৪র্থ অধ্যায় : ঐন্দ্র কান্ড : ইন্দ্রস্তুতি
নবম খণ্ডঃ মন্ত্রসংখ্যা ১০।।
মন্ত্রঃ-
(৪২৭) পরি প্র ধন্বেন্দ্রায় সোম স্বাদুর্মিত্রায় পুষ্ণে ভগায়।।১।।
(৪২৮) পর্যু যু প্র ধন্ব বাজসাতয়ে পরি বৃত্রাণি সক্ষণিঃ।
দ্বিষস্তরধ্যা ঋণয়া ন ঈরসে।।২।।
(৪২৯) পরস্ব সাম মহান্ৎসমুদ্রঃ পিতা দেবানাং বিশ্বাভি ধাম।।৩।।
(৪৩০) পবস্ব সোম মহে দক্ষায়াশ্বো ন নিক্তো বাজী ধনায়।।৪।।
(৪৩১) ইন্দুঃ পবিষ্ট চারুর্মদায়াপামুপস্থে কবির্ভগায়।।৫।।
(৪৩২) অনু হি ত্বা সুতং সোম মদামসি মহে সমর্যরাজ্যে।
বাজাঁ অভি পবমান প্র গাহসে।।৬।।
(৪৩৩) ক ঈং ব্যক্তা নরঃ সনীডা রুদ্রস্য মর্যা অথা স্বশ্বাঃ।।৭।।
(৪৩৪) অগ্নে তমদ্যাশ্বং ন স্তোমৈঃ ক্রতুঃ ন ভদ্র হৃদিস্পৃশম্।
ঋধ্যামা ত ওহৈঃ।।৮।।
(৪৩৫) আবির্মর্য্যা আ বাজং বাজিনো অগ্মন্ দেবস্য সবিতুঃ সবম্।
স্বর্গাং অর্বন্তো জয়ত।।৯।।
(৪৩৬) পবস্ব সোম দ্যুম্নী দুধারো মহাঁ অবীনামনুপূর্ব্যঃ।।১০।।
অনুবাদঃ (৪২৭) হে সোম, তুমি মধুরসযুক্ত হয়ে ইন্দ্র মিত্র পূষা ও ভগ দেবতার উদ্দেশে গমন কর। [এই সকল দেবতা একই সূর্যের বিভিন্নরূপ]। (৪২৮) হে সোম, মেঘের দ্বারা পরিবৃত বারিরাশিকে অন্নধনের জন্য বিজয়ীর মত প্রাপ্ত হও। (অন্নের দ্বারা) আমাদের দ্বেষ ও ঋণ দূর করে আমাদের প্রাপ্ত হও। (৪২৯) হে সোম, তুমি মহান সমুদ্রের মত (বা অন্তরিক্ষের মত) ব্যাপ্ত, সকল দেবগণের পিতা, তুমি সকলস্থানে ক্ষরিত হও। (৪৩০) হে সোম, তুমি রশ্মির মত শুদ্ধ ও গতিশীল; মহান সঙ্কল্পসিদ্ধির জন্য ও ধনের জন্য ক্ষরিত হও। (৪৩১) ইন্দু (=সোম=জল) সর্বাপেক্ষা শুদ্ধিকারক, সুশ্রী, কবি; তিনি বারিরাশির উপস্থানে (=আকাশে অবস্থিত বারিরাশির মধ্যে) ভগদেবতার (=সূর্যের) আনন্দের জন্য বাস করেন। (৪৩২) হে সোম, ঈশ্বরের মহান রাজ্যে (বা লোকাকীর্ণ যজ্ঞস্থানে) সুতসোম তোমাকে অনুসরণ করে (=সোমরস প্রস্তুতকালে) আমরাও হর্ষান্বিত হই। হে পবমান সোম (=বিশুদ্ধরূপে ক্ষরিত সোম), অন্নবলের জন্য উত্তম গতিশীল হও। (৪৩৩) এই ব্যক্ত (=ইন্দ্রিয়বিষয়ীভূত) নেতা সমানস্থানবাসী, সুন্দরগতিবিশিষ্ট রুদ্রের পুত্রগণ (=মরুদ্গণ) এঁরা কে? (৪৩৪) হে অগ্নি, যে তুমি সামগানের দ্বারা স্তুত হলে অশ্বের ন্যায় বেগবান এবং যজ্ঞের মত কল্যাণকর ও হৃদয়গ্রাহী হও, সেই তোমাকে আজ উহগানে (=সামগানে) বর্ধিত করবো। (৪৩৫) গতিশীল স্বপ্রকাশিত দেবরশ্মিগণ অন্নসৃষ্টির কারণে সবিতাদেবের (=সূর্যদেবের) ক্ষরিত জল অভিমুখে গমন করলেন এবং আকাশে স্থিত জলকে রশ্মিগণ জয় করলেন। (৪৩৬) হে সোম, তোমার মহান অনুগ্রহের উজ্জ্বল ও সুন্দর ধারা পূর্বের মত পর্যায়ক্রমে ক্ষরিত কর।