দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ – রাজীবলোচন গোয়েন্দার কথা

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ – রাজীবলোচন গোয়েন্দার কথা

একদিন বন্ধুবর ডাক্তার ওগিলভি সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়াতে তিনি আমায় ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের মৃত্যু ও সেই সম্বন্ধীয় সমস্ত ঘটনা বর্ণন করিলেন। সমস্ত বিবরণ শুনিয়া, আমার মনে কেমন সন্দেহ হওয়াতে আমি বলিলাম, “ডাক্তার সাহেব! আপনার বড় ভুল হইয়াছে। যে সময়ে মনোমোহিনী আপনার নিকট আসিয়া, প্রথম রজনীর ঘটনা বিবৃত করিয়াছিলেন, সেই সময়েই আমাকে আপনার সংবাদ দেওয়া উচিত ছিল।”

ওগিলভি বিস্মিতমুখে বলিলেন, “কেন বলুন দেখি, আপনার কি কোন সন্দেহ হয় না কি?

আমি বলিলাম, “সন্দেহ ত হয়ই—তা’ ছাড়া বোধ হয়, আপনি আমায় সংবাদ দিলে আমি আপনাকে ঠিক সংবাদ আনিয়া দিতে পারিতাম। আপনি ডাক্তারী করিয়া থাকেন, রোগের অবস্থা উত্তমরূপে বুঝিতে পারেন, কিন্তু মানব-চরিত্রের প্রকৃতি ও গঠন সম্বন্ধে আপনার অভিজ্ঞতা না থাকিতে পারে।”

ওগিলভি বলিলেন, “আমি সেই রোগীকে উপর্যুপরি কয় দিন চিকিৎসা করিয়াছিলাম। তাঁহার যে অবস্থা ঘটিয়াছিল, তাহাতে তাঁহার মৃত্যু সম্বন্ধে কোন সন্দেহ থাকিতে পারে না।”

আমি বলিলাম, “যেদিন ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের মৃত্যু হয়, সেদিনও আপনি তাঁহার বাড়ীতে গিয়াছিলেন?”

“হ্যাঁ।”

“মৃতদেহ দেখিয়াছিলেন?”

“দেখিয়াছিলাম।”

“দূর হইতে দেখিয়া চলিয়া আসিয়াছিলেন, না নিকটে গিয়া পরীক্ষা করিয়াছিলেন?”

‘পরীক্ষা করিয়াছিলাম।”

“নাড়ী টিপিয়াছিলেন?”

“হাঁ।”

“শ্বাস-প্রশ্বাস ছিল না?”

ওগিলভি সাহেব হাসিয়া উত্তর করিলেন, “আপনি কি আমায় পাগল মনে করিয়াছেন?” আমি বলিলাম, “আপনি যে কাজ করিয়াছেন, তাহাতে আমি আপনাকে খুনের দায়ে দায়ী করিতে পারি। তা’ সে যাক্, এখন আমি আপনাকে যে সকল প্রশ্ন করি, তাহার যথাযথ উত্তর প্রদান করুন। এ ঘটনার মধ্যে গূঢ় রহস্য নিহিত আছে।”

“জিজ্ঞাসা করুন।

“মিস্ মনোমোহিনী ছাড়া ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের আর পুত্র কন্যা ছিল না?”

“না।”

“এলাহাবাদ রেলওয়ে ষ্টেশনে মিঃ কুক্ তাঁহার ভগ্নীর সহিত ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের প্রথম সাক্ষাৎ হয়, কেমন?”

“হাঁ, মিস্ মনোমোহিনীর মুখে আমি তাহাই শুনিয়াছি।”

“অতি অল্পদিন পরে মিঃ কুকের ভগ্নীর সহিত, ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের বিবাহ হয়?”

“হাঁ।”

“এত অল্পদিনের প্রণয়ে ব্রজেশ্বর রায় মহাশয় মিঃ কুক্ ও তাঁহার ভগ্নী সম্বন্ধে বিশেষ কোন সংবাদ লইয়াছিলেন বলিয়া আপনার বোধ হয় কি?

“মিস্ মনোমোহিনীর মুখে যেরূপ শুনিয়াছিলাম, তাহাতে মিঃ কুক্‌ আর তাঁহার ভগ্নী সম্বন্ধে ব্রজেশ্বর রায় মহাশয় যে কিছু বিশেষ সন্ধান লইয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয় না।”

“মিসেস্ রায় আর মিঃ কুকের কোন আত্মীয় কলিকাতায় আছেন কি?”

“না।”

“কলিকাতায় তাঁহারা সম্পূর্ণ অপরিচিত?”

“এই রকম ত শুনিলাম।”

“এই ভারতবর্ষের মধ্যে তাঁহাদের কেহ আত্মীয় আছেন?”

“সে কথা আমি বলিতে পারি না।”

“মিঃ কুকের উপর মিস্ মনোমোহিনীর বড় ঘৃণা?”

“মিস্ মনোমোহিনী আমায় যেরূপ বলিয়াছিলেন, তাহাতে সেইরূপই বোধ হয়।”

“এরূপ ঘৃণা থাকিবার কারণ কিছু অনুমান করিয়াছেন কি?”

“আমার বোধ হয়, তাঁহার চরিত্র সম্বন্ধে তিনি সন্দেহ করেন।

“মিস্ মনোমোহিনী সেই রজনীতে বাগানে মাটি খোঁড়া ও মাটি ফেলার শব্দ পাইয়াছিলেন?”

“সেটা তাঁহার মনের ভ্রম মাত্র।”

“আপনার মতামত আমি জিজ্ঞাসা করিতেছি না। শরীরে রোগ হইলে যখন আমি চিকিৎসার জন্য আপনার নিকট আসিব, তখন আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করিলে অবনতমস্তকে তাহা গ্রহণ করিব। এখন আমি আপনাকে যে সকল কথা জিজ্ঞাসা করিব, তাহার উত্তর পাইলেই যথেষ্ট হইবে। এখন যে রোগ জন্মিয়াছে, তাহার চিকিৎসক আমি—আপনি নহেন। এ রোগ আরোগ্য করা বা ইহার কারণ নির্দ্ধারণ করা আপনার সাধ্যাতীত।”

ওগিলভি সাহেব যেন কথঞ্চিৎ অপ্রস্তুত ও লজ্জিত হইয়া কহিলেন, “আচ্ছা, আপনাকে এখন এ সন্দেহ-রোগের চিকিৎসক বলিয়াই মানিলাম। আপনার আজ্ঞা অবনতমস্তকে পালন করিব। আপনি এইবার আমায় যে সকল প্রশ্ন করিবেন, আমি সরলভাবে কেবল তাহারই উত্তর দিব।”

আমি জিজ্ঞাসিলাম, “মিস্ মনোমোহিনী, সেই রজনীতে মৃত্তিকা খননের শব্দ শুনিয়াছিলেন?”

উত্তর। হাঁ।

প্রশ্ন। তাঁহার বোধ হইয়াছিল, যেন কাহাকেও কবর দিবার জন্য বাগানে মাটি খুঁড়িয়া রাখা হইতেছে। তিনি ভাবিয়াছিলেন, তাঁহার পিতাকে বাগানেই গোর দেওয়া হইবে।

উত্তর। তিনি বলেন, এই প্রকার তিনি অনুমান করিয়াছিলেন।

প্রশ্ন। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের মৃত্যুর পূর্ব্বে বাড়ীর অনেক চাকর লোকজন ছিল? উত্তর। ছিল।

প্রশ্ন। তাঁহার মৃত্যুর পরেই তাহাদিগকে ছাড়াইয়া দেওয়া হয়?

উত্তর। হাঁ, মিসেস্ রায় তাহাদিগকে ছাড়াইয়া দিয়াছিলেন।

প্রশ্ন। বাড়ীতে কেবল একজন দাসী ছিল?

উত্তর। হাঁ।

প্রশ্ন। সে-ও রাত্রিতে চলিয়া যাইত?

উত্তর। মিস্ মনোমোহিনী তাহাই আমায় বলিয়াছিলেন।

প্রশ্ন। আপনি বলিয়া আসিয়াছিলেন যে, মিস্ মনোমোহিনী তিন-চার ঘন্টা পরে, একটু সুস্থ হইলে পিতার মৃতদেহ দেখিতে পারেন?

উত্তর। হাঁ। কারণ—

আমি। বাধা দিয়া বলিলাম, “কারণ আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি নাই। যখন আপনাকে কারণ জিজ্ঞাসা করিব, তখন আপনার যাহা বলিবার থাকিবে, তাহা বলিবেন।”

আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলাম, “মিসেস্ রায়ও সেই তিন-চার ঘন্টা পরে, মিস্ মনোমোহিনীকে তাঁহার পিতার মৃতদেহ দেখিতে দিবেন বলিয়া অঙ্গীকার করিয়াছিলেন?”

ওগিলভি বলিলেন, “অঙ্গীকার এমন কিছুই করেন নাই, তবে আমার কথার উপরে তিনি কোন কথা কহেন নাই বটে।”

আমি বলিলাম, “তা’ হ’লে আপনার উপদেশ মত কার্য্য করা হইবে কি না, তাহা আপনি তখন বুঝিতে পারেন নাই?”

তিনি বলিলেন, “আমি জানিতাম, মিসেস্ রায় আমার কথামতই কার্য্য করিবেন।”

আমি। কিন্তু তিনি তাহা করেন নাই?

তিনি। পাছে মিস্ মনোমোহিনী সেই ভীষণ দৃশ্য দেখিয়া—

আমি। (বাধা দিয়া) আবার আপনার অভিমত প্রকাশ করিতেছেন? আমি যাহা জিজ্ঞাসা করিতেছি সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ব্যতীত আপনার আর কোন কথা কহিবার অধিকার নাই, জানিবেন। মনোমোহিনীকে তিন-চার ঘন্টা পরেও তাঁহার পিতার শবদেহ দেখিতে দেওয়া হয় নাই?

তিনি। না। আপনি আমাকে যে রকম জেরা করিতেছেন, আদালতে হাকিম এরূপ করিতেন কি না সন্দেহ।

আমি। আপনাকে এইরূপ ভাবে জেরা করাই আমার আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে।

তিনি। আপনি বড় কড়া হাকিম দেখিতেছি।

আমি। যথার্থ হাকিম হইলে বোধ হয়, আরও কড়া হইতাম।

তিনি। এখন আপনি আর কি জিজ্ঞাসা করিতে চাহেন, বলুন।

আমার জিজ্ঞাসা করিবার অনেক কথা ছিল। ওগিলভি সাহেবের উত্তরগুলি একবার মনে মনে আলোচনা করিতে লাগিলাম। ইত্যবসরে ডাক্তার সাহেবকে ডাক পড়িল। তিনি অপর কক্ষে চলিয়া গেলেন, আমি চিন্তা করিতে লাগিলাম।

ডাক্তার ওগিলভি সাহেব ফিরিয়া আসিলে পর, আমি পুনরায় জেরা করিতে আরম্ভ করিলাম। আমি। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয় যে ঘরে, যে শয্যায় শয়ন করিতেন—সেই ঘরে, সেই শয্যায় কি তাঁহার মৃত্যু হইয়াছিল?

ওগি। হাঁ।

আমি। ব্রজেশ্বর রায়ের মৃত্যু হইলে সে ঘরে চাবি পড়িয়াছিল। মিসেস্ রায় কি সে ঘরে শয়ন করিতেন না?

ওগি। তাহা বলিতে পারি না।

আমি। মিস্ মনোমোহিনী ঘরে চাবি দেওয়া দেখিয়াছিলেন?

ওগি। হাঁ।

আমি। মিসেস্ রায়ের সঙ্গে সেই রজনীতে মিস্ মনোমোহিনীর সাক্ষাৎ হয় নাই?

ওগি। না।

আমি। তিনি কোথায় ছিলেন?

ওগি। মিস্ মনোমোহিনী আমায় সে বিষয়ে কোন কথা বলেন নাই।

আমি। মিসেস রায়কে দেখিতে না পাইয়া মিস্ মনোমোহিনী তাঁহার কোন সন্ধান করেন নাই?

ওগি। না, তিনি বরাবর নিজ কক্ষে ফিরিয়া গিয়া শয়ন করিয়াছিলেন।

আমি। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের মৃত্যুর পর মিসেস্ রায় বোধ হয়, অন্য কক্ষে শয়ন করিতেন।

ওগি। হইতে পারে।

আমি। সে সম্বন্ধেও মিস্ মনোমোহিনী আপনাকে কিছু বলেন নাই, আপনিও কিছু শুনেন নাই?

ওগি। না।

আমি। মিস্ মনোমোহিনী পিতার মৃতদেহের আবরণ উন্মোচন করিয়া দেখেন যে, সে শবদেহ তাঁহার পিতার নয়?

ওগি। তিনি আমাকে তাহাই বলিতে আসিয়াছিলেন।

আমি। মিসেস্ রায় ও কুক্‌ কি এখন এদেশ ছাড়িয়া চলিয়া যাইবার কল্পনা করিতেছেন? ওগি। হাঁ।

আমি। মিস্ মনোমোহিনী কি তাহাতে স্বীকৃতা নহেন?

ওগি। না। তিনি কলিকাতা ছাড়িয়া যাইতে চাহেন না।

আমি। কেন?

ওগি। সে কথা স্পষ্ট কিছুই খুলিয়া বলেন নাই। তবে তাঁহার সহিত কথোপকথনে আমার এই ধারণা হইয়াছে যে, মিঃ কুক্‌কে তিনি ভাল চক্ষে দেখেন না।

আমি। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের কি আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব কলিকাতায় অনেক আছেন?

ওগি। তাঁহার আত্মীয়গণ হিন্দু, তিনি খ্রীষ্টিয়ান ধৰ্ম্মাবলম্বী। কাজে কাজেই পূৰ্ব্ব আত্মীয়গণ কর্তৃক তিনি একেবারে পরিত্যক্ত হইয়াছিলেন। খ্রীষ্টিয়ান-ধর্ম্মাবলম্বীদের মধ্যেও তাঁহার কোন আত্মীয়তা ছিল না। তবে বন্ধুবান্ধব তাঁহার অনেক ছিল বটে।

আমি। মিস্ মনোমোহিনীকে ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের বন্ধুবান্ধবগণ চিনিতেন?

ওগি। হাঁ।

আমি। মিস্ মনোমোহিনীর কলিকাতা পরিত্যাগে অস্বীকৃতা হইবার এও একটা কারণ হইতে পারে?

ওগি। হইতে পারে।

আমি। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয় মিঃ কুকের ভগ্নীকে বিবাহ করিয়াছিলেন বলিয়াই কি মিঃ কুক্‌ তাঁহার বাড়ীতে অন্নদাস হইয়াছিলেন?

ওগি। এ সকল কথার উত্তর আমি কেমন করিয়া দিব?

আমি। মিঃ কুক্‌ দেখিতে কেমন?

ওগি। চেহারা ভাল নয়।

আমি। ভদ্রলোকের মত কি?

ওগি। হাঁ, অন্ততঃ পোষাক-পরিচ্ছদে তাহাকে ভদ্রলোক বলিয়া বোধ হয়।

আমি। কথাবার্তা কি রকম?

ওগি। তা বড় ভাল নয়।

আমি। আকৃতি দেখিলে তাহাকে বদমায়েস গোছের লোক বলিয়া বোধ হয় কি?

ওগি। তা’ আমি অত ভাল করিয়া দেখি নাই।

আমি। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের মৃত্যুর পর, মিসেস্ রায়, মিস্ মনোমোহিনীকে খুব আদর-যত্ন করিতেছেন?

ওগি। হাঁ।

আমি। মিস্ মনোমোহিনী তাহাতে সন্তুষ্ট?

ওগি। হাঁ, এক রকম বটে।

আমি। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের গাড়ী-ঘোড়া ছিল?

ওগি। ছিল।

আমি। এখনও আছে কি?

ওগি। আছে।

আমি। তাঁহার কোচম্যান সহিস প্রভৃতি কোথায় থাকে?

ওগি। ব্রজেশ্বর রায় মহাশয়ের বাড়ী প্রকাণ্ড। বাড়ীর চারিদিকে বাগান ও খালি জমি। সেই বাগানের এক প্রান্তে আস্তাবল। সেইখানে কোচম্যান সহিসগণ থাকে। বাড়ীর সহিত তাহাদের যেন কোন সম্পর্ক নাই।

আমি। বাড়ীতে একটা গোলযোগ হইলে তাহারা জানিতে পারে কি?

ওগি। না।

আমি আর কোন প্রশ্ন না করিয়া ডাক্তার ওগিলভি সাহেবের নিকট বিদায় প্রার্থনা করিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখন আপনি আমায় একটা সন্ধান আনিয়া দিতে পারেন কি?”

আমি। কি সন্ধান?

ওগি। মিস্ মনোমোহিনী কেমন আছেন, মিসেস্ রায় তাঁহার প্রতি কিরূপ ব্যবহার করিতেছেন, আর এই ঘটনার মধ্যে কোন গূঢ় রহস্য নিহিত আছে কি না?

আমি। সেই সন্ধান আপনাকে দিবার জন্যই তো আমি এত প্রশ্ন করিলাম।

ওগি। আপনি যেরূপভাবে প্রশ্ন করিলেন, আর আমার প্রতি যে সকল বিদ্রুপোক্তি প্রয়োগ করিলেন, তাহাতে আমার মনে নানা প্রকার সন্দেহের উদয় হইতেছে। এই ঘটনায় কি কোন ভয়ানক গুপ্তচক্রান্ত ছিল বলিয়া আপনার অনুমান হয়?

আমি কিছু বেগের সহিত বলিলাম, “অনুমান ত দূরের কথা—আমি যাহা সিদ্ধান্ত করিয়াছি, সম্ভবতঃ ঘটনাতেও তাহাই ঘটিয়াছে। আমার সিদ্ধান্ত, আমি এখনই তর্ক-যুক্তির দ্বারা সপ্রমাণ করিতে পারিতাম, কিন্তু সে সময় আর নাই। আপনার দোষে যে ঘটনা ঘটিয়াছে, তাহা হইতে আরও বহুতর অনিষ্ট সাধিত হইতে পারে। আর আমি আপনার এখানে বসিয়া অনর্থক কালহরণ করিতে পারি না।”

এই পৰ্য্যন্ত বলিয়া, তিনি কোন কথা বলিবার পূর্বেই আমি সে স্থান হইতে প্রস্থান করিলাম।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *