সামবেদ ০১।০১ (প্রথম অধ্যায় । প্রথম খণ্ড : আগ্নেয় কাণ্ডঃ অগ্নিস্তুতি)

সামবেদ
পুর্বার্চিকঃ ছন্দ আর্চিকঃ

প্রথম অধ্যায়ঃ
আগ্নেয় কাণ্ডঃ অগ্নিস্তুতি

প্রথম খণ্ড : মন্ত্র সংখ্যা ১০ ॥
মন্ত্রের দেবতা অগ্নি ॥ মন্ত্রের ছন্দ গায়ত্রী ॥
মন্ত্রের ঋষিঃ ১।২।৪।৭।৯ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য
৩ মেধাতিথি কান্ব;
৫ তশনা কাব্য;
৬ সুদীতি পুরুমীঢ় আঙ্গিরস;
৮ বৎস কান্ব;
১০ বামদেব॥

মন্ত্রঃ- (০১) ‌অগ্ন আ যাহি বীতয়ে গৃণানো হব্যদাতয়ে। নি হোতা সৎসি বর্হিষি ॥ ১ ॥
অর্থঃ- (০১) হে অগ্নি, আনন্দের জন্য এস; স্তবযুক্ত হয়ে দেবলোকে আহূতিভার বহনের জন্য এস; হে দেবগণের আহ্বাতা; যজ্ঞাসনে উপবেশন কর॥

মন্ত্রঃ- (০২) ত্বমগ্নে যজ্ঞানাং হোতা বিশ্বেষাং হিতঃ। দেবেভির্মানুষে জনে ॥ ২ ॥
অর্থঃ- (০২) তুমি হে অগ্নি, সকল যজ্ঞের হোতা। দেবতাদের সঙ্গে যুক্তভাবে প্রতি মানুষে, প্রতি জীবে হিতকারী।

মন্ত্রঃ- (০৩) অগ্নিং দূতং বৃণীমহে হোতারা বিশ্ববেদসম্। অস্য যজ্ঞস্য সুক্রতুম্ ॥ ৩ ॥
অর্থঃ- (০৩) এই যজ্ঞের সকর্মা (মঙ্গলসম্পাদক), দেবগণের দূত, হোতা, বিশ্বধন অগ্নিকে বরণ করি।

মন্ত্রঃ- (০৪) অগ্নির্বৃত্রাণি জঙ্ঘনদ্ দ্রবিণস্যুর্বিপন্যয়া। সমিদ্ধঃ শুক্র আহূতঃ ॥ ৪ ॥
অর্থঃ- (০৪) আবরকশক্তিকে পুনঃ পুনঃ বিনাশের জন্য অগ্নি মেধাশক্তি দ্বারা সতত গমনস্বভাবযুক্ত। তিনি প্রাণসন্দীপ্ত, জ্যোতিষ্মান্, সকল কামনায় আহূত।

মন্ত্রঃ- (০৫) প্রেষ্ঠং বো অতিথিং স্তুষে মিত্রমিব প্রিয়ম্। অগ্নে রথং ন বেদ্যম্ ॥ ৫ ॥
অর্থঃ- (০৫) প্রিয়তম অতিথিকে, মিত্রের ন্যায় প্রিয় অগ্নিকে তোমাদের জন্য তোষণ করি। হে অগ্নি, তুমি সূর্যের মত জ্ঞেয়।

মন্ত্রঃ- (০৬) ত্বং নো অগ্নে মহোভিঃ পাহি বিশ্বস্যা অরাতেঃ। উত দ্বিষো মর্ত্যস্য ॥ ৬ ॥
অর্থঃ- (০৬) তুমি আমাদের, হে অগ্নি মহাধনে পালন কর। সকল শত্রু হতে আর মর্ত্যের দ্বেষ হতে রক্ষা কর।

মন্ত্রঃ- (০৭) এহ্যূ ষু ব্রবাণি তেহগ্ন ইত্থেতরা গিরঃ। এভির্বর্ধাস ইন্দুভিঃ ॥ ৭ ॥
অর্থঃ- (০৭) এস হে অগ্নি, তোমাকে এ ভাবেই স্তুতি করবো। এ ভাবেই সকল যজ্ঞের দ্বারা তুমি বর্ধিত হও।

মন্ত্রঃ- (০৮) আ তে বৎসো মনো যমৎ পরমাচ্চিৎ সধস্থাৎ। অগ্নে ত্বাং কাময়ে গিরা ॥ ৮ ॥
অর্থঃ- (০৮) এস হে অগ্নি পরমলোক থেকে। বৎস ঋষি তোমাকে কামনা করে স্তবমালায় তোমার মন আকর্ষণ করে।

মন্ত্রঃ- (০৯) ত্বামগ্নে পুস্করাদধ্যথর্বা মূর্ধ্নো বিশ্বস্য বাঘতঃ ॥ ৯ ॥
অর্থঃ- (০৯) তোমাকে, হে অগ্নি, স্বকর্মে অবিচল আদিত্য (=অথর্ব) যিনি বিশ্বের ঋত্বিক, তিনি শীর্ষে অবস্থান করে অন্তরিক্ষ হতে মন্থন করে আনেন।

মন্ত্রঃ- (১০) অগ্নে বিবস্বদা ভরাস্মভ্যমূতয়ে মহে। দেবো হ্যসি নো দৃশে ॥ ১০ ॥
অর্থঃ- (১০) হে অগ্নি, তমোনাশক তুমি, আমাদের পালনের জন্য মহাধন আন আর আমাদের দর্শনের জন্য তুমিই দেবতা।

2 Comments
Collapse Comments
অজয় মন্দ্রবিণ February 17, 2016 at 3:18 pm

যেহেতু প্রাচীন এ বেদাদিকে বলা হচ্ছে হিন্দুজাতির আদিগ্রন্থ তাই এগুলোর প্রতিটি শব্দ ও পদের তৎকালীন অর্থ ও অম্বয় সহকারে অনুবাদ জরুরী যাতে আপামর জাতি বুঝে নিতে পারে কোন বাণী বিশ্বসৃজকের আজ্ঞা প্রকাশ করছে আর কোনগুলো সৃজক নয় বরং সৃজিতদেরই কারো মিথ্যাজ্ঞা প্রকাশ করছে ।
* এখানে যে অনুবাদটি দেয়া হচ্ছে সেটি কলকাতার হরফ প্রকাশনীর প্রকাশিত পরিতোষ ঠাকুর অনুদিত সামবেদ সংহিতা থেকে হুবহু দেয়া হচ্ছে । আশা করি এভারগ্রীন বাংলা কর্তৃক্ষ এই মৌলিক তথ্যগত কৃতজ্ঞতা প্রকাশের স্বচ্ছতাকে গুরুত্বহীন ভাবছেন না ।

অমৃতেন্দু মুখোপাধ্যায় January 23, 2024 at 11:02 pm

এটার অনুবাদক পরিতোষ ঠাকুর। নামটা দিন প্লিস।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *