টুপির কারচুপি

টুপির কারচুপি

কর্নেল নীলাদ্রি সরকারের ফ্ল্যাটে আড্ডা দিতে গিয়েছিলুম। কর্নেল ষাট-বাষট্টি বছরের বুড়ো। মাথায় টাক ও মুখে দাড়ি আছে। একেবারে সায়েবদের মতো চেহারা। ভারি অমায়িক আর হাসিখুশি মানুষ। একা থাকেন।

কিন্তু বুড়ো হলে কী হবে!

এখনও ওঁর গায়ে পালোয়ানের মতো জোর আছে। দৌড়ে পাহাড়ে চড়তে পারেন। বাঁ হতে রাইফেল ছুড়ে বাঘ মারতে পারেন। পারেন না কী, তাই-ই বলা কঠিন। সারাজীবন নানা দেশে বিদঘুটে অ্যাডভেঞ্চারে গেছেন—জঙ্গলে, সমুদ্রে, দ্বীপে, বরফের দেশে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে আফ্রিকা আর বর্মা ফ্রন্টে যুদ্ধ করেছেন। অবসর নেওয়ার পর ওঁর হবি হচ্ছে দুর্লভ জাতের পাখি, পোকামাকড় ও প্রজাপতি খুঁজে বেড়ানো। এজন্যে প্রায়ই উনি পাহাড়ে জঙ্গলে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গী বলতে আমি—এই জয়ন্ত চৌধুরি। আমার মতো একজন যুবকের সঙ্গে ওই বুড়োর গলাগলি ভাব যে কতটা, না দেখলে বিশ্বাস হবে না কারও।

এই কর্নেলবুডোর আরেক বাতিক গোয়েন্দাগিরি। অনেক বড় বড় ডাকাতি আর খুনের হিল্লে করে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। শুধু পুলিশ মহলের নয়, সবখানেই ওর নামটা বিলক্ষণ চেনা। কেউ যদি বলে বুড়ো ঘুঘু তাহলে বুঝতে হবে সে নির্ঘাৎ কর্নেলের কথাই বলছে।

সেই রোববারের সকালে ওঁর বাসায় গেলুম, তার পিছনে একটা উদ্দেশ্যও ছিল। আমি দৈনিক সত্যসেবক পত্রিকার এক রিপোর্টার। আমাদের কাগজেই একটা অদ্ভুত খবর বেরিয়েছিল। জানতুম, অদ্ভুত যা কিছু—তাতেই কর্নেলের কৌতুহল। উনি নাক না গলিয়ে থাকতে পারবেন না। আর এই খবরটা শুধু অদ্ভুত নয়, রীতিমতো অবিশ্বাস্য।

তো, আমাকে দেখেই বুড়ো হাসতে হাসতে বললেন—এস জয়ন্ত; এক্ষুনি তোমার কথা ভাবছিলুম। নিশ্চয় তুমি সেই ভূতুড়ে টুপির ব্যাপারে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছ।

বললুম—ভূতুড়ে টুপি, না জ্যান্ত টুপি?

–একই কথা। বলে কর্নেল খবরের কাগজ খুলে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর বললেন-ব্যাপারটা বেশ মজার, তাই না জয়ন্ত? চোঙার মতো সুঁচলো ডগাওয়ালা এই ধরনের টুপি ক্রিস্টমাসের পরবে পরা হয়। আবার সার্কাসের ক্লাউনরাও এমন টুপি পরে ভঁড়ামি করে। সেই টুপি কি না ইচ্ছেমতো চলে বেড়ায়। লাফায়। নাচে। বিছানায় ঘুমোয়। খাবার টেবিলে গিয়ে খেতে বসে। ইজিচেয়ারে আরামে গড়ায়। খাসা! ভাবা যায় না! টুপির মালিক যে ঘাবড়ে যাবেন, তাতে সন্দেহ কী!

বললুম—শুধু তাই নয় কর্নেল। বাগানে গিয়ে গোলাপগাছে চড়ে চমৎকার দোল খায় ব্যাটা।

কর্নেল খুব হাসলেন। তারপর বলন—বোসো। এক্ষুনি টুপির মালিক মিঃ গজেন্দ্রকিশোর সিংহরায় এসে পড়বেন। একটু আগে আমায় ফোন করেছিলেন।

কর্নেলের পরিচারিকা মিস অ্যারাথুন একটা ট্রেতে কফি রেখে গেল। কফির পেয়ালায় সবে মুখ দিয়েছি, দরজায় ঘন্টা বাজল। তারপর এক প্রকাণ্ড দশাসই চেহারার স্যুট পরা ভদ্রলোক ঢুকলেন। ওঁর হাতে একটা কিটব্যাগ। আমাকে নমস্কার করলেন, আর কর্নেলের সঙ্গে করলেন হ্যান্ডশেক। আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন কর্নেল। সোফায় গম্ভীর মুখে উনি বসলে কর্নেল বললেন—মিং সিংহরায়, বলুন কী করতে পারি আপনার জন্যে?

সিংহরায় বললেন—আপনাকে ফোনে তো সবই বলেছি, কর্নেল। নতুন করে কিছু বলার নেই। ব্যাপারটা আজ তিনদিন ধরে সত্যি সত্যি ঘটছে। খবরের কাগজে তো দূরের কথা, বাড়ির কাউকে আমি বলিনি। অথচ কীভাবে ফাঁস হয়ে গেল, কে জানে! খবরের কাগজেই বা কে, খবরটা দিল—কিছু বুঝতে পারছিনে! সেজন্যেই তো আপনার সাহায্য চাইছি।

কর্নেল মুখ খোলার আগে আমি অবাক হয়ে বললুম-খবরটা নিশ্চয় কোনও রিপোর্টারকে কেউ দিয়েছে! না দিলে কাগজে বেরোতেই পারে না।

সিংহরায় উদ্বিগ্নমুখে বললেন—সেটাই তো আশ্চর্য লাগছে।

কর্নেল ভুরু কুঁচকে কী ভাবছিলেন। বলেন—হুম। কিন্তু টুপিটা যে ওইসব অদ্ভুত কাণ্ড করছে, তা তো সত্যি?

সিংহরায় জবাব দিলেন—একেবারে হুবহু সত্যি। টুপিটা কিনেছি গত বিষ্যত্বর চৌরঙ্গির একটা নিলামের দোকানে। অদ্ভুত-অদ্ভুত জিনিস কিনে ঘরে সাজিয়ে রাখা আমার বাতিক। টুপিটা দেখতে অদ্ভুত লাগল। পঁচিশ টাকা থেকে দর হাঁকাহাঁকি শুরু হল। তিরিশে উঠেই অন্যরা ছেড়ে দিল। শুধু একজন..

—হুম! বলুন।

—একজন অবাঙালি ভদ্রলোক ছাড়ল না। দর চড়াতে থাকল। তাই আমারও জেদ চড়ে গেল। শেষ অব্দি রোখের মাথায় তেরোশো টাকা হাঁলুম। তখন লোকটা সরে গেল। টুপি নিয়ে বিজয়গর্বে বাড়ি ফিরলুম। এবং তারপর সন্ধ্যাবেলা থেকেই টুপি খেল দেখানো শুরু করল। ড্রয়িংরুমের কোনায় একটা ছোট্ট টেবিলে ওটা রেখেছিলুম। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছি, হঠাৎ দেখি টুপিটা টেবিলের ওপরে চলতে চলতে নিচে পড়ে গেল। তখনও সন্দেহ হয়নি। ওটা সেখানেই তুলে রেখে ওপরের ঘরে গেছি, খাওয়াদাওয়া করেছি। শুতে গিয়ে দেখি, আশ্চর্য। টুপিটা বিছানায় শুয়ে আছে। বাড়ির সব্বাইকে জিগ্যেস করলুম—কেউ কিছু জানে না। সবচেয়ে আশ্চর্য কাণ্ড ঘটল শুক্রবার রাতে। টুপিটা শোওয়ার ঘরেই রেখেছিলুম। রাত দুটোয় হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। ঘরে খসখস শব্দ শুনে সুইচ টিপে টেবিলল্যাম্প জ্বালালুম। দেখি—টুপিটা মেঝেতে দিব্যি হাঁটছে। হাঁটতে হাঁটতে জানলার দিকে যাচ্ছে। তারপর চোখের সামনে সেটা জানলা গলিয়ে লাফ দিল। বিশ্বাস করুন কর্নেল, যা বলছি—এর মধ্যে এর মধ্যে এতটুকু মিথ্যে নেই।

-হুম! বলুন, বলুন!

মিঃ সিংহরায়ের মুখে ভয়ের ছাপ ফুটে উঠল। দম নিয়ে বললেন—তক্ষুণি টর্চ আর পিস্তল নিয়ে নিচে গেলুম। দেখলুম, টুপিটা বুগনভিলিয়ার গাছে কাত হয়ে যেন ঘুমোচ্ছে। সবচেয়ে অবাক কাণ্ড হল গত রাতে। টুপিটা কখন ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। একটা গোলাপ গাছে চড়ে বসেছে। আজ ভোরবেলা মালি দেখতে পেয়ে…

কর্নেল বাধা দিয়ে বলেন—হুম, বুঝেছি। টুপিটা কি এনেছেন?

—এনেছি! এই বিদঘুটে জিনিস আর কাছে রাখতে একটুও ইচ্ছে নেই কর্নেল।…বলে সিংহরায় কিটব্যাগ খুলে একটা চোঙার মতো টুপি বের করলেন। প্রকাণ্ড টুপি। কালোরং। চলো ডগায় একটা রেশমি টুপি আছে। দুপাশে দুটো দুষ্টুহাসিভরা মুখ—একদিকেরটা ছেলের, অন্যদিকেরটা মেয়ের। আমার নাকে কড়া গন্ধ লাগল। নিশ্চয় টুপির গন্ধ।

কর্নেল টুপিটা নিয়ে পরীক্ষা করতে করতে বললেন—হুম, বেশ ওজন আছে দেখছি। শক্ত-সমর্থ মাথা না হলে ঘাড় ব্যথা করবে। কিন্তু এ পি তো প্রশান্ত মহাসাগরের মাকাসিকো দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা পরে। বুনো বেড়ালজাতীয় পশুর চামড়ায় তৈরি।

আমি ব্যস্ত হয়ে বললুম-কর্নেল কর্নেল! গত বছর মাকাসিকোতে রাজাকে হটিয়ে এক সেনাপতি সিংহাসন দখল করেছিল না? রাজা অনুহিটিক পালিয়ে গিয়ে আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন! খুব খুনোখুনি আর লুটপাট হয়েছিল রাজপ্রাসাদে।

কর্নেল আমার দিকে তাকিয়ে বললেন—অপুর্ব জয়ন্ত, অপুর্ব! তাই-ই তো বটে। হাজার হলেও তুমি খবরের কাগজের লোক! ইয়ে মিঃ সিংহরায়, তাহলে টুপিটা আমার কাছে আপাতত থাক। আপত্তি আছে?

সিংহরায় যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বাঁচলেন।—মোটেও না! বরং বেঁচে গেলুম, কর্নেল! বা! এখনও আমার বুক ঢিপ ঢিপ করছে! ওই ভূতুড়ে টুপি এবার হয়তো গলা টিপে মেরেই ফেলবে মশাই!

কর্নেল বললেন—ঠিক আছে। আমি সন্ধ্যার দিকে আপনার বাড়িতে যাচ্ছি। জয়ন্তও যাবে আমার সঙ্গে। কেমন!

সিংহরায় মাথা দুলিয়ে সায় দিলেন।

কথামতো সাড়ে পাঁচটায় আবার কর্নেলের ফ্ল্যাটে গেলুম। দেখি, আমারই অপেক্ষা করছেন উনি। একটু হেসে বললুম—টুপিটা নিশ্চয় আপনাকে খুব জ্বালিয়েছে কর্নেল?

কর্নেল গম্ভীরভাবে মাথা নেড়ে বললেন—না জয়ন্ত। এবং সেটাই আশ্চর্য!

—কেন, কেন?

—টুপিটা যদি সত্যি ভূতুড়ে হবে, তাহলে সবখানেই ভূতুড়ে কাণ্ড করবে! অথচ আমার ঘরে এসে একেবারে শান্ত খোকাবাবুটি বনে গেল! কোনও মানে হয় না জয়ন্ত!

—তাহলে কি সিংহরায় মিথ্যে বলছেন? খবরের কাগজেও কি উনি নিজেই খবরটা দিয়েছেন? কিন্তু এসবের উদ্দেশ্য কী কর্নেল? সিংহরায় কেন এমন আজগুবি ঘটনা রটাচ্ছেন?

—সব কিছু জানতেই ওঁর বাড়ি যাচ্ছি আমরা। চলো, বেরিয়ে পড়া যাক।…

নিউ আলিপুরে সিংহরায়ের ইভনিং লজে যখন আমরা পৌঁছলুম, তখন সন্ধ্যা ছটা। বিশাল বাড়ি। চওড়া লন। ফলবাগিচা, টেনিস কোর্ট আছে। আমাদের অভ্যর্থনা করে প্রকাণ্ড ড্রয়িংরুমে নিয়ে গিয়ে বসালেন। টুপিটা কর্নেলের হাতে ছিল। সোফার এককোণে রেখে পাশেই বসলেন। তারপর কথাবার্তা শুরু হল। দেখলুম, কর্নেল টুপির কথা মোটেও তুললেন না। ঘরের নানান শিল্পসামগ্রী নিয়ে পুরাতত্ত্বে চলে গেলেন। ওসব পণ্ডিতি ব্যাপার আমি বুঝিনে। চুপচাপ বসে রইলুম।

হঠাৎ আমার চোখে পড়ল টুপিটা নড়ছে। নড়তে নড়তে সোফার পিছনে চলে যাচ্ছে। ঘরে আলো খুব উজ্জ্বল নয়। হাল্কা ধূসর আলো জ্বলছে। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলুম না। এত অবাক, আর ভয়ে কাঠ হয়ে গেছি যে মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছে না। টুপিটা সোফার পিছন দিয়ে মাতালের মত টলতে টলতে এগোচ্ছে। ডগার থুপিটা ঝাকুনি খাচ্ছে। দেখতে দেখতে ওটার গতি বাড়ল। দরজার কাছে যেতেই আমি এতক্ষণে চেচিয়ে উঠলুম-কর্নেল! কর্নেল! টুপি! টুপিটা পালাচ্ছে!

সিংহরায় হাঁ করে তাকিয়ে আছেন। কর্নেলকে দেখলুম, মিটিমিটি হেসে এবার উঠে দাঁড়ালেন। তারপর দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন। তখন টুপিটা দরজার বাইরে অদৃশ্য হয়েছে!

কর্নেল দেখলুম দরজার কাছে গিয়েই আচমকা লাফ দিলেন। তারপর উনিও অদৃশ্য। এতক্ষণে আমার হুশ হল যেন। দৌড়ে বেরিয়ে ডাকলুম-কর্নেল! কর্নেল!

অমনি লনের ওদিকে গেটের কাছে দুড়ুম দুড়ুম আওয়াজ হল। নিশ্চয় কেউ গুলি ছুড়ল। দারোয়ান চাকর-বাকর চেঁচিয়ে উঠল। দৌড়াদৌড়ি শুরু হল! গেটে গিয়ে দেখি, কর্নেল একহাতে টুপি অন্য হাতে পিস্তল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে সেই মিটিমিটি হাসি। রুদ্ধশ্বাসে বললুমকী ব্যাপার কর্নেল?

কর্নেলের সামনে নুড়িবিছানো রাস্তায় একটা ছোট্ট বিলিতি কুকুর মরে পড়ে আছে। বুকের কাছে রক্তের ছোপ। সিংহরায় এসে ঝাপিয়ে পড়ে আর্তনাদ করে উঠলেন—জিমি। জিমি! কে তোকে খুন করল?

কর্নেল ওঁর কাঁধে হাত দিয়ে ডাকলেন—মিঃ সিংহরায়, জিমিকে ওর আসল মালিকরা এইমাত্র গুলি করে মেরে গেল। জিমিকে আপনি নিশ্চয় সদ্য কিনেছেন! তাই না?

সিংহরায় উঠে দাঁড়ালেন। —হ্যাঁ। যেদিন টুপিটা কিনি সেদিনই বিকেলে একটা লোক বেচতে এসেছিল। কিন্তু আমি তো এসব কিছু বুঝতে পারছি না!

দেখুন, এই টুপির মধ্যে নিশ্চয় কিছু দামি মণিমুক্তো লুকোনো আছে। টুপিটা হাতানোর জন্যেই জিমিকে ওরা আপনার কাছে বেচেছিল। টুপিতে একরকম গন্ধ মাখানো আছে। মাকাসিকো দ্বীপের একজাতের ফুলের গন্ধ। বহুকাল টিকে থাকে এই গন্ধ। ওরা এই গন্ধ জোগাড় করে জিমিকে শুকিয়ে খুব ট্রেনিং দিয়েছিল বোঝা যাচ্ছে। তবে ট্রেনিং জিমির তেমন রপ্ত হয়নি। সময় যথেষ্ট পায়নি। তাই টুপিটা ওদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ওরা এই কদিন রাস্তায় ওত পেতে অপেক্ষা করেছে বেচারা জিমির!

সিংহরায় হতভম্ব হয়ে বললেন—তাহলে টুপির তলায় জিমিটাই ঘুরে বেড়াত?

—অবশ্যই। ভুতুড়ে টুপির রহস্য হচ্ছে এই। আর খবরের কাগজে খবর দিয়েছিল ওরাই—যাতে টুপিটা হারালে ভূতের ঘাড়েই দোষটা চাপানো যায়। বুঝলেন তো? অটুকুন কুকুর-খাড়াই মোট ছইঞ্চি। টুপির তলায় ঢুকলে তো ওকে দেখা যাবে না।

এর পর আমরা ড্রইংরুমে ফিরে গেলুম। ছুরি দিয়ে টুপির ভেতরটা চিরে দিতেই গুচ্ছের রঙিন পাথর ঠিকরে পড়ল। চোখ-ধাঁধানো রং সব। আমি লাফিয়ে উঠলুম-কর্নেল! রাজা অনুহিটিক, পালানোর সময় অনেক ধনরত্ন নিয়ে যান। পথে অনেক খোওয়া গিয়েছিল নাকি। এই টুপিটার মধ্যেও কিছু ছিল দেখা যাচ্ছে।

কর্নেল চুরুট জ্বেলে শুধু বললেন—হুম!

মনে মনে বললুম—ওহে বুড়োঘুঘু! সত্যি, তোমার তুলনা নেই।…

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *