ষষ্ঠ পরিচ্ছেদঃ পরামর্শ
যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য আজ খুব সকাল সকাল কাছারি ভাঙ্গিয়া দিয়াছেন। প্রতাপাদিত্য যন্ত্রণা-গৃহে একখানি রৌপ্য-সিংহাসনে বসিয়াছেন। পার্শ্বে তাঁহার মন্ত্রী শ্যামাকান্ত ও অন্যতম সেনাপতি কালিদাস ঢালী মখমল-মন্ডিত উচ্চ ক্ষুদ্রে চৌকির উপর উপবিষ্ট। দালানের দরজা বন্ধ। জানালাগুলি কেবল মুক্ত রহিয়াছে। দূরে ফটকের কাছে একজন পর্তুগীজ সিপাহি পাহারা দিতেছে।
তাহার উপর কড়া হুকুম, যেন রাজাদেশ ব্যতীত কাহাকেও প্রবেশ করিতে দেওয়া না হয়। প্রতাপাদিত্যের চক্ষু মদ্যপানে রক্তবর্ণ। তাঁহার শরীর বেশ বলিষ্ঠ এবং অসুরের ন্যায় পেশীসম্পন্ন। চক্ষুর দৃষ্টির অন্তর্ভেদী অথচ নির্মম। মুখমণ্ডলে বীরত্বের তেজ নাই; কেবল ক্রুরতা ও নিষ্ঠুরতা বিরাজমান। চেহারায় লাবণ্যের পরিবর্তে তীব্র কামুকতার চিহৃ দেদীপ্যমান। তাঁহাকে দেখিলে যুবপৎ ভীতি এবং ঘৃণার উদ্রেক হয়। প্রতাপাদিত্যের বয়স ৫৫ বৎসর হইলেও তাঁহার ইন্দ্রিয়পরায়ণতার কিছুমাত্র হ্রাস হয় নাই। একজন কবিরাজ দিবারাত্র তাঁহাকে কামাগ্নি-সন্দীপন রস, কামেশ্বর মোদক, চন্দ্রোদয় মকরধ্বজ ইত্যাদি কামেন্দ্রিয়-উত্তেজন ঔষধ সরবরাহ করিবার জন্য নিযুক্ত রহিয়াছে। সুন্দরী স্ত্রীলোকের অনুসন্ধানের জন্য একদল গোয়েন্দাও নিযুক্ত আছে। প্রতাপাদিত্য যেমন কামুক, তেমনি নিষ্ঠুর। বঙ্গের সরস কোমল ভূমিতে তাঁহার ন্যায় মহাপাষন্ড, নৃশংস ও নর-পিশাচ, অতীতে বিজয় সিংহ, রাজা কংস এবং উত্তর কালে দেবী সিংহ ও নবকৃষ্ণ ব্যতীত আর কেহ জন্মগ্রহণ করিয়াছে বলিয়া মনে হয় না।
প্রতাপাদিত্য কক্ষের নীরবতা ভঙ্গ করিয়া দিলেনঃ “কমলাকান্ত! এতদিনে ত বসন্তখুড়োর নিপাত করতে সমর্থ হ’লাম। কিন্তু কেদার রায়ের কন্যা স্বর্ণময়ীকে নিয়ে এখনও ত কেউ ফিরল না!”
মন্ত্রীঃ মহারাজ! আপনি বসন্তপুরে গিয়েছিলেন বলে তত্ত্ব সুবিধা হয়নি। স্বর্ণময়ীকে যারা লুঠতে গিয়েছিল, তারা অকৃতকার্য হয়ে ফিরে এসেছে।
প্রতাপঃ কি! অকৃতকার্য হয়ে ফিরল!
মন্ত্রীঃ আজ্ঞে হাঁ, অকৃতকার্য হয়ে।
প্রতাপঃ ডাকো তাদের।
মন্ত্রী তখন তাহাদিগকে ডাকিবার জন্য সিপাহীদের ব্যারাকে লোক পাঠাইলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে রামদাস, রাধাকান্ত, হরি, শিবা, মাধা প্রভূতি আসিয়া মাটিতে লুটাইয়া প্রতাপকে দণ্ডবৎ করিল। তৎপর দাঁড়াইয়া কাঁপিতে লাগিল।
প্রতাপঃ কেদার রায়ের কন্যা কোথায়?
রাধাকান্তঃ মহারাজ! তাকে ঈসা খাঁ ছিনিয়ে নিয়েছে।
প্রতাপঃ তোদের ঘাড়ে মাথা থাকতে?
রাধাঃ আমাদের অবশিষ্ঠ সকলেই মারা পড়েছে। আমাদের দোষ নেই। অপরাধ মার্জনা করুন।
প্রতাপ ব্যাঘ্রের ন্যায় ভীষণ গর্জন করিয়া কহিলেন, “যা এখনই তোদের একেবারে মার্জনা করছি।” এই বলিয়া জল্লাদের সর্দারকে আদেশ করিলেন যে, “এদের গায়ে আলকাতরা মেখে আগুনে পোড়াও।”
বলা বাহুল্য, পাঁচটি প্রাণী অর্থ ঘন্টার মধ্যে এইরুপ নিষ্ঠুরভাবে ভস্মীভূত হইয়া পৃথিবী হইতে উড়িয়া গেল।
প্রতাপ ইহাদিগকে ভস্ম করিবার আদেশ দিলেন; কিন্তু নিজের পৈশাচিক কামানলে আহুতি দিবার জন্য স্বর্ণময়ীর চিন্তায় চঞ্চল ও উন্মত্ত হইয়া উঠিলেন। তাঁহার ব্যাকুলতা দেখিয়া শ্যামাকান্ত বলিলেন, “মহারাজ! ব্যস্ত হবেন না। আগামী আষাঢ়ের মহররম-উৎসব উপলক্ষে সৈন্য পাঠিয়ে স্বর্ণময়ীকে লুঠে আনবার জোগাড় করছি।”
সেনাপতি কালিদাস ঢালী বলেন, “এই পরামর্শই ঠিক। মহররম উপলক্ষে সাদুল্লাপুরে মহোৎসব হয়ে থাকে, নানাদেশ হ’তে লোক-সমাগম হয়। সেই সময় যাত্রীবেশে বহুসৈন্য প্রেরণ করতে পারব। একবার ধরে ‘ময়ূরপঙ্খী’তে তুলতে পারলেই হয়। একশ’ দাঁড়ের ময়ূরপঙ্খী কা’রও ধরবার সাধ্য হবে না।”
প্রতাপঃ কিন্তু কেদার রায় এক্ষণে খুব সাবধান হয়েছে। স্বর্ণময়ীকে রক্ষ করবার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত রক্ষী রাখবে। সাদুল্লাপুরের মিত্রদের লোকজনের অভাব নাই।
শ্যামাঃ সেই যা’ একটু ভাবনা। প্রথমে একটা দাঙ্গা হবে।
প্রতাপঃ সে কি দাঙ্গা? সে যে দস্তরমত যুদ্ধ বাঁধবে। এই ত চর-মুখে শুনলেম যে, সাদুল্লাপুরের মিত্র-বাড়ীতে স্বর্ণময়ীর রক্ষাকল্পে দুইশ’ সিপাহী কেদার রায় পাঠিয়েছেন।
কালিদাসঃ তা হোক। আমাদের মাহতাব খাঁ সেনাপতি সাহেব যদি যান, তা হলে আমরা দুইশত সিপাহি নিয়েও হাজার লোকের ভিতর হতে কেদার রায়ের কন্যাকে ছিনিয়ে আনতে পারবো।
প্রতাপঃ (একটু হাসিয়া) কেন, তুমি একাকী সাহস পাও না কি?
কালিঃ সাহস পাব না, মহারাজ! কিন্তু জানেন ত, সাবধানের মার নেই। খাঁ সাহেব আমার চেয়ে সাহসী এবং কৌশলী। বিশেষতঃ, সিপাহীরা তাঁর কথায় বিশেষ উৎসাহিত হয়। তিনি সঙ্গে থাকলে কার্যসিদ্ধি অবশ্যম্ভাবী।
প্রতাপঃ তবে তাঁকে ডাকান যাক।
কালিঃ আজ্ঞা হাঁ তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করতে হচ্ছে।
প্রতাপাদিত্য তখনই সেনাপতি মাহতাব খাঁকে ডাকিবার জন্য লোক পাঠাইলেন। অর্ধ ঘন্টার মধ্যে খাঁ সাহেব আসিয়া উপস্থিত হইলেন। খাঁ সাহেবের বয়স ত্রিশের উপরে নহে। দেখিতে অত্যন্ত রুপবান ও তেজস্বী। চরিত্র অতি পবিত্র, মূর্তি গম্ভীর অথচ মনোহর। তাঁহার চাল-চলনে ও কথা-বার্তায় এমন একটা আদব-কায়দা ও আত্মসন্মানের ভাব ছিল যে, সকলেই তাঁহাকে বিশেষ শ্রদ্ধা ও সন্মান করিত। প্রতাপাদিত্যের মত পাপিষ্ঠ প্রভূত্ত তাঁহাকে দেখিতে সম্ভ্রম করিতেন। প্রতাপ, খাঁ সাহেবের সহিত কদাপি কোনও কুপরামর্শ করিতে সাহসী হন নাই। তাঁহার সহিত হাসি-ঠাট্রা করিতে পর্যন্ত সাহস পাইতেন না। তাঁহাকে দেখিলেই যেন লোকে সভ্য-ভব্য হইয়া পড়িত। অথচ তিনি অত্যন্ত মিতভাষী ও সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন। প্রতাপাদিত্যের আহবান বা নিজের বিশেষ গরজ ব্যতীত খাঁ সাহবে কদাপি দরবারে আসিতেন না। ফল কথা, প্রতাপ ও খাঁ সাহেবের মধ্যে প্রভূ-ভৃত্যের ব্যবহারে ছিল না। বিজাতির কাছে কেমন করিয়া আত্মসন্মান রক্ষা করিয়া চাকুরী করিতে হয়, খাঁ সাহেব তাহা ভালোরূপেই জানিতেন।
খা সাহেব আসন গ্রহণ করিতে কালিদাস সমস্ত কথা সংক্ষেপে বুঝাইয়া বলিলেন। খাঁ সাহেব বলিলেনঃ “পাত্রী কি মহারাজের প্রতি আসক্তা?”
কালিঃ না, তাহলে কি আর এত গোলযোগ হয়? সেরূপ হলে ত অনায়াসেই কার্যসিদ্ধি হ’ত। তা হ’লে আর আপনাকে ডাকবার আবশ্যক হ’ত না।
খাঁঃ তবে ত এ কার্য বড়ই কলঙ্কের।
কালিঃ কোন পক্ষে
খাঁঃ মহরাজের পক্ষে তাকে জোর করে আনলে সে কি মহারাজকে শাদী করবে?
কালিঃ জোর করে শাদী করাব। শাদী না করে বাঁদী ক’রে রাখব।
খাঁঃ কাজটা বড়ই ঘৃণিত। এ কাপুরুষের কার্য।
প্রতাপের হৃদয় স্বর্ণময়ীর জন্য উন্মুত্ত। সুতরাং খাঁ সাহেবের কথাগুলি তাঁহার কর্ণে বিষদগ্ধ শল্যের ন্যায় প্রবেশ করিল। আর কেহ হইলে হয়ত প্রতাপ তখনি মাথা কাটিবার আদেশ দিতেন। কিন্তু খাঁ সাহেব ক্ষমতাশালী বীরপুরুষ বলিয়াই তাহা হইল না। তবুও প্রতাপ বিরক্তি-ব্যঞ্জন স্বরে বলিলেনঃ “খাঁ সাহেব! আপনাকে ধর্মের উপদেশ দেবার জন্য ডাকা হয়নি।”
খাঁঃ আমিও তা বলছি না। কিন্তু কিসের জন্য ডেকেছেন মহারাজ?
প্রতাপঃ স্বর্ণময়ীকে এনে দিতে হবে।
খাঁঃ কেমন ক’রে।
প্রতাপঃ লুঠ ক’রে।
খাঁঃ মহারাজ! মাফ করুন, এমন কার্য ধর্ম সইবে না।
প্রতাপঃ আবার ধর্মের কথা?
খাঁঃ তবে কি ধর্ম পরিত্যাগ করব?
প্রতাপঃ প্রভুর আজ্ঞা পালনই ধর্ম।
খাঁঃ অধর্মজনক আজ্ঞাও কি?
প্রতাপঃ আজ্ঞা পালন দিয়া কথা, তাতে আবার ধর্মাধর্ম কি?
খাঁঃ মহারাজ! তবে কি আপনি ধর্মাধর্ম মানেন না?
প্রতাপঃ প্রতাপাদিত্য অমন ধর্মের মুখে পদাঘাত করে।
খাঁঃ তওবা! তওবা!! এমন কথা বললেন না, মহারাজ! সামান্য প্রভুত্ব পেয়ে আত্মহারা হবেন না। পরকাল আছে-বিচার আছে-জীবনের হিসাব-নিকাশ আছে-দীন-দুনিয়ার বাদশাহ খোদাতা’লা নিত্য জাগ্রত। তিনি সবই দেখেছেন।
প্রতাপঃ ওসব কোরান-কেতাবের কথা রেখে দিন। ওটা মুসলমানদেরই শ্রবণযোগ্য। আমি হিন্দু, ও-সব মানি না।
খাঁঃ কেন, হিন্দুশান্ত্রে কি কোরানের উপদেশ নেই?
প্রতাপাদিত্য বড়ই জ্বলিয়া গেলেন। তাঁহার ধৈর্যের বন্ধন ছিন্ন হইয়া গেল। রাগিয়া বলিলেনঃ “ও-সব শাস্ত্র দরিয়ার ঢালো। আমার শাস্ত্র স্বর্ণময়ী, আমার ধর্ম স্বর্ণময়ী। আমি তাকেই চাই। যেমন ক’রেই হোক তাকে এনে দিতে হবে।”
খাঁঃ মহারাজ! আমি মুসলমান, আমি বীরপুরুষ। তস্করের ন্যায় লুঠে আনতে পারব না। ওটা দস্যুর কার্য। স্ত্রীলোকের প্রতি অত্যাচার কাপুরুষের পক্ষেই শোভা পায়।
প্রতাপঃ কিন্তু আমার অনুরোধ তা একবারের জন্য করতেই হবে।
খাঁঃ মহারাজ, অনুগতকে মাফ করবেন।
প্রতাপঃ খাঁ সাহেব! মার্জনা করবার সময় থাকলে, কখনই আপনাকে আহবান করতাম না। যেমন ক’রেই হোক স্বর্ণময়ীকে আনতেই হবে। বীরপুরুষকে উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য অনেক সময় দস্যু-তস্কর সাজতে হয়। তা’তে কলঙ্ক নেই। খাঁ সাহেব! আপনি ত সামান্য সেনাপতি, অত বড় অবতার রাসবিধ্বংসী রামচন্দ্র ইন্দ্রজিকে ছন্মবেশে কাপুরুষের মত বধ করেছিলেন। বীর-চূড়ামণি অর্জুন নপুংসক শিখন্ডীকে সম্মুখে রেখে ভীস্মকে পরাস্ত করেছিলেন। ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিত দ্রোণাচার্জকে পরাস্ত করা জন্য “অশ্বত্থামা হত ইতি গজ” রুপ মিথ্যা কথা বলতে কুণ্ঠিত হননি। পুরানে এরুপ রাশি রাশি দৃষ্টান্ত আছে। স্বর্ণময়ীকে নিয়ে আসতে পারলে প্রাণের দুহিতা অরুণাবতীকে আপনার হস্তেই সমর্পণ করব। আপনি আমার শ্রেষ্ঠ জামাতা হবেন।
খাঁঃ মহারাজ! যোড় হস্তে মার্জনা প্রার্থনা করি। সমস্ত পৃথিবীর রাজত্ব পেলেও এবং স্বর্গের অস্পরীরা চরণ-সেবা করলেও মাহতাব খাঁর দ্বারা এ-কাজ সম্পন্ন হওয়ার নহে। অন্য যে পারে করুক।
প্রতাপঃ কি! এত বড় আস্পর্ধা? আমি বলছি তোমাকে এ-কাজ করতেই হবে।
খাঁঃ মহারাজ! কখনই নয়। আপনার চাকুরি পরিত্যাগ করলাম।
প্রতাপঃ সাবধান! ও জিহবা এখনই অগ্নিতে দগ্ধ করব, কার সাধ্য নিজ ইচ্ছায় আমার চাকুরী পরিত্যাগ করে! তোমার মত খাঁকে শিক্ষা দিতে প্রতাপের এত নিমেষ সময়ের আবশ্যই।
খাঁঃ মহারাজ! আমি আর আপনার ভৃত্য নহি। সুতরাং বিবেচনা ক’রে কথা বলবেন।
প্রতাপাদিত্য এবারা জ্বলিয়া উঠিলেন, পা হইতে পাদুকা খুলিয়া খাঁর দিকে সজোরে নিক্ষেপ করিলেন। মাহতাব খাঁ শুন্য-পথেই পাদুকা লুফিয়া লইয়া “কমবখত বে-তমিজ শয়তান” বলিয়া প্রতাপাদিত্যের মুখে বিষম জোরে কয়েক ঘা বসাইয়া দিয়া গৃহ হইতে দ্রুত বহির্গত হইয়া গেলেন। মাহতাব খাঁ পাদুকা-প্রহারে প্রতাপাদিত্যের নাক-মুখ হইতে দরদর ধারায় রক্ত ছুটিল। সকলে ক্ষিপ্ত কুকুরের ন্যায় হাঁ হাঁ করিয়া খাঁ সাহেবের দিকে রুখিয়া উঠিল। প্রতাপাদিত্য “ছের উত্তার লাও, ছের উতার লাও” বলিয়া ক্রোধে গর্জিতে লাগিলেন। সেনাপতি সাহেব তখন ভীষণ গর্জনে আকাশ কাঁপাইয়া “কিছি কা মরণেকা এরাদা হ্যায় তো, আও” বলিয়া কোষ হইতে ঝন্ ঝন্ শব্দে তরবারি আকর্ষণ করতঃ ফিরিয়া দাঁড়াইলেন। খাঁ সাহেবের প্রদীপ্ত জ্বালাময়ী করালী-মূর্তি ও অগ্নি-জিহব তরবারি দর্শনে সকলের বক্ষের স্পন্দন পর্যন্ত যেন থামিয়া গেল। মাহতাব খাঁ ধীর-মন্থর গতিতে কৃপাণ-পাণি অবস্থায় ফিরিয়া কাহাকেও কিছু না বলিয়া সেই মূহুর্তেই যশোর ত্যাগ করিলেন।