ধীরে ধীরে প্রভাত হল , আঁধার মিলায়ে গেল উষা হাসে কনকবরণী , বকুল গাছের তলে কুসুম রাশির পরে বসিয়া পড়িল সে রমণী , আঁখি দিয়া ঝরঝরে অশ্রুবারি ঝ ' রে পড়ে ভেঙে যেতে চায় যেন বুক , রাঙা রাঙা অধর দুটি কেঁপে কেঁপে ওঠে কতো , করতলে সকরুণ মুখ । অরুণ আঁখির'পরে , অরুণের আভা পড়ে , কেশপাশে অরুণ লুকায় , দুই হাতে মুখ ঢাকে কার নাম ধরে ডাকে কেন তার সাড়া নাহি পায় । বহিছে প্রভাত-বায় আঁচলে লুটিয়ে যায় , মাথায় ঝরিয়ে পড়ে ফুল , ডালপালা দোলে ধীরে কাননে সরসীতীরে ফুটে ওঠে মল্লিকা মুকুল । পা দুখানি ছড়াইয়া পুরবের পানে চেয়ে ললিতে প্রাণের গান গায় গাহিতে গাহিতে গান , সব যেন অবসান যেন সব-কিছু ভুলে যায় । প্রাণ যেন গানে মিশে , অনন্ত আকাশ-মাঝে উদাসী হইয়ে চঞ্চলে যায় , বসে বসে শুধু গান গায় ।
Leave a Reply