1 of 3

০১৬. অচেনা গলা

রেমি এক সকালে টেলিফোন পেল। অচেনা গলা।

বউদি, বলুন তো আমি কে?

রেমি ভ্রু কুঁচকে বলল, কী করে বলব?

গলাটা চেনা লাগছে না?

টেলিফোনে গলা বোঝা যায় না।

এবার ওপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠ বলল, কিন্তু ভয় হচ্ছে, পরিচয় দিলেও কি চিনতে পারবেন।

চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আমার স্মৃতিশক্তি খারাপ নয়।

আমি সমীর। মনে পড়ছে?

রেমি আবার ভ্রু কোঁচকায়। মনে তার পড়েছে ঠিকই, কিন্তু খুশি হয়নি। এমনিতে সমীরকে তার খাবাপ লাগেনি। বরং বেশিই ভাল লেগে গিয়েছিল। কিন্তু ছন্দার সঙ্গে সম্পর্কটার কথা টের পাওয়ার পর থেকেই মনটা কিছু বিরূপ হয়েছে।

রেমি বলল, কী খবর! কবে এলেন?

আমি প্রায়ই আসি। গত মাসেও এসে গেছি।

কই, যোগাযোগ করেননি তো!

সময় পাইনি। কলকাতায় আসি হাজারটা কাজ নিয়ে।

তাই বুঝি!

আপনি এখনও ছন্দা আর নন্দা কেমন আছে সেটুকুও জানতে চাননি।

রেমি ঠোঁট কামড়ায়। কথাটা মিথ্যেও নয়। শিলিগুড়িতে গিয়ে ওদের কত সহজে আপন করে নিয়েছিল, অথচ আজকাল মনেই পড়ে না। সে লজ্জা পেয়ে বলল, ওদের চিঠি দেব-দেব করছিলাম। আমারও হাজারটা ঝামেলায় সময় হচ্ছে না।

সময়ের অভাব হতেই পারে। মন্ত্রীর পুত্রবধূ।

যাঃ, শ্বশুর মন্ত্রী তো আমার কী?

মন্ত্রীর বাড়ির বেড়ালটাও পায়াভারী হয়।

পায়ারী তো আপনিই, কলকাতায় এসেও খবর নেন না।

নিই না ভয়ে। ভি আই পি লোক, পাত্তা দেন কি না দেন তার তত ঠিক নেই। টেলিফোনে গলা শুনেই তো বুঝতে পারছি খুব খুশি হননি।

বাড়িতে এসে দেখুন পাত্তা দিই কি না!

সমীর ক্ষণকাল চুপ করে থেকে বলল, বাড়িতে যাব না, তবে আপনার সঙ্গে আমার একটা দরকার আছে বউদি।

রেমি ঠোঁট কামড়ে বলল, আচ্ছা, আপনি আমাকে তখন থেকে বউদি-বউদি করে যাচ্ছেন কেন বলুন তো! দার্জিলিং-এ তো দিব্যি নাম ধরে ডাকছিলেন!

ডেকেছিলাম নাকি?

কেন, মনে নেই?

সমীর হেসে বলে, আছে। কিন্তু তখন হয়তো নানা ঘটনায় লঘু-গুরু জ্ঞান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

জ্ঞানের নাড়ি তো বেশ টনটনে দেখছি। কী দরকার বলুন তো!

আছে। আজ বা কাল আপনার একটু সময় হবে?

কখন?

বিকেলের দিকে!

হতে পারে।

আমি নিউ কেনিলওয়ার্থ হোটেলে উঠেছি। জায়গাটা চেনেন?

চিনি। কেন?

আসতে পারবেন একা?

একা!

হ্যাঁ বউদি, কাউকে না জানিয়ে আসবেন।

রেমি একটু ইতস্তত করে বলল, এ বাড়ির মেয়ে-বউরা হুটহাট বেরোতে পারে না। শ্বশুরমশাই পছন্দ করেন না ওসব।

আমার দরকারটা খুব জরুরি।

আপনি তো এ বাড়িতেই আসতে পারেন।

না। পারি না।

কেন বলুন তো!

সমীর একটু চুপ থেকে বলল, আপনি আপনার শ্বশুরকে কতটা চেনেন জানি না। উনি কিন্তু ভীষণ ডেঞ্জারাস টাইপের লোক।

তাই নাকি? উনি কি আপনার ওপর চটে আছেন?

ঘটনাটা আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন!

কোন ঘটনা?

দার্জিলিং-এ আপনি একবার উত্তেজনার বশে আমাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন। মনে আছে?

রেমি লজ্জা পেয়ে বলে, ধরেছিলাম নাকি?

ধরেছিলেন। এবং সেটা দেখতে পেয়েছিল লামা। তাকে ভোলেননি নিশ্চয়!

না, ভুলিনি।

আমি তখনই বলেছিলাম লামা ব্যাপারটা আপনার শ্বশুরকে রিপোর্ট করতে পারে।

হ্যাঁ, বলেছিলেন। লামা কি রিপোর্ট করেছে?

করেছে। কাকা একদিন আমাকে ডেকে কয়েকটা অপ্রিয় প্রশ্নও করেন। কৃষ্ণকান্তবাবু ব্যাপারটা ওঁকে জানিয়েছেন।

তাই আপনি এ বাড়িতে আসতে ভয় পাচ্ছেন?

ঠিক ভয় নয়। সংকোচ। কৃষ্ণকান্তবাবু হয়তো আমাকে খুব সুনজরে দেখবেন না।

রেমি একটু রাগের গলায় বলল, ওটা তো কাপুরুষতা। আপনি না এলেই বরং সন্দেহটা বাড়বে।

তা নয়। আমি তো কৃষ্ণকান্তবাবুর বাড়িতে বড় একটা যাই না। কাজেই এখন না গেলেও সন্দেহের কারণ নেই। গেলে বরং সন্দেহটাকে আরও খামোক খুঁচিয়ে তোলা হবে।

আপনি খুব হিসেবি লোক।

কমপ্লিমেন্টটা ভাল নয়। কিন্তু আমাদের অ্যাপয়েন্টমেন্টটার কী হবে বলুন।

কেনিলওয়ার্থ হোটেল আমি চিনি। কখন যেতে হবে বলুন।

কাল বিকেল পাঁচটায়। আমি রিসেপশনে থাকব। আপনি কি নিজেদের গাড়িতে আসবেন?

আমাদের গাড়ি তো মোটে একটা। সেটা শ্বশুরমশাই ব্যবহার করেন। আমি যাব ট্যাকসিতে। কেন বলুন তো!

যাক বাঁচা গেল! আমি গাড়িটা অ্যাভয়েড করতে চাইছিলাম।

রেমি সন্দেহের গলায় বলে, এত গোপনীয়তা কীসের বলুন তো!

আপনি কি ভয় পাচ্ছেন বউদি? তেমন কিছু নয়।

ভয় তো আপনিই পাচ্ছেন মনে হচ্ছে।

আমার ভয়ের একটু কারণ আছে। প্লিজ, আমার সঙ্গে ফোনে আপনার কথা হল সেটা কাউকে বলবেন না।

না বললাম।

তা হলে কাল বিকেলে?

আচ্ছা।

পরদিন বিকেলে একটা ট্যাকসি করে যেতে যেতে রেমির মনে হল, আমি কেন যাচ্ছি? এই গোপনীয়তা, এই রহস্য সত্ত্বেও একটা হোটেলে একজন পরপুরুষের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়াটা ঠিক নয়। তবু কেন যাচ্ছি? তার একটু ভয়-ভয় করছিল। আবার আগ্রহও বোধ করছিল সে। তার ঘটনাহীন একঘেয়ে জীবনে একটা কিছু অন্যরকম ঘটুক না একদিন।

হোটেলের রিসেপশনে সমীর অপেক্ষা করছিল। একটু কালো আর রোগা হয়ে গেছে। মুখে উদ্বেগের সুস্পষ্ট চিহ্ন।

বউদি।— বলে এগিয়ে এল সে।

রেমি খুব সেজে এসেছে। বিশুদ্ধ মুগার ওপর রেশমি বুটির দারুণ একখানা শাড়ি পরেছে সে। গায়ে রুপোর গয়নার একটা সেট। খুবই ভাল দেখাচ্ছে তাকে, সে জানে। কিন্তু সমীর তেমন মুগ্ধ হয়ে গেল না তো!

রেমি বলল, কী ব্যাপার বলুন তো!

ঘরে চলুন বলছি।

দোতলায় একটা বেশ কেতাদুরস্ত ঘরে তাকে নিয়ে গেল সমীর। কিন্তু ঘরে ঢুকেই থমকে গেল রেমি।

লন্ডভন্ড একটা মস্ত বিছানায় এলোচুলে, অবিন্যস্ত বদনে পড়ে আছে যে তাকে কষ্ট করে চিনতে হয়। সে ছন্দা। মুখ ফুলে আছে। চোখের কোলে জলের সুপষ্ট দাগ। কাজল আর লিপস্টিক লেপটে আছে মুখময়। এপাশ-ওপাশ করতে করতে এক নাগাড়ে উঃ বাবা উঃ বাবা করে যাচ্ছে ভাঙা রেকর্ডের মতো।

এ কী?–রেমি চেঁচিয়ে ওঠে।

ছন্দা কয়েক সেকেন্ড স্থির হয়ে তাকে দেখল। তারপর হঠাৎ উঠে বসে কেঁদে ফেলল। আঁচল তুলে মুখে চাপা দিয়ে বলল, আমি পারব না। আমি পারব না।

কী পারবে না? বলে রেমি গিয়ে তাড়াতাড়ি ছন্দার পাশে বসে। তার কাঁধে হাত রেখে বলে, কী হয়েছে ছন্দা? তুমি এখানে কেন?

ছন্দা কাঁদছে। জবাব দেওয়ার মতো অবস্থা নয়।

সমীর একটু অপ্রতিভ মুখে বলল, আমরা একটা কাণ্ড করে ফেলেছি বউদি।

রেমি খানিকটা আন্দাজ করতে পারছিল। হোটেলের ঘরে এভাবে ছন্দা আর সমীর, এর একটাই মানে হয়। তার আজন্ম সংস্কার আর রুচিবোধে এমন অদ্ভুত আর ঘিনঘিনে লাগছিল ব্যাপারটা যে তা বলার নয়।

রেমি বলল, কী কাণ্ড সমীরবাবু? আপনি কি ওকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন?

না। ঠিক তা নয়। ছন্দার কলকাতায় আসার কথা ছিল। আমার সঙ্গেই।

তা হলে?

হোটেলে ওঠার কথা ছিল না।

উঠলেন কেন তবে? ছিঃ ছিঃ।

প্লিজ বউদি, ওরকম করবেন না।

তাতে ও আরও বিগড়ে যাবে।

বিগড়োবারই তো কথা।

দোষটা তো সবটাই আমার নয়। ওরও। ওকেই জিজ্ঞেস করুন। আমি আধ ঘণ্টার জন্য বাইরে যাচ্ছি।

সমীর বাইরে গিয়ে দরজা টেনে দিল।

স্তব্ধ ঘরে ছন্দার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ ক্রমে অসহ্য হয়ে উঠল রেমির কাছে। যান্ত্রিকভাবে সে ছন্দার মাথায় আর পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল, কেঁদো না, ছন্দা। আমরা তো আছি। ভয় নেই।

ছন্দা মিনিট দশেক বাদে একটু শান্ত হল। মাথা নিচু করে বসে রইল চুপচাপ।

রেমি বলল, কী হয়েছে বলবে তো!

ওর দোষ নেই।

কী হয়েছে খুলে বলো।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছন্দা বলল, আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। সেই বিয়ের বাজার করতেই কলকাতায় আসা। সমীরদা ঠিক রাজি ছিল না। আমিই বললাম, চলো এই সুযোগ আর পাব না। দুজনে হোটেলে এসে উঠলাম।

তারপর?

তারপর থেকেই হঠাৎ কেমন ওলট-পালট লাগছে। মনে হচ্ছে কাজটা ঠিক করিনি।

ঠোঁটকাটা রেমি বলেই ফেলল, কাজটা খুব খারাপ করেছ।

আমারও তাই মনে হচ্ছে। বাবা মা আত্মীয়রা কেউ আর আমার মুখদর্শন করবে না। আমি সেটা সহ্য করতে পারব না।

রেমি হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, তোমরা কতদুর এগিয়েছিলে? এক ঘরে রাত কাটানো, এক বিছানায়…

আঃ, চুপ করে রেমি। আমার গা জ্বালা করছে। বোলো না। সবকিছুই হয়েছে। তবু আমি এসব থেকে আবার ফিরে যেতে চাই।

অত অস্থির হচ্ছ কেন? লোক জানাজানি তো হয়নি।

হয়েছে কি না জানি না। তবে আমাদের সল্ট লেকের বাড়িতে ওঠার কথা। সেখানে আমার এক বিধবা পিসি থাকে। বাবা নিশ্চয়ই টেলিফোনে খবর নিয়েছে।

রেমি কয়েক মুহূর্ত ভাবল। তারপর বলল, দাঁড়াও। আমি ব্যবস্থা করছি। কিন্তু সমীরবাবুকে বোঝনোর দায়িত্ব তোমার।

আমি কাউকে বোঝনোর দায়িত্ব নিতে পারব না। মাথা পাগল-পাগল লাগছে।

এত প্রেম হঠাৎ নিবে গেল কেন তা বুঝতে পারছিল না রেমি। তবে তার মনে হচ্ছিল, ছন্দার এসব অনুভূতি সত্য ও সঠিক।

সে দরজা খুলে বাইরে বেরোল। সমীর দাঁড়িয়ে আছে করিডরে। মুখচোখ অপ্রসন্ন।

রেমি তার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, কী করতে চান?

সমীরের চোখ জ্বলে উঠল হঠাৎ। বলল, ও এখন ন্যাকা সাজছে।

তার মানে?

তার মানে ও কি আপনাকে কিছু বলেনি?

একটু বলেছে।

আমার সমস্ত কেরিয়ার নষ্ট হয়ে গেল। কাকা এই ঘটনার পর অবশ্যই আমাকে আর প্রশ্রয় দেবে না। কিন্তু সে প্রবলেম ছন্দার নেই।

প্রবলেম আপনাদের দুজনেরই।

না। কাকা ছন্দাকে ফিরিয়ে নেবে। কদিন বাদে ওর বিয়ে হয়ে যাবে। মুশকিলে পড়ব আমি। অথচ আমি দুম করে রিস্কটা নিতে চাইনি।

এখন কী করা যায় সেটা তো বলবেন।

এখন রাস্তা একটাই। আমি ওকে বিয়ে করব।

ও রাজি হবে না।–রেমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলো।

আপনি ওকে রাজি করান বউদি।–একটু ভাঙা গলায় সমীর বলে।

আপনি কেন এরকম একটা বিশ্রী ঘটনা ঘটাতে চাইছেন?

মরিয়া হয়ে। আমাকে শেষ করে ও দিব্যি আরামে থাকবে, তা হয় না।

এটা কি প্রতিশোধ নেওয়ার সময়?

আমি জানি না। কিন্তু এখন পিছোনোর পথ নেই।

রেমি গলায় সামান্য দৃঢ়তা এনে বলল, তা হলে আমাকে ডেকেছেন কেন? আপনার কি ধারণা এই অসামাজিক কাজ সমর্থন করব?

না। তবে আপনাকে আমার লেভেল হেডেড পারসন বলে মনে হয়েছিল। আপনি হয়তো সিচুয়েশনটা বুঝে ওকে বোঝাতে পারবেন বলে ভেবেছিলাম।

আমার সম্পর্কে আপনার ধারণা চমৎকার।

রাগ করবেন না। আমি আপনার হেলপ চাইছি।

আমি হেলপ করতে পারব না সমীর। ছন্দাকে আমি নিজের কাছে নিয়ে যেতে চাই।

আচমকাই সমীর একটু উঁচু গলায় বলল, শাট আপ। আমি ওকে খুন করব তবু ছাড়ব না। আপনি যদি আমাকে হেলপ করতে না পারেন তবে চলে যান।

রেমি একটুও ভয় পেল না। কৃষ্ণকান্ত চৌধুরীর অগাধ ক্ষমতার ছায়ায় থাকতে থাকতে সে ভয় পাওয়া ভুলে গেছে। সে জানে, কৃষ্ণকান্ত সব হয়কে নয় করে দিতে পারেন।

সে বলল, ঠিক আছে, যাচ্ছি। ছন্দাকে একটা কথা বলে আসি।

ঘরে ফিরে সে ছন্দাকে বলল, ভেবো না। সমীর এখন একদম পাগল। ওকে ট্যাকল করতে হলে অন্য লোকের সাহায্য দরকার।

রেমি ঘর থেকে বাড়িতে টেলিফোন করল। বাড়িতে কৃষ্ণকান্ত নেই, তবে ধ্রুব আছে। সে ধ্রুবর সঙ্গেই কথা বলতে চাইল।

টেলিফোনে ধ্রুব এলে রেমি বলল, একবার এক্ষুনি কেনিলওয়ার্থ হোটেলে আসবে?

কেন?

দরকার আছে।

তুমি ওখানে কী করছ?

এলেই দেখতে পাবে। এসো।

আমরা বউয়ের হুকুমে চলি না, কী হয়েছে বলো।

উঃ, বলছি আমার ভীষণ বিপদ।

কীরকম বিপদ?

এসো না। পায়ে পড়ি। সব কি টেলিফোনে বলা যায়?

আমি কিন্তু মাল খেয়েছি।

তবু এসো। কাউকে বোলো না।

আচ্ছা।

ধ্রুব পনেরো মিনিটের বেশি সময় নিল না আসতে। রিসেপশনে টেলিফোন করে বলে রেখেছিল রেমি। ধ্রুব আসা মাত্রই ওপরে নিয়ে এল বেয়ারা।

কী হয়েছে?

ছন্দা। চিনতে পারছ?–রেমি ছন্দাকে দেখিয়ে বলে।

পারছি। এরকম অবস্থা কেন?

রেমি সংক্ষেপে বলো। জিজ্ঞেস করল, কী করা যায় বলো তো!

সমীর কোথায়?

বাইরে কোথাও আছে।

ধ্রুব গম্ভীর হয়ে চারদিকটা তাকিয়ে দেখল একটু। তারপর এক অদ্ভুত কর্তৃত্বের গলায় ছন্দাকে আদেশ করল, তোমার জিনিস গুছিয়ে নাও। ট্যাকসি দাঁড়িয়ে আছে।

ছন্দা সেই গলার স্বরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো উঠে পড়ল। বলল, গোছানোই আছে। ওই স্যুটকেসটা।

ধ্রুব সেটা তুলে নিয়ে বলল, এসো। সমীর বোধহয় পালিয়েছে।

তারা তিনজন নিরাপদে নেমে এল নীচে। ট্যাকসিতে উঠল। চলে এল কালীঘাটের বাড়িতে। ছন্দা তেমন গোলমালে পড়েনি। ধ্রুব মাঝখানে পড়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সমীরের কোনও পাত্তা পাওয়া যাচ্ছিল না।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *