সূত্র

সূত্র

দেহটা সব আগে চোখে পড়ল খানসামার। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য! দশ বছর ধরে সে কাজ করছে এখানে ব্যাঙ্কের মালিকের পেয়ারের খানসামা হয়ে; কিন্তু এহেন দৃশ্য সে আর কখনো দেখেনি। দেহটা পড়ে রয়েছে খাবার ঘরের মেঝেয়। মালিকের নিজের দেহ।

ধরাশায়ী মালিক। চেয়ারটা ওলটানো। খাবার টেবিলে পিরিচের ওপরে একটা অমলেট আধ-খাওয়া পড়ে। ফলমূলরাও অবহেলায় পড়ে আছে। আর মালিক পড়ে আছেন অমলেটের থেকে পাঁচ হাত দূরে। তাঁর চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। জিভ আধহাত বার করা। অমলেটের জন্যই লালায়িত কিনা ঠিক করে বলা কঠিন।

ইদানীং বদহজমি যাচ্ছিল মালিকের। মেজাজটাও হয়ে উঠেছিল তিরিক্ষে। অমলেটদের তিনি বিশেষ প্রীতির চক্ষে দেখতেন না। কাউকেই না। তা হলেও তিনি অমলেটের থেকে পাঁচ হাত পিছিয়ে থাকবেন এতটা ধারণা করা যায় না। খানসামা এগিয়ে মালিককে তুলে ধরতে গেল। আর, ধরতে না ধরতেই টের পেল যে এখানকার অন্নজল তার উঠেছে। মালিকের অধঃপতনের সঙ্গেই। তাকে অন্যত্র খানসামাগিরির চাকরি খুঁজতে হবে এখন।

কর্তার দেহরক্ষার জন্যে সে তেমন দুঃখবোধ করল না। ইদানীং তিনি এমন খিটখিটে হয়ে উঠেছিলেন, দিনরাতই তাঁর মেজাজ চড়ে থাকত। কী ঘরের আর কী আপিসের, সবার সঙ্গেই এমন রূঢ় ব্যবহার তিনি করতেন যে তাঁর তিরোধানে কারোই বিচলিত হওয়ার কথা নয়।

খানসামা গৃহস্বামিনীকে গিয়ে নিবেদন করল।

গিন্নি শুনে মর্মাহত হলেন— ‘কী সর্বনাশ!’ তিনি বললেন, ‘টিকিটগুলো নষ্ট হল দেখছি, আজ তো আর তা হলে সিনেমায় যাওয়া যায় না!’

খানসামা ঘাড় নাড়ল। না, আজকের দিনটার সিনেমা দেখা লোকচক্ষে খারাপ দেখায়।

‘কী করতে হবে এখন?’ শুধোলেন মালিকের স্ত্রী।

‘আমি যদ্দুর জানি মা’, জবাব দিল খানসামা, ‘মানে, গোয়েন্দা-কাহিনির বই পড়েই আমার জানা— এ রকম অবস্থায় থানায় খবর দিতে হয় নাকি। পুলিশ ডাকাই নিয়ম।’

‘হ্যাঁ, তাই বটে! বেসরকারি কোনও গোয়েন্দার সন্ধান না জানা থাকলে তাই করতে হয় বটে। নইলে সখের গোয়েন্দারাই এসে খুনের কিনারা করে দেয় পুলিশের এসে পড়বার আগেই। তাই নয় কি? তুমি কি বলো?’

‘ডিটেকটিভ বইয়ে সেরকমও পড়েছি বটে।’ খানসামায় সায় দেয়।

‘তা হলে মিস্টার কল্কেকাশিকে ফোন করে খবর দাও। বিখ্যাত ডিটেকটিভ হুঁকাকাশির ভায়রা ভাই কল্কেকাশি। তাঁর চেয়ে বড়ো গোয়েন্দা আর কে আছে এখন? তা ছাড়া, কর্তার সঙ্গে ওঁর বন্ধুত্বও ছিল খুব।’

শ্রীযুক্ত কল্কেকাশি মাঘের শীতে নিজেকে রাগ-এ জড়িয়ে বসেছিলেন আরামে— এমন সময়ে এল ফোন। রাগান্বিত হয়েই তিনি টেলিফোনের সাড়া দিলেন। কিন্তু খবর পেয়ে আর রাগত হয়ে থাকা গেল না। ছুটতে হল তাঁকে তক্ষুনি।

অকুস্থলে পৌঁছোতেই খানসামা তাঁকে নিয়ে গেল খানার ঘরে। হাজির করল মালিকের কাছে। কর্ত্রীও গেলেন সঙ্গে সঙ্গে।

মালিক শুয়ে ছিলেন তেমনিই। একটুও নড়েননি।

ঝুঁকে পড়ে মৃতদেহটা পরীক্ষা করলেন কল্কেকাশি। কিন্তু পরীক্ষা করার কিছু ছিল না। মৃতদেহরা যেমন হয়ে থাকে— অবিকল সেই রকম! একেবারে নট নড়ন চড়ন, নট কিচ্ছু।

‘খতম!’ বললেন কল্কেকাশি; ”সাবাড় করে দিয়েছে।’

খানসামা বলল— ‘আজ্ঞে হ্যাঁ।’

‘কিন্তু করল কে?’ কল্কেকাশি প্রথমে খানসামা, তারপরে গিন্নির মুখে তাকালেন। তারপর কর্তার দিকে ভ্রূক্ষেপ করলেন। কিন্তু তিনজনের কেউই তাঁর কথার জবাব দিতে পারল না।

অতঃপর আবার তিনি কর্তাকে নিয়ে পড়লেন। যদি কোনও সূত্র মেলে। কর্তার বুক পকেট হাতড়ে একটুকরো কাগজ মিলল— সেটা পড়ে তাঁর মুখ গম্ভীর হয়ে গেল আরও। কাগজটা নিজের পকেটে পুরে তিনি উঠে দাঁড়ালেন— ‘এবার আমি আপনাদের কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করব। ইচ্ছে করলে জবাব নাও দিতে পারেন। প্রথম কথা, তাঁর কি কেউ শত্রু দাঁড়িয়েছিল ইদানীং।’

কর্ত্রী খানসামার দিকে তাকালেন। তারপরে বললেন— ‘শত্রুর কোনও খবর তো কখনো শুনিনি। বরং শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে উনি—

‘শত্রুতা না হোক, এমনি ঝগড়া?’ বাধা দিয়ে বললেন কল্কেকাশি— ‘কারও সঙ্গে তাঁর ঝগড়াঝাঁটি হত কি আজকাল? পরিবারের মধ্যে কিংবা বাইরে?’

‘পরিবারের মধ্যে? না, এ প্রশ্নের জবাব দিতে আমি রাজি নই।’ জানালেন মালিকের পরিবার।

”যে আজ্ঞে। এবার আমি তোমাকে একটা কথা শুধোব।” এই বলে কল্কেকাশি খানসামার দিকে ফিরলেন, ‘আচ্ছা, বলতে পারো তুমি, সবার সঙ্গে আজকাল ওর সদ্ভাব ছিল কেমন? আত্মীয়স্বজন কি আপিসের লোক, বন্ধু বান্ধব, অধীনস্থ কর্মচারী কিংবা চাকরবাকর সকলেই কি ওঁকে বেশ ভালোবাসত? পছন্দ করত খুব?’

‘আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি অক্ষম।’ জবাব দিল খানসামা, ‘মানে, আপনার ওই চাকরবাকরের সম্পর্কেই।’

‘আর, আপনার প্রশ্নের প্রথম ভাগের মানে, আত্মীয়স্বজনের বিষয়ে জানাতে আমার আপত্তি আছে;’ জানালেন কর্ত্রী।

‘বহুৎ আচ্ছা। এইবার আপনাদের পাচক ঠাকুরকে ডাক দিন তো! তাকে আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই।’

ঠাকুর এল। উড়িষ্যাজাত নয়, বাঙালি ঠাকুর। ভীতভাবে এল। খবরটা সে পেয়েছিল আগেই।

‘এসো। ভয় নেই, একটা কি দুটো কথা শুধোব খালি তোমায়। কর্তার জলখাবার রোজকার মতো আজও কি তুমিই বানিয়েছিলে?’

‘আজ্ঞে হ্যাঁ।’

‘ওই অমলেট তা হলে তোমারই তৈরি? অমলেট বানাতে রোজ যা মশলা দাও আজও তাই সব দিয়েছিলে তো?’

রাঁধুনির মুখ শুকিয়ে গেল। একটু ইতস্তত করে সে জানাল— ‘যখন কথাটা আপনি তুললেন তখন বলি। আজকের অমলেট বানাতে গিয়ে একটু গড়বড় হয়েছিল। তা, সেটা আমি তক্ষুনি, তারপরেই শুধরে নিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গেই।’

‘গড়বড় কি জানতে পারি?’ কল্কেকাশি শুধোলেন।

‘ডিম-গোলাটায় পেঁয়াজের, টম্যাটোর কুচি ইত্যাদি দিয়ে তারপরে নুন দিলাম। নুন দেওয়ার পর আমার হুঁশ হল নুন মনে করে যে সাদা গুঁড়োটা ডিমের গোলায় দিয়েছি সেটা নুন নয়। নুনের পাত্র তাকে তোলাই রয়েছে— তেমনিই! আমার নজরে পড়ল তখন।’

‘বটে? ওই সাদা গুঁড়োটা তা হলে কী বস্তু?’

‘তা আমি বলতে পারব না। রান্নাঘরের তাকে কে যে ওটাকে রেখেছিল তাও আমি জানিনে। ও জিনিস এর আগে আর কখনও আমি ওখানে দেখিনি।’

‘হুম, বুঝতে পারছি।’ হুঙ্কার দিয়ে কল্কেকাশি বেশ একটু গুম হয়ে গেলেন।

ঠাকুর ঘাবড়ে গিয়ে বলল— ‘আমার কোনও কসুর নেই মশাই! অল্পদিন হল এখানকার কাজে লেগেছি। আর ওই যে সাদা গুঁড়োটা— টের পাওয়া মাত্রই সেটুকু আমি চামচে করে ডিমগোলার ভেতরে থেকে তুলে বাদ দিয়েছিলাম।’

‘সেই সাদা গুঁড়োর একটু নমুনা আনো তো দেখি?’

ঠাকুর চলে গেল, এবং খানিক পরে একটা চামচের সাদা রঙের একটু গুঁড়ো হাতে করে ফিরে এল।

‘এই সেই সাদা গুঁড়ো? দেখি।’ কল্কেকাশি শুঁকলেন। তারপরে লালা-রসে আঙুল ভিজিয়ে নিয়ে সেটা গুঁড়োর মধ্যে বুলোলেন। তারপরে আঙুলটা গালে দিলেন। নিজের গালে। জিভ দিয়ে পরখ করার পর অর্থপূর্ণ চাহনিতে তাকালেন গৃহকর্ত্রীর দিকে।

‘হ্যাঁ, পুলিশ ডাকতে হয় এবার, বললেন কল্কেকাশি— ‘কোনটা কোন ঘরে?’

‘আপনি, আপনি নিশ্চয় আমাকে’ বলতে গিয়ে ঠাকুরের গলা বেধে যায়। ‘আমাকে সন্দেহ করছেন না?’ এ ব্যাপারে নিজে বেধে যাওয়ার ভয়ে সে কাঁপতে থাকে সেও এক গলা-বাধা ব্যাপার— ফাঁসিকাঠে।

‘যথাসময়ে জানবে’ জানালেন কল্কেকাশি- ‘এখন তুমি যেতে পারো!’

তারপরে খানসামাকে হুকুম করলেন— ‘থানায় ফোন করে দাও।’

খানসামা চলে গেলে গৃহকর্ত্রীর দিকে তাকিয়ে তিনি হাসলেন একটু— ‘বেশ শীত পড়েছে। হাড় কাঁপানো শীত, কি বলেন?’

‘বলতে পারিনে ঠিক।’ বললেন গিন্নি। তাঁকে বেশ ভাবিতই দেখা যায়।

পুলিশ এসে পড়ল দেখতে না দেখতে। সদলবলে থানার দারোগা স্বয়ং এসেছেন। খানসামাই আগু বাড়িয়ে নিয়ে এল তাঁদের।

ঘরে ঢুকে সব আগে লাশটা নজরে পড়ল দারোগার। সেটা তখনো ছিল। সেইসরকম শুয়ে, একটুও এপাশ ওপাশ করেনি।

তারপরে তিনি কল্কেকাশিকে দেখতে পেলেন— ‘এই যে, আপনি! আপনি দেখছি এর মধ্যেই এসে গেছেন।’

‘আসতেই হয়।’ কল্কেকাশি হাসলেন।

দারোগাবাবু ঝুঁকে পড়ে মৃতদেহটিকে পরীক্ষা করলেন, তারপরে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন— ‘খুন। বলাই বাহুল্য!’

‘আপনার মতে আমি সায় দিতে পারলাম না’ কল্কেকাশি দুঃখের সহিত জানালেন। ‘যদিও দিতে পারলে খুব সুখী হতাম।’

‘পারবেন না, সেটা জানা কথা। বেসরকারি গোয়েন্দারা কদাচই সরকারি পুলিশের সঙ্গে একমত হয়।’

‘আজ্ঞে হ্যাঁ। সব ডিটেকটিভ বইয়ের সেই কথা লেখে।’ খানসামাও না বলে পারে না।

‘আপনি যে বললেন খুন নয় তার কোন সূত্র আপনি পেয়েছেন?’ দারোগা শুধোলেন।

‘পেয়েছি বইকি। ওই দেখুন— ওই সূত্র।’ কল্কেকাশি দেখালেন।

লাশটা যেখানে পড়েছিল ঠিক তার ওপরেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে জড়ানো একটা মিশকালো মোটা সুতো। সুতোটা ফ্যানের ডান্ডার সঙ্গে শক্ত করে বাঁধা।

কল্কেকাশি চেয়ারের ওপরে খাড়া হয়ে চাকু দিয়ে ঝোঝুল্যমান সুতোর খানিকটা কেটে আনলেন— ‘দেখুন, এটা সাধারণ সুতো নয়। টোন সুতোর মতোই দেখতে, কিন্তু তাও না। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বানানো এক বিশেষ ধরনের সুতো এ। অত্যন্ত মজবুত। খুব ভারী জিনিসও অক্লেশে বহন করবার ক্ষমতা এর আছে।’

‘থাকলই বা, তাতে কী? এটাকে আত্মহত্যা বলে যদিই বা মানা যায়, তার সঙ্গে এই সুতোর কী সম্বন্ধ আমি বুঝতে পারছি না।’ দারোগা মাথা নাড়লেন। ‘আমার মনে হয় টেবিলের ওই খাবারের সঙ্গেই এই ব্যাপারে যোগাযোগ আছে। ওই ভুক্তাবশেষের রাসায়নিক পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত সঠিক কিছুই বলা যায় না।’

‘ঠাকুর যে ওঁকে বিষ দেয়নি তা কি আপনি ঠিক জানেন?’ জিজ্ঞেস করলেন গিন্নি। ‘লোকটা নতুন। অল্প দিন হল বহাল হয়েছে, আর তার আজকের আচরণটাও যেন কেমন কেমন! বেশ সন্দেহজনক।’

‘একটু ভয় খাওয়া। এই কথাই বলছেন?’ বললেন কল্কেকাশি। ‘তা, এরকম একটা কাণ্ড ঘটলে আশপাশের সকলেই একটু ভয় খায়। সে কিচ্ছু না।’

‘আচ্ছা, আপনার কি মনে হয়, কর্তা নিজেই ওই সাদা গুঁড়োর পাত্রটা রান্নাঘরের তাকে রাখেননি? যাতে কিনা ঠাকুর ভুল করে নুনের সঙ্গে গুলিয়ে—’ খানসামাও নিজের গোয়েন্দাগিরির বিদ্যা জাহির করতে চায়।— ‘তাঁকে খুন করে বসে?’

‘অথবা আপাতদৃষ্টিতে এটা খুন মনে হলেও খুনের ছলনায় আসলে আত্মহত্যাই। ঠাকুরের হাত দিয়ে কর্তা নিজেকে সরাতে চেয়েছেন? কিন্তু না, তা নয়।’

‘তা হলে ওই সাদা গুঁড়োটা?’ জানতে চাইলেন গিন্নি।

‘সোডি-বাইকার্ব। মনে হয়, হজমের ওঁর গোলমাল ছিল। মাঝে মাঝে ওটা খেতেন। কিন্তু ও খেলে মানুষ মরে না।’

‘তা হলে মৃত্যুর কারণ?’ দারোগার প্রশ্ন হয় এবার— ‘আত্মহত্যার আর কী সূত্র আপনি পেয়েছেন শুনি?’

‘ওই যে, সিলিং ফ্যানে লটকানো। ওই একটি সূত্র। কিন্তু ওই সুতোই সব নয়। তার সঙ্গে এই চিরকুটটা পড়ুন।’ কল্কেকাশি তাঁর পকেট থেকে কাগজের টুকরোটা বের করলেন। বের করে একটু মুচকি হাসলেন তিনি, ‘এইবার ওই সুতোর সঙ্গে এই চিঠি মিলিয়ে পড়ুন— দুয়ে দুয়ে যোগ করুন। এই প্রাণবিয়োগের রহস্য পরিষ্কার হবে।” দারোগাবাবু চিরকুটখানা পড়লেন— ‘… ব্যাঙ্কের বিস্তর টাকা আমি তছরূপ করেছি। … এছাড়া আমার আর কোনও পথ ছিল না।…’

‘আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে’ দারোগাবাবু অবশেষে মানলেন। ‘কিন্তু তারও তো একটা প্রমাণ চাই মশাই। তারও সূত্র দরকার।’

ওই যে— ওই সূত্র! পাখার থেকে ঝুলছে! সূত্রটি খুব সূক্ষ্ম। কিন্তু দেখতে সরু হলে কী হবে, কাছির দড়ির মতোই লাগসই। বেশ একজন ভারিক্কি মানুষেরও এর ওপরে নির্ভর করে দুর্গা বলে ঝুলে পড়বার বাধা নেই—’

‘কিন্তু এ তো ছিন্নসূত্র—’ দারোগাবাবু বাধা দিয়ে বলতে যান।

‘হ্যাঁ, কিন্তু সূত্রের সবটা নয়। ভিন্ন সূত্রেও আছে। ওর বাকি আধখানা ভদ্রলোকের গলায় পাবেন। জামার তলায়। কোটের কলার তুলে দেখুন।’

***

টীকা

১. অমলেট : ডিম ভেঙে, ভেতরের সাদা ও হলুদ অংশ ফেটিয়ে তেল, ঘি বা মাখনে ভেজে তৈরি খাবারের পদের নাম অমলেট (Omlet বা Omlette) এর সঙ্গে মাংসের টুকরো, সবজি বা চিজ মেশানোরও প্রচলন আছে। ফরাসি শব্দ অমলেটের উদ্ভব ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি। কিন্তু চর্তুদশ শতকে ফ্রান্স অ্যালুমেল বা অ্যালুমেট নামক খাদ্যের প্রচলন ছিল বলে জানা যায়।

২. সোডি-বাইকার্ব : সোডিয়াম বাই কার্বোনেট। যদিও আসল নাম সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বোনেট। ফরমুলা NaHCO3। প্রচলিত বাংলা ভাষায় একে ‘খাওয়ার সোডা’ বলা হয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *