1 of 3

বাবা

ছোট ছিমছাম শহর। দুপুরবেলায় রাস্তা  ফাঁকা হয়ে যায়। কিছু কুকুর জিভ বার করে হাঁটে, কিছু গাছের ছায়ায় ঘুমোয়। রাতেও শহরটা নৈশব্দের কুয়োর মধ্যে ডুবে থাকে। এমন এক শহরে হঠাৎ করে নানা রকম লোক আসতে শুরু করেছে, কারণ কল কারখানা গড়ে উঠছে,   প্রচুর কাজ জুটছে লোকের। মাটির তলায় প্রাকৃতিক গ্যাস আবিস্কার হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে, এরপর শহরের লোকেরা হয়তো ভুলেও গিয়েছিল গ্যাসের কথা, কিন্তু রাজধানীর লোকেরা ভোলেনি। দিব্যি গ্যাস তোলার দিন তারিখ ঠিক করে ফেলেছে। রীতিমত ঘোষণা দিয়ে নেমে পড়া যাকে বলে। পিঁপড়ের মতো মানুষ আসছে আশেপাশের   গ্রাম গঞ্জ থেকে। শহরে যেন গ্যাস নয়, গুড় পাওয়া গেছে কোথাও, ফ্রি গুড়।

এসময়, যখন চারদিকে লোকেরা চাকরি পাচ্ছে, বাবার চাকরিটা চলে গেল। বাবা একটা ফার্নিচার কোম্পানীতে ডিজাইনারের কাজ করতো। কোম্পানীটা যে বিল্ডিংএ ছিল, সেটাকে এখন গ্যাসের বিল্ডিং করা হয়েছে। আশেপাশে যে কটা বিল্ডিং ছিল, কিনে নিয়েছে গ্যাসের লোকেরা।  কোম্পানীর মালিক বলেছেন সময়মতো বাবাকে জানানো হবে কবে থেকে ফের চাকরিতে যোগ দিতে হবে। বাবা ছ’মাস বসে কাটালো। সংসার তো এভাবে চলে না। মামারা সাহায্য করছে। ছ’মাস বাবা নানারকম ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে টাকা টাকার সর্বনাশ করেছে। বাড়িটায় ঝাঁক ঝাঁক হতাশা কুণ্ডুলি পাঁকিয়ে কুকুরের মতো শুয়ে থাকে দিন রাত। ডানাও নেই যে তাড়ালে কোথাও উড়ে যাবে। চারদিক থেকে প্রচুর পরামর্শ আসছে,   রামেন্দু-বাবার সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ। রামেন্দু-বাবার নাম বছর দুই হলো সবার মুখে মুখে। তার   আর্শীবাদের ফলে নাকি লোকের চাকরি জুটছে, ব্যবসাপাতি ভালো হচ্ছে। বাবা শুনে উড়িয়ে দিয়েছিল। বাবা কোনও বাবায় বিশ্বাস করে না, সাফ সাফ বলে দিয়েছিল। চেঁচিয়ে বলেছিল, আমি যাবো লোক ঠকানো ভণ্ড লোকের কাছে আশীর্বাদ চাইতে? আমি নয়, আমার লাশ যাবে।

সপ্তাহ চার পরে বাবার লাশ নয়, বাবা নিজেই গিয়েছে রামেন্দু-বাবার বাড়িতে।  ফিরেছে  হাসিখুশি মুখে।  এরপর প্রতিদিনই গেছে। আপাদমস্তক বিজ্ঞান-বিশ্বাসী মানুষ চোখের সামনে রামেন্দু-বাবার ভক্ত বনে গেল।   রামেন্দু-বাবা আশা দিয়েছে, ভালো চাকরি বা ভালো ব্যবসা বাবার শীঘ্র হবে। কিছুদিন পর  বাবা বললো, রামেন্দু-বাবা বাড়ির সবাইকে নিয়ে তার কাছে যেতে বলেছে সামনের সপ্তাহে। আমি বলে দিয়েছি,  যাবো না। মুহূর্তে বাবার ওই হাসিখুশি  মুখখানা   মলিন হয়ে গেল। তারপর অবশ্য বাবার মুখে হাসি ফেরাতে আমাকে বলতেই হয়েছে, যাবো। বাড়ির সবাই বলতে বাবা , মা, আমি আর আমার ছোটভাই সন্তু।

আমরা গেলাম একদিন ঠিক ঠিক। আমাদের ভালো ভালো জামাকাপড় পরে গেলাম। রামেন্দু-বাবা গেরুয়া রংএর কাপড় গায়ে পেঁচিয়ে রেখেছে।  আশেপাশে লোক প্রচুর। উঠোনে মখমলের চাদর বিছানো। সারা বাড়িতে রামেন্দু-বাবার বড় বড়  মূর্তি। যেন ভগবান তিনিই। বাবা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করলো, মাও করলো, আমাকে আর সন্তুকে বলা হলে সন্তু করলো, আমি করিনি।  লোকটা শুরু থেকেই আমার দিকে কেমন চোখে তাকাচ্ছিল আমার ভালো লাগছিল না। রামেন্দু-বাবার চোখের চেয়ে অগ্নির চোখের চাহনী ভালো লাগে আমার। অগ্নি আমার বন্ধু। ভালো লাগা পর্যায়ে অগ্নির সঙ্গে সম্পর্কটা আটকে আছে। বাবা পছন্দ করলেও, অগ্নিকে পছন্দ নয় মার। মা বলে, অগ্নি ছোট জাত। জাতপাত  আমি মানি না। আমি অনেকটা বাবার মতো। বাবাও জাতপাত মানে না। কিন্তু বাবাও রাগ করেছিল অগ্নির সঙ্গে যখন আমি জয়দেবের মেলায় গিয়েছিলাম।  ফিরেছিলাম তিনদিন পর। মা বলেছিল,  ‘বিয়ের আগে মেয়েরা কারও সঙ্গে সম্পর্ক করলে পরে বর পেতে অসুবিধে হয়। এসব খবর চাপা থাকে না। জয়দেবের মেলায় তিনদিন হারিয়ে যাওয়ার খবর পাত্রপক্ষ ঠিকই নেবে’। মা তারপরও অগ্নিকে পাত্র বলে ভাবতে পারেনি।

মাথায় হাত ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে সবাইকে আশীর্বাদ করলো রামেন্দু-বাবা। শুধু আমাকেই হেঁচকা একটা টান দিয়ে নিজের কোলের কাছে  নিয়ে পিঠে আর মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বললো, ‘এ খুব দুষ্টু, তাই না, এ তো আমাকে প্রণাম পর্যন্ত  করলো না, কী, এই মেয়ে কি ভগবানে বিশ্বাস করে না?’ মা তাড়াতাড়ি বললো, ‘হ্যাঁ তা নিশ্চয়ই করে, আসলে ওর অনেকদিন মনটা ভালো নেই, শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলো। এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিয়ে টেনশনে থাকে খুব। অনেক জায়গায় অ্যাপ্লাই করেছে’।

রামেন্দু-বাবা হেসে বললো, ‘তাই নাকি? তাহলে ওকে শনিবারে আর মঙ্গলবারে পাঠিয়ে দিও আমার কাছে, বিকেল পাঁচটায় চলে এসো মা, বুঝলে?  দু’চারদিন আর্শীবাদ নাও, আমার কথা মেনে কাজ করো, শরীর মন সব ঠিক হয়ে যাবে। এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ হবে। চিন্তামুক্ত থাকো’।

কথা বলতে বলতে কত রকম যাদু দেখাচ্ছিল যে রামেন্দু বাবা, পকেট থেকে একটা টাকা বার করলো, মুহূর্তের মধ্যে টাকাটাকে উধাও করে ফেললো, পাশ থেকে একটা রুমাল তুলে নিল, রুমালটা হঠাৎ কলম হয়ে গেল। এসব দেখে সবচেয়ে বেশি খুশি হল সন্তু। তারপর হল মা। মা তো ভক্তিতে গদগদ। পারলে আশীর্বাদের জন্য আজকেই আমাকে রেখে যায় রামেন্দু-বাবার আশ্রমে।

আমাকে শনিবারে আসতেই  হয়েছে রামেন্দু–বাবার কাছে। ধরে বেঁধে বাবা মা দুজনই রেখে গেছে রামেন্দু-বাবার দায়িত্বে। রামেন্দু-বাবা আমাকে ভেতরের ঘরে নিয়ে অনেকবার ধর্ষণ করেছে। আমি আর ধর্ষণের ঘটনাগুলো বর্ণনা করতে চাই না। করলে আমি জানি আমি আর পারবো না কথা বলতে, আমার সারা শরীর কাঁপবে, আমি কাঁদবো, আমি চিৎকার করবো, সেদিন যেমন করেছিলাম, আর আমার হাত পা ধরে রেখেছিল দুটো লোক, মুখ চেপে রেখেছিল এক মহিলা, আর উলঙ্গ রামেন্দু-বাবা আমাকে যেন কাচা খেয়ে ফেলবে এমন করে ধর্ষণ করেছে। এরপর আমাকে একটা বাথটাবের গরম জলে শুইয়ে রাখা হয়েছে। মুখ চেপে ধরা মহিলা সুগন্ধী সাবান মাখা নরম একটা স্পঞ্জ আমার সারা গায়ে বুলোতে থাকে। এভাবে কোনওদিন আমি স্নান করিনি। বাবা আমাকে ফেরত নিতে এলে রামেন্দু-বাবা বলে দিয়েছে, ‘ও ঘুমোচ্ছে, ওকে টেক কেয়ার করছে আশ্রমের মন্দিরা, আজ রাতটা ও আশ্রমেই কাটাক। চরম ডিপ্রেশনে ছিল মেয়েটা। এখন ঠিক হয়ে যাবে, চিন্তা করো না। ‘মন্দিরা, স্নান করানো মহিলা আমাকে জানালো ঠিক কী বলেছে বাবাকে রামেন্দু। মন্দিরা আমাকে বাথটাব থেকে তুলে নরম একটা সাদা  তোয়ালে দিয়ে আলতো করে গা  মুছিয়ে  একটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ল্যাভেণ্ডারের গন্ধ ছড়ানো ঘরে নিয়ে আসে। শুইয়ে দেয়  সাদা নরম বিছানায়। অনেকগুলো সুস্বাদু মিস্টি খাইয়ে দেয়,  হলুদ হলুদ রঙের ঠাণ্ডা শরবত মুখের সামনে ধরে, খেতে  হয়। আমাকে এমন যত্ন করা হয়, যেন আমার কঠিন কোনও অসুখ হয়েছে। কিছু তো একটা হয়েছেই। শরীরে কোনও শক্তি পাচ্ছি না। এই ঘুমোচ্ছি, এই জাগছি। সম্ভবত ঘুমের ওষুধ আর ব্যাথার ওষুধও দুটোতেই আমাকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে দেখি ঘরে আর কেউ নেই, আমার শরীরের ওপর রামেন্দুর মস্ত বড় শরীর। তার ওই শরীরটা আমাকে চেপে  চ্যাপ্টা করে ফেলছে। লোকটা আমার বাবার থেকেও অনেক বয়সে বড়। আমার মুখ দিয়ে আর শব্দ বেরোয় না। আমি দাঁতে দাঁত চেপে যন্ত্রণা সহ্য করি। কেন করি, কে জানে। আমি তো চিৎকার করে লোকটাকে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে সরিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যেতে পারি, অন্তত চেষ্টা তো করতে পারি। কিন্তু শরীরে এক ফোঁটা শক্তি আছে বলে মনে হয় না। এমন কী চিৎকারটুকুও চেষ্টা করে দেখেছি, পারি না।

দু’দিন পর বাড়ি পোঁছেছি। বাড়িতেও ঘুমোচ্ছি। কারও সঙ্গে কোনও কথা বলিনি। মা খাটের পাশে টেবিলে খাবার রেখে গেছে। একটু খেয়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছি। সম্ভবত কোনও কঠিন ঘুমের ওষুধ আমাকে রামেন্দু-বাবা খাইয়েছিল।  এত ঘুম দেখে বাবা মা দুজনই ভেবেছে আমার বোধহয় দুশ্চিন্তা ঘুচেছে। রামেন্দু-বাবার কাছে যাওয়ার আগে আমার ঘুমই হত না ভালো। ইনসোমনিয়ায় ধরেছিল। সেটি তো অন্তত গেল! মায়ের চোখ আমার শরীরে ঘটে যাওয়া ধর্ষণটি দেখতে পাচ্ছে না! মেয়েরা তো মেয়ের শরীর বোঝে বলে জানতাম। ভক্তি বোধহয় মানুষকে অন্ধ করে দেয়।

এর পরের সপ্তাহে আবারও আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় রামেন্দু-বাবার আশ্রমে। ওখানে রেখে আসা হয়, দু’দিন পর বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় আমাকে। বাবা কি বুঝতে পারে না, মাও কি পারে না যে আমাকে ওই ধর্ষকের বাড়ি রেখে আসাটা ঠিক হচ্ছে না! নাকি একটা ভালো চাকরির জন্য বা ভালো ব্যাবসার জন্য নিজের মেয়ের সর্বনাশ করতে দ্বিধা করছে না ওরা! হয়তো সব জেনেও না জানার ভান করছে।

দ্বিতীয়বার বাড়ি ফিরে আমি বাবা আর মা দুজনকেই বলেছি, রামেন্দু-বাবা আমাকে ধর্ষণ করেছে। শুনে বাবা শক্ত একটা চড় মেরেছে আমার গালে। বলেছে, ‘খবরদার গুরুজীর নামে আর একটা মিথ্যে কথা উচ্চারণ করবি না’। লোকটা যে ভগবানের দূত নয়, একটা ধর্ষক, তা বারবার বলেছি আমি, কিন্তু আমার কথা শোনার মত বা বোঝার মতো মন কারওর নেই। ভগবান বললে সন্তানের গলাও কাটতে পারে লোকে। আমার বাবা মা আর সবার মতোই। মা বলেছে, ‘এর ধর্মে বিশ্বাস নেই। পুজো আচ্চা তো কিচ্ছু করেই না। মাথায় শুধু পাপের চিন্তা’।

বাবা মা দুজনই রামেন্দু-বাবা বা গুরুজী বলতে অজ্ঞান। চাকরিটা যে বাবার এখনও হচ্ছে না, তা নিয়েও বাবার  মাথাব্যাথা নেই। বাবা মা এখন আর বাবা মা নেই। গুরুজী যা বলে তাই অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করে। ‘সাশাকে গলা টিপে মেরে ফেলো’, গুরুজী এই আদেশ করলে আমার বিশ্বাস, বাবা মা ঠিক ঠিকই আমাকে গলা টিপে মেরে ফেলবে। যত যাই ঘটুক বাড়িতে, আমি যে কিছুতেই যাবো না রামেন্দু-বাবার কাছে আর, জোর করলে পুলিশ ডাকবো, তা ঘোষণা করে দিই। এও বলি, ‘আমি যাবো না, যদি যেতেই হয়, আমার লাশের ওপর দিয়ে আমি যাবো’।

এরপর পেটে বাচ্চা এলো, বললাম মা’কে। মা বিলাপ শুরু করলো। বাবাকে জানালো, বাবা স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো। দুজনেরই দৃঢ় বিশ্বাস বাচ্চা অগ্নির। অগ্নির সঙ্গে আমার কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই, তারপরও ওদের অভিযোগগুলো   চুপচাপ শুনতে হয় বসে বসে। যতবারই বলি প্রেগনেন্ট হয়েছি রামেন্দু-বাবার ধর্ষণের কারণে, বাবা আর মা দুজনই আমাকে অসভ্যের মতো মারতে শুরু করে, কেউ বিশ্বাস করে না রামেন্দু-বাবা আমার শরীর স্পর্শ করেছে। পেটের বাচ্চা নষ্ট করবো, জানিয়ে দেওয়ার পরও কেউ এগিয়ে আসে না। কোনো উৎসাহই যেন নেই আমাকে নিয়ে আর। আমার জীবন নিয়ে আমি যেন যা ইচ্ছে তাই করি। আমার মুখ তারা দেখতে চায় না। আমি তাদের মান ইজ্জত সব নষ্ট করে দিয়েছি। কোথাও আর তাদের মুখ দেখানোর জো নেই।

শেষ অবদি অগ্নিকে বলি আসতে। অগ্নিকে সব বলার পর অগ্নি ক্লিনিকে নিয়ে অ্যাবরসন করিয়ে আনে। টাকাটা ওই দেয়। অ্যাবরসন করার পর দু’সপ্তাহ আমাকে শুয়ে থাকতে হয়। অগ্নির বাড়িতে আসা বারণ। মা বাবা এখন আর কেউ চায় না যে অগ্নি আসুক আমার কাছে। পরনির্ভর এই অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়েও যেতে পারি না। একটা স্নেহের ভালোবাসার সংসার তছনছ হয়ে গেল। অগ্নিকে যে বলবো, বাড়ি থেকে চলে যাবো, অগ্নির সঙ্গে থাকবো, তাও বলছি না। অগ্নি নিজেই এখনও কলেজে পরছে, ছোট জাত বলে, গরিব বলে অবহেলা অপমান পায় চারদিকে, ও পড়ালেখা শেষ করে ভালো কিছু কাজ করুক। ওর কাঁধে চড়ে বসে ওর স্বপ্নকে মেরে ফেলতে আমি চাই না। আমাদের ফোনে কথা হয় প্রতিদিন।

পুরোপুরি সুস্থ হইনি, এরমধ্যে একদিন অগ্নির কাছে শুনি, আমার বাবা অগ্নির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, অগ্নি আপাতত পালিয়ে যাচ্ছে শহর ছেড়ে। অগ্নির জন্য আমার খুব কষ্ট হতে থাকে। একবার মনে হয় আত্মহত্যা করি। কিন্তু সে পথে না গিয়ে আমি নিজেকে বোঝাই, একটু সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে রামেন্দু-বাবার বিরুদ্ধে মামলাটা আমি নিজেই করবো, পুলিশ যদি কথা না শোনে, তাহলে সোজাসুজি মিডিয়ায় যাবো। বসে বসে চোখের জল ফেলার চেয়ে জল টল মুছে একটু রুখে দাঁড়ানোই ভালো। এইসব ধর্ষক বাবাদের মুখোশখানা এখন না খোলা হলে কবে আর খোলা হবে!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *