ফাঁদ

ফাঁদ

নিশ্চিত আশ্রয় থেকে যে লোক বঞ্চিত থাকে, তার স্বভাবে একটি অনিশ্চিয়তা আপনা আপনি বেড়ে ওঠে। এবং বাইরে থেকেও তার এই পরির্তনের ধারা আপনা আপনি ধরা পড়ে। আনোয়ারের নিজের দিক থেকে তার স্বভাবের এই পরিবর্তন এবং চরিত্রের খাপছাড়া অবস্থা ধরা না পড়লেও যারা তাকে কৈশোরে চিনতো তারা নিশ্চিতই আশ্চর্য হবেন এই ভেবে যে, তারা আর সেই ছিমছাম, দাগ মেপে ওষুধ খাওয়া, ঘড়ি দেখে রুটিন মেনে জীবন যাপন করা কিশোরটিকে দেখা পাবে না। পরিবর্তে দেখবে একটি ঔদ্ধত, উচ্চ নাসিকা সম্পন্ন যুবক যে ইদানিং কোনো নিয়ম মানে না, দেরী কোরে ঘুম থেকে ওঠা যার বিলাস এবং যে ইদানিং সম্বোধনে কথায় এবং আলাপে অযথা খিস্তি খেউড় না আউড়ে সুখ পায় না।

আনোয়ারের এই দ্রুত স্বভাব বদলের পিছনে অবশ্য ইতিহাস আছে। তা হলো এই, ছোটবেলা যে নোম পরিবেশে সে বেড়ে উঠেছিল, এবং যে প্রকৃতির প্রভাবে সে প্রভাবান্বিত ছিল সেটা নিতান্তই বাংলাদেশের আদি ও আসল এবং অকৃত্রিম প্রকৃতি, পাড়াগা যার নাম। সভ্যতার এক-চতুর্থাংশ যেখানে আজো পর্যন্ত পৌঁছায়নি। প্রতিদিন সকলের অযাচিত আদর ও যত্ন এবং তদনুরূপ সোজা সরল লোকদের দৃষ্টির মধ্যে প্রতিপালিত হয়ে যখন সে শহরে এসে উপস্থিত হলো এবং আত্মীয় স্বজনের কেউ উচ্চ পদস্থ চাকুরীজীবী না হওয়ায় সংগত কারণেই যখন তাকে মেসে এসে উঠতে হলো, তখন মেসে বিভিন্ন মানসিকতা সম্পন্ন লোকদের সংস্পর্শে এবং শহরের নানা জাতীয় আবহাওয়ায় সে দ্রুত বদলে যেতে থাকলো। বদলে যাওয়ার জন্যে অবশ্য প্রচুর সমর্থনের দরকার। এবং সে সমর্থন আসে প্রচুর টাকা থেকে। বাড়ী থেকে প্রচুর টাকা আসতো তাই অভাব হতো না। অশিক্ষিত মাতা পিতা মনে কোরতেন ছেলে যেহেতু শহরে থাকে, এবং উচ্চশিক্ষার্থে যেহেতু সে শহরে রয়েছে সুতরাং তার টাকার প্রচুর দরকার। এই সরল ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে তারা জমিজামা বন্ধক দিতেও কার্পণ্য করেননি মাঝে মাঝে। বাংলাদেশের জমি। তাতে ফসর ফলানোটা ভীষণ কিছু ব্যাপার নয়। বরং প্রায় বছরে ফসলের অপ্রাচুর্যতা, সমাজের ভিতর ধীরে ধীরে দুর্ভিক্ষের বীজ রোপন করলেও আনোয়ারদের সে ভাবনা ছিল না। ফসল না হলেও ছিল অগাধ পরিমাণ জমি। গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে এরকম লোভনীয় জমি বন্ধকের তাই কোনো অসুবিধা হতো না। যাই হোক, বাড়ী থেকে এরকম সাহায্যের উদ্ধৃত্ত টাকায় যতটা না তার পড়াশুনার স্বাস্থ্য ভালো হলো, তার চেয়ে পরিবর্তমান স্বভাবের স্বাস্থ্য দিন দিন বেড়ে যেতে থাকলো। মেসের লোকজন যেনো মাঠ ভরা মৌচাকের সাক্ষাত পেলো।

এক একদিন এক এক রকম তাগিদ আসে। বাকি সব লোকের পাল্লায় পড়ে এক একদিন সে এক এক মনোরম গর্তে পা রাখে আর অকারণ একটা পুরুষ ভাবনায় নিজেকে ধন্য মনে করে। আর তাছাড়া সন্দিজলে একটি ঝামেলাও রয়েছে। মানুষের ভিতরের সমস্ত ভাবনা তখোন এক জায়গায় জড়ো হয়ে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। বর্শি আলগা দিলে তারা এক যোগে তাকে নিশ্চিত পতনের দিকে হিড় হিড় কোরে টেনে নিয়ে যেতে দ্বিধাবোধ করে না। আনোয়ার তার সে ভাবনায় বর্শি আলগা কোরে দিতে এমন সব জাগতিক ভেল্কী-বাজী তাকে অনিশ্চিত আনন্দ ও ফনজীবী মোহে মাত কোরে দিল যে সে আর সেই আনন্দ ও মোহের হাত থেকে রেহাই পেলো না। বিভিন্ন বদঅভ্যাসে আক্রান্ত হলো। বিভিন্ন দুঃস্বভাবে। ধীরে ধীরে হটকারীতায় সে সিদ্ধকাম হয়ে উঠলো। এবং মেসের যে সব লোক এতদিন টেক্কা দিয়ে এসেছে তাদের উপর সে গা চালিয়ে যেতে লাগলো ক্রমে-ক্রমে আর ফলে।

ফলে এক একটি দিন আসে আর তার স্বভাবের হঠকারীরা মেসের লোকদের কাছে অন্যরকম ভাবে পর্যবসিত হয়ে ওঠে।

এবং শেষখলে হলো কী মেস একসময় ছেড়ে দিতে হলো। যারা এতদিন বন্ধু ছিল তারা বলতে শুরু করলো আজই ব্যবস্থা করুন। বাইরে থাকার জায়গা নিশ্চিত জুটে যাবে। আপনার চারিদিকে এত বন্ধু-বান্ধব উচ্চারণের ঝামেলা না রেখেই বলা যায়, তারা যখোন বন্ধু-বান্ধব। উচ্চারণ করতে তখনো জিহ্বার ব্যাকরণট যেনো বেশী রকম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতো। অর্থাৎ তারা ব্যাঙ্গ করতে আরম্ভ কোরলো।

অগত্য শহর জীবনের এ কয় বছর যে কটি বাড়ীর সাথে সে পরিচিত হয়েছে, সে হঠাৎ সেসব বাড়ীর কথা চিন্তা করলো। কিন্তু বারবার কতকগুলি বয়স্কা মেয়েলোক ও কুৎসিত পুরুষ ছাড়া আর কিছুই সে মনে কোরতে পারলো না। তবুও শহরে তাকে থাকতে হবে এবং সেই অনুপাতে সে কোনো রকমে একটা ব্যবস্থা কোরে নিল একটি সস্তা হোটেলে। সিট ভাড়া দৈনিক তিন টাকা। স্নান ফ্রি। কিন্তু থাকতেই শুধু তিন টাকা। খাদ্যের ব্যাপারে অন্য ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি সময়ে হোটেলের নিয়ম–নগদ পয়সা দিয়ে তবে খেয়ে নিতে হয়। আর এদিকে হয়েছে কি, ব্যক্তিগত স্বভাবের জোরে এমন অবস্থা হয়েছে আনোয়ারের যে, ভালো জায়গা, ভালো খাওয়া, ভালো পোশাক না হলে মনটা তার ছোট হয়ে যায়। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। কেবল মনে হতে থাকে রক্তের ভেতর অসুখ। কেবল মনে হতে থাকে আর কিছুক্ষণ পরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। অথচ আবার ডাক্তারকেও সহ্য হয় না। ঔষুধ তো সে একদমই বরদাশত কোরতে পারে না। অগত্য এই হলো, এক আপাতঃ ভদ্রলোকের কাছ থেকে তাকে বহু কষ্টে অগ্রিম দুই শত টাকা ধার কোরতে হলো। এ দুর্দিনে দুই শত টাকা কেউ ধার দিতে চান না। কিন্তু ভদ্রলোক যেহেতু তাদের পাশের গ্রামের। নতুন কন্ট্রাক্টরী কোরে ইদানিং বেশ টাকা পয়সার মালিক হয়েছে, আর যেহেতু সে আনোয়ারদের পারিবারিক অর্থ সচ্ছলতার কথা জানে, সুতরাং চাওয়া মাত্রই সে তাকে টাকাটা দিয়ে দিল এই ভেবে যে, যদিও টাকাটা তার কাছ থেকে না পাওয়া যায়, তবু টাকটা খোয়া যাবে না, কারণ আনোয়ারের পরিবারের একটি দিক দিয়ে সুনাম আছে, সেটা হলো, কারো ঋণের বোঝা তারা বেশীদিন কাঁধে বয়ে বেড়াতে অপ্রস্তুত।

কন্ট্রাক্টরের দুই শত টাকায় বেশ চললো ক’দিন। ফুরফুরে শহরের সঙ্গে খাপ খায় ফুরফুরে টাকা। এ টাকাটা খরচ না হতেই বাড়ীতে চিঠি লিখলোর বাবা, টাকা পাঠাও। তোমার কাছে বলিতে লজ্জা হইতেছে না, এতদিন যে টাকা পাঠাইতে, তাহা অন্য সব দিকে খরচ হইয়া পড়ায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা পরিশোধ করিতে পারি নাই। একসঙ্গে দুই শত টাকা এখন পরিশোধ না করিলে পরীক্ষা দেওয়া যাইবে না। সুতরাং কোনো কিছু না ভাবিয়া আমার পরীক্ষার দিকে নজর রাখিয়া টাকাটা পাঠাইতে দ্বিধা করিও না। আগামী সাত তারিখের ভিতর যেনো টাকা পাই।

সে বাড়ীতে চিঠিপত্র লিখার সময় সাধু ভাষা ব্যবহার করে। কারণ বাড়ীর কাছে যে ডাকঘর তার পোস্ট মাস্টার একজন হিন্দু। তিনি এ যাবৎ তার কাছে তার বাবার হয়ে যে চিঠি লিখেছেন, তার সবই কট্টর সংস্কৃতি মেশা সাধু ভাষায় লেখা। সুতরাং ঐ ভাষাতেই সে চিঠিপত্র না লিখে পাবে না। কারণ বাবার চিঠিপত্র যেমন মাস্টার মশায় লিখে দেন, তেমন তাকে বিদেশের চিঠিপত্র পড়েও শোনান। দরকার হলে বুঝিয়েও দেন। আর আনোয়ার এই ভেবে নিয়েছে, যে লোক সাধু ভাষায় চিঠি লিখতে অভ্যস্ত সেও নিশ্চয় সাধুভাষার চিঠি কামনা করে। তাই কোনো জরুরী দরকার পড়লেই সে লিখতে আরম্ভ করে… বাবা আমাকে… ইত্যাদি ইত্যাদি।

তার এই সাধু ভাষার চিঠিতে বেশ দ্রুত কাজ দিল। সাত তারিখের আগেই তার কথিত ঠিকানায় টাকা এসে হাজির হলো। আনোয়ার আশা করেছিল টাকার সঙ্গে টাকার মতো চকচকে একটা উপদেশ বাণী ও চিঠি আসবে। কিন্তু মানি ওয়ার্ডার ফর্মে যা লেখা তার মানে কোরলে এই দাঁড়ায় যে, বাবা কেমন আছো? বেতন সত্বর পরিশোধ করিবে। কিন্তু আনোয়ার টাকা পেয়ে আর ছাত্রত্বের কোনো উপাদান তার স্বভাবে খুঁজে পেলো না। বরং যে কন্ট্রাক্টর তাকে গত পহেলা তারিখ দুই শত টাকা ধার দিয়েছিল তার সম্বন্ধে যেসব চরিত্রের দুর্নাম শুনে এসেছে সব চেনা একসঙ্গে এসে তাকে বাহবা দিতে লাগলো।

বড় শহরের বিশেষ করে যে শহর বড় হতে চলেছে, তার তলে তলে একটি বিরাট অন্ধকার রাজ্য গড়ে ওঠে। আনোয়ার মেসে থাকতে তার অনেক জায়গার সঙ্গে পরিচয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আজ স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকায়, বারে ঢুকে এক বোতল জিন নিয়ে সে হোটেলে ফিরে এলো। সিনেমায় কোনো যৌন প্রধান ছবি না থাকায় তাকে কোনো চলচ্চিত্রই সেই রাতে আকর্ষণ কোরতে পারলো না। শুধু ঘরে ফেরার বহু পরে ঢলে পড়া অবস্থায় বিগত সময়ের কিছু কিছু বিষণ্ণ স্মৃতি তাকে ডাকতে আরম্ভ করলো। মনে পড়ে গেল, একটি মেয়ের সাথে ঢাকায় এসে পরিচয় হয়েছিল। মফস্বলের মেয়ে। নুতন ঢাকায় এসেছে। সবে স্কুল ছেড়ে কলেজে পড়ার মতো বয়সে! কতকটা অবাঙ্গালী-সুলভ হলেও হিন্দু মেয়েদের মতো সাবলীল। বন্ধু ভাইয়ের সুবাদে আলাপ হয়েছিল মেয়েটার মামার সঙ্গে। ধীরে ধীরে যাতায়াতও বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া বিকেলভরা দিনগুলো কাটাবার জন্য ওদের বাড়ীর মতো এ এলাকায় কোনো বাড়ীই আর উপযুক্ত ছিল না। মেয়েটার মধ্যে আরো একটা জিনিস ছিল, সেটা হলো, তাকে দেখলে কেন যেনো মনে হতো মেয়েটি ইচ্ছে কোরলেই গাইতে পরে। ইচ্ছে কোরলেই ভালো ছবি আঁকতে পারে। ইচ্ছে কোরলেই ভালো প্রেমিকা হতে পারে।

আর তাছাড়া এক একটি মুখ থাকে, দেখা হলেই ফুলের মতো চেনা মনে হয়। মেয়েটার মুখ ছিল তেমন।

একবার যখোন বৃষ্টি নেমেছিল, ঘরের রেডিওতে সিলোন সেন্টারে যখোন লতা মুঙ্গেশকরের একটি আধুনিক গান বাজছিল, বারান্দায় সাদা শাড়ী, একটি নীল ব্লাউজ। আর চেয়ারে ছিল মেয়েটা বসে; তাদের বাড়ীতে কতগুলি পপাষা কবুতর ছিল। তারা বৃষ্টিতে ভিজে বারান্দায় সার সার দাঁড়িয়ে। মেয়েটার পায়ের পাশের একটা কবুতর ছিল অনেক রকমের নীল; সেইদিন বৃষ্টিতে মেয়েটার বাসায় আনোয়ার অমনভাবে আটকে যাবে, তা সে চিন্তাও করেনি।

মেয়েটা ছিল বারান্দায়। তার মামা বৃষ্টির আগে দোকানে গিয়েছিল সিগ্রেট কিনতে, বৃষ্টিতে সে আটকে গেছে দোকানে। আর বাড়ীর অন্যান্যরা তখোন ভিতর ঘরে। আনোয়ারক একা পেয়ে মেয়েটা বলেছিল, আমার নাম কি জানেন? আনোয়ার বাইরে থেকে লাবণ্য পছন্দ কোরেছিল মেয়েটার। নাম কোনোদিন সে শোনেনি। কিন্তু মনে মনে একটা নাম ঠিক কোরে রেখেছিল। ইচ্ছার ভিতর সেই নাম। কণ্ঠে উচ্চারণ করেনি, কিন্তু হৃদয়ে উচ্চারিত হয়েছে।

মেয়েটার কথায় সে ঢোক গিলে বোললো : কেন, খেলবেন?

বাইরে বৃষ্টিধারা। কত সুন্দর নির্জনতায় আরো কত সুন্দর কোরে সে কথাটা বোলতে পারতো। কিন্তু বোলতে পারলো না ভেবে নিজেকে সঙ্কুচিত মনে করলো।

মেয়েটা তখোন কবুতরগুলি দেখছে। আনোয়ারের এর রকম অস্পষ্ট কথা শুনে ধীরে সে বলে উঠলো : না, এমনিই বললাম। বৃষ্টির দিনতো। হঠাৎ কেন যেনো লুডুর কথা বনে হলো!

আবার আড়ষ্টতা এসে ঘিরে ধরতে চাইলে আনোয়ার একটু চটপটে হবার জন্য অভ্যাস কোরলো। তাড়াতাড়ি বোলে ফেললো : কতবার ভাবি আপনার সঙ্গে দুটো কথা বলি কিন্তু

: কিন্তু কি?

: সাহস হয় না। কি ভেবে বসেন আবার : না ন ওটা আপনার ভুল ধারণা। মনে করার কি আছে

কিন্তু ঐ পর্যন্ত। বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল অনেক পরে। মেয়েটা মামা চলে এসেছিলেন আকাশে ছত্রখান হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল কবুতরগুলি। আর আনোয়ার সন্ধ্যার সমস্ত আকাশ চঞ্চলের নীচে ডলতে ডলতে বোলেছিল যাই।

মেয়েটা শেষ বার চোখ নীচু কোরে যেনো তার সেই কিছুক্ষণ আগের কথাটার প্রতিধ্বনি কোরে বলে উঠেছিল : আবার আসবেন।

হয় না। অনেক সময় অনেক কিছুর সম্ভাবনা দেখা গেলেও অনেক সময় অনেক কিছু সম্ভব হয়ে উঠে না। সেই বাড়ীতে আর কোনোদিন তার যাতায়াত ঘটে ওঠেনি এবং তারপর থেকেই মেসে থাকা অবস্থায় তার স্বভাবও কেমন দ্রুত পাল্টে যেতে লাগলো। আজকে আবার সেই মেয়েটা তাকে অকারণ জাগিয়ে দিয়ে গেল। ফলে সারারাত স্মৃতি তাকে উত্যক্ত করলো। বিস্মৃতি তাকে ঘুম পাড়াতে চাইলো। আর যখোন সে ঘুমালো তখোন ভোর হবার মতো সময়। পরদিন মশারী উঠাতে যাবে, এমন সময় বুকে ব্যথা পেলো সে। অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছিল বুঝি কালকে!

স্মৃতি আর স্বভাবকে সে কি কোরে ছাড়বে!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *