জীবনের প্রতি মুহূর্তই তো গল্প
দুপুরের হালকা রোদের মধ্যে খণ্ড-ত-এর আকারের এক টুকরো কালো মেঘ বহুক্ষণ ধমক দিয়ে রেখেছে আকাশের ঈশান কোণে। দুপুরের খাওয়া সেরে মেঘখণ্ডটিকে সোমেন দেখতে থাকে জহুরির চোখে। বিকেলে বেরোতে হবে, কথা দেওয়া আছে এক সাহিত্যপাগল তরুণকে। সাড়ে পাঁচটায় শুরু অনুষ্ঠান। কিন্তু শ্রাবণদুপুরের মেঘ কি এরকমই নিরীহ, নখদন্তহীন থেকে যাবে, না কি—
দুপুরে বিছানায় চিলতে বিশ্রাম করছিল, হঠাৎ ভেসে আসে সামান্য গুরু গুরু শব্দ, নিশ্চয় মেঘধ্বনি। তাহলে কি বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি হচ্ছে! বিছানা থেকে উঠে সোমেন চোখ বাড়ায় জানালার ওপাশে। নিকষ কালো মেঘখণ্ড কিছুটা সরে গিয়ে আলতোভাবে ঝুলে আছে উত্তর আকাশের এক দুরূহ কোণে। হঠাৎ তার উপরের দিকটা কেমন বেমক্কা বেঁকে যেতে শুরু করল ধনুকের মতো।
সাড়ে চারটেয়, শেষ-দুপুরের মুহূর্তে যতখানি রোদের তেজ থাকার কথা, তা নেই। বিকেলের ধূসর রং মাখা মরা আলো মন খারাপের মতো ঝুলে আছে আশেপাশে বাড়িগুলোর আলসের ধারে, ফুলন্ত টবের উপর, গাছের সবুজ পাতায়।
কিছুটা অস্থির বোধ করে সোমেন। কোথাও যাওয়ার থাকলে একটু উত্তেজনা থাকে, কথা রাখার দায় থাকে। যারা তার জন্য অপেক্ষা করে তাদের কচি মুখগুলোর কথা মনে ভাসে।
আপনি আসবেন কিন্তু। আপনি না আসা পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরুই করব না। আমাদের নতুন গল্প শুনতে হবে।
সোমেনের ভিতর এক প্রবল ছটফটানি। তার বাড়ি থেকে সাত-আট মিনিট হেঁটে গেলে বড়ো রাস্তা। সেখানে রিকশা পেলে আরও মিনিট পনেরো। পাঁচটায় বাড়ি থেকে বেরোলে পৌঁছে যাবে সময়মতো।
নিশ্চেষ্ট হয়ে না থেকে বারান্দায় বেরিয়ে পরিমাপ করে রোদের জ্বর। জ্বর কমেছে দেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল মেঘেরা দল বেঁধে ব্যায়াম করছে স্বাস্থ্যবান হবে বলে। নীল নভে নীলের পরিমাণ কমে ধারণ করছে কৃষ্ণবর্ণ। তবে কি বেরোনোর আগেই বৃষ্টি নেমে যাবে!
যার আমন্ত্রণে আজকের যাওয়া, সায়ন্তক নমে সেই তরুণের আবদারটি ভারী অদ্ভুত। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘এত যে গল্প লেখেন, কোথায় পান এত প্লট’। সোমেন অনায়াসে বলেছিল, ‘গল্প তো প্রতি মুহূর্তেই সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের জীবনে। শুধু লুফে নেওয়ার অপেক্ষা। ছোট্ট একটা ঘটনা, এক টুকরো অনুভূতি— সব কিছু নিয়েই একজন লেখক গল্প লিখতে পারেন।’ সায়ন্তক অবাক হয়েছিল, বলল, ‘তাই? তাহলে আপনার কাছে আমাদের আবেদন ওইদিন এমন এক গল্প বলবেন যা সেদিনকারই কোনও অনুভূতি বা ঘটনা নিয়ে হবে। অগ্রপশ্চাৎ কিছু বিবেচনা করে সোমেন হেসে বলেছিল, ‘তাই হবে।’
বলেছিল ঠিকই, কিন্তু সমস্যা এই যে, আজ সকাল থেকে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি যা দিয়ে গল্প লেখা যাবে! তাহলে কি আকাশে মেঘের সাজগোজ নিয়েই হবে তার আজকের গল্প! অথবা বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে!
ঘড়ির কাঁটা বলছে আরও আধঘণ্টার আগে বেরোনো যাবে না, তাহলে সাড়ে পাঁচটার অনেক আগেই পৌঁছে যাবে সভায়। সময়ের আগে সভায় গেলে হাস্যাস্পদ হবে, হয়তো তখনও এসে পৌঁছোবে না উদ্যোক্তারা। হয়তো তখনও শেষ হবে না ফেস্টুন টাঙানো, হয়তো হলের দরজাই খোলা হবে না তখনও! বরং আরও কুড়ি মিনিট পরে বেরবে।
এমন ভাবাভাবির মধ্যে আরও এবার মেঘধ্বনি। না, ধ্বনি নয়, এবারে গর্জন। অস্থিরতা বাড়তে থাকে ভিতরে। বাড়তে থাকে গর্জনের স্বর। হয়তো ঝমঝম করে বৃষ্টি নামবে। বেরোনই যাবে না বাড়ি থেকে। অপেক্ষারত তরুণদের মুখগুলো মনে আসে। তারা তাদের নতুন গল্প পড়তে চায়, শুনতে হবে তাদের নতুন লেখার ধরন।
তবে কি এখনই বেরিয়ে পড়বে! ওয়ারডেরাব খুলে হাত বাড়ায় পোশাকের সন্ধানে। একবার সেখানে পৌঁছে গেলে নিশ্চিন্ত। কিন্তু গায়ে পোশাক গলানোর আগেই শোনে বাইরে গুরু গুরু মেঘের আওয়াজ। পোশাক পরা তখনও শেষ হয়নি, তাড়াতাড়ি বারান্দায় গিয়ে দেখে বৃষ্টির ফোঁটারা ধেয়ে এলেন কিনা! না, আসেননি এখনও। হঠাৎ এক বিদ্যুৎ রেখা চমকে দিল আকাশের এ-কোণ থেকে ও-কোণে। পরক্ষণে তীবর বজ্রধ্বনি কাঁপিয়ে দিয়ে গেল গোটা ধরণী।
বৃষ্টি শুরু হলে ভাসিয়ে দিতে শুরু করবে রাস্তা, বাড়ি, গাছপালা, লম্বা পিচপথ।
সোমেন পোশাক পরে প্রস্তুত হয়ে ভাবল বৃষ্টির ভয়ে ঘরে বসে থাকলে অনুষ্ঠানে পৌঁছোতে পারবে না। রাখা যাবে না প্রতিশ্রুতিও।
অতএব বেরিয়ে পড়ল পথে। চলতে চলতে আকাশের দিকে চোখ ফেলে অনুধাবন করার চেষ্টা করল ঝড় উঠবে কি উঠবে না! না কি বৃষ্টি!
ভাবনাটা তখনও লেগে আছে মগজের কোনও কোণে, হঠাৎ হাওয়ার একটা জোর দমক উড়িয়ে নিয়ে এল হাজারও খড়কুটোর টুকরো। চোখে ঢুকে পড়ল না-দেখা বালির কুচি।
দ্রুত পা চালিয়ে বড়ো রাস্তায় পৌঁছে তাকাচ্ছিল এদিন ওদিক। ঝড় আসার আগেই উঠতে চাইছিল রিকশায়। কিন্তু একটি রিকশাও নেই ধারেকাছে। তারাও কি ঝড় ওঠার ভয়ে সন্ধে হওয়ার আগেই রওনা দিয়েছে বাড়িমুখো!
সোমেন তাকাতে থাকে এদিকে ওদিকে। তার বাড়ি থেকে রিকশার দূরত্ব ভেবেই অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হয়ে গিয়েছিল তখন। এমন মেঘের দাপাদাপি হবে ভাবেনি একবারও।
একটি রিকশার জন্য ‘তোমার দেখা নাই রে’ বলে গুনগুন করছে, সে সময় বছর কুড়ি-বাইশের একটি ছেলে রিকশা নিয়ে এসে দাঁড়াল সামনে। ‘ওহ্, গড-সেন্ট’ বলে ছাতা সামলে হাত দেখাল তাকে। রিকশা থামতে একবুক স্বস্তি নিয়ে এগিয়ে গেল রিকশার দিকে।
কিন্তু ঈশ্বরের কী অপার করুণা, উঠতে যাওয়ার আগের মুহূর্তে এক তরুণী ছুটতে ছুটতে এসে হাজির, উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলল, রিকশাকে কিন্তু আমিই আগে হাত দেখিয়েছি।
তরুণীটি বছর চবিবশ-পঁচিশের, এখনকার মেয়েরা যেমনটি হয়, নীল জিনসের উপর হলুদ টপ, কাঁধে ব্যাগ, হাতে মোবাইল।
আপনি, মানে তুমি, সোমেন অবাক।
সোমেন বুঝে উঠতে পারল না তরুণী কখন রিকশাকে ডাক দিয়েছে! এই তো এক্ষুনি সোমেনের সামনেই এসে ব্রেক কষল রিকশাওয়ালা! সে-ই তো হাত দেখাল রিকশাকে! সেই কারণেই তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে রিকশাটা।
আমিই তো দূর থেকে হাত দেখালাম। রিকশাওয়ালা বলুক। তরুণী খুবই উৎকণ্ঠিত, বারবার তাকাচ্ছে আকাশের মেঘখণ্ডটির দিকে।
রিকশওয়ালা ছেলেটি হ্যাঁ-ও হয় না-ও হয়, এমন মৌনী।
রিকশাওয়ালার মৌনসম্মতি পেয়ে তরুণী এক লাফে রিকশায়। সোমেন যুগপৎ ক্ষুব্ধ ও বিব্রত। দুজনেই যদি হাত দেখিয়ে থাকে, কে একটু আগে, কে একটু পরে সেই ফটোফিনিসে সে-ই আপাতত পরাজিত।
কিন্তু ধারে কাছে আর একটিও রিকশা নেই! একটু অপেক্ষা করবে, না হেঁটে পাড়ি দেবে আধঘণ্টার পথ তা ভেবে কিঞ্চিৎ দোলাচলে। আকাশে মেঘদেবতারা যা আন্দোলন শুরু করেছেন, তাতে বৃষ্টি দেবতা আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করবেন তা মনে হচ্ছে না। হেঁটে গেলে ভিজে একশা হবে।
আসন্ন বৃষ্টির কথা ভেবে তার মুখে ফুটে উঠেছে প্রবল উদ্বেগ। ঘড়িতে এখন পাঁচটা বেজে পনেরো। বাড়ি থেকে একরকম মন করে বেরিয়েছে, এখন ফিরে যাবে তাতেও মন চাইছে না! কিন্তু রিকশা আর পাওয়া যাবে কি না ঠিক নেই!
তরুণী লক্ষ করছিল তার অভিব্যক্তি, মেঘের উপদ্রব দেখে সেও উপলব্ধি করছিল রিকশা না পেলে সোমেন অবশ্যই ভিজবে। তার হয়তো একটুকরো বিবেক-দংশন।
রিকশাওয়ালা রওনা দিতে শুরু করেছিল, তাকে ‘একটু থামো’ বলে দাঁড় করিয়ে তরুণী সোমেনকে জিজ্ঞাসা করল, কোথায় যাবেন?
জিজ্ঞাসা করার কোনও মানে হয় না, উত্তর দেওয়ারও কোনও যৌক্তিকতা নেই, তবু ভদ্রতার খাতিয়ে সোমেন উত্তর দেয়, গল্ফ গার্ডেন।
তাহলে উঠে পড়ুন।
সোমেন বিস্মিত, বলল, কোথায় উঠব?
এই রিকশায়। আমিও ওদিকে যাব।
দুই অচেনা যাত্রী একই রিকশায় উঠছে এ-দৃশ্য কলকাতা শহরে বিরলতম ঘটনা। তার উপর দিনকাল যা হয়েছে তাতে কোনও তরুণী এক অচেনা ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে রিকশায় তুলছে তা বিরলস্য বিরল ঘটনা।
হঠাৎ আর এক দমকা হাওয়া। সোমেন ইতস্তত করছে দেখে তরুণী বলল, ঝড় আসছে, আর বেশি ভাবাভাবির সময় নেই। উঠে পড়ুন।
সত্যিই ভাবার সময় ছিল না, সোমেন উঠতেই রিকশাওয়ালা প্যাডেল চালিয়ে দিল বাঁই বাঁই।
সোমেন তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিস্ময়ে ঘোর। কলকাতা শহরে এ ধরনের সৌজন্যবোধ অতি বিরল। বলল, খুব রেহাই পেয়ে গেলাম বৃষ্টির হাত থেকে। এক্ষুনি বৃষ্টি নামবে মনে হচ্ছে।
তরুণী হাসল, হ্যাঁ, রিকশাটা না পেলে কাকভেজা ভিজতে হত নির্ঘাত।
রিকশাটা হু হু করে এগোচ্ছে, সোমেন তাকায় মেয়েটির মুখের দিকে, পাশে বসে মেয়েটির পুরো মুখ দেখা যায় না, বলল, আমার কিন্তু ভারী অবাক লাগছে।
বাতাসের একটা ঝটকা উঠে আর এক দফা খড়কুটোর উড়ে বেড়ানো। মেয়েটি চোখে রুমাল চাপা দেয়, বলল, কেন?
এ শহরে এরকম মেয়ে কি আছে যে একটি অচেনা মানুষকে রিকশায় ডেকে নেবে?
মেয়েটির মুখে লেগে রয়েছে কয়েক টুকরো উদ্বেগ, তবু হাসল, নইলে আপনি তো ডাহা ভিজতেন।
তা ভিজতাম। কিন্তু কেউ তো আজকাল এরকম ভাবে না!
মেয়েটি চুপ করে থাকে। তার মধ্যে দু-তিন ফোঁটা বৃষ্টি।
সোমেন বলল, তুমি আমাকে বাঁচিয়ে দিলে। একজনকে কথা দিয়েছিলাম যাব বলে। তারা আমার অপেক্ষায় আছে। রিকশাটা না পেলে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারতাম না আজ।
মেয়েটি বলল, রিকশা না পেলে আমিও বেশ অসুবিধায় পড়তাম।
তাই নাকি? কীরকম? সোমেন জানতে চাইল, কিন্তু প্রশ্নটা করেই উপলব্ধি করল সদ্য চেনা একটি মেয়েকে এরকম প্রশ্ন করার কোনও অধিকার নেই।
কিন্তু উত্তর দিল মেয়েটি, বলল, আমার অফিস ছুটি হয় সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ। বাড়িতে বাবা একা থাকেন। হঠাৎ ফোন করলেন, শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। একটু আগে ছুটি নিয়ে আসতে পারবি?
সোমেন উদ্বিগ্ন হয়, তাই নাকি?
হ্যাঁ, হাউস ফিজিশিয়ানকেও ফোন করেছেন বাবা, তিনিও হয়তো এখনই এসে পড়বেন। তাই কোনওরকমে ছুটি নিয়ে বাস ধরে পৌঁছেছি। এখানে রিকশা না পেলে খুব সমস্যায় পড়তাম।
মিনিট দশেক পরে তরুণী রিকশাওয়ালাকে বলে উঠল, এই, আমি এখানে নামব।
সোমেনের গন্তব্য আসতে তখনও মিনিট পাঁচেক বাকি। সোমেন কী করবে ভাবার আগেই তরুণী ব্যাগ খুলে টাকা বার করে রিকশাওয়ালাকে দিয়ে বলল, গল্ফ গার্ডেন পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে দিলাম। তুমি এঁকে গল্ফ গার্ডেনে নামিয়ে দিও।
সোমেন বিব্রত বোধ করে বলল, এ কী, আমার রিকশাভাড়া কেন আপনি দেবেন?
তরুণী হেসে বলল, যদি এরকম হত, আপনার ডাকা রিকশায় আমি উঠতাম, তাহলে কি আপনি আপনার ভাড়াটা মিটিয়ে নেমে যেতেন বাকি ভাড়া আমি দেব বলে!
অকাট্য যুক্তি। সোমেন কোনও কথাই বলতে পারল না।
কিছুক্ষণ উল্টোপাল্টা বাতাস ওঠায় মেঘের কারিকুরি অনেকখানি বিদায়ের মুখে। দু-চার ফোঁটা যা বৃষ্টি পড়ছিল, এখন আর পড়ছে না!
বাড়ির দিকে রওনা দেওয়ার আগে মেয়েটি হঠাৎ বলল, আপনার কাছে আমি একটা মিথ্যে বলেছি।
সোমেন বিস্মিত হয়ে বলল, কী মিথ্যে?
রিকশাওয়ালাকে আপনিও ডেকেছেন, আমিও ডেকেছি। কিন্তু আপনি বোধহয় একটু আগে ডেকেছিলেন।
সোমেন স্তম্ভিত।
আমার বাড়িতে যাওয়ার খুব তাড়া ছিল, নিশ্চয় অনুমান করতে পেরেছেন। তখন ওয়েদারের যা অবস্থা ছিল, রিকশা না পেলে খুব বিপদে পড়ে যেতাম। বাবার কথা ভেবেই এটুকু মিথ্যে বলেছি, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
মেয়েটি আর দাঁড়াল না।
সোমেন অবাক হয়ে দেখছিল মেয়েটির মুখ। কিছুটা অপরাধবোধ, অনেকখানি উদ্বেগ আর এক টুকরো হাসি মেশানো অভিব্যক্তি। মেয়েটি চলে যাওয়ার পরও তার মুখখানি রয়ে গেল সোমেনের সঙ্গে।
রিকশাওয়ালা ততক্ষণে রওনা দিয়েছে গল্ফ অভিমুখে। অভিভূত সোমেন রিকশা নেমে গল্পের আসরে ঢুকতে ঢুকতে ভাবছিল এই মেয়েটির সঙ্গে হয়তো আর কোনওদিনই দেখা হবে না, অথচ তার উপহার দেওয়া কয়েকটি মুহূর্ত জ্বলজ্বল করতে থাকবে বাকি জীবন। স্মৃতির পাতায় সারি সারি মুক্তোবিন্দুর মতো।