করে; ছন্দ ও সামগ্রিকতার এক নুমিনাস উপলব্ধি।

দারাশ (হিব্রু) ‘পাঠ করা,’ ‘অনুসন্ধান করা,’ পরিভাষাটি কাব্বালিস্টদের পারদেস ব্যাখ্যায় ঐশীগ্রন্থের নৈতিক বা হোমিলেটিক অর্থ বোঝোতেও ব্যবহৃত হয়েছে।

দেমিওগোগস (গ্রিক) ‘কারিগর’। প্লেটোর তিমাকাস-এ দেমিও গোগস ছিল পরম ঈশ্বরের অধীন স্বর্গীয় কারিগর, যারা বস্তুগত জগতের আকার ও সামঞ্জস্য দিয়েছে যাতে তা চিরন্তন আকৃতির সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখে। নস্টিকরা ইহুদি বাইবেলের ঈশ্বরকে বোঝাতে দেমিওগোগ পরিভাষা ব্যবহার করেছে, যিনি বস্তুর অশুভ জগৎ সৃষ্টির জন্যে দায়ী।

ডিউটেরোনমি, ডিউটেরোনমিস্ট (গ্রিক, দিউতোরিমিয়ন, ‘দ্বিতীয় আইন’) এই কথাটি মূলত নেবো পাহাড়ে পরলোকগমনের আগে মোজেসের চূড়ান্ত ডিসকোর্স বোঝায়, পেন্টাটিউকের পুস্তকে যার বর্ণনা রয়েছে। পরিভাষাটি বিসিই সপ্তম শতাব্দীতে ডিউটেরোনমি ও স্যামুয়েল ও কিং রচনাকারী সংস্কারকদের বেলায়ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

দেভেকুত (হিব্রু) ঈশ্বরের সাথে ‘সংশ্লিষ্টতা’। হাসিদিমের কাঙ্ক্ষিত ঐশীসত্তার চিরন্তন সচেতনতা।

দিন (হিব্রু) কঠোর বিচার; সৃষ্টি ও নিষ্কৃতির লুরিয় কাব্বালাহর কাব্বালিস্টিক মিথের পঞ্চম সেফিরদ। দিন ব্রেকিং অভ দ্য ভেসেলস-এর আদিম বিপর্যয়ের পর প্রধান হয়ে ওঠা ঈশ্বরের অশুভ সম্ভাবনা তুলে ধরে।

ডগমা (গ্রিক) চার্চের গুপ্ত অনির্বচনীয় ট্র্যাডিশন বোঝাতে গ্রিকভাষী ক্রিশ্চানদের ব্যবহৃত শব্দ, কেবল অতীন্দ্রিয়ভাবে ও প্রতাঁকের সাহায্যে প্রকাশিত হলেও বোঝা যায়। পশ্চিমে ‘ডগমা’ নির্দিষ্ট ও কর্তৃত্বপরায়ণ- মূলকভাবে বর্ণিত কতগুলো মতবাদের সমষ্টি বোঝায়।

দিনামিক্স (গ্রিক) ঈশ্বরের ‘ক্ষমতা’, গ্রিকদের বাহ্যিক জগতে ও বাইবেলে বর্ণিত ঈশ্বরের কর্মকাণ্ড। একে ঈশ্বরের দুর্গম আউসা, ‘সত্তা’ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিবেচনা করতে হবে।

ইকোনমি বিশ্বের ঐশী সরকার। গোটা বাস্তবতা যার উপর দাঁড়িয়ে আছে সেই ঐশী পরিচালনা ব্যবস্থা।

এক্সতাসিস (গ্রিক, ‘বাইরে পা রাখা’) এমন এক পরমানন্দ যা উপাসককে ব্যক্তিসত্তা ও পার্থিব অভিজ্ঞতার বাইরে নিয়ে যায়।

এক্কলেসিয়া (গ্রিক) সমাবেশ; চাৰ্চ।

ইমেনেশন এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম বাস্তবতা একটি একক আদিম উৎস থেকে প্রবাহিত হয়েছে বলে কল্পনা করা হয়েছে, ইহুদি, ক্রিশ্চান ও মুসলিমরা যাঁকে ঈশ্বর বলে শনাক্ত করে; কেউ কেউ ইমেনেশনের উপমাকে শূন্য হতে সৃষ্টির বদলে প্রাণের উৎস বোঝাতে ব্যাবহার করতে পছন্দ করেন: সময়ের এক বিশেষ মুহূর্তে সব বস্তুর স্বতঃস্ফুর্ত সৃষ্টি।

এন সফ (হিব্রু, ‘অন্তহীন’) কাব্বালাহর অতীন্দ্রিয় দর্শনে ঈশ্বরের দুর্বোধ্য, অগম্য ও অজ্ঞাত সত্তা, গডহেড, ঐশীসত্তার গুপ্ত উৎস বা শেকড়।

এনারজিয়াই (গ্রিক, ‘শক্তি’) জগতে ঈশ্বরের কর্মকাণ্ড, যা আমাদের তাঁর একটা আভাস পেতে সাহায্য করে। দিনামিক্সের মতো এই পরিভাষাটি ঈশ্বর সম্পর্কে মানুষের উপলব্ধি থেকে অনির্বচনীয় ও দুর্বোধ্য সত্তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

এপিথালামিয়াম (লাতিন, পরম্পরা) বর ও কনের মিলনের বর্ণনাদানকারী বিয়ের গান।

এসক্যাটোলজি (গ্রিক এস্কাতো, ‘শেষ’ থেকে উদ্ভুত) শেষ দিন ও অন্তিম কাল নিয়ে গবেষণা।

এক্স নিহিলো (লাতিন, ‘শূন্য হতে’) সময়ের বিস্তারে একটি মুক্ত স্বতঃস্ফূর্ত অনন্য কর্মে শূন্য হতে ঈশ্বরের সৃষ্টির কর্ম বোঝাতে ব্যবহৃত পরিভাষা। কোনও কোনও দার্শনিক একে এক অসম্ভব ধারণা বলে আবিষ্কার করেছেন, কারণ গ্রিক যৌক্তিক ধর্মতত্ত্বে মহাবিশ্ব চিরন্তন এবং ঈশ্বর নিরাসক্ত, তিনি চকিত কর্মকাণ্ড বা পরিবর্তনের বিষয় নন।

এক্সিজেন্সিস (গ্রিক) ‘নেতৃত্ব দান বা পথ নির্দেশ করা’; বাইবেলিয় টেক্সটের ব্যাখ্যা ও তর্জমার কাজ।

ফাদার ঈশ্বরের কথা বোঝাতে জেসাস যে পদবী ব্যাবহার করেছেন বলে মনে হয়। পরে ক্রিশ্চানদের ট্রিনিটির প্রথম দিনামিক্সের সাথে শনাক্ত করা হয়েছে।

গাওন (হিব্রু) রাব্বিনিকাল একাডেমির প্রধান বা অধ্যক্ষ।

গেমারা (হিব্রু) তালমুদের ব্যাখ্যা, মিশনাহর ধারাভাষ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে।

জেন্টাইল অ-ইহুদি; লাতিন জেন্তিস থেকে উদ্ভুত; হিব্রু গোয়িম- ‘বিদেশী জাতি’-এর অনুবাদ।

নস্টিক (গ্রিক) নসিসের উপর গুরুত্ব আরোপকারী ক্রিশ্চানদের একটি ধারা, নিস্তারদানকারী ‘জ্ঞান’ এবং বার্তাবাহক হিসাবে জেসাসকে প্রেরণকারী সম্পূর্ণ অধ্যাত্মিক ঈশ্বরের সাথে ইহুদি বাইবেলে প্রকাশিত দেমিওরগোস-এর পার্থক্য বোঝায়, যিনি প্রকৃতির অশুভ জগৎ সৃষ্টি করেছেন।

গডফিয়ারার জেন্টাইল পৌত্তলিক সহানুভূতিশীল, সিনাগগের সম্মানিত সদস্য যার অঙ্গীকারের বিভিন্ন রকম মাত্রা রয়েছে।

গডহেড ঐশ্বরিকতার উৎস, ঐশ্বরিকতার গুপ্ত শেকড়, এন সফ

গস্পেল আক্ষরিকভাবে ‘শুভ সংবাদ’ (অ্যাংলো-স্যাক্সন গড স্পেল থেকে) আদি চার্চের ঘোষণা (গ্রিক ইভানজেলিও)। জেসাসের বিভিন্ন জীবনী বোঝাতেও এই পরিভাষাটি প্রযুক্ত হয়।

গোয়িম (হিব্রু) বিদেশী জাতি। জেন্টাইল।

হালাকাহ, হালাকাথ (হিব্রু) রাব্বিনিকাল আইনী রায়।

হেরেদিম (হিব্রু, ‘কম্পিত জন’) ইসায়াহ ৬৬: ৫ থেকে উদ্ভুত পরিভাষা, ধর্মপ্রাণ ইসরায়েলিদের বোঝায়, যারা ঈশ্বরের বাণী শুনে ‘কাঁপে’, আল্ট্রা অর্থডক্স ইহুদিদের বোঝাতে প্রযুক্ত হয়।

হাসিদ (হিব্রু, ‘ধার্মিক জন’) হাসিদিম বা’ল শেম তোভ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইহুদি অতীন্দ্রিয় সংস্কার আন্দোলন।

হাসকালাহ (হিব্রু) মোজেস মেন্দেলসন প্রতিষ্ঠিত ইহুদি আলোকন। হারমেনেউটিক্স (গ্রিক) বিশেষ করে ঐশীগ্রন্থ ব্যাখ্যার কৌশল।

হেসেদ (হিব্রু) মূলত গোত্রীয় বা কাল্টিক ‘আনুগত্য’। পরে ‘ভালোবাসা’ বা ‘করুণা’। সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের কাব্বালিস্টিক মিথের ষষ্ঠ সেফিরদ, দিনের সাথে জোড় বাঁধা; হেসেদকে সব সময়ই ঈশ্বরের কঠোর বিচারকে কোমল করতে হয়।

হোদ (হিব্রু, ‘আভিজাত্য’) সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের কাব্বালিস্টিক মিথের অষ্টম সেফিরদ।

হোলি স্পিরিট তালমুদিয় আমলে র‍্যাবাইদের ব্যবহৃত পরিভাষা; প্রায়শ পৃথিবীতে ঈশ্বরের উপস্থিতি বোঝাতে শেখিনাহর সাথে বিনিময়যোগ্য; আমাদের সব সময় এড়িয়ে যাওয়া ঈশ্বরের চরম দুর্ভেয় ঐশ্বরিকতাকে আলাদা করার উপায়। ক্রিশ্চান ধর্মে এই ঐশী উপস্থিতি ঐশীগ্রন্থে বর্ণিত তিনটি দিনাসি –ফাদার ও লোগোসের সাথে তৃতীয়টিতে পরিণত হয়।

হোখমাহ (হিব্রু, ‘প্রজ্ঞা’) বাইবেলে প্রজ্ঞা হচ্ছে সৃষ্টির নীলনকশা, বিশ্বজগৎ পরিচালনাকারী স্বর্গীয় পরিকল্পনা, শেষ পর্যন্ত যা তোরাহর সাথে একাত্ম হয়েছে, সৃষ্টি ও প্রত্যাদশের কাব্বালিস্ট মিথের দ্বিতীয় সেফিরদ হচ্ছে হোখমাহ যা প্রথম সেফিরদের সাথে একটি ‘বিন্দু’ হিসাবে মিলিত হয়ে বিনাহর জঠরকে ছিদ্র করেছে।

হোরোয (হিব্রু, ‘গ্রন্থিত করা’) বিভিন্ন বাইবেলিয় উদ্ধৃতিকে ‘একসূত্রে’ গাঁথার রাব্বিনিক অনুশীলন, যা কোয়েনসিদেন্সিয়া অপোজিতোরিয়ামের অভিজ্ঞতা যোগায়।

হাইপোথেসিস (গ্রিক, ‘অন্তস্থ যুক্তি’) মূলত উপটেক্সট, বাইবেলের উপরিতলের অর্থের আড়ালে লুকানো বার্তা। পরে অভিজ্ঞতালব্ধ প্ৰদৰ্শনীকে প্রমাণ করার লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব।

ইনকারনেশন (লাতিন থেকে উদ্ভুত) পার্থিব আকৃতিতে আধ্যাত্মিক বাস্তবতার ‘মূর্তরূপ’। ক্রিশ্চান ধর্মে এটা বিশেষভাবে লোগোসের অবতরণ বোঝায়, জেসাসের মানবীয় দেহে যাকে ‘রক্তমাংসের’ রূপ দেওয়া হয়েছিল।

কাব্বালাহ (হিব্রু, ‘ঐতিহ্যবাহী ট্র্যাডিশন’) ইহুদিবাদের অতীন্দ্রিয়বাদী ট্র্যাডিশন।

কেরিগমা (গ্রিক) চার্চের ভাষায় পর্যাপ্তভাবে প্রকাশ করা সম্ভব বাইবেল ভিত্তিক গণশিক্ষাকে বোঝাতে গ্রিক ক্রিশ্চানদের প্রযুক্ত পরিভাষা, ডগমার বিপরীতে, যেটা সম্ভব নয়।

কেদার এলিয়ম (হিব্রু, ‘পরম মুকূট’) সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের কাব্বালিস্টিক মিথের প্রথম সেফিরদ, ‘কৃষ্ণ শিখা’ হিসাবে এন সফের অতলান্ত গভীরতা থেকে যার আবির্ভাব। এটা ‘কিছু না’ হিসাবেও পরিচিত, কারণ মানুষের বোধগম্য কোনও শ্রেণীতেই তা পড়ে না।

কেসুভিন (হিব্রু) রচনা; হিব্রু বাইবেলের তৃতীয় শ্রেণী; রচনার অনুশাসন ক্রনিকলস, এযরা, নেহেমিয়াহ, এস্থার, জব ও সলোমনের নামে প্ৰচলিত প্ৰজ্ঞা পুস্তকসমূহ, প্রোভার্বস, এক্সলেসিয়াস্তিকস ও সং অভ সংস অন্তর্ভুক্ত করেছে।

লেকশিও দিভাইনা (লাতিন) ‘পবিত্র পাঠ’ ধীরে ধীরে ধ্যানীর মতো বাইবেল পাঠের মঠের অনুশীলন, নিজেকে অংশের সাথে মিলিয়ে ফেলে এক্সতাসিসের অভিজ্ঞতা লাভ করা।

লোগোস (গ্রিক) ‘যুক্তি’; ‘সংজ্ঞা’; ‘বাণী’; ঈশ্বরের লোগোসকে প্রজ্ঞা ও ঈশ্বরের বাণীর সাথে এক করে দেখা হয় যা সব কিছুকে অস্তিত্ব দিয়েছে এবং সমগ্র ইতিহাস জুড়ে মানবজাতির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এসেছে। জনের গস্পেলের সূচনায় দাবি করা হয়েছে যে বাণী নাযারেথের জেসাসের মাঝে মানব রূপ ধারণ করেছিলেন।

লুরিয়ানিক কাব্বালাহ যিমযুম মিথের উপর ভিত্তি করে ষোড়শ শতাব্দীতে ইসাক লুরিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কাব্বারাহর ধরন।

মালকুদ (হিব্রু, ‘রাজ্য’) সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের কাব্বালিস্টিক মিথের শেষ সেফিরদ। একে শেখিনাহও বলা হয়, পৃথিবীতে ঐশী উপস্থিতি।

মাসকিলিম (হিব্রু, ‘আলোকিত জন’) ইহুদি আলোকনের অনুসারীবৃন্দ, যারা ধর্মকে ব্যক্তি পর্যায়ে অবনত করে একে যৌক্তিক ধর্মবিশ্বাসে পরিণত করতে চেয়েছে ও জেন্টাইল সমাজে অংশ নিতে চেয়েছে।

মেসায়াহ (হিব্রু, মেশায়াহ, ‘মনোনীত জন’) পরিভাষাটি মূলত ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত যে কাউকে বোঝাতে প্রযুক্ত হতো-বিশেষ করে রাজা, যিনি অভিষেকের সময় মনোনীত হয়ে ‘ঈশ্বরের পুত্রে’ পরিণত হয়েছেন। তবে শব্দটি পয়গম্বর ও পুরোহিতদের বেলায়ও ব্যাবহৃত হয়ে থাকে, এবং পরসিয়ার রাজা সাইরাসের ক্ষেত্রেও, যিনি ইহুদিদের জুদাহয় ফিরে যেতে ও বাবিলনে দীর্ঘ নির্বাসনের পর আবার মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি দান করেছিলেন। পরে সিই প্রথম শতাব্দীর কোনও কোনও ইহুদি শেষ কালে ইয়াহওয়েহকে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করতে সাহায্য করার জন্যে ইসরায়েলকে উদ্ধার করতে একজন মেসায়াহর প্রত্যাশা করেছে। ক্রিশ্চানরা বিশ্বাস করে যে জেসাসই মেসায়াহ ছিলেন।

মিদ্রাশ (হিব্রু) দারাশ থেকে উদ্ভূত; ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ; অনুসন্ধানের দ্যেতনাসহ, অনুসন্ধান।

মিশনাহ (হিব্রু, ‘পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষা’) ১৩৬ ও ২০০ সিই সময়কালে প্রণীত ইহুদি ঐশীগ্রন্থ যাতে মৌখিক ট্র্যাডিশন ও রাব্বিনিক আইনী বিধির সংকলন রয়েছে।

মিসনাগদিম (হিব্রু) হাসিদিমের প্রতিপক্ষ।

মিথোস (গ্রিক, ‘মিথ’) ঐতিহাসিক বা সত্যনির্ভর বোঝানো হয়নি এমন কাহিনী, তবে যা কোনও ঘটনা বা বিবরণের অর্থ প্রকাশ করে এবং এর সময়হীন চিরন্তন মাত্রাকে ধারণ করে। মিথকে এমন এক অবস্থা হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা কোনও এককালে ঘটেছিল। মিথকে মনস্তত্ত্বের আদি রূপ হিসাবেও বর্ণনা করা হয়, যা মনের গোলকধাঁধা ও রহস্য বর্ণনা করে থাকে।

নেতসাখ (হিব্রু, ‘ধৈর্য’) সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের কাব্বালিস্ট মিথের সপ্তম সেফিরদ।

নেভিন (হিব্রু) ‘পয়গম্বরগণ’, হিব্রু বাইবেলের দ্বিতীয় শ্রেণী।

অউসিয়া (গ্রিক) ঈশ্বরের ‘সত্তা’, আমাদের বোধের অতীত, মানুষের কাছে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত রয়ে যায় ও বাইবেলের এর উল্লেখ করা হয়নি। এটা এন সফের চেয়ে ভিন্ন নয়। তা সত্ত্বেও ঐশীগ্রন্থে ঈশ্বর নিজেকে তিনটি দিনামিক্সে প্রকাশ করেছেনঃ পিতা, লোগোস এবং আত্মা।

পারদেস মূলত ‘উদ্যান’ বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ, তবে ‘স্বর্গে’র সাথে সংশ্লিষ্ট উচ্চতর অতীন্দ্রিয় অবস্থা তুলে ধরে। পরবর্তীকালে পারদেস ঐশীগ্রন্থের কাব্বালিস্টিক ব্যাখ্যার একটা পদ্ধতিতে পরিণত হয়, যা ঐশীগ্রন্থকে পেশাত, (আক্ষরিক), রেমেস (অ্যালেগোরিকাল) ও দারাশ (নৈতিক) অর্থে ব্যাখ্যা করে ও স্বর্গে আধ্যাত্মিক আরোহণ অর্জন করে।

পেন্টাটিউক বাইবেলের প্রথম পাঁচটি পুস্তক, তোরাহ নামেও পরিচিত : জেনেসিস, এক্সোডাস, লেভিটিকাস, নাম্বারস ও ডিউটেরোনমি।

পেশাত (হিব্রু) পারদেসের কাব্বালিস্টিক ব্যাখ্যায় ঐশীগ্রন্থের আক্ষরিক বোধ।

পেশার (হিব্রু, ‘সঙ্কেত ভাঙা’) কামরান গোষ্ঠী ও আদি ক্রিশ্চানদের ব্যবহৃত ব্যাখ্যার ধরন, গোটা ঐশীগ্রন্থকে একটি সঙ্কেত হিসাবে বিবেচনা করে এটা, শেষ আমলে তাদের নিজেদের গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে।

পিস্তিস (গ্রিক) ‘আস্থা’র গুণ, প্রায়শই ‘বিশ্বাস’ হিসাবে অনূদিত হয়। পোলিস (গ্রিক) নগর রাষ্ট্র

রাখমিন (হিব্রু, ‘সহানুভূতি’) সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের কাব্বালিস্টিক মিথের চতুর্থ সেফিরদ। একে অনেক সময় তিফেরেদও (‘মাহাত্ম্য’) বলা হয়।

রেমেস (হিব্রু, ‘অ্যালেগোরি’) কাব্বালিস্টিক পারদেস ব্যাখ্যায় ঐশীগ্রন্থের দ্বিতীয় অর্থ।

সেফার তোরাহ (হিব্রু) জোসিয়াহর আমলে সংস্কারকদের আবিষ্কৃত ‘আইনের স্ক্রোল’, সিনাই পাহাড়ে মোজেসকে প্রদত্ত দলিল বলে কথিত।

সেফারদিম (হিব্রু) স্পেনের ইহুদি সম্প্রদায় (সেফারদ)।

সেফিরাহ, সেফিরদ (হিব্রু, ‘সংখ্যায় রূপান্তর’) ঐশী মনস্তত্ত্বের অন্তস্থ মাত্রা: ঈশ্বরের গুণাবলী যা দূরবর্তী বিমূর্ত রূপ নয়, বরং গতিশীল তৎপরতা। কাব্বালিস্টিক মিথে দশটি সেফিরদ ছিল স্বয়ং ঈশ্বরের প্রকাশের দশটি উৎসারণ বা পর্যায়। সেফিরদ গঠিত হয়েছে:

‘উচ্চতর’ সেফিরদ: কেদার এলিয়ন, হোখমাহ এবং বিনাহ।

সাতটি ‘নিম্মতর’ সেফিরদ: রাখমান/তিফেরেদ, দিন, হেসেদ, নেতসাখ, ইয়েসেদ এবং মালকুদ শেখিনাহ দিয়ে।

শালোম (হিব্রু) প্রায়শ‍ই ‘শান্তি’ হিসাবে অনূদিত হয়ে থাকে, তবে ‘সামগ্রিকতা, সম্পূর্ণতা’ই সঠিক অনুবাদ

শেখিনাহ (হিব্রু) ক্রিয়া পদ শাকুন থেকে উদ্ভূত: তাঁবু খাটানো; তাঁবুবাসী হিসাবে জীবন যাপন। পৃথিবীতে ঐশী উপস্থিতি, ঈশ্বরের ইহুদি অভিজ্ঞতা থেকে খোদ ঈশ্বরের সত্তাকে আলাদা করার জন্যে র‍্যাবাইদের প্রযুক্ত পরিভাষা। কাব্বালিস্টরা শেখিনাহকে চতুর্থ সেফিরদ ও নারী রূপে কল্পনা করে, যিনি বাকি সেফিরদ থেকে নির্বাসিত হয়ে চিরন্তনভাবে পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সোলা স্ক্রিপচুরা (লাতিন) ‘কেবল ঐশীগ্রন্থ’; প্রটেস্ট্যান্ট সংস্কারের মূলবাণী।

সিনোপ্টিক্স (গ্রিক, ‘একসাথে দেখা’) মার্ক, ম্যাথ্যু ও ল্যুকের তিনটি গস্পেল, এরা জেসাস সম্পর্কে মোটামুটি একই ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ধারণ করেন।

সোদ (হিব্রু) কাব্বালিস্টিক পারদেস ব্যাখ্যায় ঐশীগ্রন্থের ‘অতীন্দ্রিয়বাদী’ অৰ্থ।

তান্না, তান্নাইম (হিব্রু, ‘আবৃত্তিকার’, পুনরাবৃত্তিকারী’) মিশনাহ সমন্বিতকারী রাব্বিনিক পণ্ডিত।

তালমুদ (হিব্রু, ‘গবেষণায় শিক্ষাদান’) দুটি ঐশীগ্রন্থকে বোঝায় : ইয়েরুশালিমা, জেরুজালেম তালমুদ পঞ্চম শতাব্দীর সিই গোড়ার দিকে সম্পূর্ণ এবং ষষ্ঠ শতাব্দীতে সম্পূর্ণ বাবিলোনিয় তালমুদ। উভয়ই মিশনাহয় গেমারার (‘ধারাভাষ্য’) রূপ নিয়েছিল।

তানাখ (হিব্রু প্রতিশব্দ) তোরাহ, নেভিন ও কেসুভিম-দ্য ল, দ্য প্রফেটস ও দ্য রাহিটংস-নিয়ে গঠিত হিব্রু বাইবেল।

টেক্সট (লাতিন, তেক্সতাস) রচনাংশ বিভিন্ন রকম গুচ্ছ, অর্থ ও বাস্তবতার বিচিত্র ‘বুনন’।

থিওফ্যানি (গ্রিক) ঈশ্বরের প্রকাশ।

থিওরিয়া (গ্রিক) ধ্যান, মেডিটেশন।

তিফেরেদ (হিব্রু, ‘মাহাত্ম্য’, সৌন্দর্য) কাব্বালিস্টিক সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের মিথের চতুর্থ সেফিরদ, প্রায়শই রাখমান বলা হয়।

তিক্কুন (হিব্রু) অবশিষ্ট সেফিরদের সাথে শেখিনাহর ‘পুনঃস্থাপন’, ইহুদিদের তাদের দেশভূমিতে, বিশ্বকে তার সঠিক পথে ও ঐশীগ্রন্থকে তার আসল আধ্যাত্মিকতা ও মাহাত্ম্যে। ইহুদিদের নিবেদিত প্রাণ তোরাহ, পারদেস ব্যাখ্যা ও কাব্বালাহ আচার অনুশীলনের ভেতর দিয়ে তিক্কুনকে প্রভাবিত করা যেতে পারে।

তোরাহ (হিব্রু) প্রায়শই কেবল ‘আইন’ হিসাবে অনূদিত হয়ে থাকে, ‘নির্দেশ দান, শিক্ষা দেওয়া বা পথ দেখানো’ অর্থবাচক একটি ক্রিয়া পদ থেকে উদ্ভুত হয়েছে। তোরাহ ঈশ্বরের নির্দের্শনার তথ্য ও তা প্রণয়ন করতে তাঁর ব্যবহৃত বাণী অন্তর্ভুক্ত করেছে। এভাবে তোরাহ প্রায়শই পেন্টাটিউকের দিকে ইঙ্গিত করে থাকে, ঈশ্বরের যত্ন, দাসত্ব ও সেই সাথে বিধিবিধান প্রকাশকারী বিবরণ তুলে ধরে। পরবর্তীকালে তোরাহকে বিশ্বকে অস্তিত্ব দানকারী ঈশ্বরের প্রজ্ঞা (হোখমাহ) ও বাণীর সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে: এভাবে তা সর্বোচ্চ জ্ঞান ও দুর্ভেয় মহত্মের সাথে এক হয়ে গেছে।

প্রজ্ঞা হোখমাহ দেখুন।

ইয়েরুশালমি জেরুজালেম তালমুদ।

ইয়েশিভা, ইয়েশিভোত (হিব্রু) ক্রিয়া পদ শিভা, ‘বসা’ থেকে উদ্ভুত। গবেষণার ভবন, সিনাগগের সাথে সংশ্লিষ্ট কতগুলো কামরা, ইহুদিরা এখানে তোরাহ ও তালমুদ পাঠ করতে পারে।

ইয়েসোদ (হিব্রু, ‘স্থায়িত্ব’) সৃষ্টি ও প্রত্যাদেশের কাব্বালিস্টিক মিথের নবম সেফিরদ।

যায়ের আনপিন (হিব্রু, ‘অধৈর্য জন’) লুরিয় কাব্বালাহয় ঈশ্বর হিব্রু বাইবেলে আত্ম প্রকাশ করেছেন, যা ‘নিম্নতর’ সেফিরদ দিয়ে গঠিত। দিন ব্রেকিং অভ দ্য ভেসেলস-এর উপর প্রাধান্য বিস্তার করায় হেসেদ দিয়ে আর ভারসাম্য বজায় রাখা যাচ্ছিল না বলে ঐশীগ্রন্থে ঈশ্বরকে প্রায়ই রগচটা, এমনকি সহিংস মনে হয়। শেখিনাহ হতে বিচ্ছিন্ন যায়ের আনপিন এখন ভ্রান্তি হীনভাবে পরুষবাচক।

যিমযুম (হিব্রু, ‘প্রত্যাহার’) লুরিয় কাব্বালাহর প্রক্রিয়া, যার মধ্যামে এন সফ বিশ্বজগতের সৃষ্টি করার জন্যে নিজের মাঝে সংকুচিত হয়ে সৃজনশীল প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *