১৩. সংযোজন – শব্দকোষ

সংযোজন

বিদেশে মনুসংহিতার প্রভাব

ইন্দোনেশিয়ায় কিছু আইনের গ্রন্থ ‘মনুসংহিতা’কে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে। এরূপ প্রাচীনতম গ্রন্থের নাম Kutara Manawa। এই গ্রন্থের অধিকাংশ মনুর অনুসরণে রচিত। এই দেশের অপর দুইটি প্রধান আইনের গ্রন্থ Dewagama এবং Swara-Jamba; প্রথমটি সামগ্রিকভাবে এবং দ্বিতীয়টি অনেকাংশে মনু-প্রভাবিত। ইন্দোনেশিয়ায় আইনের গ্রন্থ বোঝাতে সংস্কৃত ‘আগম’ শব্দের প্রয়োগ তাৎপর্যপূর্ণ। বলিদ্বীপে ‘মনুস্মৃতি’র প্রভাব উল্লেখযোগ্য। শ্যামদেশের বা থাইল্যান্ডের আইনকানুন ‘মনুস্মৃতি’র আদর্শে রচিত বলে মনে হয়। এই দেশের একটি আইনগ্রন্থের নাম Phra Dharmas’astra.

ফিলিপাইনে ‘মনুস্মৃতি’র প্রভাবের জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ এই দেশের সেনেট চেম্বারের (Senate Chamber) আর্ট গ্যালারীতে রক্ষিত মনুর মূর্তি।

ক্যাম্বোডিয়া বা ক্যাম্পুচিয়ার একটি লেখে (inscription) ‘মনুস্মৃতি’র একটি শ্লোক আছে। এই গ্রন্থের অষ্টম ও নবম অধ্যায় মোটামুটিভাবে ঐ দেশের আইনকানুনের ভিত্তিস্বরূপ।

এক সময়ে চম্পাদেশে (South Annam) ‘মনুস্মৃতি’র ব্যাপক চর্চার কথা জানা যায়।

জাপানী ভাষায় ‘মনুস্মৃতি’র অনুবাদ হয়েছিল।

জামান দার্শনিক নিংসের (১৮৪৪-১৯০০) বিখ্যাত Philosophy of Superman-এর কিছু প্রেরণা যুগিয়েছিল ‘মনুস্মৃতি’। তিনি আক্ষেপ করেছিলেন এই বলে যে, মনু যে-সকল মূল্যবোধ শেখাতে চেয়েছিলেন, ঐগুলি লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য কে.জি. গোস্বামী-রচিত প্রবন্ধ ‘The Manava Principle in Manu and Nietzsche’s Appraisal, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ‘সংস্কৃতভারতী’ ১৯৮২, পৃ ৫১।

আমেরিকার বিখ্যাত পণ্ডিত Thoreau-র (১৮১৭-১৮৬২) ১৮৪১ সালের ৩১শে মে তারিখের Journal থেকে জানা যায় যে, কুল্লুকের টীকা সহ ‘মনুস্মৃতি’ তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

মনুসংহিতায় সৃষ্টিতত্ত্ব

সৃষ্টিতত্ত্ব সম্বন্ধে এই গ্রন্থে তিনটি মতবাদ আছে।

(১) প্রথম অধ্যায়ের ৫-১৯ শ্লোকে বক্তব্য এই।

আদিতে এই বিশ্ব অন্ধকারময় ছিল, তার অস্তিত্ব বোঝা যেত না, কোন কিছুরই ‘লক্ষণ’ বা বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন ছিল না, প্রমাণগ্রাহ্য কিছু ছিল না। সব কিছু ছিল ‘অবিজ্ঞেয়’। যেন সব দিকে ‘প্রসুপ্ত’ তারপর অপ্রতিরোধ্য শক্তিসম্পন্ন অন্ধকারনাশক ভগবান স্বয়ংভূ স্বয়ং ‘অব্যক্ত’ থেকে (পঞ্চ) মহাভূতাদি সকল পদার্থকে ব্যক্ত করলেন। ইন্দ্রিয়ের অগোচর সূক্ষ্ম, সনাতন, ‘সর্বভুতময়’, অচিন্তনীয় তিনি নিজেই উদ্ভূত হলেন। তিনি নিজের শরীর থেকে বিবিধ জীব সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক হয়ে (সৃষ্টির কথা) ভেবে প্রথমে জল সৃষ্টি করে তাতে তাঁর বীজ আরোপিত করলেন। সেই বীজ সূর্যতুল্য প্রভাবিশিষ্ট স্বর্ণ ডিম্বে পরিণত হল। তাতে সমগ্র জগতের পিতামহ ব্রহ্মা স্বয়ং জন্মগ্রহণ করলেন। তাঁর প্রথম বাস ছিল জলে; জলকে যেহেতু নারা বলে অভিহিত করা হত, সেইজন্য তাঁকে বলা হত নারায়ণ (নারা অয়ন বা আশ্রয় যাঁর)। সেই প্রথম কারণ, যা অব্যক্ত এবং যা সৎও বটে অসংও বটে তার থেকে উদ্ভূত পুরুষকে লোকে বলে ব্রহ্মা। সেই ডিম্বে ভগবান এক বৎসর বাস করে তাকে দ্বিধা বিভক্ত করলেন; সেই দুই ভাগ থেকে তিনি সৃষ্টি করলেন স্বর্গ ও মর্ত। তাদের মাঝখানে অন্তরীক্ষ, আট দিক্ (পূবদি চার প্রধান দিক এবং ঈশানাদি চার অন্তরালবর্তী দিক্‌) এবং সমুদ্র। নিজের থেকেই তিনি মন উদ্ধৃত করলেন; তা সৎ বটে অসৎও বটে। মন থেকে উদ্ভূত হল অহংকার এবং মহদাত্মা, সত্ত্বাদি ত্রিগুণাত্মক সব কিছু পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়। অহংকার ও পঞ্চতন্মাত্রের সূক্ষ্ম উপাদান নিজের অংশের সঙ্গে মিশিয়ে তিনি সমস্ত জীব সৃষ্টি করলেন। পঞ্চমহাভূত সকল জীবের স্রষ্টার মধ্যে প্রবিষ্ট হয়।

এই মতবাদ ‘ঋগ্বেদে’র ১০/১২৯, বিশেষতঃ ঋক্‌ ১-৩, ‘শতপথ ব্রাহ্মণে’র ১১/৬/১, ‘ছান্দোগ্যোপনিষদ্‌’ ৩/১৯/১-২—স্বর্ণান্ডু বিষয়ক এবং তত্ত্ব ও গুণ সম্বন্ধে সাংখ্যমত—এই সবের সংমিশ্রণজাত। মনু অবশ্য ‘সাংখ্যকারিকা’য় লিখিত মহৎ, অহংকার ও পঞ্চতন্মাত্রের উদ্ভবক্রমে ব্যতিক্রম করেছেন।

‘ঋগ্বেদে’র উক্ত সুক্তের কিছু অংশ নিম্নলিখিতরূপ—

নাসদাসীন্নো সদাসীৎ তদানীং, নাসীদ্রজো নো ব্যোমা পরো যৎ।

…অম্ভঃ কিমাসীদ্‌ গহনং গভীরম্‌…

ন রাত্র্যা অহ্ণ আসীৎ প্রকেতঃ।

…………………….

তম আসীৎ তমসা গুঢ়মগ্ৰেহপ্রকেতং সলিলং সর্বমা ইদ্‌ম। ঋক্‌ ১-৩

‘ছান্দোগ্য উপনিষদে’র সংশ্লিষ্ট অংশ—

অসদেবেদমগ্র আসীৎ। তৎ সদাসী তৎ সমভবৎ তদাণ্ডং নির্বতত। ৩/১৯/১

(২) ‘মনুস্মৃতি’র ১/৩২-৪১

ব্রহ্মা স্বদেহকে দ্বিধা বিভক্ত করলেন; একভাগ হল পুরুষ, অপর ভাগ নারী। সেই নারীর থেকে তিনি সৃষ্টি করলেন বিরাজ্‌। এই বিরাজ্‌ তপস্যা করণান্তর একটি পুরুষ সৃষ্টি করলেন ; এই পুরুষই ‘মনুসংহিতা’ব প্রবক্তা মনু। জীবনিদৃক্ষু মনু প্রথমে সৃষ্টি করলেন প্রজাপতি স্বরূপ দশ জন মহামুনিকে। তাঁরা সৃষ্টি করলেন সপ্ত মনু, বিভিন্ন শ্রেণীর দেবগণ, মহান্ ঋষি, যক্ষ, রাক্ষস, গন্ধর্ব, অপ্সরা, সর্প, বিহঙ্গ, বিভিন্ন শ্রেণীর পিতৃগণ, বিদ্যুৎ, মেঘ, ক্ষুদ্র বৃহৎ নক্ষত্ররাজি, বানর, মৎস্য, গোমহিষাদি, হরিণ, মানুষ, কীট, মক্ষিকা ও স্থাবর বৃক্ষাদি।

এই বর্ণনায় ‘ঋগ্বেদে’র (১০/৯০) পুরুষসুক্তের বিশেষতঃ ঐ সুক্তের ৫, ৮-১০ ঋক্‌-এর অনুরণন অনুভব করা যায়। ঐ সূক্তের আরম্ভ—সহস্ৰশীর্ষা পুরুষঃ সহস্রাক্ষঃ সহস্রপাৎ ইত্যাদি। সংশ্লিষ্ট অংশগুলি এই:

তস্মাদ্‌ বিরাডজায়ত বিরাজো অধিপুরুষঃ (৫)

পশূন তাঁশ্চক্রে বায়ব্যানারণ্যান্ গ্রাম্যাশ্চ যে (৮)

তস্মাদশ্বা অজয়ন্ত যে কে চোভয়াদতঃ

গাবোহ জজ্ঞিরে তস্মাৎ তম্মাজ্জাতা অজাবয়ঃ। (১০)

(৩) সুপ্তোত্থিত ব্রহ্মা কর্তৃক সৃষ্টি সম্বন্ধে সংক্ষেপে উক্ত হয়েছে ‘মনুস্মৃতি’র ১/৭৪-৭৮ শ্লোকে। ব্রহ্মা তাঁর মন সৃষ্টি করলেন। ব্রহ্মার সিসৃক্ষার প্রেরণায় উদ্ভূত হল শব্দগুণ আকাশ, আকাশের বিকৃতি থেকে সৃষ্ট হল স্পর্শগুণ বায়, বায়ু থেকে উদ্ভব দীপ্তিময় আলোকের, যার থেকে প্রাদুর্ভাব হল জলের, জল থেকে উৎপত্তি হল গন্ধগুণ ক্ষিতির।

এই মতবাদ সাংখ্যমতের পরিবর্তিত রূপ। সাংখ্যকারিকা (২৫) মতে, পঞ্চমহাভূতেরই উদ্ভব অহংকার থেকে। মনু ব্ৰহ্মার অবতারণা করেছেন।

শব্দকোষ

পারিভাষিক ও অপেক্ষাকৃত কঠিন শব্দগুলির, স্থলনির্দেশসহ, সংক্ষিপ্ত অর্থ লিখিত হল।

স্থলনির্দেশ নির্ণয়সাগর প্রেসের সংস্করণ (১৯৩৩) অনুসারে দেওয়া হল। মনুসংহিতার যে শব্দগুলি মহাভারতের স্মৃতিবিষয়ক অংশেও আছে, ঐগুলির স্থলনির্দেশও পুণাসংস্করণ অনুসারে দেওয়া গেল। মহাভারতের স্মৃতিবিষয়ক অংশের সংগ্রহ আছে বর্তমান গ্রন্থকারের Smrti Material in the Mahabharata (Calcutta, 1971) নামক গ্রন্থে।

অগ্নিষ্টুৎ ১১.৭৪: অগ্নির স্তুতিবিষয়ক; অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের প্রথম দিন।

অগ্রে দিধিযু ৩.১৬০: শান্তি ৩৫/৪ জ্যেষ্ঠা কন্যার পূর্বে বিবাহিতা কনিষ্ঠা কন্যা।

অঘমর্ষণ ১১.২৫৯ : একপ্রকার প্রায়শ্চিত্ত, যাতে এই নামের ঋক্‌মন্ত্র (১০.১৯০.১-৩) আবৃত্তি করা হয়। একপ্রকার ব্রত যাতে তিন দিন উপবাস, দিনে দণ্ডায়মান ও রাত্রে উপবিষ্ট থাকতে হয় এবং শেষে একটি দুগ্ধবতী গাভী দান করতে হয়।

অতিকৃচ্ছ্র ১১.২০৮ : একপ্রকার প্রায়শ্চিত্ত, যাতে পাপীকে তিন দিন শুধু প্রাতে এক গ্রাস করে খেতে হয়, শুধু সন্ধ্যায় এক গ্রাস করে খেতে হয়, তিন দিন এক গ্রাস অযাচিত অন্ন ভক্ষণ করতে হয় এবং তিন দিন উপবাস করতে হয়।

অধমন ৮.১৬৫: আধি বা রেহাণ দেওয়া, অর্থাৎ জমি বা কোন দ্রব্য গচ্ছিত রেখে টাকা ধার নেওয়া।

অধ্যগ্নি ৯.১৯৪ : একপ্রকার স্ত্রীধন : বিবাহকালে কন্যাকে অগ্নিসমক্ষে প্রদত্ত।

অধ্যাবাহনিক ৯.১৯৪ : একপ্রকার স্ত্রীধন : পিত্রালয় থেকে শ্বশুরালয়ে গমন কালে কন্যাকে প্রদত্ত।

অনুলোম ১০.২৫ : উপযুক্ত ক্রম। সাধারণতঃ উচ্চবর্ণের পুরুষ কর্তৃক নিম্নতর বর্ণের কন্যাবিবাহে প্রযুক্ত।

অনুচান ২.১৫৪ : যে বেদ ও বেদাঙ্গ অধিগত করেছে।

অন্ত্যবসায়ী ১০.৩৯ : চণ্ডাল পুরুষ ও নিষাদ স্ত্রীর মিলনে জাত সংকর বর্ণ।

অন্ধ্র ১০.৩৬,৪৮: অনু ৪৮/ ২৫ বৈদেহক (দ্রঃ) ও কারাবর (দ্রঃ) স্ত্রীর মিলনে জাত সন্তান।

অন্বষ্টকা : ৪.১৫০ : অগ্রহায়ণের পূর্ণিমার পরে পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন : এই তিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবম দিন।

অপবিদ্ধ ৯.১৫৯, ১৭১: মাতাপিতা কর্তৃক পরিত্যক্ত পুত্র, অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক পুত্ররূপে গৃহীত।

অপসদ ১০.১০, ১৬, ১৭: অনু ৪৯/৫, ২৭ আদি ১১১/২৮: হয় প্রকার নিন্দিত বিবাহে জাত সন্তান। নিন্দিত বিবাহ যথা— ব্রাহ্মণের সঙ্গে অপর তিন বর্ণের কন্যার বিবাহ, ক্ষত্রিয়ের সঙ্গে অপর দুই বর্ণের কন্যার বিবাহ, বৈশ্যের সঙ্গে শূদ্রার বিবাহ।

অপাত্ৰীকরণ ১১.৬৯, ১২৫ : এক শ্রেণীর পাপ, যার ফলে পাপী দান গ্রহণের অযোগ্য হয়। নিন্দিত ব্যক্তির থেকে ধনগ্রহণ, বাণিজ্য, শূদসেবা, অসত্যভাষণ— ব্রাহ্মণের পক্ষে এইগুলি এই জাতীয় পাপ।

অব্দুর্গ ৮.৭০: শাস্তি ৮৭৫: গভীর জলবেষ্টিত দুর্গ।

অভিচার ৯.২৯০, ১১.৬৩, ১৯৭: মারণ বা অন্যপ্রকার ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে ঐন্দ্রজালিক মন্ত্র বা অনুষ্ঠান।

অভিজিৎ ১১.৭৪ : (১) গবাময়ন যজ্ঞের অঙ্গীভূত সোমযাগ। (২) একটি জ্যোতিষ্কপুঞ্জের নাম।

অমৃত ৪.৪, ৫ : (১) ভিক্ষা না করে লব্ধ অন্ন। (২) যজ্ঞে দত্ত দ্রব্যের অবশিষ্টাংশ।

অম্বষ্ঠ ১০.৮, ১৩ ইত্যাদি : ব্রাহ্মণ পুরুষ ও বৈশ্য স্ত্রীলোকের মিলনে জাত সন্তান।

অর্ধদূষণ ৭.৪৮, ৫১ : টাকা চুরি বা কাউকে প্রাপ্য ধন না দেওয়া।

অবর্কীর্ণী ৩.১৫৫, ১১.১১৮, ১২১ : শান্তি ৩৫/৫, ৩৬/২১: যে ব্রহ্মচারী স্ত্রীসম্ভোগ করেছে।

অবভৃথ ১১.৮২ : অনু ৯০/২৩, শান্তি ৩৬/৬ : যজ্ঞান্তে করণীয় স্নান।

অবীরা ৪.২১৩ : (১) পতিপুত্রবিহীনা নারী। (২) যে নারী স্বাধীন কিন্তু ব্যভিচারিণী নয়।

অশ্বমেধ ১১.৭৪, ২৬০ : একপ্রকার যজ্ঞ : এতে অশ্ব বলি হত। রাজা সৈন্যগণের দ্বারা রক্ষিত একটি অশ্বকে ছেড়ে দিতেন। এক বৎসর পরে অশ্ব ফিরে এলে যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হত।

অসিপত্রবন ১২.৭৫ : একপ্রকার নরক।

অস্যবামীয় ১১.২৫০ : ‘অস্য বামসা’ এই দিয়ে শুরু হয়েছে যে ঋক্‌সূক্ত (১.১৬৪)।

আক্রন্দ ৭.২০৭: পার্ষ্ণিগ্রাহের (দ্রঃ) অব্যবহিত পরবর্তী রাজা।

আগম ৮,২০০, ৪০১ : (১) সম্পত্তি অর্জনের ন্যায্য উপায় : ক্রয়, প্রতিগ্রহ ইত্যাদি। (২) বেদমূলক শাস্ত্র।

আগ্রয়ণ ৪.৪, ৫: একপ্রকার ইষ্টি (যাগ), যাতে নূতন শসা সর্বপ্রথম দেবতাকে দেওয়া হয়।

আচার্য ২.১৪০ এবং অন্যত্র : যিনি শিষ্যকে উপনয়ন দিয়ে কল্পসূত্র ও উপনিষদ সহ বেদ অধ্যাপন করেন।

আততায়ী ৮.৩৫০, ৩৫১: শান্তি ১৫/৫৫: ১৫৯/১৯, আশ্রমবাসিক ১১/২ : নিম্নলিখিত শত্রুগণের সংজ্ঞা— যে আগুন লাগায়, যে বিষ প্রয়োগ করে, যে অস্ত্র হাতে নিয়ে আসে, এমন ধনের অপহারক, যার অভাবে ধনস্বামীর প্রাণসংশয় হতে পারে, ক্ষেত্রাপহারক, ভার্যাপহারক।

আত্রেয়ী ১১.৮৭: শাস্তি ১৫৯৫০ : ঋতুস্নাতা নারী।

আধি ৮.১৪৪, ১৪৫ ইত্যাদি : অধমন দ্রঃ।

আন্বীক্ষিকী ৭.৪৩ : তর্কবিদ্যা, আত্মবিদ্যা।

আভীর ১০.১৫ : ব্রাহ্মণ পিতা ও অম্বষ্ঠ মাতার সন্তান।

আয়োগব ১০.১২, ১৫ ইত্যাদি : অনু ৪৮/২০: শুদ্র ও বৈশ্যার সন্তান।

আর্যাবর্ত ২.২২ : হিমালয় ও বিন্ধ্যপর্বতের মধ্যবর্তী যে অঞ্চল পূর্বে ও পশ্চিমে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত।

আর্ষ (বিবাহ) ৩.২১, ৯.১৯৬: একপ্রকার বিবাহ। এতে দুইটি বা চারটি গাভী নিয়ে কন্যাদান করা

হয় : এই গাভী দান আচারের অঙ্গ, শুল্ক নয়।

আবন্ত্য ১০.২১: ব্রাত্য ব্রাহ্মণ ও সবর্ণাস্ত্রীর সন্তান।

আবৃত ১০.১৫ : ব্রাহ্মণ পিতা ও উগ্র (দ্রঃ) মাতার সন্তান।

আসন ৭.১৬০, ১৬১ ইত্যাদি : রাজনীতিতে একপ্রকার নীতি। ছয় ‘গুণে’র অন্যতম। এই নীতিতে রাজা শত্রু রাজার প্রতি ঔদাসীন্য অবলম্বন করেন।

আসুর ৩.২১, ৯.১৯৭ ইত্যাদি : একপ্রকার বিবাহ। এতে পিতার ইচ্ছাক্রমে কন্যাকে দান করা হয় এমন লোককে যে যথাশক্তি অর্থ কন্যাপক্ষকে এবং কন্যাকে দেয়।

আহিণ্ডিক ১০.৩৭ : অনু ৪৮/২৭ : নিষাদ পিতা ও বৈদেহ (দ্রঃ) মাতার সন্তান।

উগ্র ৪.২১২, ১০.৯, ১৩ ইত্যাদি : ক্ষত্রিয় ও শূদ্রার সন্তান।

উঞ্ছ ৪.১০, ৮,২৬০ ইত্যাদি : কণা কণা করে পরিত্যক্ত শস্য সংগ্রহ করা।

উদক্যা ৪.৫৭, ৫.৮৫ ইত্যাদি: রজস্বলা নারী।

উদাসীন ৭.১৫৫, ২১১: যে রাজা, বিজিগীষু ও মধ্যম রাজা সংযুক্ত থাকলে, তাঁদের সাহায্য করতে পারেন এবং তাঁরা পরস্পর বিযুক্ত হলে তাঁদের পীড়ন করতে পারেন।

উদ্ধার ৭.৯৭, ৯.১১২, ১১৫ ইত্যাদি : পৈতৃক সম্পত্তি ভাগের সময়ে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার প্রাপ্য অতিরিক্ত অংশ।

উপধি ৮.১৬৫, ৯.২৫৮ : ছল।

উপনয়ন ২.৩৬ : আচার্য কর্তৃক শিষ্যকে বেদাধ্যয়নে দীক্ষা।

উপনিধি ৮.১৪৫, ১৪৯ ইত্যাদি : মুদ্ৰাংকিত (sealed) আধারে গচ্ছিত দ্রব্য : এতে দ্রব্যের স্বরূপ বা সংখ্যা পরিমাণাদি বলা হয় না।

উপপাতক ১১.৬৬, ১০৮ : এক শ্রেণীর পাপ, মহাপাতক অপেক্ষা লঘুতর। অগম্যা আত্মীয় নারী গমন, বেদাধ্যয়ন বর্জন, উপনয়নের কালাতিক্রম, নটর্তকের জীবিকাবলম্বন, গোবধ, কন্যাদূষণ ইত্যাদি।

উপবীতী ২.৬৩ : স্বাভাবিক ভাবে যজ্ঞোপবীত ধারণ করে যে।

উপকর্ম ৪.১১৯ : বেদাধ্যয়নের আরম্ভ।

উপাধ্যায় ২.১৪১, ১৪৫ : যিনি শিষ্যকে জীবিকার জন্য বেদের অংশবিশেষ বা বেদাঙ্গ অধ্যাপনা করেন।

উপায় ৭.১০৮, ১০৯ ইত্যাদি: একপ্রকার রাজনীতি। সাম, দান, ভেদ, দণ্ড এই চারটি উপায়।

ঋক্‌থ ৭.২৭, ৩০ : মৃতব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তি।

ঋত ৪.৪, ৫০, ৮.৬১, ৮২ ইত্যাদি : শস্য কুড়িয়ে ব্রাহ্মণের জীবনধারণ।

ঋষিজ্ঞ ৪.২১ : ব্রহ্মযজ্ঞঃ দ্রঃ।

কটপূতন ১২.৭১ : একপ্রকার প্রেত।

কণ্টক ৯.২৫২ : চোরাদি ক্ষতিকারক লোক।

করণ ৮.১৫৪, ১০.২২ : (১) দলিল। (২) ক্ষত্রিয় ব্রাত্য (দ্রঃ) কর্তৃক সবর্ণা নারীতে উৎপাদিত পুত্র।

কর্মান্ত ৭.৬২, ৮.৪১৯ : যেখানে ইক্ষু, ধান্যাদি সংগৃহীত হয়। কার্যের সমাপ্তি।

কলা ১.৬৪ : সময়ের পরিমাণ বিশেষ।

কবক ১১.১৫৫ : ছত্রাক।

কব্য ৩.১২৮, ১৩৩: ৪.৩১ : মৃত পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত অন্নাদি দ্রব্য।

কানীন ৯.১৬০, ১৭২ : অবিবাহিতা নারীর পুত্র।

কায়তীর্থ ২.৫৯ : কনিষ্ঠার মূলদেশ।

কায়বিবাহ ২.৫৮, ৫৯ : প্রাজাপত্য (দ্রঃ) বিবাহ।

কায়িকা ৮.১৫৩ : একপ্রকার সুদ। কায় বা শরীর থেকে প্রাপ্ত : যথা বন্ধকীকৃত গাভীর দুগ্ধ, বন্ধকীকৃত দাসের দৈহিক কর্ম।

কারাবর ১০.৩৬ : নিষাদ ও বৈদেহ (দ্রঃ) নারীর সন্তান।

কারিতা ৮.১৫৩ : অধমর্ণ কর্তৃক প্রতিশ্রুত সুদ।

কারুষ ১০.২৩ : ব্রাত্য বৈশ্য ও বৈশ্যার সন্তান।

কার্যাপণ ৮.১৩৬, ২৭৪, ৩৩৬ ইত্যাদি : একপ্রকার মুদ্রা বা বিভিন্ন মূল্যের ওজন (সোনা হলে ১৬ মাষার সমান, রূপা ১৬ পণের বা ১২৮০ কড়ির সমান, তামা ৮০ রত্তির সমান)।

কার্ষিক ৮.১৩৬ : কার্ষাপণের নামান্তর।

কালসূত্র ৩.২৪৯ : একপ্রকার নরক।

কালিকা ৮.১৫৩ : প্রতি মাসে যে সুদ নির্ধারিত ও দেওয়া হয়।

কাষ্ঠা ১.৬৪: সময়ের পরিমাণ বিশেষ। ১৮ নিমেষের সমান।

কিতব ৩.১৫৯: যে অনভিজ্ঞ ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধির জন্য লোককে জুয়া খেলায় প্রবৃত্ত করে।

কীনাশ ৯.১৫০ কৃষক।

কুক্কুটক ১০.১৮ : শূদ্র ও নিষাদীর সন্তান।

কুণ্ড ৩.১৫৬, ১৫৮, ১৭৪: জীবিত ব্যক্তির ভার্ষাতে অপর ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধরূপে উৎপাদিত সন্তান।

কুপ্য ৭.৯৬, ১০.১১৩: সোনা রূপা ভিন্ন ধাতু।

কুম্ভীধান্যক ৫.৭: যে মাটির পাত্রে ছয় বা দশ দিনের (মতান্তরে এক বৎসর বা ছয় মাসের) উপযোগী শস্য সঞ্চিত করে।

কুম্ভীপাক ১২.৭৬ : একপ্রকার নরক।

কুল ৭.১১৯ : (১) ছয়টি বৃষবাহিত লাঙ্গলের দুইটি দ্বারা যতটুকু জমি চাষ করা যায় ততটুকু জমি।

(২) জ্ঞাতিদের সমষ্টি।

কুশীলব ৩.১৫৫ : পেশাদার নর্তক।

কুশূলধান্যক ৪.৭ : যে গৃহস্থের তিন বৎসরের উপযোগী খাদ্যশস্য সঞ্চিত থাকে।

কৃচ্ছ্র ৫.২১ : দৈহিক ক্লেশ, তপশ্চর্যা।

কৃচ্ছ্রাতিকৃচ্ছ্র ১১.২০৮ : একপ্রকার তপশ্চর্যা, যাতে ২১ দিন জলপান করে থাকতে হয়।

কৃত্যা ৯.২৯০: অপরের অনিষ্টকারী ঐন্দ্রজালিক ক্রিয়া।

কৃত্রিম ৯.১৫৯, ১৬৯: মাতাপিতৃহীন বালক, যাকে কেউ টাকা জমি প্রভৃতির লোভ দেখিয়ে পুত্ররূপে গ্রহণ করে।

কৃষ্ণল ৮.১৩৪, ১৩৫৫ ইত্যাদি : ওজন হিসাবে ব্যবহৃত একপ্রকার ফল।

কৃসর ৫.৭ : তিলসহ সিদ্ধ অন্ন।

কেশান্ত ২.৬৫ : গোদাননামক সংস্কার। এতে ব্রাহ্মণের ষোল, ক্ষত্রিয়ের বাইশ, বৈশ্যের চব্বিশ বৎসর বয়সে মস্তকমুণ্ডন করা হয়।

কৈবর্ত ১০.৩৪ : নিষাদ ও আয়োগব নারীর সন্তান।

ক্রীত ৯.১৬০, ১৭৪: যাকে তার পিতামাতার নিকট থেকে ক্রয় করে পুত্র করা হয়।

ক্ষত্তা ১০.১২, ১৩ ইত্যাদি : শূদ্র পিতা ও ক্ষত্রিয় মাতার সন্তান।

ক্ষেত্র ৯.৩৩, ৩৬, ৫৪ : স্ত্রী।

ক্ষেত্রজ ৯.১৫৯, ১৬২ ইত্যাদি : অপুত্রক ব্যক্তির স্ত্রীতে নিয়োগ প্রথায় অপর ব্যক্তি কর্তৃক উৎপাদিত সন্তান।

ক্ষেত্রজ্ঞ ৮.৯৬, ১২.১২, ১৪ : দেহাভ্যন্তরে চৈতন্য স্বরূপ আত্মা।

ক্ষেত্ৰী ৯.৩২, ৫১, ৫২ : যার স্ত্রীতে নিয়োগ প্রথায় অপর ব্যক্তি পুত্র উৎপাদন করে।

ক্ষেম ৮.২৩০, ৯.২১২ : লব্ধদ্রব্যের রক্ষণ।

খল ১১.১৭ : ধান্যাদি মর্দন স্থান।

খস ১০.২২ : ব্রাত্য ক্ষত্রিয়-ও ক্ষত্রিয়ার সন্তান।

গণ ১.১১৮ : বণিক্‌ প্রভৃতির সংঘ।

গরুড় ৭.১৮৭: একপ্রকার ব্যূহ। এটি বরাহব্যূহের (দ্রঃ) ন্যায় : প্রভেদ এই যে, গরুড়ে মধ্যভাগ অধিকতর প্রশস্ত হয়।

গান্ধর্ব ৩.২১, ৯.১৯৬: একপ্রকার বিবাহ। এতে বর কনে পরস্পরের ইচ্ছাক্রমে বিববাহসূত্রে আবদ্ধ হয়।

গিরিদুর্গ ৭.৭০, ৭১ : একপ্রকার দুর্গ। এমন পাহাড়ের উপরে স্থিত, যেখানে আরোহণ করা কঠিন। সংকীর্ণ পথে এতে প্রবেশ করা যায়। এতে নদী প্রস্রবণের জল, উর্বর জমি ও গাছ থাকে।

গুরুতল্প ৯.৬৩, ২৩৫ ইত্যাদি : আচার্যপত্নী।

গুল্ম ৭.১১৪, ১৯০: ৮,২৪৭, ৩০০: (১) একদল রক্ষী পুরুষ। (২) ঝোপ।

গূঢ়জ ৯.১৫৯ : স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রীর গর্ভেজাত পুত্র : পুত্রের প্রকৃত পিতা অজ্ঞাত।

গৃহবন্দি ৩.২৬৫: খাদ্যের অবশিষ্ট অংশ, যা কাকাদিকে দেওয়া হয়।

গোত্র ৩.৫ : যে সকল লোক উর্ধ্বতন পুরুষক্রমে একজন ব্রাহ্মণের থেকে অবিচ্ছিন্নরূপে বংশধারা নির্ধারণ করে।

গোলক ৩.১৫৬, ১৭৪ : ব্রাহ্মণ বিধবা ও ব্রাহ্মণ পুরুষের অবৈধ যৌনসংযোগের ফলে জাত সন্তান।

গোসব ১১.৭৪: একদিন নিষ্পাদ্য সোমযাগ। এতে, কারও কারও মতে, যাগকারী গাভীর ন্যায় আচরণ করে: যেমন গাভীর ন্যায় জলপান, দাঁতে ঘাস কাটা ইত্যাদি।

গোঁড়ী ১১.৯৪ : গুড় থেকে তৈরি মদ।

চক্রবৃদ্ধি ৮.১৫৩ : একপ্রকার সুদ : সুদের সুদ।

চণ্ডাল ১০.১২, ১৬ ইত্যাদি : শূদ্র ও ব্রাহ্মণীর সন্তান।

চান্দ্ৰব্ৰতিক ৯.৩০৯ : যে রাজা চন্দ্রের ন্যায় আচরণ করেন : লোকে চন্দ্রকে দেখে যেমন আনন্দিত হয়, তেমন তাঁকে দেখে পুলকিত হয়।

চান্দ্রায়ণ ১১.৪১, ১০৬ ইত্যাদি : একপ্রকার প্রায়শ্চিত্ত। এতে পূর্ণিমায় ১৫ গ্রাস খাদ্য ভক্ষণ করতে হয়। তার পর কৃষ্ণপক্ষে এক একদিনে এক এক গ্রাস কমিয়ে অমাবস্যায় উপবাস করতে হয়। এই ব্রত পিপীলিকামধ্য, যবমধ্য ইত্যাদি নানা রকম হয়।

চীরী ১২.৬৩ : উচ্চ শব্দকারী একপ্রকার কীট।

চুঞ্চু ১০.৪৮ : ব্রাহ্মণ ও বৈদেহক (দ্রঃ) বা বন্দী (দ্রঃ) নারীর সন্তান।

চূড়াকর্ম ২.৩৫ : যে সংস্কারে বালকের কেশ সর্বপ্রথম কাটা হয়।

চৈলাসক ১২.৭২: একপ্রকার প্রেত।

জাঙ্গল ৭.৬৯: যে স্থানে অল্প জল, তৃণ, প্রচুর সূর্যালোক, বায়ু ও ধান ইত্যাদি থাকে।

জাতিভ্রংশকর ১১.৬৭, ১২৪ : এক শ্রেণীর পাপ : এতে জাতি নষ্ট হয়।

জামি ৩.৫৭, ৫৮, ৪.১৮০, ১৮ : ভগিনী, পরিবারস্থ মহিলা।

জ্যেষ্ঠসাম ৩.১৮৫ : জ্যেষ্ঠরাম নামক মন্ত্রের আবৃত্তিকারী।

ঝল্ল ১০.২২ করণের সঙ্গে অভিন্ন (করণ দ্রঃ)।

ডিম্বাহব ৫,৯৫: যে যুদ্ধে রাজা থাকেন না।

তক্ষক ৪.২১০: (১) সূচক ও ব্রাহ্মণীর সন্তান। (২) চুচুক ও ব্রাহ্মণীর সন্তান।

তপ্তকৃচ্ছ্র ১১.২১৪ : একপ্রকার প্রায়শ্চিত্ত। এতে তিন দিন গরম জল, গরম দুধ ও গরম ঘি খেয়ে থেকে শেষের তিন দিন উপবাস করতে হয় এবং উষ্ণ বাষ্প বা বায়ু নাকে টানতে হয়।

তর ৮.৪০৪, ৪০৬, ৪০৭ : পণ্যদ্রব্য সহ নদী পার হতে দেয় শুষ্ক।

তরৎসমন্দীয় ১১.২৫৩ : তরৎসমন্দী ধাবতি এইরূপে আরব্ধ ঋগ্বেদীয় সুক্ত (১/৫৮/১)।

তামিস্র ১২.৭৫ : একপ্রকাৰ নরক।

তীর্থ ২.৫৯ : কতক আঙ্গুলের অংশবিশেষ : যথা দিব্যতীর্থ (দ্রঃ)।

তুন্নবায় ৪.২১৪ : বৈশ্য ও শূদ্রের মিলনজাত সন্তান।

ত্রসরেণু ৮ ১৩২ : সূর্যরশ্মিতে ভাসমান সুক্ষ্মতম ধূলিকণা।

ত্রিচিকেত ৩.১৮৫: যজুর্বেদের অংশবিশেষ, এই অংশ যে অধিগত করে তাকেও এই নামে অভিহিত করা হয়।

ব্রিদ ১২.১১ : দেহ, মন ও বাক্যের সংযম।

ত্রিযবণ ৩.১২৩. ১১.১২৩ : প্রাতে, মধ্যাহ্নে ও সন্ধ্যায় স্নান।

ত্রিসুপর্ণ ৩. ১৮৫: ঋগ্বেদের ১০.১১৪, ৩.৫ সংখ্যক মন্ত্র।

দণ্ডদাস ৮.৪১৫: জরিমানা দিতে না পারায় দাসে পরিণত।

দণ্ডব্যুহ ৭. ১৮৭ : একপ্রকার ব্যূহ: এতে সৈন্যদলকে এমনভাবে সাজান হয় যেন দণ্ডের ন্যায় দৃষ্ট হয়।

দত্তক ৯.১৫৯: পিতামাতা কর্তৃক প্রদত্ত ও অন্য ব্যক্তি কর্তৃক পুত্ররূপে গৃহীত।

দত্রিম ৮.৪১৫, ৯. ১৪১, ১৪২, ১৬৮ : দত্তক থেকে অভিন্ন।

দর্শ ৪.২৫ : অমাবস্যা বা ঐ তিথিতে অনুষ্ঠিত যাগ। যে দিনে চন্দ্র শুধু সূর্য কর্তৃক দৃষ্ট হয়।

দস্যু ১০/৪৫ : ব্রাহ্মণাদি চার বর্গের মধ্যে যারা ক্রিয়ালোপাদি হেতু বাহ্যজাতিভুক্ত হয়ে যায়, তাঁরা ম্লেচ্ছভাষী বা আর্যভাষাভাষী যাই হোক, সকলেই দস্যু আখ্যায় অভিহিত হয়।

দান ৭.১৯৮: একপ্রকার রাজনীতি। এতে শত্রুভাবাপন্ন রাজাকে কিছু দান করে তুষ্ট করা হয়।

দায়াদবান্ধব ৯.১৫৮, ১৬০ : এমন আত্মীয়, যারা উত্তরাধিকারী হতে পারে।

দাশ(স) ৮.৪০৮, ৪০৯ : ৯.১৪১, ১৪২ ইত্যাদি। কৈবর্ত (দ্রঃ) থেকে অভিন্ন।

দিধিষু ৩.১৭৩ : যে জ্যেষ্ঠ ভগিনীর পূর্বে কনিষ্ঠার বিবাহ হয়েছে।

দিবাকীর্তি ৫.৮৫ : চণ্ডাল।

দিব্যতীর্থ ২.৫৯ : অঙ্গুলিসমূহের অগ্রভাগ, দেবকার্যে পবিত্র।

দেবযজ্ঞ ৪,২১: পঞ্চমহাযজ্ঞের অন্যতম। দেবতার উদ্দেশ্যে যজ্ঞ, বিশেষতঃ হোম।

দেবল ৩.১৫২, ১৮০: দেবপ্রতিমার বেতনভোগী পরিচারক।

দৈবতীর্থ ২.৫৯ : দিব্যতীর্থের অপর নাম।

দৈববিবাহ ৩. ২১, ৯.১৯৬ : এতে যজ্ঞরত পুরোহিতের নিকট পিতা অলংকাবাদিভূষিত কন্যাকে সম্প্রদান করেন।

দৈবযজ্ঞ ৩.৭০ : দেবযজ্ঞের অপর নাম।

দ্রবিড় ১০.২২: করণ (দঃ) নামক জাতির অপর নাম।

দ্বৈধ ৭.১৬০, ১৬১, ১৬৭: (দ্বৈধীভাব) ‘গুণ’ নামক একপ্রকার রাজনীতি। এক মতে, প্রকাশ্যে বন্ধুভাব দেখিয়ে গোপনে শত্রুতা পোষণ। মতান্তরে, সেনাকে বিভক্ত করে শত্রুকে এক এক ভাগ দিয়ে মোকাবিলা করা।

ধন্বদুর্গ ৭.৭০: মরুবেষ্টিত এবং পাঁচ যোজন জলহীন।

ধরণ ৭.১৩৫, ১৩৬, ১৩৭ : একপ্রকার ওজন। ১০ পল, ১৬ রৌপ্যমাষক প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার।

ধিশ্বন ১০.১৫, ৪৯ : ব্রাহ্মণ ও আয়োগব (দঃ) নারীর সন্তান।

নাষ্টিক ৮,২০২ : নষ্টদ্রব্যস্বামী।

নিক্ষেপ ৮.৪, ১৪৯ ইত্যাদি : গচ্ছিত দ্রব্য। এতে দ্রব্যস্বামী অপর ব্যক্তির সমক্ষে দ্রব্য গণনা করে তা গচ্ছিত রাখে।

নিচ্ছিবি ১০.২২: করণ (দ্রঃ) নামক জাতির অপর নাম।

নিয়োগ ৯.৬৫ : একপ্রকার প্রথা, যার দ্বারা শাস্ত্রানুসারে নিযুক্ত ব্যক্তি অপুত্রক ব্যক্তির স্ত্রীতে পুত্র উৎপাদন করে। এই ব্যক্তি সাধারণতঃ ঐ স্ত্রীর দেবর হয়।

নিরাকৃত ৩.১৫৪ : পঞ্চমহাযজ্ঞরহিত ব্যক্তি।

নির্ঝতি ১১.১১৮ : এক অশুভংকরী দেবীর নাম।

নিবীতী ২/৬৩ : গলায় মালার মতো করে উপবীত ধারণ।

নিষাদ ১০/৮, ১৮ ইত্যাদি : ব্রাহ্মণ পিতা ও শূদ্র মাতার সন্তান।

নিষেক ২১৬ : গর্ভাধান।

নিষ্ক ৮/১৩৭, ২২০ : ‘মিতাক্ষরা’মতে চার সুবর্ণ পরিমিত রৌপ্য মুদ্রা।

নিষ্ক্রমণ ২/৩৪ : যে সংস্কারের দ্বারা শিশুকে প্রথম বাড়ীর বাইরে নেওয়া হয়।

মৃদুর্গ ৭/৭০: একপ্রকার দুর্গ। এর চতুর্দিকে পদাতিক সৈনা থাকে। তাদের সঙ্গে থাকে হস্তী, অশ্ব ও রথ।

নৃষজ্ঞ ৩৭০, ৪/২১: অতিথি-সৎকার।

পক্ষিণী ৪/৯৭, ৫/৮১: দুই দিনের মধ্যবর্তী রাত্রি। একপ্রকার অশৌচ।

পংক্তিপাবন ৩/১৮৩, ১৮৪, ১৮৬: এমন ব্রাহ্মণ, যাঁর উপস্থিতি দ্বারা সমবেত ব্রাহ্মণ মণ্ডলী পবিত্র হয়।

পঞ্চগব্য ১১/১৫০, ২১১ : গোময়, গোমূত্র, দুগ্ধ, দধি ও ঘৃতের সংমিশ্রণ।

পঞ্চনখ ৫/১৭, ১৮ : পাঁচনখবিশিষ্ট জন্তু।

পঞ্চসজ্ঞ ৩/৬৭, ৭০, ৫/১৬৯): ব্রহ্মযজ্ঞ (অধ্যাপন), পিতৃযজ্ঞ (তর্পণ), দেবযজ্ঞ (হোম), ভূতযজ্ঞ (ভূতবলি), নৃযজ্ঞ (অতিথিসেবা)।

পঞ্চবর্গ ৭/১৫৪: পাঁচ প্রকার গুপ্তচর— তীর্থযাত্রী বা বদমাস লোক, ব্ৰতলঙ্ঘনকারী তাপস, বিপন্ন কৃষিজীবী, দুর্দশাগ্রস্ত বণিক্‌, কপট ভক্ত।

পঞ্চসূনা ৩/৬৮ : গৃহে এমন পাঁচটি স্থান, যেখানে জীবহত্যার সম্ভাবনা থাকে: যথা— চুল্লী, শিল, ঝাটা, উদূখল-মুষল, জলপাত্র।

পঞ্চাগ্নি ৩.১৮৫: পাঁচটি পবিত্র অগ্নি : যথা— আহবনীয়-পাচন বা দক্ষিণ, গার্হপত্য, আহবনীয়, সভ্য, আবসথ্য।

পণ ৮.১৩৬, ১৩৮ ইত্যাদি : একপ্রকার মুদ্রা, ৮০ কড়ির সমমূল্য।

পদ্মব্যুহ ৭,১৮৮ : একপ্রকার সৈন্যসমাবেশ। এতে রাজা থাকেন কেন্দ্রস্থলে এবং চারদিকে সেনা থাকে বিস্তৃত।

পরাক ১১.২১৫, ২৫৮ .একপ্রকার প্রায়শ্চিত্ত। এতে বার দিন উপবাস এবং ইন্দ্রিয়সংযম বিধেয়।

পরিবেত্তা ৩.১৫৪, ১৭১, ১৭২ : যে ব্যক্তি অগ্রজের পূর্বে বিবাহ করেছে।

পরিবেদন ১১.৬০ : অগ্রজের পূর্বে অনুজের বিবাহ।

পরিষদ্ ১২.১১১, ১১২ : ধর্ম সম্বন্ধে সংশয় নিরাসার্থে বিদ্বান্ ব্যক্তিগণের সভা।

পল ৭.১৩৫, ৩৯৭ : একপ্রকার ওজন (=৪ কর্ষ=১০০ তোলা)।

পাকযনজ্ঞ ২.১৪৩, ৩.৭০ ইত্যাদি: এমন যজ্ঞ, যাতে পক্ক পদার্থ দেওয়া হয়। কোন কোন মতে, এরূপ যজ্ঞ হল বৈশ্বদেব, বলি, শ্রাদ্ধ ও অতিথি-সৎকার।

পাণ্ডুসোপাক ১০.৩৭ : চণ্ডাল পিতা ও বৈদেহক (দ্রঃ) মাতার সন্তান।

পারশব ৯.৭৮, ১০.৮ : নিষাদের (দ্রঃ) অপর নাম।

পারিণাহ্য ৯.১১ : গৃহস্থিত আসবাব ও বাসনপত্র।।

পার্ঞ্চিগ্রাহ ৭.২০৭ : কোন রাজার রাজ্যের ঠিক পেছনের রাজ্যের রাজা।

পাবমানী ৫.৮৬, ১১.২৫৭ : কতক বিশেষ বৈদিক সুক্ত বা মন্ত্রের সংজ্ঞা : যথা ঋদ্বেদ ৯, ৬৭, ৩১, অথর্ববেদ ১৯/৭১ ইত্যাদি।

পাষণ্ড ১.১১৮, ৫.৯০, ৯১২২৫ : নাস্তিক।

পাষণ্ডী ৪.৩০, ৬১: বৌদ্ধদের মতো নাস্তিক।

পিতৃযজ্ঞ ৩,৭০: পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ।

পুক্কুস ১০.১৮, ৪৯ ইত্যাদি : নিষাদ (দ্রঃ) পিতা ও শূদ্ৰা মাতার সন্তান।

পুত্রিকা ৩.১১, ৯.১২৭ ইত্যাদি : অপুত্রক ব্যক্তির কন্যার পুত্র, যাকে তিনি নিজের পুত্ররূপে মনোনীত করেছেন অথবা অপুত্রক বাক্তির কন্যা, যাকে তিনি পুত্ররূপে মনোনীত করেছেন।

পুস্পধ ৮.১৩৬ : কর্ষ বা রূপার ওজনবিশেষ (=১৬ পণ কড়ি)।

পুষ্পধ ১০.২১ : ভূর্জকণ্ঠের (দ্রঃ) অপর নাম।

পৃগ ৩.১৫১: সংঘ, কর্পোরেশন, ইউনিয়ন।

পেয়ুষ ৫,৬ : প্রসবের পরে গাভীর প্রথম প্রথম যে দুগ্ধ দোহন করা হয় : গাভীর গাঁজলা দুধ।

পৈশাচ ৩.৩৪ : নিকৃষ্টতম বিবাহপদ্ধতি। এতে পাত্রীর নিদ্রিত অবস্থায় পাত্র তার সঙ্গে যৌন সম্ভোগে রত হয়।

পৈষ্টী ১১.৯৪ : চাল বা অন্য কোন শসা থেকে প্রস্তুত মদ।

পৌনৰ্ভব ৩.১৫৫, ৯.১৬০ : পুনর্ভু সংজ্ঞক স্ত্রীলোকের সন্তান। সাধারণতঃ, পুনর্বিাহিতা বিধবাকে বলা হয় পুনর্ভু।

প্রকৃতি ৭.১৫৬, ৯.২৯৪, ২৯৫ : রাজমণ্ডলের অন্তর্গত প্রধানতঃ মূল ও শাখা ভেদে দ্বিবিধ। মূল প্রকৃতি— যে সকল রাজা বিজিগীষু, মধ্যম, উদাসীন ও শত্রু বলে পরিচিত। শাখা প্রকৃতির অন্তর্গত সেই সকল রাজা যারা মিত্র, অরিমিত্র, মিত্রমিত্র, অরিমিত্রমিত্র, পার্ঞ্চিগ্রাহ, আক্রন্দ, পার্ঞ্চিগ্রাহাসার ও আক্রন্দাসার বলে পরিচিত। প্রতিটি শাখা প্রকৃতির আছে পাঁচটি দ্রব্য প্রকৃতি : যথা— মন্ত্রী, রাষ্ট্র, দুর্গ, কোষ ও বল বা সেনা।

প্রচার ৯.২১৯ : গোচারণভূমি।

প্রণিধি ৭/১৫৩, ২২৩, ৮১৮২ গুপ্তচর।

প্রতান ১.৪৭ : তন্তুযুক্ত লতা।

প্রতিলোম ১০.১৫ : বিপরীত। সাধারণতঃ এমন বিবাহকে বোঝায়, যাতে পাত্র নীচবর্ণসস্তূত এবং পাত্রী উচ্চতরবংশজাতা।

প্রত্যাহার ৬.৭২ : বাহ্যিক পদার্থসমূহের থেকে ইন্দ্রিয়গুলিকে সরিয়ে আনা।

প্ৰমৃত ৪.৫ : ব্রাহ্মণকর্তৃক জীবিকারূপে গৃহীত কৃষিকর্ম।

প্রসঙ্গ ৪.১৫: গীতবাদ্যাদি।

প্রাচীনাবীতী ২.৬৩: যার উপবীত দক্ষিণ স্কন্ধ থেকে লম্বমান।

প্রাজাপত্য ৩.২১, ১১.১৯৬: একপ্রকার বিবাহ। এতে কন্যার পিতা বরকে মধুপর্কাদি দ্বারা সম্মানিত করে এই বলে কন্যা সম্প্রদান করেন “উভয়ে মিলে ধর্মাচরণ কর”।

বন্ধুদায়াদ ৯.১৫৮ : দায়াদবন্ধু (দ্রঃ) অর্থে।

বান্ধব ৫.৮১, ১০১ ইত্যাদি : নিম্নলিখিত তিন প্রকার আত্মীয় : (১) আত্মবন্ধু—পিসীমার পুত্র, মাসীমার পুত্র, মাতুলপুত্র। (২) পিতৃবন্ধু— পিতার উল্লিখিতরূপ আত্মীয়। (৩) মাতৃবন্ধু— মাতার উক্তরূপ আত্মীয়।

বীজী ৯.৫২, ৫৩ : অপরের স্ত্রীর গর্ভে যার দ্বারা সন্তান জন্মে, তাকে বলা হয় বীজী: যার স্ত্রী, সে ক্ষেত্ৰী সংজ্ঞায় অভিহিত।

ব্ৰধু ৪.২০১, ৯.১৩৭ : সূর্য।

ব্ৰহ্মদেয় ৩,১৮৫ : ব্রাহ্মবিবাহ (দ্রঃ) পদ্ধতিতে বিবাহিতা নারী।

ব্ৰহ্মযজ্ঞ ৩.৭০ : বেদের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা।

ব্ৰহ্মরাক্ষস ১২.৬০ : যে ব্রাহ্মণ কলুষিত জীবন যাপন করেছে, তার প্রেতাত্মা।

ব্রহ্মসত্র ২.১০৬, ৪.৯ : বৈদিক মন্ত্রের নিরন্তর আবৃত্তি।

ব্ৰহ্মাঞ্জলি ২.৭১ : আচার্যের কাছে বেদবিদ্যার্থীর হোড়হস্ত।

ব্ৰহ্মাবর্ত ২.১৭ : অবতরণিকায় ‘মনুসংহিতায় ভৌগোলিক তথ্য’ প্রসঙ্গ দ্রষ্টব্য।

ব্রক্ষোদ্য ৩.২৩১: ‘পরমাত্মনিরূপণপরা কথা’ —কুল্লুকভট্ট।

ব্রাহ্মতীর্থ ২.৫৮, ৫৯ : হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির মূল।

ব্রাহ্ম ৩.২১, ২৭, ৯.১৯৬: একপ্রকার বিবাহ। এতে বিশেষ বস্ত্রে ও ভূষণে বর ও কন্যাকে অর্চনাপূর্বক বিদ্বান্‌ ও সদাচারী বরের উদ্দেশ্যে কন্যা সম্প্রদান করা হয় এরূপ বিবাহে বর কন্যাকে প্রার্থনা করেন না।

ভাষা ৮.১৬৪ : বিচারালয়ে বাদী কর্তৃক প্রদত্ত অভিযোগপত্র।

ভীষা ৮.২৬৪ : ভীতিপ্রদর্শন।

ভূতযজ্ঞ ৪.২১ : ভূতবলি অথাৎ পশুপক্ষীকে অন্নাদি প্রদান।

ভূর্জকণ্ঠ ১০.২১: ব্রাত্য (দ্রঃ) পিতা ও ব্রাত্য মাতার সন্তান।

ভেদ ৭.১৯৮ : রাজনীতিতে অন্যতম ‘উপায়’ (দ্রঃ)। শত্রুরাজার রাজ্যে বিরোধের বীজবপন।

ভৌতযজ্ঞ ৩.৭০ : ভূতত্ত্বঃ দ্রঃ।

ভ্রামরী ৩.১৬১ : শিরোঘূর্ণন (vertigo) বা মৃগী রোগের (epilepsy) দ্বারা আক্রান্ত।

ভ্রূণ ৪.১০৮, ৮.৩১৭ ইত্যাদি : এই শব্দ বিভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে : যথা (১) যে বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ সোমযোগসমূহ সম্পাদন করেছেন, (২) গর্ভস্থ সন্তান, (৩) যে কোন ব্রাহ্মণ, (৪) যে ব্রাহ্মণ ষড়ঙ্গ সহ বেদ অধ্যয়ন করেছেন।

মকর ৭.১৮৭: বরাহব্যুহের (দ্রঃ) বিপরীত।

মণ্ডল ৭.১৫৬ : কোন রাজার নিকটস্থ ও দূরস্থ রাজ্যের রাজগণের সমষ্টি।

মধুপর্ক ৩.১২০ : শব্দটির অর্থ সম্বন্ধে মতভেদ আছে : যথা— (১) দধি ও মধুর মিশ্রণ, (২) জল (বা দুধ) ও মধুর মিশ্রণ, (৩) মাংস। মনুর কোন্ অর্থ অভিপ্রেত, বোঝা যায় না। সাধারণতঃ দধি, ধৃত, জল, মধু ও চিনির সংমিশ্রণ।

মলাবহ ১১.৭০ : এক শ্রেণীর পাপ। এর অন্তর্গভ পক্ষী, জলজন্তু ও কীটপতঙ্গ প্রভৃতির হত্যা এবং মাদকপানীয় তুল্য দ্রব্যের ভক্ষণ।

মন্ত্র :১০.২২ : ঝল্লের (দ্রঃ) অপর নাম।

মহাপাতক ৯.২৩৫, ২৪৩ ইত্যাদি, ১১.৫৪ : এক শ্রেণীর গুরুতর পাপ কর্ম : এর অন্তর্গত ব্রাহ্মণহত্যা, সুরাপান (ব্রাহ্মণের পক্ষে), ব্রাহ্মণের স্বর্ণহরণ, গুরুপত্নীগমন এবং যে উক্তরূপ কোন পাপাচরণ করে, তার সংসর্গ।

মহাযজ্ঞ ৪.২২, ৬.৫ ইত্যাদি : পঞ্চযজ্ঞের (দ্রঃ) নামান্তর।

মহাব্যাহৃতি ১১ ২২ : ভূর্ভুবঃ স্বঃ— এই নামে অভিহিত হয়।

মাগধ ১০.১১, ১৭ ইত্যাদি : বৈশ্য পিতা ও ক্ষত্রিয় মাতার সন্তান।

মাধূক ১০.৩৩ : যে মধুর বাক্য বলে।

মাধ্বী ১১.৯৪ : মধুকবৃক্ষের পুষ্প থেকে তৈরি মদ।

মারুতত্ৰত ৯.৩০৬ : কর্তব্য সম্পাদনার্থে বায়ুর মতো সর্বত্র গমন: যেমন, গুপ্তচরের মাধ্যমে রাজার বিচরণ।

মার্গব ১০.৩৪ : কৈবর্তের (দ্রঃ) নামান্তর।

মাহিত্র ১১.২৪৯ : ঋগ্বেদীয় মন্ত্র ১০.১৮৫: ‘মহিত্ৰীণাম’ এই রূপে এর আরম্ভ।

মুহূর্ত ১.৬৪ : সময়ের একপ্রকার বিভাগ : এক দিনের ত্রিশভাগের এক ভাগ (=৪৮ মিনিট)।

মূলকর্ম ৯.২৯০, ১১.৬৩ : ঐন্দ্রজালিক কর্মের জন্য গাছের মূলের প্রয়োগ।

মৃত ৪.৫ : ভিক্ষালব্ধ খাদ্যবস্তু।

মেদ ১০.৩৬, ৪৮ : বৈদেহক (দ্রঃ) পিতা ও নিষাদ (দ্রঃ) মাতার সন্তান।

মৈত্র ১০.২৩ : কারুষের (দ্রঃ) অপর নাম।

মৈত্রাক্ষজ্যোতিক ১২.৭২ : একপ্রকার অশুভ ভূত।

মৌল ৮,৬২, ২৫৯ : পুরুষানুক্রমিক রাজকর্মচারী।

ম্লেচ্ছ ১০.৪৫ : অবতরণিকায় ‘মনুসংহিতায় ভৌগোলিক তথ্য প্রসঙ্গ দ্রঃ।

স্লেচ্ছদেশ ২.২৩: অবতরণিকায় ‘মনুসংহিতায় ভৌগোলিক তথ্য প্রসঙ্গ দ্রষ্টব্য।

যতিচান্দ্রায়ণ ১১.২১৮ : একপ্রকার প্রায়শ্চিত্ত। এতে পাপী এক মাস শুধু দুপুরে একবার আটগ্রাস খাদ্য ভক্ষণ করে এবং ইন্দ্রিয়সংযম অভ্যাস করে।।

যমব্রত ৯,৩০৭ : রাজার অন্যতম কর্তব্য। বিনা পক্ষপাতে যমের ন্যায় প্রজাদের শাস্তিবিধান।

যবমধ্য ১১.২১৭ : একপ্রকার চান্দ্রায়ণ (দ্রঃ)।

যৌতুক ৯.১৩১, ১২৪: একপ্রকার স্ত্রীধন। যৌতূক শব্দে বোঝাতে পারে (১) বিবাহকালে কন্যা কর্তৃক প্রাপ্ত উপহার, (২) স্ত্রীধন, (৩) কন্যা কর্তৃক পিত্রালয় থেকে প্রাপ্ত দ্রব্যাদি।

রঞ্জক ৪.২১৬: শূদ্র পুরুষ ও ক্ষত্রিয় নারীর গোপন মিলনজাত সন্তান।

রাক্ষস ৩. ২১ : একপ্রকার নিন্দিত বিবাহ। এতে বিবাহকামী ব্যক্তি কন্যাকে বলপূর্বক অপহরণ করে।

রাজসূয় ৮.১৩৩: রাজার অভিষেককালে অনুষ্ঠিত যজ্ঞ।

রিক্‌থ ৮.২৭, ৩০ : উত্তরাধিকার, কোন ব্যক্তি মৃত্যুকালে যে ধন বা সম্পত্তি রেখে যান।

রৈবত ১.৬২ : পঞ্চম মনুর নাম।

লিঙ্গস্থ ৮.৬৫ : ধর্মশিক্ষার্থী।

লেপভাগী ৩.২১৬: ঊর্ধ্বতন চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ পিতৃপুরুষ : শ্রাদ্ধে উর্ধ্বতন তিন পূর্বপুরুষকে পিণ্ডদানের পরে উল্লিখিত পুরুষদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধকারী লেপ বা হাত মুছে যা থাকে তাই দান করেন।

বজ্র ৭.১৯১: একপ্রকার ব্যুহ অথাৎ সৈন্যদলকে স্থাপন করার প্রণালী। এতে সেনা তিন ভাগে স্থাপিত হয়।

বরাহ ৭.১৮৭ সৈন্যদলকে স্থাপন করার অন্যতম প্রণালী। এতে সেনার অগ্র ও পশ্চাদ্ভাগ সূক্ষ্ম ও মধ্যভাগ স্থল হয়।

বাটধান ১০.২১: আবত্যের (দ্রঃ) নামান্তর।

বার্ক্ষ ৭.৭০: একপ্রকার দুর্গ। এর চতুর্দিকে এক হোজন পর্যন্ত থাকে বিশাল মহীরুহ, কন্টকময় গুল্ম, লতা প্রভৃতি।

বার্তা ৭.৪৩ : কৃষি, পশুপালন ও বাণিজ্যাদি।

বাধুর্ষি ৩.১৫৩, ১৮০ : সুদখোর।

বিগ্রহ ৭.৫৬, ১৬০ ইত্যাদি : যুদ্ধ, শত্রুতা। ষড়্‌গুণের অন্তর্গত রাজনীতি।

বিঘস ৩.২৮৫: ব্রাহ্মণ ও অতিথিগণের ভোজনের পরে যা থাকে।

বিনশন ২.২১ : যে স্থানে সরস্বতী নদী অদৃশ্য হয়েছে, তার নাম। অবতরণিকায় ভৌগোলিক তথ্য দ্রষ্টব্য।

বিশ্বজিৎ ১১.৭৪ : সেই যজ্ঞের নাম, যাতে সর্বস্ব দক্ষিণারূপে দান করতে হয়।

বিষ্টপ ৪.২৩১, ৯. ১৩৭ : স্থান, লোক, যেমন ‘ব্ৰধ্নস্য বিষ্টপ” অর্থাৎ সূর্যলোক।

বেণ ১০.১৯, ৪৯ : ব্রাহ্মণ পিতা ও বৈশ্য মাত্রার সস্তান।

বৈড়ালব্ৰতিক ৪.৩০, ১৯২, ১৯৫: বিড়ালতপস্বী, ভণ্ড।

বৈদেহক ১০.১১, ১৩ ইত্যাদি : বৈশ্য পিতা ও ব্রাহ্মণ মাতার পুত্র।

ব্যবহার ৮.১, ৭, ৪৫ ইত্যাদি : আইনগত বিচারপদ্ধতি।

ব্যাহৃতি ৬.৭০, ১১.২৪৮ : ভুঃ ভুবঃ স্বঃ, মহঃ, জনঃ, তপঃ ও সত্য—এই সপ্তলোকের উচ্চারণ।

ব্রাত্য ৮.৩৭৩, ১০.২০-২৩ ইত্যাদি : দ্বিজের সবর্ণা স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র যথাকালে অনুপনীত হলে তাকে বলে ব্রাত্য।

শকট ৭.১৮৭ : সৈন্যদলের অন্যতম স্থাপনপ্রণালী। এতে অগ্রভাগ হয় সংকীর্ণ ও পশ্চাদ্‌ভাগ প্রশস্ত। পশ্চাৎ দিক থেকে ভয়ের আশঙ্কা থাকলে এই ব্যুহ বিধেয়।

শিল ৩.১০০, ৪,১৩, ৭.৩৩, ১০.১১২ : শস্যের শীষ সংগ্রহ।

শিশুচান্দ্রায়ণ ১১,২১৯ : চান্দ্রায়ণ (দ্রঃ) প্রায়শ্চিত্তের প্রকারভেদ। এতে ব্রাহ্মণ এক মাস প্রাতে এবং সুর্যাস্তের পরে চার গ্রাস করে আহার করেন।

শুক্ত ৫.৯, ১০, ১১.১৫৩ : মিষ্ট দ্রব্য বাসী হয়ে টকে গেলে এই নামে অভিহিত হয়।

শুল্ক ৮.১৫৯, ২০৪ ইত্যাদি : (১) কর, মাশুল। (২) বরপক্ষ কর্তৃক কন্যাপক্ষকে প্রদত্ত অথাদি।

সুরা ১১.৯০, ৯২-৯৫: গৌড়ী, মাধ্বী ও পৈষ্টী এই তিন প্রকার মদ। গৌড়ী প্রভৃতির অর্থ পৃথক্‌ ভাবে লিখিত হয়েছে।

শৈখ ১০.২১: আবস্ত্যের (দ্রঃ) নামান্তর।

শৈলূষ ৪.২১৪ : অভিনেতা।

শৌদ্র ৯.১৬০ : দ্বিজের ঔরসে শূদ্রার গর্ভেজাত পুত্র।

শ্বপচ ১০.৫১:শ্বপাকের (দ্রঃ) নামান্তর।

শ্বপাক ১০.১৯ : উগ্র (দ্রঃ) পিতা ও ক্ষত্তৃ (দ্রঃ) মাতার পুত্র।

ষড্‌গুণ ৭.১৬০: ছয় প্রকার রাজনৈতিক ব্যাপার, যথা— সন্ধি, বিগ্রহ, যান, আসন, দ্বৈধীভাব ও সংশয়।

স্বাড্‌গুণ্য ৭.৫৮, ১৬৭: ষড্‌গুণ দ্রঃ।

সংগ্ৰহণ ৮,৩৫৬-৩৫৯: যৌনসম্ভোগ, ব্যভিচার।

সংঘাব ৫.৬ : একপ্রকার পিঠে।

সংশ্রয় ৭.১৬০-১৬২, ১৬৮ : ষাড্‌গুণ্যের (দ্রঃ) অন্তর্গত একপ্রকার নীতি। কোন রাজা কর্তৃক প্রবলতর রাজার আনুকূল্য লাভ।

সসৃষ্ট ৯.২১২, ২১৬ : সম্পত্তিবিভাগের পরে শরিকের সঙ্গে পুনর্মিলিত ব্যক্তি।

সকুল্য ৯.১৮৭: প্রপিতামহের ঊর্ধ্বতন তিন পুরুষ এবং প্রপৌত্রের পরে অধস্তন তিন পুরুষ।

সত্যানৃত ৪.৬ : ব্যবসাবাণিজ্য।

সদ ৮.২৪১ : কৃষিজাত দ্রব্য।

সনাভি ৫.৭২, ৮৪, ৯,১৯২ : জ্ঞাতি।

সঙ্গি ৭.৫৬, ৬৫ ইত্যাদি : দুয়প্রকার রাজনীতির (ষাড্‌গুণ্য) অন্যতম : শান্তিস্থাপনের জন্য উভয় পক্ষীয় বাজার ঐকমত্য।

সন্ধিনী ৫.৮: বৃষের সঙ্গে মিলনকামী গাভী।

সন্ধ্যা ১.৬৯ সত্যযুগের প্রারম্ভে চাবশত বৎসর।

সন্ধ্যাংশ ১.৬৯ : সত্যযুগের শেষভাগে চারশত বৎসর।

সপিণ্ড ৩.৫, ৫.৫৯, ৬০ ইত্যাদি।

(১) কোন ব্যক্তির পিতার থেকে ঊর্ধ্বতন ছয় পুরুষ, তার সপিণ্ড এবং নিজের থেকে অধস্তন ছয় পুরুষ তার সপিণ্ড।

(২) কোন ব্যক্তির মাতার থেকে ঊর্ধ্বতন চার পুরুষ তার সপিণ্ড এবং পিতার থেকে অধস্তন চার পুরুষ তার সপিণ্ড।

সময় ৮.২১৮ : চুক্তি।

সময়াধ্যুষিত ২.১৫ : সেই সময় যখন সূর্য উদিত হয়নি এবং তারাগুলি অদৃশ্য থাকে।

সমানোদক ৫.৬০, ৯.১৮৭: যে প্রয়াত পিতৃপুরুষগণের উদ্দেশ্যে (তর্পণে) জল মাত্র দেওয়া হয়, শ্রাদ্ধে পিণ্ড নয়। কারও কারও মতে, ঊর্ধ্বতন চতুর্দশ পুরুষের মধ্যে প্রথম সাতজন পিণ্ড ও জলের অধিকারী, পরের সাতজন জলমাত্রের অধিকারী।

সমাহৃয় ৯.২২১-২২৪ : জন্তু নিয়ে জুয়া খেলা।

সমুদয় ৭.৫৬: যার থেকে রাজস্ব আদায় হয় : যেমন ধানক্ষেত, সোনার খনি ইত্যাদি।

সহোঢ় ৯.১৬০, ১৭৩ : একপ্রকার পুত্র, যাকে বিবাহের পূর্বে অন্তঃসত্ত্বা নারী নিয়ে আসে।

সাত্বত ১০.২৩: কারুষের (দ্রঃ) নামান্তর।

সান্তপন ৫.২০, ১১.১২ ৪ ইত্যাদি : একপ্রকার প্রায়শ্চিত্ত। এটি পাঁচ প্রকার : যথা—দুই, সাত, বার, পনের এবং একুশ দিনে করণীয়।

সাম (সামন্‌) ৭.১০৭, ১০৯, ১৫৯, ১৯৮, ৮.১৮৭: একপ্রকার উপায় (দ্রঃ)।

সাবিত্রী ২.৮১, ১১.১৯১, ১৯৪, ২২৫ : ‘ঋগ্বেদের’ মন্ত্রবিশেষ (৩.৬২.১০): অপর নাম গায়ত্রী।

সাহস ৮.৬, ৭২: গুরুতর হিংসাত্মক অপরাধ, নারীধর্ষণ।

সুধন্বাচার্য ১০.২৩. কারুষের (দ্রঃ) নামান্তর।

সুরা ১১.৯০, ৯২-৯৫: ভাত, গুড় এবং মধুকবৃক্ষের পুষ্প থেকে তৈরি মদ।

সুবৰ্ণ ৮.১৩৪, ১৩৫: ইত্যাদি। সোনার একপ্রকার ওজন (=১ কর্ষা=১৬ মাষা=৮০ রক্তিকা)।

সুবাসিনী ৩.১১৪ : নববিবাহিতা নারী।

সূচী ৭.১৮৭, ১৯১: একপ্রকার সৈন্যসন্নিবেশ। এতে সেনার অগ্র ও পশ্চাদ্ভাগ হয় পিপীলিকাশ্রেণীর মতো সংহত।

সূত ১০.১১, ১৭ ইত্যাদি : ক্ষত্রিয় পিতা ও ব্রাহ্মণ মাতার সন্তান।

সূনা ১১.১৫৫ : পঞ্চসূনা দ্রষ্টব্য।

সূর্মি ১১.১০৩: ভিতরে ফাঁপা ধাতুস্তম্ভ। গুরুতর অপরাধী, বিশেষতঃ পরদারগামী উত্তপ্ত সুর্মি আলিঙ্গন করে মৃত্যুবরণ করত।

সৈরিন্ধ্র ১০.৩২ : দস্যু (দ্রঃ) পিতা ও আয়োগব (দ্রঃ) মাতার পুত্র। এরা কেশরচনাদি প্রসাধনপটু, কিন্তু দাসের মতো উচ্ছিষ্টভক্ষণাদি করে না, যদিও সংবাহনাদি দাসকর্ম করে : এরা পাশবন্ধনের সাহায্যে মৃগাদিবধ করেও জীবিকার্জন করে।

সোপাক ১০.৩৮ : চণ্ডালপিতা ও পুঙ্কস বা পুক্কস মাতার সন্তান।

সোমরৌদ্র ১১.২৫৪ : ‘ঋগ্বেদে’র একটি মন্ত্রের (৬.৭৪) নাম।

স্ত্রীধন ৯.১৯৪: স্ত্রীলোকের নিজস্ব ধনসম্পত্তি।

স্থান ৭.৫৬: যার উপরে রাজ্য প্রতিষ্ঠিত : অর্থাৎ বল বা সেনা, কোষ, রাজধানী এবং রাষ্ট্র।

স্নাতক ৪.১৩, ৩৪ ইত্যাদি। ব্রহ্মচর্যাশ্রমের সমাপ্তিসূচক আনুষ্ঠানিক স্নান যে করেছে।

স্বয়ংদও ৯.১৬০, ১৭৭ : একপ্রকার পুত্র। পিতৃমাতৃহীন বা তাদের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়ে যে অপরের পুত্রত্ব স্বীকার করে, সে এই সংজ্ঞায় অভিহিত হয়।

স্বর্জিং ১১.৭৪ : একপ্রকার যজ্ঞ।

হয়মেধ ১১.৮২ : অশ্বমেধ (দ্রঃ)।

হবিষ্পান্তীয় ১১.২৫১ : ‘ঋগ্বেদে’র যে মন্ত্রটি (১০.৮৮) ‘হবিষ্পান্তম্‌’ দিয়ে শুরু হয়েছে।

হব্য ৩.১২৮, ১৩৩ ইত্যাদি : যজ্ঞে প্রদত্ত দ্রব্য বা অন্ন।

হৈতুক ৪.৩০ : যে বেদবিবোধী তর্ক করে।

সংক্ষিপ্ত গ্রন্থপঞ্জী

মনুস্মৃতির মূল গ্রন্থ

(প্রধান সংস্করণগুলির পরিচয় লিখিত হল)

কয়েকটি টীকা সহ সং ভি. এন্ মণ্ডলিক ; সং জি. শাস্ত্রী নেনে (কুল্লুকের টীকা, ‘মণিপ্রভা’ হিন্দী টীকা, ভূমিকা, প্রক্ষিপ্ত শ্লোক ও শ্লোকসূচী সহ), বারাণসী, ১৯৮২ (৩য় সং) : সং জে. এল. শাস্ত্রী। (কুল্লুকের টীকা, ইংরেজী অবতরণিকা, মনুর নামাঙ্কিত যে সকল শ্লোক বর্তমান সংস্করণে নেই, তাদের তালিকা ও শ্লোকসূচী সহ), দিল্লী, ১৯৭৫; বসুমতী সংস্করণ, কলিকাতা (মেধাতিথি ও কুল্লুকের টীকা সহ)।

‘মনুস্মৃতি’র টীকার জন্য দ্রষ্টব্য জে. ইয়োলির ‘মনুটীকাসংগ্রহ’, কলিকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি, ১৮৮৫; জে. ডি. এম. ডেরেট (সং ও অনুবাদক), Bharuci’s Commentary on the Manusmrti. Wiesbaden, 1975.

‘মনুস্মৃতি’র ইংরেজী অনুবাদ করেছেন Bihler, Sacred Books of the East, Vol 25 : A.C. Burnell (cd.) Hopkins, London, 1834; G. Strechly.Paris, 1893.

মনুস্মৃতি-সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিষয়ের আলোচনার জন্য দ্রষ্টব্য :

N. N. Banerjee : Manu and Modern Times, New Delhi.

K. Motwani : Manu Dharmasastra, Madras, 1958.

B. Das : The Science of Social Organisation or Laws of Manu, Adyar, Madras, 1932-33.

M. D. Paradkar : Similes in Manu-smrti.

C. Tiwari : Sudras in Manü. 1963.

R. M. Das : Women in Manu and his seven commentaries.

: Manu on Crime and Punishment.

V. S. Agrawala : India as described by Manu, 1969.

N. V. Patwardhan : Manusmrti or the ideal democratic republic of Manu, 1968.

F. Laszlo : Die Parallel version der Manusmrti in Bhavisya-purana. Wiesbaden, 1971.

L. Sternbach : Manava-dharmasastra (i-iii) and Bhavisyapurana, Varanasi, 1974.

R. N. Sharma : Ancient India According to Manu.

E. W. Hopkins: Mutual relations of the four castes according to Manava-dharmasastra. New Delhi, 1985 (Reprint)

J. W. Laine on creation account. Annals of Bhandarkar Oriental Research Institute, LXIL, I951.

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *