বহুপ্রকার ভূত

বহুপ্রকার ভূত

তখন আমি ক্লাস টেনের ছাত্র। স্কুলে সংস্কৃত পড়ালে যিনি, তাকে বলা হতো পণ্ডিতমশাই। আমাদের পণ্ডিতমশাইয়ের নাম ছিল ভূতনাথ শাস্ত্রী। খুব হাসিখুশি আমুদে মানুষ ছিলেন তিনি। নিজের নাম নিয়ে রসিকতা করতেন। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে কত সব মজার গল্প শোনাতেন। পণ্ডিতমশাই ক্লাসে এলেই আমরা আনন্দে নেচে উঠতাম।

আমাদের দুর্ভাগ্য, পণ্ডিতমশাই পুজোর ছুটিতে নিজের গ্রামে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। কী একটা অসুখে মারা গিয়েছিলেন। স্কুল খোলার পর তাঁর স্মরণে শোকসভা এবং একদিন ছুটিও দেওয়া হয়েছিল।

এরপর নতুন পণ্ডিতমশাই এলেন যিনি, তিনি একেবারে উল্টো প্রকৃতির মানুষ। এঁর নাম কার্তিকচন্দ্র শর্মা। কিন্তু দেখতে মোটেই কার্তিক নন। বদরাগী মারকুটে খিটখিটে মেজাজ। ক্লাসে এসেই উকট সব সংস্কৃত শব্দ আওড়ে আমাদের ভয় পাইয়ে দিতেন। কথায় কথায় শব্দের বুৎপত্তি জিগ্যেস করতেন। না পারলেই মর্কটদণ্ড। তার মানে, বেঞ্চে উঠে হাঁটু ভাজ করে হাতদুটো ডেস্কে রেখে মর্কট বা বাঁদর সাজতে হবে।

এর চেয়ে বিচ্ছিরি ব্যাপার, ফার্স্টবয় অশোক বাদে আমাদের প্রত্যেকের একটা করে নাম দিয়েছিলেন কেলো, ন্যাড়া, পেঁচো, হাঁদা, ভোম্বল ইত্যাদি। আমাকে ডাকতেন পুঁটে বলে। ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বলেই কি? কে জানে? ছোটবেলাতেই চুনোপুঁটি বলা হয়।

নতুন পণ্ডিতমশাইয়ের কিছু বাতিকও ছিল। স্যার বলা নিষেধ, মহাশয় বলতে হবে। তাও এক বিড়ম্বনা।

আরও একটা ব্যাপার চোখে পড়ার মতো। পড়াতে-পড়াতে হঠাৎ বেরিয়ে যেতেন। কেলো মানে কালিপ্রসাদ ছিল সবচেয়ে সাহসী ছেলে। সে একদিন চুপিচুপি দেখে এসে এই রহস্যটা ফাস করেছিল। পণ্ডিতমশাই বোর্ডিংয়ে নিজের ঘরে জল খেতে যান। সাত্ত্বিক শুদ্ধাচারী ব্রাহ্মণ। অন্যের জল খাবেনই বা কেন? তবে ঘন ঘন জল খাওয়ার রহস্য তখনও জানা যায়নি।

আমাদের স্কুলটা ছিল গ্রামের শেষপ্রান্তে, নদীর ধারে উঁচু জমির ওপর খুব পুরোনো স্কুল প্রাঙ্গণের পাশে সারবন্দি বোর্ডিং-ঘর। বাইরের মাস্টারমশাই আর ছাত্ররা সেখানে থাকতেন। তার পেছনে প্রাঙ্গণে খেলার মাঠের সামনে ঝোঁপ-জঙ্গল। তার ওদিকে শ্মশান। সেখানে একটা বিশাল বটগাছ ছিল। একটা ভাঙাচোরা মন্দিরও ছিল। শ্মশানকালীর মন্দির।

নতুন পণ্ডিতমশাই এসে সংস্কৃতের ক্লাস শেষ পিরিয়ডে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। ছুটির ঘণ্টা বেজে গেলেও আমাদের নিষ্কৃতি ছিল না। তাই শেষ পিরিয়ডের শুরুতে খড়মের খটাখটা শব্দ শোনামাত্র আমরা ভুষোমুখে বই খুলতাম।

তো একদিন পণ্ডিতমশাই হন ধাতু নিয়ে বকবক করছেন, হঠাৎ পেছনের বেঞ্চ থেকৈ ভোম্বল, মানে তারাপদ ভূ ভূ ভূ করে চেঁচিয়ে উঠল।

পণ্ডিতমশাই হুঙ্কার দিয়ে বললেন,-আরে মূর্খ! ভূ ধাতু নহে। হন ধাতু। ভূ ধাতু আগামীকল্য পড়াইব।

ভোম্বল কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ভূ-ভূত ম-মহাশয়!

পণ্ডিতমশাই সগর্জনে বললেন, তাহা হইলে তুই-ই বল, ভূত কয় প্রকার?

ভোম্বল আরও তোতলাতে লাগল। তখন কর্মটদণ্ড দিয়ে পণ্ডিতমশাই ফার্স্টবয় অশোকের দিকে তাকালেন। অশোক বলল,–পঞ্চ প্রকার মহাশয়!

–কী, কী?

–ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ব্যোম মহাশয়। সা

–ধু, সাধু!

বলে পণ্ডিতমশাই উঠে দাঁড়ালেন এবং অভ্যাসমতো বেরিয়ে গেলেন। জল খেতেই যে গেছেন, সেটা আমরা জানতাম। তবে প্রকৃত রহস্য বুঝতে আরও কিছুক্ষণ সময় লেগেছিল।

ওঁর খড়মের শব্দ মিলিয়ে যেতেই ডোম্বল বলে উঠল, মাইরি! ভূ-ভূ করে আমাদের ডোবাল। আগামীকল্য নয়, অদ্যই ভূ ধাতু যদি না পড়িতে হয়–সে ভেংচি কেটে ফের বলল—তু-ই ভূত!

তারপর খড়মের শব্দে সে থেমে তুম্বা হয়ে গেল। কিন্তু এবার পণ্ডিতমশায়ের চেহারা দেখে অবাক আমরা। মুখে হাসি ঝলমল করছে। ইশারায় ডোম্বলকে বসতেও বললেন। ভাবলাম ফার্স্টবয় ওঁর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ায় মেজাজ প্রসন্ন হয়েছে।

পণ্ডিতমশাই সহাস্যে বললেন, কী পড়া হচ্ছিল যেন?

ফার্স্টবয় বলল,–পঞ্চভূত, মহাশয়!

পণ্ডিতমশাই আমাদের আরও অবাক করে বললেন,-মহাশয় নয়, স্যার বলবে। যে যুগের যা রীতি। তা পঞ্চভূত বললে। উঁহু! ভূত বহু প্রকার। যেমন ধরো : দ্রবীভূত, শিলীভূত, পুঞ্জীভূত ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাখ্যা করি শোনো। যে ভূত দ্রব হয়েছে অর্থাং গলে জল হয়েছে, সে দ্রবীভূত। যে ভূত শিলা অর্থাৎ পাথর হয়ে গেছে, সে শিলীভূত। যে ভূত ভস্ম অর্থাৎ ছাই হয়ে গেছে সে ভস্মীভূত। যে ভূত পুঞ্জ অর্থাৎ হাড়গোড় ভাঙা হয়ে দুমড়েমুচড়ে পাঁজার মতো হয়েছে, সে হল পুঞ্জীভূত। বোসো৷ আসছি।

বলে যথারীতি উনি আবার ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমরা মুখ চাওয়া চাওয়ি করছিলাম। কেলো চাপাস্বরে হেডমাস্টারমশাই বকে দিয়েছেন। বুঝলি না?

এবার পণ্ডিতমশাই হন্তদন্ত ক্লাসে ঢুকলেন। কিন্তু আগের মতো কাঠের চেহারা! হুঙ্কার দিয়ে বললেন,-ভোম্বল! তোকে না মর্কটদণ্ড দিয়াছিলাম?

ভোম্বল তড়াক করে আবার বাঁদর হয়ে কাঁদকঁদ মুখে বলল, আপনিই তো স্যার…

–কী? কী? কী? ম্লেচ্ছ যাবনিক সম্বোধন। তোকে তালদণ্ড দিলাম! 

তালদণ্ড মানে বেঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের দুইকান ধরে থাকতে হবে। তালগাছকে তো এই রকমই দেখায়! ডোম্বল তালদণ্ড নিতে যাচ্ছে, ফার্স্টবয় বলে উঠল,-মহাশয়। সে মিথ্যা কহে নাই। আপনি দ্বিতীয়বার আসিয়া দ্রবীভূত, শিলীভূত, ভস্মীভূত ইত্যাদি ইত্যাদি ভূতের ব্যাখ্যাও করিলেন।

পণ্ডিতমশাইয়ের চোখদুটো জ্বলে উঠল। কী? কী? কী? আমি দ্বিতীয়বার আসিতেছি। অথচ তুমি কহিতেছ, আমি দ্বিতীয়বার আসিয়াছিলাম! তদুপরি ওই সকল উদ্ভট ব্যাখ্যা করিয়াছি?

–হ্যাঁ মহাশয়! তদুপরি আপনি এই তৃতীয়বার আসিলেন।

অমনি পণ্ডিতমশাই হুঙ্কার দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। আমরা হকচকিয়ে গেছি। একটু পরে খড়মের শব্দ করতে করতে পণ্ডিতমশাই ফিরে এলেন। মুখে আবার একরাশ হাসি। বললেন,-ভূত শ্মশানের দিকে ভাগিয়ে দিয়েছি। হুঁ, কত রকম ভূত আছে। তাই না? তবে সবার সেরা ভূত নামচোরা। কেন নামচোরা বলছি জানো? যেমন ধরো? মামদো, ব্রহ্মদত্যি, জটাধারী, শাঁকচুন্নি, পেঁচো ইত্যাদি ইত্যাদি। এদের নামে ভূত শব্দই নেই। অথচ এরাই আসল ভূত। খাঁটি ভূ-ভূ-ভূ

পণ্ডিতমশাই হঠাৎ হেঁট হয়ে খড়মদুটো হাতে নিয়ে সবেগে বেরিয়ে গেলেন। বাইরে কি তার গর্জন শুনলাম আমরা। মনে হল হুঙ্কার দিতে দিতে কে কাকে তাড়া করছে।

কেলো বলল,–আয় তো দেখি, কী ব্যাপার! ঘনঘন মত বদলানো ভালো ঠেকছে না।

আমাদের ক্লাসরুম ছিল স্কুলবাড়ির শেষাংশে। বেরুলেই বাঁ-দিকে বোর্ডিংয়ের শেষপ্রান্ত এবং ঝোঁপজঙ্গল শুরু। বেরিয়ে গিয়ে চোখে পড়ল, ঝোঁপজঙ্গলের মধ্যে পণ্ডিতমশাইয়ের মাথা দ্রুত দূরে দূরে সরে যাচ্ছে। হেমন্তকালের শেষবেলার রোদে কালো মাথাটি ভীষণ নড়াচড়া করছে।

সাহসী কেলোর সঙ্গে আমরা কয়েকজন দৌড়ে গেলাম। ঝোঁপজঙ্গল পেরিয়ে গিয়ে শ্মশানতলায় পণ্ডিতমশাইকে দেখতে পেলাম। বটগাছ লক্ষ্য করে একপাটি খড়ম ছুঁড়ে সগর্জনে বললেন, সাহস থাকিলে অবতরণ কর রে শাখামৃগ!

গাছের ওপরে ডালপালার আড়াল থেকে খিখি হাসি শোনা গেল শুধু। পণ্ডিতমশাই অপর খড়মটি ছুঁড়ে গর্জন করলেন, দন্ত বিদীর্ণ হউক পামরের।

ওপর থেকে সেইরকম হাসির সঙ্গে কথা শোনা গেল,-একজোড়া নতুন খড়ম লাভ হল। বুঝলি কেতো? এখন আমার ভাঙা খড়মজোড়া খুঁজে নিয়ে পরগে যা। সাবধান! ঠ্যাং ভেঙে পুঞ্জীভূত হবি।

এবার পণ্ডিতমশাই আমাদের দেখতে পেলেন। দ্বিগুণ উৎসাহে চিৎকার করলেন,–রণং দেহি! রণং দেহি! তোমরা হাঁ করিয়া কী দেখিতেছ? ইষ্টক নিক্ষেপ করো! ভুতোকে শীঘ্র বধ করো।

 উনি ভাঙা মন্দিরের ইট কুড়িয়ে বটগাছে ছুঁড়তে থাকলেন। আমরাও যুদ্ধে যোগ দিলাম। এবার বটগাছের ওপর থেকে আর কোনও সাড়াশব্দ এল না। একটু পরে পণ্ডিতমশাই বললেন,–ক্ষান্ত হও! দুবৃত্ত এক্ষণে যথার্থই পঞ্চত্বপ্রাপ্ত হইয়াছে। রণজয়ের পুরস্কারস্বরূপ তোমাদের ছুটি দিলাম। যে যাহার গৃহে প্রত্যাবর্তন করো

রণজয়ী পণ্ডিতমশাই সবেগে স্কুলবাড়ির দিকে চলে গেলেন। এই সময় কেলো বলল, ব্যাপারটা বোঝা যাচ্ছে না। হ্যাঁ রে, ইট ছুঁড়ে দুনম্বর পণ্ডিতমশাইকে সত্যি মেরে ফেললাম না তো?

নাড়ুগোপাল ওরফে পেঁচো বলল,–ঠিক বলেছিস। এখনই বেলা থাকতে থাকতে খুঁজে দেখা উচিত। দরকার হলে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে আসব।

কেলো চিন্তিতমুখে বলল, কিন্তু ব্যাপারটা বড় গোলমেলে।

ভোম্বল বলল, কিছু গো…গোলমেলে নয়। তখন আমি জানালার বাইরে ভূ- ভূমানে পুরোনো পণ্ডিত ম-মশাইকে–ওরে বাবা! ওই দ্যা-দ্যাখ! আবার আসছে ন-নতুন পণ্ডিতমশাই।

ঘুরে দেখি পণ্ডিতমশাই দুপাঠি খড়ম হাতে হন্তদন্ত-আবার এদিকে আসছেন। বোঝা গেল খড়মের খোঁজেই গিয়েছিলেন আসলে।

কেলো বলল,-মন্দিরের আড়ালে লুকিয়ে পড়া যাক। শিগগির! খুব রহস্যজনক ঘটনা মনে হচ্ছে।

আমরা শ্মশানকালীর মন্দিরের আড়ালে গিয়ে গুঁড়ি মেরে বসলাম। পণ্ডিতমশাই এসে বটগাছের ওপর দিকে তাকিয়ে চাপাস্বরে বললেন, তোর খড়ম নিয়ে আমার খড়ম ফেরত দে। ও ভুতো! ভুতো। মলো যা! সত্যি ভিরমি গেলি নাকি? ন্যাকামি করে সাড়া দিচ্ছিস না কেন?

একটু পরে সাড়া এল ডালপালার আড়াল থেকে খড়ম ফেরত দেব। তবে আজই তোকে স্কুল থেকে চলে যেতে হবে। ছেলেগুলোকে বড় কষ্ট দিচ্ছিস তুই!

পণ্ডিতমশাই বাঁকা হেসে বললেন, কষ্ট দিচ্ছি বলেই ওরা সংস্কৃতটা ভালো করে শিখতে পারছে। তুই তো খালি গল্প করেই ওদের পরকাল ঝরঝরে করে দিয়েছিলে। তাই না আমি এই স্কুলে এলাম!

–থাম-থাম! বড়াই করিসনে! এসেছিস তো স্বভাব যায় না মলে বলেই। তোর স্বভাব যাবে কোথায়? মরে গিয়েও একই স্বভাব ছাড়তে পারলিনে হতভাগা!

–চুপ! চুপ!

–কক্ষনও চুপ করে থাকব না। তোর বাড়ি থেকে তোর হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট চুরি করে এনেছিলাম। তোর গিন্নির বাসে ছিল, হেডমাস্টারমশাইয়ের টেবিলে রেখে এসেছি। গিয়ে দ্যাখ না কী হুলুস্থুল হচ্ছে এতক্ষণ! ওই দ্যাখ! স্কুলের সামনে কী ভিড়! এতক্ষণ লোক চলে গেছে কেকরাডিহির হাসপাতালে।

পণ্ডিতমশাই ঘুরে দেখে নিয়েই গর্জন করলেন, তবে রে বিশ্বাসঘাতক, আজ তোর একদিন কী আমার একদিন!

তারপর তড়াক করে এক লাফে গাছে উঠে গেলেন। এবার যেন ঝড় শুরু হল। গটগাছটার ডালপালা প্রচণ্ড নড়তে থাকল। সেইসঙ্গে অদ্ভুত খ্ৰী খ্ৰী ঘেঁ এইসব গর্জন। হুঙ্কার। মড়মড় করে একটা ডালও ভেঙে পড়ল। ভূতনাথ শাস্ত্রী এবং কার্তিকচন্দ্র শর্মার তুমুল যুদ্ধ চলছে।

কেলো বলল,–হেভি ফাইট বেধে গেছে। পালাই চল! আর এখানে থাকা ঠিক নয়। কিন্তু এবার বুঝলি তো কেন নতুন পণ্ডিতমশাই ঘনঘন জল খেতে যেতেন? জল খাওয়ার ছলে আমাদের পুরোনো পণ্ডিতমশাইকেই তাড়া করতে যেতেন। ডোম্বল ঠিক দেখেছিল।

আমরা গুঁড়ি মেরে জঙ্গলের আড়ালে দৌড়ে স্কুলবাড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম। স্কুলপ্রাঙ্গণে তখন সত্যি ভিড়। হেডমাস্টারমশাই একটা কাগজ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মাস্টারমশাইয়ের মুখ প্রচণ্ড গম্ভীর। কেলো হাঁপাতে হাঁপাতে গিয়ে বলল, সত্যি দুজন ভূত স্যার! হেভি ফাইট বেধেছে।

হেডমাস্টারমশাই গম্ভীরমুখে বললেন, এবার থেকে স্কুলে নতুন শিক্ষক নিতে হলে সাবধান হওয়া দরকার।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *