০৭. হোটেলের যেসব কর্মচারী

হোটেলের যেসব কর্মচারীকে থানায় ধরে নিয়ে আসা হয়েছিল অমল সোম তাদের জেরা করলেন। গতকাল হরিপদবাবুর কাছে কারা এসেছিলেন, হরিপদবাবুর ঘর থেকে কোনও আওয়াজ শোনা গিয়েছিল কিনা, মৃতদেহ কীভাবে আবিষ্কৃত হল ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর যা পাওয়া গেল তাতে কোনও কাজ হল না। লোকগুলো এত ভয় পেয়েছে যে, কোনও কথাই বলতে চাইছে না। কিংবা ওদের কিছুই বলার নেই। হত্যাকাণ্ড সকলের অগোচরে ঘটে গেছে। অর্জুনেরও মনে হল এমনটা ঘটা অসম্ভব নয়। হত্যাকারী সবাইকে জানিয়ে নিশ্চয়ই হরিপদবাবুর ঘরে ঢুকবে না।।

থানার বড়বাবুর ঘরে ফিরে এসে অমলদা ঘড়ি দেখলেন। তারপর অর্জুনের দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি কি মিসেস দত্তকে কোনও কথা দিয়েছ?

মিসেস দত্ত! অর্জুন ঠাওর করতে পারল না। তার অবাক-হওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে অমল সোম বললেন, হৈমন্তীপুর চা-বাগানের এখন যিনি মালিক।

সঙ্গে-সঙ্গে মনে পড়ে গেল অর্জুনের। ভদ্রমহিলাকে আজ দুপুরের মধ্যেই জানানোর কথা হয়েছিল কেসটা নেওয়া হবে কি না। কিন্তু সকাল থেকে এমন সব ঘটনা ঘটতে লাগল যে, ওঁর কথা মাথায় ছিল না। অর্জুন অমল সোমের দিকে তাকাল। হৈমন্তীপুর চা বাগানের কেসটা অমলদা নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তাকে। তা হলে হঠাৎ এ-প্রসঙ্গ তুললেন কেন? সে বলল, আমরা তো ওঁর কেস নিচ্ছি না, তাই না?

অমলদা কথা শেষ করার ভঙ্গিতে বললেন, সেটাও তো ওঁকে জানিয়ে দেওয়া উচিত। তুমি একটা ফোন করে ওঁকে জানিয়ে দাও।

দুজন পুলিশ অফিসার চুপচাপ শুনছিলেন কথাবার্তা। শ্রীকান্ত বক্সি হাত বাড়িয়ে টেবিলের কোণে রাখা টেলিফোন দেখিয়ে দিলেন। শিলিগুড়ি থেকে হৈমন্তীপুর চা-বাগানে টেলিফোনে কথা বলতে হলে জলপাইগুড়ি এক্সচেঞ্জ হয়ে লাইন পেতে হবে। সেসব চেষ্টা করে যখন হৈমন্তীপুর চা বাগানের কাছে টেলিফোন এক্সচেঞ্জকে পাওয়া গেল তখন অর্জুন জানতে পারল মিসেস দত্তের বাংলো বা ফ্যাক্টরির টেলিফোন কোনও সাড়া দিচ্ছে না। সেখানকার অপারেটার জানালেন হৈমন্তীপুর চা-বাগানের টেলিফোন লাইন কাজ করছে না।

রিসিভার নামিয়ে রেখে অর্জুন অমল সোমকে ঘটনাটা জানাল।

অমল সোম গম্ভীর হয়ে গেলেন। তারপর শ্রীকান্ত বক্সির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার এলাকা যদিও নয় তবু আপনি কি হৈমন্তীপুর টি এস্টেটের ব্যাপারটা জানেন?

শ্রীকান্ত মাথা নাড়লেন, মিক বিক্ষোভে বন্ধ ছিল। শেষপর্যন্ত বাগানটা খোলা হয়েছে বলে শুনেছি। কাল জানলাম দু-একটা খুন হয়েছে সেখানে।

পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না?

শ্রীকান্ত বক্সি হাসলেন, পুলিশ তো ম্যাজিসিয়ান নয়। নিশ্চয়ই খুব সাধারণ ব্যাপার নয়। কোনও কোনও সমস্যার তো চট করে সমাধান হয় না।

অমল সোম এবার অর্জুনকে বললেন, ব্যাপারটা আমার খুব ভাল লাগছে না। তুমি এখনই হৈমন্তীপুরে চলে যাও। ভদ্রমহিলা যেসব আশঙ্কা করছিলেন তাই ঘটতে শুরু হয়েছে। টেলিফোন লাইন কেটে দিয়ে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টাও করা হতে পারে। তোমার কাছে টাকা-পয়সা আছে?

আজ অর্জুনের পকেটে টাকা ছিল না। সেরকম প্রস্তুতি নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়নি। অমল সোম তাকে পঞ্চাশটি টাকা দিলেন, এদের কাছে তো কিছুই জানা গেল না তাই শিলিগুড়ি থেকে ফিরতে আমার সন্ধে হয়ে যাবে। ভদ্রমহিলাকে খবরটা দিয়েই তুমি জলপাইগুড়িতে ফিরে যেয়ো। অমল সোম পুলিশ অফিসারদের দিকে ঘুরে তাকালেন, আমরা কি এবার একটু চা খেতে পারি?

অর্জুন থানা থেকে বেরিয়ে এল। হরিপদ সেনের হত্যারহস্য খুব সহজে সমাধান হবে বলে মনে হচ্ছে না। অমলদার মুখ দেখে মনে হল তিনি এখন পর্যন্ত অন্ধকারেই আছেন। আর যেহেতু হরিপদবাবু আগাম টাকা দিয়ে গিয়েছেন তাই এই রহস্য সমাধান না করা পর্যন্ত অমলদা গম্ভীর থাকবেন। কিন্তু অর্জুন ভেবে পাচ্ছিল না এইভাবে তাড়াহুড়ো করে অমলদা তাকে কেন হৈমন্তীপুরে পাঠাচ্ছেন? ভদ্রমহিলাকে সে বলেছিল আজকে জানাবে। সেটা আগামিকাল হলে এমন কিছু ক্ষতি হত না। হৈমন্তীপুরে না গিয়ে অমলদার সঙ্গে শিলিগুড়িতে থেকে হরিপদবাবুর আসামিকে খুঁজে বের করার চেষ্টাতেই অনেক বেশি আনন্দ ছিল! কালাপাহাড়ের উত্তরাধিকারী নবীন কালাপাহাড়ের মোকাবিলা তো এখানেই হবে। অর্জুন ঘড়ি দেখল। এখন সেবক-মালবাজার। হয়ে হাসিমারা দিয়ে হৈমন্তীপুরে পৌঁছে আর ফেরার বাস পাওয়া যাবে না। সন্ধের মুখেই ওদিকে বাস-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অর্জুন ঠিক করল মিনিবাসে জলপাইগুড়ি ফিরে গিয়ে তার নিজের মোটর বাইক নিয়ে হৈমন্তীপুরে যাবে। একটু এগিয়ে সে দেখল থানার কাছে মিনিবাস স্ট্যান্ডে কোনও বাস নেই। দেরি করা চলবে না বলে সে রিকশা নিয়ে চলে এল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি হাইওয়েতে। এবং তখনই একটা ধাবমান ট্যাক্সি থেকে কেউ বিকট গলায় অর্জুন বলে চিৎকার করে উঠল।

অবাক হয়ে অর্জুন দেখল একটা ওয়াই মাকা অ্যাম্বাসাডার কোনও মতে ব্রেক কষতে কষতে খানিকটা দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। নিশ্চয়ই কোনও চেনালোক, যিনি জলপাইগুড়িতে যাচ্ছেন। গাড়িটা এবার ব্যাক করছে। কাছাকাছি পৌঁছেই দরজা খুলে যিনি লাফিয়ে নেমে তাকে জড়িয়ে ধরলেন তাঁর কথা কল্পনাতেও আসেনি। দু হাতের চাপে ততক্ষণে হাঁসফাঁস অবস্থা অর্জুনের। মেজর কিন্তু নিঃশব্দ নন। গাড়ি থেকে নামমাত্র সমানে চিৎকার করে যাচ্ছেন, এই যে মিস্টার থার্ড পাণ্ডব, কী সারপ্রাইজ, আঃ, কতদিন পরে দেখলাম আমাদের গ্রেট ডিটেকটিভকে, লম্বা হয়েছে, উঁহু, একটুও মোটা হওনি, দ্যাটস ফাইন, অমলবাবুর খবর কী?

কোনওমতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে লম্বা-চওড়া দাড়িওয়ালা মানুষটির মুখে সরল হাসি দেখল অর্জুন। তারপর জিজ্ঞেস করল, আপনি কেমন আছেন?

খুব ভাল। যাকে বলে ফার্স্ট ক্লাস। একটু বুড়ো হয়েছি, এই যা। বলে আকাশ-ফাটানো হাসলেন। অর্জুনের মনে হল এই মানুষটি একইরকম রয়েছেন। সেবার কালিম্পং থেকে শুরু করে আমেরিকা-ইউরোপে সে মেজরের সঙ্গে দিনের পর দিন থেকেছে। মেজরকে দেখলেই মনে হত হার্জের আঁকা ক্যাপ্টেন হ্যাডক রক্তমাংসের শরীর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এবার দাড়িতে সাদা ছোপ লেগেছে একটু বেশি পরিমাণে, এই যা।

ট্যাক্সিতে বসে অর্জুন বলল, বিষ্ণু সাহেবের কাছে খবর পেয়েছিলাম আপনি এদেশে এসেই কালিম্পঙে চলে গিয়েছেন। কাজ হয়েছে?

কাজ? কাজের জন্য তো আমি যাইনি। ওখানকার একজন লামা আমাকে চিঠিপত্র লিখতেন। তাঁর পেটে একটা অসুখ হয়েছে। এখানকার ওষুধে কাজ দিচ্ছে না তাই আমায় ওদেশি ওষুধ এনে দিতে লিখেছিলেন। সেটাই দিয়ে এলাম। মাথা নাড়লেন মেজর, এখন কদিন রেস্ট নেব, যাকে বলে অখ, অখ-।

অখণ্ড বিশ্রাম। অর্জুন সাহায্য করল।

টিক। মাঝে-মাঝে একটা বাংলা শব্দ ভীষণ বিট্রে করে। তোমাদের হাতে কোনও কাজ নেই তো? গুড। কী? মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললে না কি। চোখ বড় করলেন মেজর।

অর্জুন হাসল, আমরা এখন তিনটে কেসে জড়িয়ে পড়েছি।

তিন-তিনটে? কোনও গোয়েন্দা একসঙ্গে তিনটে কেস করে না। আমি তো অন্তত পড়িনি। ইভন শার্লক হোমস! তিনটে ডিফারেন্ট কেস!

না। দুটো গায়ে-গায়ে। একটা আলাদা।

ইন্টারেস্টিং। বলে ফ্যালো ব্যাপারটা। কথাটা বলেই মেজর সোজা হয়ে সামনের সিটের দিকে তাকালেন। সেখানে ড্রাইভার আপনমনে গাড়ি চালাচ্ছে। লোকটি নেপালি। সম্ভবত মেজর কালিম্পং থেকেই তাকে ভাড়া করেছেন। মেজর তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপ ইংলিশ জানতা হ্যায়?

ইয়েস স্যার। লোকটি মুখ না ফিরিয়ে জবাব দিল।

হিন্দি তো জানতা হ্যায়। বেঙ্গলি?বাংলা?

অল্প-অল্প।

ডেঞ্জারাস। তা হলে তো থার্ড পার্সনের সামনে আলোচনা করা যাবে না অর্জুনবাবু। কী করা যায়? মেজরকে খুব চিন্তিত দেখল।

অর্জুন এতক্ষণ ড্রাইভারের অস্তিত্ব খেয়াল করেনি। কিন্তু তার মনে হল মেজর একটু বেশি চিন্তা করছেন। কালিম্পঙের একজন নেপালি ড্রাইভারের কোনও স্বার্থ থাকতে পারে না কালাপাহাড়ের বাসে। কিন্তু মেজর যেভাবে গম্ভীর মুখে এখন বসে আছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে তিনি সত্যিই তৃতীয় ব্যক্তির সামনে মুখ খুলতে চান না। কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যাপারটা খুব মজাদার হয়ে দাঁড়াল। গাড়ি চলছে জলপাইগুড়ির দিকে কিন্তু কেউ কোনও কথা বলছে না। মেজর গম্ভীর হয়ে রাস্তা দেখতে-দেখতে ঘুমিয়ে পড়লেন। এবার তাঁর নাকডাকা শুরু হয়ে গেল। সেইসঙ্গে ড্রাইভারও মুখ ফিরিয়ে পেছনে তাকাল। কথা বন্ধ করা মাত্র কোনও মানুষ এমন চট করে গভীর ঘুমে ঢুকে যেতে পারে তা মেজরকে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। অমল সোমের বাড়ির সামনে পৌঁছে ট্যাক্সি ছেড়ে দেওয়া হল। সুটকেস নামিয়ে মেজর হাত-পা আকাশে ছোঁড়ার চেষ্টা করলেন, একটু সময় নিয়ে স্নান করা যাবে, কী বল?

আপনি স্নান করুন। বিষ্ণুসাহেব নিশ্চয়ই এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। হাবুদা আছে। আমাকে এখনই বাইক নিয়ে ছুটতে হবে হৈমন্তীপুরে।

সেটা কোথায়?

এখান থেকে প্রায় একশো কিলোমিটারের বেশি দূরে একটা চাবাগান।

বাট হোয়াই? যাচ্ছ কেন?

ওই যে তখন বললাম, তিন-তিনটে কেসের কথা। এটি তার একটা।

মেজর গেট খুলে সুটকেস নিয়ে ভেতরে ঢুকতেই হাবুকে দেখা গেল। হাবু বাগানে দাঁড়িয়ে মেজরকে দেখছিল সম্ভবত। তার মুখের ভঙ্গি সুখকর নয়। মেজরকে হাবু অপছন্দ করছে। মেজর জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম হাবু? গুড। সুটকেসটা ভেতরে রাখো। বিষ্টসাহেব কী করছেন? অমলবাবু কোথায়?

পাশে দাঁড়িয়ে অর্জুন বলল, আপনি বোধহয় ভুলে গিয়েছেন হাবুদা কানে শোনে না এবং কথাও বলতে পারে না। অমলদা এখন শিলিগুড়িতে।

শিলিগুড়িতে কেন?

ওই কেসের ব্যাপারেই ওখানে গিয়েছেন।

আশ্চর্য! তখন থেকে কেস-কেস করছ অথচ ঘটনাটা বলছ না!

কী করে বলব? আপনি তো ঘুমোচ্ছিলেন।

ঘুমোচ্ছিলাম? আমি? ইম্পসিল। চোখ বন্ধ করে ভাবছিলাম। ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, ড্রাইভারটা ছিল, তাই আমরা আলোচনা করিনি। কিন্তু এই হাবুচন্দ্রের সঙ্গে তোমরা কমুনিকেট কর কী করে?

আপনি সব ভুলে গেছেন। হাবুদা ঠিক বুঝে নেয়। তা হলে আপনি বিশ্রাম করুন। হাবুদা, ইনি বিসাহেবের সঙ্গে থাকবেন। স্নান-খাওয়ার ব্যবস্থা করো। কথা বলার সঙ্গে আঙুলের ইঙ্গিতে বক্তব্য বুঝিয়ে অর্জুন তার নিজের বাইকটার দিকে এগিয়ে গেল। মেজর কয়েক পা হেঁটে হাবুর হাতে সুটকেস ধরিয়ে দিয়ে অর্জুনের সঙ্গে গেট পর্যন্ত এলেন। অর্জুন ইঞ্জিনে স্টার্ট দেওয়ামাত্র বললেন, তোমার হাত পাকা তো? আমার আবার বাইকে উঠতে খুব নার্ভাস-নার্ভাস লাগে!

আপনি উঠবেন মানে? অর্জুন অবাক।

অদ্ভুত প্রশ্ন তো! মেজর খিঁচিয়ে উঠলেন, উনি যাবেন একশো কিলোমিটার দূরে কেস করতে, আর আমি এখানে বসে সজনের ডাঁটা খাব?

তাছাড়া তিন-তিনটে কেসের গল্প এখনও শোনা হয়নি।

মেজর বাইক নাচিয়ে পেছনের সিটে বসে বললেন, পেছনের চাকার হাওয়া ঠিক আছে তো?

অর্জুন কাতর চোখে তার বাইকের চাকা দেখল। এই লাল বাইকের ওপর তার খুব মায়া। কাউকে হাত দিতে দেয় না। মেজরের ভারী শরীর বইলে বাইকটার ক্ষতি হবে কিনা বুঝতে পারছিল না সে। তবু শেষ চেষ্টা করল, আপনি স্নান করে বিশ্রাম নেবেন বলেছিলেন!

বিশ্রাম আমার কপালে নেই ভাই। চল।

অগত্যা চাকা গড়াল। পেছনের ভার খানিকক্ষণ বাদেই সয়ে গেল অর্জুনের। মেজর এবার তাকে প্রায় আঁকড়ে ধরেছেন। অর্জুন তাঁকে সহজ হয়ে বসতে বলায় তিনি রেগে গেলেন, নিজে মাথায় হেলমেট পরেছ, আমার মাথা খালি, ছিটকে পড়লে কী হবে ভেবে দেখেছ? হ্যাঁ, এবার বল, হৈমন্তীপুর নাকি ছাই, সেখানে কী হচ্ছে?

বাইকে স্পিড বাড়িয়ে তিস্তা ব্রিজের দিকে যেতে যেতে অর্জুন হাওয়ার ওপর গলা তুলে বলল, খুন হচ্ছে।