আভূমি আনত হয়ে

আভূমি আনত হয়ে

এ ঘুরে দাঁড়ানো নয়, শুধু আভূমি আনত হয়ে থাকা
দৃশ্যের আঘাত থেকে মুদে রাখা চোখের প্রতিভা!
চোখ বড়ো সাংঘাতিক রক্তের প্রান্তর ছুঁয়ে থাকে—
নিসর্গ নিবন্ধ করে দেখে নেয় নারী আর নদীর নিতল।
ধরে রাখে মাছ পাখি পা আর পতঙ্গের প্রসঙ্গ সকল
সমস্ত সম্বন্ধসূত্র ভেদ করে আনে তীব্র চাক্ষুষ প্রমাণ।

আমার মস্তিষ্কে নয়
আমার কৈশোর বুঝি বসে আছে চোখের ভিতরে
বিশাল ধনুক হাতে ক্লান্ত এক সবুজ বালক।

অথচ এ-দৃষ্টিগ্রাহ্য আওতায় আমার
আমারি ছেলেকে দেখি টেরি কাটে ঘুরিয়ে দর্পণ।
কে জানে আমিই কিনা, কিম্বা ঠিক আমিই রয়েছি
ফিরিয়ে দিচ্ছি চুল সোজাসুজি তালুর ওপর।
সটানে পরেছি মোজা, ঘষে নিয়ে হাতার বোতাম
ব্রাশ চালিয়েছি জোরে–বুঝিবা স্তিমিত গ্লাসকীড
চল্লিশ বছর থেকে ঝেড়ে ফেলবে বাপের বয়স।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *