সামবেদ ০২।০৯

দ্বিতীয় অধ্যায়
নবম খণ্ডঃ মন্ত্র সংখ্যা ১০।।

দেবতা ইন্দ্র।।
ছন্দ গায়ত্রী।।
ঋষিঃ
১ প্রগাথ কান্ব,
২ গাথি বিশ্বামিত্র,
৩।১০ বামদেব গৌতম,
৪।৬ শ্রুতকক্ষ আঙ্গিরস,
৫ মধুচ্ছন্দা বৈশ্বামিত্র,
৭ গৃৎসমদ শৌনক,
৮।৯ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য।।

মন্ত্রঃ
(১৯৪) উত্বা মন্দন্তু সোমাঃ কৃণুম্ব রাধো অদ্রিবঃ।। অব ব্রহ্মদ্বিষো জহি।।১।। (১৯৫) গির্বণঃ পাহি নঃ সুতং মধ্যের্ধারাভিরজ্যসে। ইন্দ্র দ্বাদাতমিদ্‌ যশঃ।।২।। (১৯৬) সদা ব ইন্দ্রশ্চর্কৃষদা উপো নু স সপর্যন্‌। ন দেবো বৃতঃ শূর ইন্দ্রঃ।।৩।। (১৯৭) আ ত্বা বিশন্ত্বিন্দবঃ সমুদ্রমিব সিন্ধবঃ। ন ত্বামিন্দ্রাতিরিচ্যতে।।৪।। (১৯৮) ইন্দ্রমিদ্‌ গাথিনো বৃহদিন্দ্রমর্কেভিরর্কিণঃ। ইন্দ্রং বাণীরনূষত।।৫।। ইন্দ্র ইষে দদাতু ন ঋভুক্ষণমৃভুং রয়িম্‌। বাজী দদাতু বাজিনম্‌।।৬।। (২০০) ইন্দ্রো অঙ্গ মহদ্‌ভয়মভীষদপ চুচ্যবৎ। স হি স্থিরো বিচর্ষণিঃ।।৭।। (২০১) ইমা উ ত্বা সুতেসুতে নক্ষন্তে গির্বণো গরঃ। গাবো বৎসং ন ধেনবঃ।।৮।। (২০২) ইন্দ্রা নু পূষণা বয়ং সখ্যায় স্বস্তয়ে। হিবেম বাজসাতয়ে।।৯।। (২০৩) ন কি ইন্দ্র ত্বদুত্তরং ন জ্যায়ো অস্তি বৃত্রহন্‌। ন ক্যেবং যথা ত্বম্‌।।১০।।

অনুবাদঃ
(১৯৪) হে বজ্রধারী ইন্দ্র, সোমসকল তোমাকে উত্তমরূপে হর্ষান্বিত করুক; আমাদের ধন প্রদান কর; আর ব্রহ্মদ্বেষীকে বিনাশ কর।। (১৯৫) হে স্তুতিপ্রিয় ইন্দ্র, মধুর সোমধারায় তোমার পূজা হয়ে থাকে; তুমি আমাদের সোম পান কর। হে ইন্দ্র, যশরূপ অন্ন তোমারই দান।। (১৯৬) ইন্দ্র সর্বদাই তোমাদের জন্য পুনঃ পুনঃ কর্ষণের ব্যবস্থা করেন; সেই যথার্থ অনুষ্ঠাতাকেই কামনা কর; কোন দেবতাই শূর ইন্দ্রের মত আচ্ছাদিত করতে পারেন না।। (১৯৭) নদীসকল যেমন সমুদ্রে মেশে তেমনি সকল সোমধারাই তোমাতে মিলিত হয়; হে ইন্দ্র, তোমাকে কেহ অতিক্রম করতে পারে না।। (১৯৮) সাম গায়কেরা (=সামগান গায়কেরা) বৃহৎ সামে, ঋগ্বেদীয় হোতাগণ ঋক্‌ মন্ত্রে, যজুর্বেদীগণ যজুর্মন্ত্রে ইন্দ্রকেই স্তব করেন।। (১৯৯) ইন্দ্র আমাদের অন্নদান ইচ্ছা করে অন্তরিক্ষে নিবাসী সূর্যরশ্মিসমূহ থেকে আহৃত বৈদ্যুতিক জ্যোতিরূপ ধন দান করেন; (বাজী=) অন্ন বল ও বাকের অধিকর্তা ইন্দ্র, (সেই বৈদ্যুতিক জ্যোতি থেকে সৃষ্ট) অন্ন বল ও বাক্‌ দান করুন।। (২০০) ইন্দ্র অবিলম্বে মহৎ ভয়ে ভীতগ্রস্ত অবস্থা থেকে মুক্ত করুন; তিনি স্থিরপ্রজ্ঞ ও বিশ্বদ্রষ্টা।। (২০১) হে স্তুতিপ্রিয় ইন্দ্র, প্রতি সোম অভিষবে আমাদের সকিল স্তুতি তোমা অভিমুখে ধাবিত হয়, গোবৎসের প্রতি গাভী যেমন যায়।। (২০২) ইন্দ্র ও পূষাকে আমরা সখ্যতার জন্য, মঙ্গলের জন্য ও বিপুল ধনের জন্য আহ্বান করি।। (২০৩) হে বৃত্রহন্তা ইন্দ্র, তোমার ওপরে কোন দেবতা নেই, তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন দেবতা নেই, আর তুমি যেমন, তেমন কোন দেবতাও নেই।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *