দাম্পত্য কলহের অন্তরালে – বরুণ মজুমদার
শেষ পর্যন্ত পাপিয়া বাপের বাড়ী যাবার সিদ্ধান্ত নিল। এর চেয়ে অনেক ভাল মায়ের মুখ ঝামটা খাওয়া। স্বামী হিসাবে তার মনে মনে একটা স্বপ্ন সে এঁকে নিয়েছিল। সে হবে শিক্ষিত, সরকারী চাকুরে, লম্বায় হবে অন্তত: ৬ ফুট। কিন্তু এধ্ব কিছুই হয়নি। সামান্য একটা ইলেকট্রনিক্স-এর দোকানের মালিক তরুণ। তাও আবার দোকানের মালিকানা নিজের নামে নয়, বাবার নামে।
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া বলতে গেলে বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল। সামান্য ঘটনাগুলো তার কাছে অসামান্য হয়ে উঠতো। পাপিয়া জানে না সংসার করতে গেলে বিশেষ করে পরের ঘর করতে গেলে অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়। তার বিধবা মা অন্ততঃ এই পাঠটুকু তাকে শেখায়নি। তার ফলেই যত বিপত্তি।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বলতে গেলে সব সংসারেই লেগে থাকে। কিন্তু আবার কিছুক্ষণ পরে তা মিটে যায়। কিন্তু এদের ঝগড়া শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পরিণত হবে তা কি দুজনের একজনও ভাবতে পেরেছিল?
না, ভাবতে কেউই পারে না। সংসারে স্ত্রীকে হতে হয় সর্বংসহা—একথা তো আমাদের মা ঠাকুমার আমল থেকে বারবার শুনে আসছি। আবার অনেকের বাড়ীর দেওয়ালে কাচ কাঠের ফ্রেমে আঁটা সাদা কাপড়ের ওপর সিফন সুতোর কাজ করা সে লাইনটাতো ঝোলে সংসার সুখের হয়, রমণীর গুণে। আজকালকার, অর্থাৎ আধুনিক যুগের মেয়েরা একথা মানতে রাজী নয়, কেননা এটা তো একবিংশ শতাব্দীর যুগ। নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেবার জন্য সংসদে বিল আসছে, সংসদ ও বিধানসভায় নারীদের আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে, লু যুগের অগ্রগতির সঙ্গে আমরা ও আমাদের ছেলেমেয়েরা কি তাল রাখতে পেরেছে? পাপিয়ার শ্বশুর মশাই মাঝে মাঝেই কথাগুলো শাশ্বত বাণীর মত আউড়ে গেছেন। কিন্তু তাতে কি কোনো কাজ হয়েছে। না, কিছুই হয়নি।
পাপিয়া আর তরুণের মধ্যে ঝগড়াটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাপিয়ার অভিযোগ আমার মায়ের কাছে তোমার বাবা মিথ্যা কথা বলে নগদ ১০ হাজার টাকা পণ নিয়েছে। তার সঙ্গে দামী খাট আর আলমারী, ড্রেসিং টেবিল তো আছেই। লজ্জা করে না?
তরুণও দমবার পাত্র নয়। সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলো তোমার মা তো আমার বাবাকে বলেছিল, তুমি বি.এ. পাশ করেছে। কই বিয়ের নি বছর কেটে গেলেও তো তোমার বি.এ. পাশের মার্কশীট বা সার্টিফিকেট কিছুই যোগাড় করতে পারলে না। অন্ততঃ আমাকে বা আমার বাবাকে দেখাতে পারলে না। তোমাদের পাড়ার কাউন্সিলর নিতাইবাবু ঠিকই বলেছিলেন যে তুমি আসলে বি.এ. ফেল করেছে। এসব জালিয়াতি ছাড়া কিছু নয়।
পাপিয়াও ছেড়ে বলার পাত্রী নয়। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল—তোমার বাবা তো বলেছিল, মাসে তোমার আয় পাঁচ হাজার টাকার বেশী। কই পাঁচশো টাকাও তো তোমার হাতে কোনোদিন দেখিনি। মা তো খবর নিয়ে জেনেছে যে, তোমার বাবার রোজগারে সংসার চলে। সংসার চালানোর মুরদ নেই যার সে আবার বিয়ে করতে যায় কোন সাহসে?
কথাগুলো ঝা ঝা করে তরুণের কানে গিয়ে বিধলো। তার পৌরুষ খোঁচা খাওয়া বাঘের মত যেন আহত হল। প্রাণপণে তাই ধাক্কা দিয়ে পাপিয়াকে মাটিতে ফেলে চুলের মুঠো ধরে হেঁচড়ে টানতে লাগলো।
এদিকে অনেকক্ষণ ধরে চেঁচামেচি শুনে তরুণের বাবা আর স্থির থাকতে পারলেন না। ছেলে-বৌ এর ভেজানো ঘরের দরজা ফাঁক করে দেখলেন। বৌমা মাটিতে পড়ে আছে আর তার চুলের মুঠো ধরে ছেলে বীরবিক্রমে টানছে। পাপিয়া চিৎকার করে বলছে, মরে গেলুম, মরে গেলুম।
তরুণের বাবা সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকে, ছেলেকে কড়া সুরে এক ধমক লাগালেন—এটা কি বস্তিবাড়ী পেয়েছো? লজ্জা করে না মেয়েছেলের গায়ে হাত দিতে? জানো, রাবণের কথা, সীতার চুলে হাত দিয়েছিল বলে রাবণের বংশ নিবংশ হয়ে গিয়েছিল?
শ্বশুরের সমর্থন পেয়ে পাপিয়া ততক্ষণে মাটি থেকে সোজা দাঁড়িয়ে উঠে বললো, এরকম বংশ নিঃবংশ হয়ে যাওয়াই ভাল। তোমরা সবাই মরো, আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি এ বাড়ীতে ঘু ঘু রুক।
শশুর মশাই কথাগুলো শুনে খুবই ক্ষুব্ধ হলেন। তার সমস্ত অজ্ঞাত্মা বার বার কেঁপে উঠতে লাগলো। তিনি চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলেন। ভাবলেন, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় কেন মাথা ঘামাতে গেলেন? এদিকে মাথা না ঘামালেও নয়। কেননা বাড়ীতে এরকম একটা বিশ্রী কাণ্ড হচ্ছে, আশেপাশের বাড়ীর লোক শুনছে, নিজের মান সম্মানই বা কি করে বজায় থাকে? বাইরে বের হলে লোকে যে তাকে দেখে ঘেন্নায় মুখ ফিরিয়ে নেবে। এ কথা ভাবতে ভাবতে ভদ্রলোক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন।
ওদিকে তরুণ তারস্বরে চেঁচাচ্ছে হল তো, একটা অঘটন না ঘটিয়ে তুমি ছাড়বে না। বৌ-এর দিকে তাকিয়ে কুটি হানছে। দু বছরের মেয়েটা দাদুর এই অবস্থা দেখে রীতিমত ভয়ে সিঁটিয়ে আছে। ঠাকুমা ঠাকুমা বলে দুবার কান্নাজড়ানো স্বরে ডাকলো। পাপিয়ার তখনো রাগ পড়েনি। সেই অবস্থাতেই চেঁচিয়ে বললো, বাড়ীর ধারা যাবে কোথায়? বুড়োর উচিত শিক্ষা হয়েছে। কেন আমাদের ব্যাপারে নাক গলাতে গেলেন? উনি উনার মত ঘরে বসে থাকলে। বুড়োর সব ব্যাপারে মাথা গলানো চাই। এতে তরুণ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বলে উঠলো, এখুনি বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাও।
ততক্ষণে তরুণের মা রান্নাঘর থেকে ছুটে এসেছে। ছুটে এসেছে বাড়ীর রাতদিনের কাজের লোক সন্ধ্যা। তরুণ বাথরুম থেকে একমগ জল এনে বাবার চোখেমুখে জলের ঝাঁপটা দিতে লাগলো। তার মা সমস্ত কাণ্ড দেখে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, তখনই বলেছিলাম, ও ঘরে মেয়ে সুবিধের হবে না। কিন্তু বুড়ো শুনলো না। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, কেন হাড় জ্বালানে বৌ ঘরে এনেছে। পাপিয়াও দমবার পাত্র নয়। ঐ অবস্থাতেই ফোঁস করে উঠলো। বলি কোন রাজকন্যা আপনার ‘রাজপুত্তর’ ছেলের গলায় মালা দিত? অমন ছেলের গলায় দড়িও জোটে না। তরুণ রাগে অগ্নিশর্মা হলেও বাবার অবস্থার কথা বিবেচনা করে কোনোরকমে নিজেকে সামলে নিল। বাবার জ্ঞান কিছুতেই ফিরছে না। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার ডাকা হল। ডাক্তার এসে সব শুনে বললেন, খুব মানসিক আঘাত পেয়েছে। ভদ্রলোকের কিছুদিন বিশ্রাম প্রয়োজন, আবার এরকম হলে বড় ধরনের স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা আছে। এখন সামান্য একটা স্ট্রোক হয়েছে।
ব্রেন স্ক্যান করা, ওষুধপত্র সব মিলিয়ে অন্ততঃ পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেল। তাতে পাপিয়ার কিছু যায় আসে না, মনে মনে ভাবে এটা পাপের শাস্তি।
সত্যি মানুষ যখন নিরুপায় হয়ে যায় তখন বুঝি তার এই দশাই হয়ে থাকে। অথচ এই শশুরের রোজগারের টাকায় এতদিন সংসারটা বেশ ভালভাবেই কেটেছে। এখন তার বিশেষ কর্মক্ষমতা নেই। তাই সংসারে তার কদর কমে গেছে। এখন তিনি শুধুই করুণার পাত্র।
সারা জীবন বাবা প্রচুর টাকা রোজগার করেছে। ব্যাঙ্কে ভাল টাকাও জমা আছে। ছোট ছেলে অরুণ বাবার এই অবস্থার কথা জেনে দিল্লী থেকে সপরিবারে এসে গেছে। ছোট ছেলে প্রস্তাব দিল বাবাকে একটা ভাল নার্সিং হোমে ভর্তি করা হোক। তরুণ কিছুটা রাজীও হয়ে গেল। কিন্তু বাদ সাধলো পাপিয়া। রাত্রে শোবার সময় স্বামীকে বললো, বুড়ো বাপটাকে নিয়ে অত আদিখ্যেতা করতে হবে না? ঢের বয়স হয়েছে। ওকে এখন বাঁচিয়ে রেখে কোনো লাভ হবে না। আমার মেয়েটার জন্য দুবেলা দুধ জোটাতে পারছে না, আর বাবার জন্য ভাল নার্সিং হোমের ব্যবস্থা?
তরুণ বোঝাবার চেষ্টা করলো–বাবার টাকাই তো খরচ হবে। আমাদের তো আর কোনো টাকা পয়সা খরচ করতে হচ্ছে না।
সঙ্গে সঙ্গে পাপিয়া চাপা অথচ ঝাঝালো গলায় বলে উঠলো-বাবার টাকা বেশী খরচ হয়ে গেলে তোমরা তো ভাগে কম পাবে সেটা কি কখনো ভেবে দেখেছো?
তরুণ সত্যিই এতটা নিচু মন নিয়ে কোনোদিন ভাবতে পারেনি। কথাগুলো তার বুকে যেন শক্তি-সেলের মত বিধলো। বললো, তাহলে তোমার মার অসুখের সময় অতগুলো টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে গিয়ে খরচ করলে কেন? তোমার মার তো অনেক বয়স হয়েছে। তাকে নার্সিং হোমে ভর্তি করাতে গেলে কেন? কই তখন তো তোমার ভাই গরীব সেজে দিব্যি হাতগুটিয়ে বসে থাকলো।
কথাগুলো পাপিয়ার কাছে আগুনে ঘৃতাহুরি মত মনে হল। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল—তোমার বাবার চেয়ে আমার কাছে আমার মায়ের দাম অনেক বেশী। তোমার বাবা মারা গেলে সংসারের খুব একটা ক্ষতি হবে না। কিন্তু আমার মাকে এখনো তিন তিনটে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। মা মারা গেলে ঘাই অনাথ হয়ে যাবে।
তরুণও ছাড়বার পাত্র নয়। পাপিয়ার দিকে রক্তবর্ণ চোখ করে বলে উঠলো—অতই যদি মায়ের প্রতি দরদ তবে বিয়েটা করেছিলে কেন? মায়ের কাছেই তো সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারতে। মেয়ের বিয়ে দেওয়া মানে জামাইকে দুইয়ে নেওয়া নয়, একটা ইনকামের উৎস নয়। মায়ের ওখানে গেলেই তো খাওয়ার খরচা দিতে হয়। কেন, মা তার মেয়েকে খাওয়াতে পারে না?
পাপিয়া বলে উঠলো, তোমার মেয়ে গিয়ে থাকবে তার জন্য দুধের খরচ মা জোগাতে যাবে কেন? লজ্জা করে না, একটা বিধবার ঘাড়ে বসে খেতে?
পাপিয়া প্রায় প্রতি সপ্তাহে মায়ের ওখানে গিয়ে থাকে। এটা তরুণ বা তার বাবা মার একেবারে পছন্দ নয়। তাই ছেলে বউকে আলাদা করে দিয়েছেন তাঁরা। কেননা পাপিয়া রান্না করতে পারবে না বলে দিয়েছে। তার সাফ কথা তোমার বাবা মাকে আমি রান্না করে খাওয়াতে যাবো কেন?
বিধাতা মেয়েদের তৈরী করেছেন সংসারের সুখের জন্য। কিন্তু তরুণ একদিনের জন্য পাপিয়াকে বিয়ে করে সুখী হয়নি। তার মেয়েদের প্রতি সত্যিই এখন বিতৃষ্ণা এসে গেছে। মনে মনে ভাবে বিয়ে করে সে যেন ঘরে বন্দী হয়ে গেছে। বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ। একটু আড্ডা মেরে মনটা হাল্কা করে নেবে তারও উপায় নেই। কেননা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে গেলেই পাপিয়া ভীষণ অশান্তি করে। বলে, বন্ধু বান্ধবরা তোমার মাথা খাচ্ছে। কে যে কার মাথা খাচ্ছে তা সত্যিই বোঝা মুস্কিল। এক ছাদের তলায় তরুণকে থাকতে হচ্ছে পাপিয়া আর মেয়েকে নিয়ে। মাঝে মাঝে মনে হয়, একবার ছাদটা ভেঙ্গে পড়ুক সব নিঃশেষ হয়ে যাক। ঘরের ফাটা ছাদ দিয়ে মাঝে মাঝে বর্ষাকালে জল পড়ে। বিছানা ভিজে যায়—তা নিয়েও পাপিয়া তাকে কম কথা শুনিয়েছে? পাপিয়ার মাও তো একদিন বললেন, আমার মেয়েকে তুমি কি দিয়েছে? একখানা ছাদফাটা ঘর আর ছোট একটা বারান্দা। যাতে রান্না করে খেতে হয় কোনও রকমে। বর্ষা এলে জলের ঝাঁপটায় রান্না করা দায়। তরুণ এসব কথার কোনো উত্তর দেয় না। বলা যেতে পারে উত্তর দেবার মত কোনো কথা তখন মনে আসে না। ইতিমধ্যে তরুণের বাবা মারা গেলেন। দারুণ স্ট্রোকে আধঘণ্টার মধ্যে সব শেষ। তরুণ এখন নিরুপায়। আর এরই ফাঁকে পাপিয়া আরো যেন দাপটে চেপে বসেছে তার বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মত। কিছুতেই তাকে সরাতে পারছে না।
পাপিয়া-তরুণের ঝগড়া দারুণ রূপ নিল যখন মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করাতে জেদ ধরলো পাপিয়া। তরুণ তাকে বাংলা মিডিয়াম স্কুলেই ভর্তি করতে চায়। তার যুক্তি—মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়িয়ে কোনো লাভ নেই। তাছাড়া তাদের বাড়ীর সকলেই বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়েই মানুষ হয়েছে। পাপিয়া নাছোড়বান্দা-মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করাতেই হবে। সে দেখেছে ছেলে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া নেওয়ার সময় মায়েরা কেমন স্টাইল করে কথা বলে, আড্ডা মারে। তারও ইচ্ছা করে। সঙ্গতি থাক না থাক সেটা তার কাছে বড় কথা নয়।
শেষ পর্যন্ত দুজনের মধ্যে এমন ঝগড়া বাধলো যে তরুণ নিজেকে সামলাতে না পেরে সোজা পাপিয়ার গাল কষে একটা চড় বসিয়ে দিল। পাপিয়ার গালে আঙুলের দাগ বসে গেল। এর আগেও পাপিয়া বেশ কয়েকবার মার খেয়েছে। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা তার কাছে চরম অপমানের বলে মনে হল।
আর ঝগড়া নয়, আর মারামারি নয়, সোজা এক কাপড়ে মেয়ের হাত ধরে চলে এলো মধ্য হাওড়ায় মায়ের কাছে। তারপর কুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না—আমি আর শ্বশুরবাড়ী যাবো না। আমাকে একখানা ঘর দাও মা, আমি এখানেই থাকবো।
পাপিয়ার মা কোনো উত্তর দিলেন না। ছোট ভাই নিতাই মুখের ওপর বলে। দিল। এ বাড়ীতে থাকা হবে না। পাপিয়ার কানে কথাগুলো বিষের মত ঠেকলো। শুধু ভাবতে লাগলো— কেন এমন হল?