পরিশিষ্ট
মুজতবা আলীর মাতা- আয়তুল মান্নান খাতুন। (১৮৭৯-১৯৪২) ছিলেন বাহাদুরপুর পরগণার রাগ প্রচণ্ড খা গ্রামের জমিদার মোহসেন চৌধুরীর কন্যা।
১৯০৪– ১৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমীর দিন (সূর্যাস্তে), করিমগঞ্জ শহরে মুজতবা আলীর জন্ম।
১৯০৮– সুনামগঞ্জ শহরের পাঠশালাতে ভর্তি।
১৯১৫– মৌলবীবাজার সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি।
১৯১৮– সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ক্লাস VI-এ ভর্তি।
১৯২১- শান্তিনিকেতন যাত্রা।
১৯২১-১৯২৬– বিশ্বভারতীতে অধ্যয়ন।
১৯২৭- আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন।
১৯২৭-১৯২৯–কাবুলে অধ্যাপনা।
১৯২৯-১৯৩২– বার্লিন ও বন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন। মাঝখানে ১৯৩০- প্যারিস ও লন্ডনে অধ্যয়ন।
১৯৩৩-১৯৩৪– কলিকাতায় ও মৌলবীবাজারে পিতামাতার সঙ্গে বসবাস।
১৯৩৪– দশ মাস ইউরোপ ভ্রমণ করেন, প্রথম চার মাস জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায় অবস্থান। পরবর্তী ছয় মাস ডেসড্রেন, ভেনিস, লজান, মন্ত্রো, লুৎসেন, ইন্টার লেকেন, জুরিখ ইত্যাদি স্থানে ভ্রমণ।
১৯৩৪-১৯৩৫– কায়রোয় আল-আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন।
১৯৩৬– তাঁর থিসিস– The origin of the Khojalis and their religious life today–২০০ পৃষ্ঠার এই থিসিস গ্রন্থটি জার্মানি থেকে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থটি তিনি পিতাকে উৎসর্গ করেন। এই গবেষণা কাজে তার উপদেষ্টা ছিলেন ড. সি. ক্লিমেন।
১৯৩৮-১৯৪৪– বরোদায় অধ্যাপনা।
১৯৩৮– ইউরোপ ভ্রমণ প্রধানত জার্মানিতে। এ ছাড়া ভেনিস, মিলান, জেনোয়া, জেনেভা, লেজা, বন, কলোন, ডুসেলডর্ফ, হ্যাঁনোভার, বার্লিন ইত্যাদি স্থানে ভ্রমণ।
১৯৩৯– সিলেট গমন। এইবারেই পিতার সঙ্গে শেষ দেখা হয়।
১৯৪৪– বরোদার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফিরে এসে বহুদিন কলকাতায় ৫নং পার্ল রোডের বাড়িতে বন্ধু আবু সায়ীদ আইউবের সঙ্গে বাস করেন। পরে বন্ধুর শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে নিয়ে দাক্ষিণাত্যের মদনাপল্লীতে যান। এই সময়েই মুজতবা আলী বাঙ্গালোরে রমন মহর্ষির অরুণাচল আশ্রমে আনাগোনা করেন। বাঙ্গালোরে থাকাকালেই তিনি দেশে-বিদেশে লেখা শুরু করেন। ১৯৪৮-এর মার্চ মাস থেকে দেশ পত্রিকায় দেশে-বিদেশে ধারাবাহিক প্রকাশ শুরু হয়।
১৯৪৯– বগুড়া কলেজে অধ্যক্ষ হন।
১৯৫০– কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হন।
১৯৫১-১১– মার্চ ঢাকা শহরে রাবেয়া আলীর সঙ্গে বিবাহ হয়।
১৯৫০-১৯৫২– দিল্লিতে secretary Indian Council For Cultural Relations সাকায়তুল হিন্দ (ভারতীয় সংস্কৃতি) নামক একটি আরবি ত্রৈমাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
১৯৫২-১৯৫৪– দিল্লি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে চাকরি করেন।
১৯৫৪-১৯৫৫– A I R কটকের স্টেশন ডাইরেক্টর হন।
১৯৫৫-১৯৫৬– A I R পাটনার স্টেশন ডাইরেক্টর হন।
১৯৫৬-১৯৬৪– বিশ্বভারতীতে প্রথমে জার্মান ও পরে ইসলামি সংস্কৃতির অধ্যাপক হন।
১৯৫৮– ইংল্যান্ড ভ্রমণ। B. B.C-তে ভাষণ।
১৯৬২– জার্মানি ভ্রমণ।
১৯৬৪-৬৭– বোলপুরে বাস করেন।
১৯৬৭-৭২– কলকাতায় বাস করেন। কলিকাতায় বসবাস করার সময়ই ১৯৭০ সালে শেষবারের মতো জার্মানি ভ্রমণ করেন।
১৯৭২– ১৫ জানুয়ারি বহুদিন পর ঢাকা যান।
১৯৭৩– ২১ অক্টোবর কলকাতায় আগমন ও পরে ডিসেম্বরে ঢাকা প্রত্যাবর্তন।
১৯৭৪– ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যু। মৃত্যুর সময় দুই পুত্র ও স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।*
[* সমগ্র রচনাটি সৈয়দ মুর্তাজা আলীর রচনা হইতে সংগৃহীত।]