একটি মোরগের কাহিনী

একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেল
         বিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে,
ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়–
         আরো দু’তিনটি মুরগীর সঙ্গে।
আশ্রয় যদিও মিলল,
         উপযুক্ত আহার মিলল না।
সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে
         গলা ফাটাল সেই মোরগ
         ভোর থেকে সন্ধে পর্যন্ত–
তবুও সহানুভূতি জানাল না সেই বিরাট শক্ত ইমারত।

তারপর শুরু হল তাঁর আঁস্তাকুড়ে আনাগোনা;
         আর্শ্চর্য! সেখানে প্রতিদিন মিলতে লাগল
ফেলে দেওয়া ভাত-রুটির চমৎকার প্রচুর খাবার!

তারপর এক সময় আঁস্তাকুড়েও এল অংশীদার–
         ময়লা ছেঁড়া ন্যাকড়া পরা দু’তিনটে মানুষ;
কাজেই দুর্বলতার মোরগের খাবার গেল বন্ধ হয়ে।

         খাবার! খাবার! খানিকটা খাবার!
অসহায় মোরগ খাবারের সন্ধানে
         বার বার চেষ্টা ক’রল প্রাসাদে ঢুকতে,
         প্রত্যেকবারই তাড়া খেল প্রচণ্ড।
ছোট্ট মোরগ ঘাড় উঁচু করে স্বপ্ন দেখে–
         ‘প্রাসাদের ভেতর রাশি রাশি খাবার’!

তারপর সত্যিই সে একদিন প্রাসাদে ঢুকতে পেল,
         একেবারে সোজা চলে এল
ধব্‌ধবে সাদা দামী কাপড়ে ঢাকা খাবার টেবিলে ;
         অবশ্য খাবার খেতে নয়–
খাবার হিসেবে

8 Comments
Collapse Comments

Ashadharon

one of the best poem of Bengali literature………………

Md. Ashunullah Tito April 19, 2012 at 10:39 pm

Very sad

Very serious one i have ever read

বিয়ে করার জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন আছে । আপনি কি ইচ্ছে করলেই কিছু দিন পরপর বিয়ে করতে পারবেন ? আর আপনার মত ধ্যানধারণার মানুষকে কেউ পছন্দ করবে কোন ?

ভাল লেগেছে ।

অপালা রায়, বিয়ে করতেও যে এক ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, সেটা হয়ত আলোচ্য মন্তব্যকারী ভুলে গিয়েছেন ।

অপালা রায়, বিয়ে করতে হলে যে এক ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন হয় সেটি হয়ত আলোচ্য মন্তব্যকারী ভুলে গিয়েছেন ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *