৪১. ইলিয়াস (আ)

ইলিয়াস (আ)

মূসা ও হারূন (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনার পর আল্লাহ তা’আলা সূরা আসসাফফাতে ইরশাদ

করেন : ύ

ইলিয়াসও ছিল রাসূলদের একজন। স্মরণ কর, সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘তোমরা কি সাবধান হবে না? তোমরা কি বা ‘আলকে ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে। সেই শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা আল্লাহকে, যিনি প্রতিপালক তোমাদের- প্রতিপালক তোমাদের পূর্ব পুরুষদের। কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল, কাজেই তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির জন্য উপস্থিত করা হবে। তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র। আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইলিয়াসের (ইলিয়াস ও তার অনুসারীদের) ওপর শান্তি বৰ্ষিত হোক। এভাবে আমি সৎকর্ম পরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। সে ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্যতম। (সূরা সাফফাত ১২৩-১৩২)

ংশ পরিচয় বিশারদগণ বলেন, তিনি ছিলেন ইলিয়াস তাশাবী। আবার বলা হয়েছে, তিনি

ছিলেন ইব্‌ন ইয়াসীন ইব্‌ন ফিনহাস ইব্‌ন আল ঈযার ইব্‌ন হারূন (আ)। আবার কেউ কেউ

(আ)। আবার কথিত আছে, তাকে দামেশকের পশ্চিমস্থ বা’লাবাক ১-এর অধিবাসীদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল।

তিনি তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার প্রতি আহ্বান করলেন এবং তাদের দেব মূর্তি বা’ল-এর ইবাদত করতে তাদেরকে বারণ করলেন। আবার কেউ কেউ বলেন, বা’ল ছিল একটি মহিলার নাম। তবে প্রথমোক্ত অভিমতটিই শুদ্ধ। এজন্যই ইলিয়াস (আ) তাদেরকে বলেছিলেন :

১. এটি লেবাননের সুপরিচিত এলাকা।

অর্থাৎ— ‘তোমরা কি সাবধান হবে না? তোমরা কি বালকে ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে শ্রেষ্ঠ স্ৰষ্টা আল্লাহ্ তা’আলাকে, যিনি তোমাদের প্রতিপালক ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতিপালক?’ –

তারপর তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল, তার বিরোধিতা করেছিল এবং তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। কথিত আছে যে, তিনি তাদের থেকে পলায়ন করে আত্মগোপন করেছিলেন। আবু ইয়াকুব আযরাঈ (র) কাব আহবার (র) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইলিয়াস (আ) নিজ সম্প্রদায়ের বাদশার ভয়ে দম পাহাড়ের নিচে গুহার মধ্যে দীর্ঘ দশ বছর আত্মগোপন করেছিলেন। ঐ বাদশাহর মৃত্যু হলে পরবর্তী বাদশাহর নিকট ফিরে এসে তিনি তাকে ইসলামের দাওয়াত দেন। বাদশাহ ইসলাম গ্রহণ করেন এবং দশ হাজার লোক ছাড়া তার সম্প্রদায়ের সকলেই ইসলাম গ্ৰহণ করেন। বাদশাহর নির্দেশে ঐ দশ হাজার লোককে

হত্যা করা হয়।

ইব্‌ন আবিদ দুনিয়া (র) দামেশকের জনৈক শায়াখের বরাতে বর্ণনা করেন, ইলিয়াস (আ) তার সম্প্রদায় থেকে পলায়ন করে এক পাহাড়ের গুহায় বিশ দিন কিংবা চল্লিশ দিন যাবত আত্মগোপন করেছিলেন। কাবের দল তার খাবার নিয়ে আসত।

ওয়াকেদ্দীর সচিব মুহাম্মদ ইব্‌ন সাদ (র) মুহাম্মদ ইব্‌ন সায়িব কালবী (র) থেকে বর্ণনা করেন; সর্বপ্রথম প্রেরিত নবী হচ্ছেন ইদরীস (আ), এরপর নূহ (আ), এরপর ইবরাহীম (আ), এরপর ইসমাঈল (আ.) ও ইসহাক (আ), এরপর ইয়াকুব (আ), এরপর ইউসুফ (আ), এরপর লুত (আ), এরপর হ্রদ (আ), এরপর সালিহা (আ), এরপর শু’আয়ব (আ), এরপর ইমরানের পুত্রদ্বয় মূসা ও হারূন (আ), এরপর ইলিয়াস তাশাবী ইব্‌ন কাহিস, ইব্‌ন লাওয়ী, ইব্‌ন ইয়াকুব (আ), ইব্‌ন ইসহাক (আ), ইব্‌ন ইরবাহীম (আ)। নবীদের উপরোক্ত বিন্যাস সন্দেহমুক্ত নয়।

মাকস্থল (র) কা’ব (র) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, চারজন নবী জীবিত রয়েছেন, দু’জন যমীনে যথা ইলিয়াস ও খিযির (আ) এবং দু’জন আকাশে যথা ইদরীস (আ) ও ঈসা (আ)। –

পূর্বেই ঐসব ব্যক্তির উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে। যারা বলে থাকেন, ইলিয়াস (আ) ও খিযির (আ) প্রতি বছর রমযান মাসে বায়তুল মুকাদাসে একত্রিত হন। প্রতি বছর একত্রে হজ্জ করেন এবং তারা দু’জনই যম যম কুয়ার পানি এমন পরিমাণে পান করেন যে, পরবর্তী বছর পর্যন্ত তাদের জন্যে যথেষ্ট হয়ে যায়। এরূপ হাদীসও আমরা উদ্ধৃত করে এসেছি; যাতে বলা হয়েছে, ‘তারা দু’জন প্রতি বছর আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হন।’ আবার এই কথাটিও বর্ণনা করা হয়েছে যে, এগুলোর কোন একটিও শুদ্ধ নয়। বরং দলীল-প্রমাণে বোঝা যায় যে, খিযির (আ) ও ইলিয়াস (আ) ইনতিকাল করেছেন।

ওহাব ইব্‌ন মুনাব্বিহ ও অন্যরা বর্ণনা করেন, যখন ইলিয়াস (আ)-কে তার সম্প্রদায় মিথ্যাবাদী প্ৰতিপন্ন করল ও তাকে কষ্ট দিতে লাগল, তখন তার রূহ কবয করার জন্য তিনি

Գ8Տ

তাঁর প্রতিপালকের কাছে প্রার্থীনা করলেন। অতঃপর তার কাছে একটি চতুষ্পদ জন্তু আসল যার রঙ ছিল আগুনের মতো। তিনি তার ওপর সওয়ার হলেন। আল্লাহ্ তা’আলা তাকে মূল্যবান নূরের পোশাক পরিধান করালেন, তার পানাহারের স্বাদ তিরোহিত করলেন এবং তিনি একাধারে মানবীয়, ফেরেশতাসুলভ আসমানী ও যমীনী সত্তায় পরিণত হলেন। তিনি ইয়াসা ইব্‌ন আখতুব (আঃ)-কে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। এই বর্ণনাটি সন্দেহযুক্ত। এটা ইসরাঈলী। বর্ণনা- যেগুলোকে সত্য বা মিথ্যা কোনটাই বলা যায় না। বরং এটার সত্যতা সুদূর পরাহত। আল্লাহ তা’আলাই সম্যক পরিজ্ঞাত।

হাফিজ আবু বকর বায়হাকী (র) আনাস ইব্‌ন মালিক (রা) (থকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে একটি সফরে ছিলাম। অতঃপর আমরা একটি মনযিলে অবতরণ করলাম ও উপত্যকায় এক ব্যক্তিকে দেখতে (পলাম।

তিনি দু’আ পড়ছেন :

অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাকে রহমত প্রাপ্ত, ক্ষমাপ্রাপ্ত ও তাওবা কবুলকৃত উম্মতে মুহাম্মদীর অন্তর্ভুক্ত করুন!

আনাস (রা) বলেন, আমি উপত্যকার দিকে অগ্রসর হলাম এবং এমন এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম যার উচ্চতা তিনশ’ হাতের অধিক। তিনি আমাকে বললেন- তুমি কে হে? উত্তরে আমি বললাম, ‘আমি মালিকের পুত্র আনাস, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর খাদিম।’ তিনি বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা) কোথায়?’ আমি বললাম, তিনি আপনার কথা শুনছেন।’ তিনি বললেন, ‘তুমি তার কাছে যাও এবং তার কাছে আমার সালাম পৌঁছিয়ে দাও এবং বল, আপনার ভাই ইলিয়াস আপনাকে সালাম দিচ্ছেন।’ আনাস (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে আসলাম ও তাকে এ সম্বন্ধে সংবাদ দিলাম। তিনি তার কাছে এসে তার সাথে মুলাকাত করলেন, তাকে আলিঙ্গন করলেন ও সালাম করলেন। অতঃপর দু’জনে বসে। কথোপকথন করতে লাগলেন। ইলিয়াস (আঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি বছরে একবার খাবার খাই। আজকে আমার সেই খাওয়ার দিন। আপনিও চলুন, একসাথে খাওয়া-দাওয়া করি। বর্ণনাকারী আনাস (রা) বলেন, তখন আসমান থেকে দু’জনের জন্যে একটি দস্তরখান অবতীর্ণ হল। তার মধ্যে ছিল রুটি, মাছ ও স্যাল্লারী শাক। তাঁরা উভয়ে খেলেন ও আমাকে খেতে দিলেন। এরপর উভয়ে আসরের সালাত আদায় করেন। তারপর ইলিয়াস (আ) রাসূল (সা) থেকে বিদায় নিয়ে মেঘমালার মধ্য দিয়ে আসমানের দিকে চলে গেলেন।

বায়হাকী (র) এ হাদীসটি দুর্বল বলে যে মন্তব্য করেছেন তাই যথেষ্ট। তাজব ব্যাপার হচ্ছে এই যে, হাকিম আবু আবদুল্লাহ নিশাপুরী (র) তাঁর ‘মুস্তাদরাক’ গ্রন্থে হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। যা মুস্তাদরাক গ্রন্থটিকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এই হাদীসটি জাল এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে অন্যান্য সহীহ হাদীসের পরিপন্থী। প্রথমত এই হাদীসের বক্তব্যই শুদ্ধ নয়।

Գ8Հ

কেননা, সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা আদম (আ)-কে আসমানে সৃষ্টি করেছেন, যার উচ্চতা ছিল ষাট হাত—এরপর সৃষ্টিকুলের উচ্চতা হ্রাস পেতে পেতে বর্তমান আকারে এসে পৌঁছেছে।

দ্বিতীয়ত, হাদীসটিতে রয়েছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে আসেননি, বরং রাসূলুল্লাহ (সা) তার কাছে গিয়েছিলেন। আর এটাও শুদ্ধ হতে পারে না। কেননা, তার পক্ষে এটাই অধিক শোভনীয় ছিল যে, তিনি নিজেই খাতিমুন্নাবীয়ীন রাসূলুল্লাহ (সা)-এর দিকে এগিয়ে আসবেন।

তৃতীয়ত, হাদীসটিতে বলা হয়েছে যে, তিনি বছরে একবার পানাহার করেন। অথচ অন্যত্র ওহাব ইব্‌ন মুনব্বিহ থেকে বর্ণিত আছে যে, তার থেকে আল্লাহ তা’আলা তার পানাহারের স্বাদ রহিত করে দিয়েছিলেন।

চতুর্থত, বর্ণনাকারীদের কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি যম যম কয়া থেকে প্রতি বছর এমনভাবে একবার পানি পান করতেন যা তার পরবর্তী বছর পর্যন্ত যথেষ্ট হত।

এরূপে হাদীসে বিভিন্ন ধরনের বিপরীতধর্মী ও বাতিল তথ্যাদি পরিবেশন করা হয়েছে, যার কোনটাই সঠিক নয়। ইব্‌ন আসাকির (র)ও এ হাদীসটি অন্য সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তার কিছু অংশের দুর্বলতা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, তিনি এই হাদীসটি সম্বন্ধে বিরূপ সমালোচনা করলেন। অথচ তিনি নিজেই অন্য সত্রে সবিস্তারে এটি বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছে যে, এ ঘটনাটি তাবুকের যুদ্ধের সময় ঘটেছিল। আর তার কাছে রাসূলুল্লাহ (সা) আনাস ইব্‌ন মালিক (রা) ও হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রা)-কে পাঠিয়ে ছিলেন। তারা দু’জন বলেন, তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের চাইতে দুই-তিন হাত অধিক উচ্চতাসম্পন্ন এবং উটগুলি পালিয়ে যাবার আশঙ্কার কারণে তিনি স্বয়ং মুলাকাত করতে অক্ষম বলে ওজর পেশ করেছিলেন। আবার এতে আরো রয়েছে, যখন তার সাথে রাসূলুল্লাহ (সা) মুলাকাত করেন তখন তারা দু’জন মিলে জান্নাতী খাবার খান। তখন ইলিয়াস (আঃ) বলেন, আমি চল্লিশ দিনে একবার এক লোকমা খাবার খেয়ে থাকি। আর অন্যদিকে দস্তরখানে ছিল রুটি, ডালিম, আঙ্গুর, কলা, খেজুর, অন্যান্য শাক-সবজি- তবে তাতে পিয়াজ-রসুন জাতীয় কিছু ছিল না। এতে আরো রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে খিযির (আ)-এর সম্বন্ধে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, আমার সাথে তার সাক্ষাত করার কথা বছরের প্রথমে। তাই তিনি আমাকে বলেছেন, ‘তুমি আমার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন তুমি আমার পক্ষ থেকে তাকে সালাম দিবে।’ এতে বোঝা যায় যে, খিযির (আ) ও ইলিয়াস (আ) যদি বেঁচে ও থাকেন এবং এ হাদীসটি যদি শুদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে নবম হিজরী পর্যন্ত সাক্ষাৎ করেননি। আর এটা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। কাজেই এই হাদীসটিও জাল। ইব্‌ন আসাকির (র) বিভিন্ন সূত্রে ইলিয়াস (আ)-এর সাক্ষাৎ লাভকারী বিভিন্ন ব্যক্তির বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু এসব বর্ণনায় দুর্বলতা ও বর্ণনাকারীরা অজ্ঞাত পরিচয়

Գ8V)

হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ বর্ণনাসমূহের সর্বোত্তমটি হচ্ছে যা আবু বকর ইব্‌ন আবীদ দুনিয়া (র) বর্ণনা করেছেন। তিনি ছাবিত (র) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মুসআব ইব্‌ন যুবোয়র (র)-এর সাথে কুফার শহরতলিতে অবস্থান করছিলাম। আমি একটি বাগানে প্রবেশ করলাম। সেখানে দুই রাকাত সালাত আদায় করছিলাম। আমি

শুরু করলাম :

অর্থাৎ— হা-মীম, এই কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহ তা’আলার নিকট হতে যিনি পাপ ক্ষমা করেন, তওবা কবুল করেন, যিনি শাস্তিদানে কঠোর শক্তিশালী। (সূরা মু’মিন : ১-৩)

আমার পেছনে ছিলেন এক ব্যক্তি তিনি ধূসর বর্ণের এক খচ্চরের পিঠে সওয়ার ছিলেন। তার গায়ে ছিল ইয়ামানী চাদর। তিনি আমাকে বললেন, যখন তুমি বল – ৭১।৪L; তখন : তাওবা কবুলকারী!! আমার তওবা কবুল কর; যখন তুমি বলবে এ CLম -। এ এL, তখন তুমি বলবে, L + ১ – La।( এ — … — অর্থাৎ হে শাস্তিদানে কঠোর সত্তা! আমাকে শাস্তি

অর্থাৎ হে শক্তিশালী প্ৰভু! তুমি আমার জন্য রহমতকে বাড়িয়ে দাও। তখন আমি পেছনের দিকে তােকালাম কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না। বের হয়ে গেলাম। লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, ধূসর রংয়ের খচ্চরের উপর সওয়ার হয়ে ইয়ামানী চাদর গায়ে কেউ কি তোমাদের পাশ দিয়ে গিয়েছেন? তারা বলল, ‘না। আমাদের এদিক দিয়ে কেউ অতিক্রম করেনি।’ তখন তারা সকলে ধারণা করলেন যে, তিনি ইলিয়াস (আ)-ই হবেন।

সূরায়ে সাফফাতে ইরশাদ হয়েছে …, 512.2, 22, 1? 450 : 5′, …<৯ এর অর্থ হচ্ছে, তারা তাকে মিথ্যাবাদী প্ৰতিপন্ন করেছিল। কাজেই তাদের অবশ্যই শাস্তির জন্য উপস্থিত করা হবে।

(সূরা সাফফাত : ১২৭)

অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতে কিংবা শুধু আখিরাতে। তাফসীরকার ও ঐতিহাসিকগণের

<ད། / /,,, ○ অভিমত অনুযায়ী প্ৰথম অর্থটিই স্পষ্টতর। আল্লাহর বাণী 5 ك – الأعياد الله المخلصين অর্থ হচ্ছে, তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনয়ন করেছে ও একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে গণ্য হয়েছে। আয়াতে উল্লেখিত অর্থ হচ্ছে— তারপরে জগতে পরবর্তীদের মধ্যে তার সুখ্যাতি অব্যাহত রেখেছি। তারা তার সুনামই করে থাকে। আর

এজন্যই আল্লাহ তা’আলা বলেন سلام على اليايسيك অর্থাৎ ইলিয়াস (আ)-এর উপর শান্তি বৰ্ষিত হোক। (সূরা সাফফাত : ১৩০)

আরবগণ অধিকাংশ নামের সাথে নূনকে যুক্ত করে এবং শেষ অক্ষরকে পরিবর্তন

পড়ে থাকেন। তাদের উদ্দিষ্ট থাকে, শান্তি বৰ্ষিত হোক মুহাম্মদ (সা)-এর পরিবার পরিজনের প্রতি।

ইব্‌ন মাসউদ (রা) ও অন্যরা পাঠ করেন : ০.০৬ L- ১L. ইব্‌ন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, ০.L.JI হচ্ছেন – ০.৩৬ (আ)। এটি যাহহাক, কাতাদা ও মুহাম্মদ ইব্‌ন ইসহাক (র)-এর অভিমত। তবে বিশুদ্ধ মতামত হচ্ছে ০.L. II ও U.০৬। ভিন্ন ভিন্ন দু’জন নবী-যেমন পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তা’আলাই সম্যক জ্ঞাত।

আল্লাহর শোকরী- আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থের প্রথম খণ্ড সমাপ্ত হল। এর অব্যবহিত পরেই আসছে। এর দ্বিতীয় খণ্ড, যার শুরুতে থাকবে মূসা (আ)-এর পরবর্তী বনী ইসরাঈলের নবীগণের বর্ণনা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *