১২. অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক

১২. অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক

ডাক্তারের নিষেধে ১৯৩৫-৩৬-এ ডন অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেল না। সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য দলের অধিনায়কত্ব সেগ্রহণ করল (শেফিল্ড শিল্ডে তার প্রথম অধিনায়কত্ব) এবং আবার সগৌরবে ফিরে আসার কাজে মন দিল।

প্রথমে তার প্রাক্তন রাজ্য দল নিউ সাউথ ওয়েলসের বিরুদ্ধে করল ১১৭। অসুস্থতার পর প্রথম খেলা। প্রচন্ড লড়াই করতে হল তাকে নিজের শরীরের সঙ্গে। পেশিগুলো কিছুতেই সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে চাইছিল না। তার ওপর বেশিরভাগই এক রান নিতে হচ্ছিল। কিন্তু পরের খেলায় কুইন্সল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে তার শরীর আবার হারানো ছন্দ ও সামঞ্জস্য ফিরে পায়, সহজেই সে২৩৩ রান করে।

ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে খেলায় ডন ৩৫৭ রান করল— মেলবোর্ন মাঠে ডনের সর্বোচ্চ রান। শুরু করেছিল ধীরে, দেড়শো মিনিটে প্রথম শতরান; ১১৫ মিনিটে দ্বিতীয় ও ১২১ মিনিটে তৃতীয় শতরান; বাকি ৫৭ রান ৩০ মিনিটে।

ডন যে আবার নিজের খেলা ফিরে পেয়েছে তাতে কারুর আর সন্দেহ রইল না। পরের খেলা নিউ সাউথ ওয়েলসের বিরুদ্ধে সেশূন্য করল।

ডনের অধিনায়কত্বে সাউথ অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থেকে শেফিল্ড শিল্ড জিতল। নয় বছর পরে প্রথম জয়। ভিক রিচার্ডসন, ক্ল্যারি গ্রিমেট প্রমুখ ছয় জন প্রবীণ ও দক্ষ ক্রিকেটার দলে নেই, তবু ডন দমেনি। নতুন ছেলেদের নিয়ে শিল্ড জিতল দলের মধ্যে প্রেরণাসঞ্চার করে।

মরসুমের শেষ খেলায় টাসমানিয়ার বিরুদ্ধে ডন করল ৩৬৯। অ্যাডিলেড মাঠের সর্বোচ্চ রান, সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যেকোনো ব্যাটসম্যানেরও সর্বোচ্চ রান। এই মাঠেই ৩৫ বছর আগে ক্লেম হিলের অপরাজিত ৩৬৫ রানের রেকর্ড ডন ভেঙে দিল। হিল টেলিগ্রাম পাঠালেন : ‘খুদে শয়তান, আমার রেকর্ডটি ভাঙার জন্য অভিনন্দন’। ডনের এই রাজ্য রেকর্ডটি ভাঙার চেষ্টা করেছিল ব্যারি রিচার্ডস ১৯৭০-৭১ মরসুমে পার্থে, করেছিল ৩৫৬। ডন তার ৩৬৯ রান তুলেছিল এইভাবে—

তৃতীয় উইকেটে ডন ও হ্যামেন্স (১২১) যোগ করে ২৫৬ রান। চারটি ৬ ও ছেচল্লিশটি ৪ ছিল ডনের ইনিংসে। নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার মরসুমে ডন দুটি ত্রিশত-সহ ১,১৭৩ রান করে ১৩০.৩৩ গড় রেখে।

ইংল্যাণ্ড ১৯৩৬-৩৭ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ায় দল পাঠাবার তোড়জোড় করছে। ব্র্যাডম্যান যে আবার তার নিজের খেলা ফিরে পেয়ে গেছে এটা ওরা জেনেছে। তাদের বোলাররা তছনছ হবে এবং বিরাট রানের স্কোরের পিছনে তাদের ব্যাটসম্যানদের ধাওয়া করার কাজ বরাদ্দ হবে—এ সম্পর্কে ইংল্যাণ্ড নিশ্চিত। তাহলেও ইংল্যাণ্ড অখুশি হয়নি। ডনকে বাদ দিয়ে তখন ক্রিকেটের আর থাকে কী?

১৯৩৬-৩৭ ডনের পক্ষে গর্বের মরসুম। উডফুল অবসর নিয়েছে, রিচার্ডসন দলভুক্ত হয়নি—ডনকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক করা হল। একজন টেস্ট নির্বাচকের মৃত্যু হওয়ায় সেনির্বাচক পদেও অধিষ্ঠিত হল। এরপর ভূমিষ্ঠ হল ডনের প্রথম সন্তান।

অধিকাংশ খেলোয়াড়ের মতো ডনও চেয়েছিল ছেলে হোক। ছেলেটিকে সেক্রিকেট শেখাবে, মস্ত খেলোয়াড় হবে তারই মতো। ‘গাবি’ অ্যালেনের এমসিসি দল সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার জন্য অ্যাডিলেডে পৌঁছোবার আগের রাত্রে জেসি উপহার দিল ডনকে প্রথম সন্তান—একটি ছেলে। হইচই পড়ে গেল চারিদিকে। অভিনন্দনের বন্যা বয়ে গেল।

কিন্তু ডাক্তার আড়ালে ডেকে নিয়ে গেলেন ডনকে। ‘মিস্টার ব্র্যাডম্যান আপনার স্ত্রী ভালো আছেন, কিন্তু ছেলেটি বঁাচবে কি না বলতে পারছি না।’

সেই রাত্রে এমসিসি সদস্যদের নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, ডনও উপস্থিত। আগামীকাল সেসাউথ অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করবে আগন্তুকদের বিরুদ্ধে। এ সভায় তাকে তো হাজির হতেই হবে। পিতা হওয়ার জন্য সেখানেও তাকে অভিনন্দিত করা হল। ডন হাসিমুখে তা শুনল। কিন্তু মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা, উদবেগ। কোনোদিন কখনো সেতার ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ, হাসিকান্নার ব্যাপারগুলি সাধারণ্যে প্রকাশ করেনি। আজও করল না। সেই সভায় কেউ জানলও না তখন কষ্টে ডনের বুক ফেটে যাচ্ছে।

পরদিন সকালে ডনের সদ্যোজাত ছেলেটি মারা গেল। অ্যাডিলেড মাঠের পতাকা অর্ধনমিত হল খেলা শুরুর সময়। খেলার মতো অবস্থা ডনের ছিল না, তাই খেলেনি।

হ্যামণ্ড দারুণভাবে সফরে খেলেছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি, সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও দুটি—পর পর চার ইনিংস শতরান। কিন্তু বাকি ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা স্পিন বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারছে না। তাহলেও ব্রিসবেনে প্রথম টেস্ট ম্যাচ ইংল্যাণ্ড চার দিনেই জিতল ৩২২ রানে। ডন ২৪টি টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ১৪টিতে টসে হারে। তার প্রথমটি ঘটে প্রথম অধিনায়কত্বেই। এই ম্যাচে প্রথম দিনের প্রথম বলেই ইংল্যাণ্ডের ওয়ার্দিংটন ক্যাচ আউট হয় ওল্ডফিল্ডের হাতে— বোলার ম্যাককরমিক। ডনের রান ৩৮ ও ০। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া আউট হয় ৫৮ রানে।

ফিঙ্গলটন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পর পর তিনটি টেস্ট ইনিংসে শতরান করে এসে ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসে ১০০ রান তুলে নতুন টেস্ট রেকর্ড করে। এখন রেকর্ড এভার্টন উইকসের—পর পর পাঁচটি টেস্ট ইনিংসে শতরান। চতুর্থ ও পঞ্চমটি হয় কলকাতায় ১৯৪৮-৪৯ এ।

সিডনিতে দ্বিতীয় টেস্টে ডন আবার টসে হারল এবং অস্ট্রেলিয়াও—ইনিংস ও ২২ রানে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে রান ৮০। দুই ইনিংসে ডনের ০ রান ও ৮২। বৃষ্টি এই দুটি পরাজয়ের কারণ। আধশুকনো চটচটে পিচে ডনের ব্যাটিং দুর্বলতা সর্বজনবিদিত। তার ওপর নবীন অধিনায়কের ঘাড়ে জাতীয় দল পরিচালনায় দায়িত্ব, মনের মধ্যে সন্তানবিয়োগের দুঃখের বোঝা।

ডনের দল পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা শুরু হল। দলের সদস্যদের সঙ্গে তার মতবিরোধ ও ঝগড়ার কথা রটল। শোনা গেল কেউ কেউ অসহযোগিতা করছে। ডন অস্বীকার করল সব কিছু। সর্বসম্মতিক্রমে ডন অধিনায়ক পদ পায়নি। উডফুলের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রথম উইকেটের জুড়ি পন্সফোর্ডও অবসর নেয়। নয়তো পন্সফোর্ডই অধিনায়ক হত। বাকি থাকে দুই দাবিদার— ভিক রিচার্ডসন (ইয়ান ও গ্রেগ চ্যাপেলের দাদামশাই) এবং ডন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রিচার্ডসনের অস্ট্রেলীয় দল দুর্দান্তভাবে ৪-০ ম্যাচে সিরিজ জিতে এসেছে। কিন্তু তা হলেও নির্বাচকরা তাঁকে দল থেকেই বাদ দেয় যেহেতু সেদলভুক্ত হবার মতো ভালো খেলছেন না। ডন সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা— ব্যাট হাতে ডনের ক্ষমতার তুলনা হয় না, কিন্তু ভালো অধিনায়ক হবার মতো যথেষ্ট সামাজিক সেনয়। কিন্তু কিছু-একটা করব বললে ডন যে তাতে সফল হবেই, এটা আর কেউ ধর্তব্যের মধ্যে আনল না।

আর তিনটি টেস্ট ম্যাচ বাকি। ডন কোণঠাসা। অস্ট্রেলিয়া ০-২ পিছিয়ে।

ডন ব্র্যাডম্যান রুখে দাঁড়াল।

অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ জিতল ৩৬৫ রানে। ডন দিয়েছিল ২৭০ রানের একটি ইনিংস।

সবাই জানে ডন বিরাট ব্যাটসম্যান। তারা এবার জানল, ডন কূটবুদ্ধিসম্পন্ন অধিনায়কও। ডন টসে জেতে। অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ১৮১ রান করল। নামল বৃষ্টি। দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের পর ৯ উইকেটে ২০০ রান উঠতেই ডন প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেয় (তার রান ১৩)। উইকেটের অবস্থা খুবই খারাপ। এই উইকেটে ইংল্যাণ্ডকে উড়িয়ে দেওয়া যায় কিন্তু তাতেই আবার অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে। ব্যাপারটা মোটেই সুবিধাজনক হবে না। ডন তার বোলারদের বলল, ‘উইকেট চাই না। ওরা ব্যাট করে যাক। শুধু রান ওঠা বন্ধ রাখো। এখুনি এই উইকেটে আমরা ব্যাট করতে চাই না।’

একটু দেরিতেই অ্যালেন ডনের মতলবটা বুঝে ফেলে। ৯ উইকেটে ৭৬ রানেই সেইংল্যাণ্ডের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। আর আধ ঘণ্টা আগে ঘোষণা করলে অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট বিপদে পড়ত। অ্যালেন অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে নামাল দিনের শেষাশেষি।

উইকেটের অবস্থা তখনও বেশ খারাপ, আকাশে মেঘ, আলোও কম। ডন বরাত ঠুকে একটা কান্ড করল। নিয়মিত দুই ওপেনারকে না পাঠিয়ে দুই বোলার ওরিলি এবং ফ্লিটউড স্মিথকে পাঠাল ব্যাট করতে।

ডন খোলাখুলিই ফ্লিটউড স্মিথকে বলল, ‘এই উইকেটে তুমি একটি মাত্র উপায়েই নিজেকে আউট করতে পারো, যদি বল মারতে যাও। কিন্তু ভালো উইকেটেই তুমি বল মারতে পার না, কাজেই এই উইকেটে তোমার ঘাবড়াবার কিছু নেই, বল মারবার সুযোগই পাবে না।’

ওরিলি প্রথম বলেই আউট। নামল আর এক স্পিনার ওয়ার্ড। বাকি সময়টা সেউইকেট কামড়ে পড়ে রইল। ফ্লিটউড স্মিথ অপরাজিত রইল শূন্য রানে এবং দু-দিন পর সোমবারে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে সেপ্রথম বলে ব্যাট ঠেকিয়েই আউট হয়ে যায়। উইকেট ইতিমধ্যে স্বাভাবিক হয়ে ব্যাটসম্যানের সহায়ক। ডন আউট হয় পঞ্চম দিন সকালে ২৭০ রান করে। তখন সেসামান্য ‘ফ্লু’-য়ে ভুগছে। এই রানের জন্য তার সময় লাগে ৪৫৮ মিনিট। ষষ্ঠ উইকেটে সেআর ফিঙ্গলটন (১৩৬) তোলে ৩৪৬ রান। এটা আজও বিশ্ব টেস্ট রেকর্ড।

জেতার জন্য ইংল্যাণ্ডের দরকার ৬৮৯ রান। লেল্যাণ্ড ১১১ করলেও ইংল্যাণ্ড হেরে যায় ৩৬৫ রানে। প্রথম দুটি টেস্টে পরাজয়ের পর ডন আরও ১৭ বার অধিনায়ক হয়ে আর মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল, ১৯৩৮ ওভাল টেস্টে। তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড কিছু ‘রটনা’ বিষয়ে ভর্ৎসনা করেছিল চারজনকে ডাকিয়ে এনে। এরা হল— ম্যাককেব, ওরিলি, ফ্লিটউড স্মিথ এবং ও’ব্রায়েন।

চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ অ্যাডিলেডে। যদি অস্ট্রেলিয়া এটি হারে তা হলে ‘রাবার’ হারবে। ডন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করল ৪৩৭ মিনিট ধরে তার ২১২ রানের জন্য। সেজানে, বড়ো রান তাকে করতেই হবে, নয়তো জেতার আশা নেই। তাই সাবধানে, সময় নিয়ে, খুঁটে খুঁটে রান তুলল। ২১২ রানে চার মাত্র ১৪টি। অসাধারণ সংযত এই ইনিংসে সেএক বারও তার বিখ্যাত হুক স্ট্রোক ব্যবহার করেনি। ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে এটি তার সপ্তম দ্বিশত রান।

ইংল্যাণ্ড ৩৮২ রান তুলে টেস্ট ম্যাচটি জেতার জন্য খেলা শুরু করে ১৪৮ রান তুলল তিন উইকেটে। খেলা তখন ষষ্ঠ দিনে, হ্যামণ্ড দারুণভাবে ব্যাট করে যাচ্ছে। সাত উইকেটে ২৩৪ রান তোলা কিছু অসম্ভব নয় ইংল্যাণ্ডের পক্ষে। ডনের কপালে উদবেগের রেখা ফুটে উঠল। পরাজয় বোধ হয় আর এড়ানো গেল না। হ্যামণ্ড, একমাত্র হ্যামণ্ডই হচ্ছে সবথেকে বড়ো সমস্যা।

ফ্লিটউড স্মিথের হাতে বলটি তুলে দিয়ে ডন তাকে বলল, এই ম্যাচের ভাগ্য তোমার হাতে তুলে দিলাম। তাই শুনে কী যে হয়ে গেল এই ল্যাটা গুগলি বোলারটির! তার ফ্লাইট করা বল, হ্যামণ্ড ফরোয়ার্ড খেলতে পা বাড়াল। বলটি অফ স্টাম্পের বাইরের দিকে ভেসে গিয়ে মাটিতে পড়েই স্পিন করে ঢুকে এল প্যাড ও ব্যাটের ফাঁক দিয়ে। হ্যামণ্ড বোল্ড। শুধু ম্যাচটিরই নয়, সিরিজের ভাগ্যও নির্ধারিত হয়ে গেল ওই একটি বলে। ইংল্যাণ্ড ১৪৮ রানে হেরে গেল। এখন সিরিজের ফল ২-২।

পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ মেলবোর্নে। ডন টসে জিতল এবং প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার হল তিন উইকেটে ৩৪২ রান। তৃতীয় উইকেট জুড়িতে ডন ও ম্যাককেব তুলল ২৪৯ রান। পরদিন ডন ১৬৯ রানে বোল্ড ফার্নেসের বলে মোট ২১০ মিনিট ব্যাট করে। এক বারের জন্যও সেজমি থেকে তুলে বল মারেনি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে উঠল ৬০৪ রান। ইংল্যাণ্ড ২৩৯ রান করে ফলো অনে বাধ্য হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইনিংস ও ২০০ রানে হেরে যায়। ০-২ পিছিয়ে থেকে অস্ট্রেলিয়া ৩-২ ম্যাচে সিরিজ জেতে এবং অ্যাসেজও।

ডন দুটি শূন্য করলেও মরসুমে একশোর উপর ইনিংস ছয়টি, তার মধ্যে তিনটি দ্বিশতের। সিরিজে ৯ ইনিংসে ৮১০ রান, ৯০ গড় এবং শতাধিক রানের ইনিংস তিনটি। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়করূপে প্রথম সিরিজে ডন সফল হয়েছে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *